নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর-পরবর্তী সামরিক শাসকেরা উন্নয়ন না করলেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সময়কার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
আজ রোববার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে বারবার ক্ষমতার বদল হয়। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে একের পর এক… ১৯টা ক্যু হয়েছে এ দেশে। ক্ষমতা সেনানিবাসে, সামরিক শাসকদের হাতে। ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি। অভার্টলি অর কভার্টলি। তাদের হাতেই ক্ষমতা। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু বানিয়েছে। কিছু চাটুকারের দল, তোষামোদি-খোশামোদি সৃষ্টি করে তাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দেশের মানুষের কল্যাণে বা উন্নয়নে তাদের কোনো অবদান ছিলও না। কিন্তু প্রচার পেয়েছে ব্যাপক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `বঙ্গবন্ধু এত উন্নয়নের কাজ করে গেছেন, সেখানে ঠিক উল্টো প্রচার করা হতো, যেটা এখনো আমি এত উন্নয়ন করার পরেও কিছু কিছু লোকের মুখে শুনি। সেই সব সুরের প্রতিধ্বনিই যেন আমি শুনতে পাই। সেই সব শ্রেণির লোকেরাই কিন্তু সমালোচনা কিংবা বলেই যায়। যদিও আমি এসব পরোয়া করি না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের কাজ জন্য করতে হবে। কারণ যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।'
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই সময় নিয়ম ছিলও শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আমি তখন উদ্যোগ নিলাম বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। এর জন্য আইন ও নীতিমালা করলাম। এমনকি ছোট্ট ছোট্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রও যাতে করতে পারে।'
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, `আমি বিদ্যুৎ খাত সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করলাম। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আনলাম। আমার হাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মেঘনা ঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট এবং হরিপুরে ৩৬০ মেগাওয়াট। এগুলো আমেরিকার ইএস কোম্পানি উৎপাদন করেছে।'
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষ আইনও আমরা করেছি। যদিও এসব কারণে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। শুধু সমালোচনা না, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলাও দিয়েছিল। যে কয়টা ভালো কাজ করেছি, তার সব কয়টার জন্য মামলা খেয়েছি। আবার ২০০৭ সালেও মামলা খেয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাও (তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী) আমার সঙ্গে আসামি ছিলেন। আমরা কাজও করেছি আবার এই ধরনের হয়রানিরও শিকার হয়েছি। কিন্তু থেমে থাকিনি।'
বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমরা সরকারি বা বেসরকারি কিংবা যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেই হবে না, এর জন্য সঞ্চালন লাইন প্রয়োজন। সেটাও আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত না। আমাদের সরকারি বিদ্যুৎ থেকে কিনে নিতে হতো। এখন আমরা তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে দিয়েছি। তারা নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সঞ্চালন করতে পারবে।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, `আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক। কারণ একমাত্র বিদ্যুৎ দিলেই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাদের উন্নতির বিষয়টি আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ যদি সারা বাংলাদেশে না পৌঁছাতে পারি, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতেও পারব না। মানুষ তার সুফল পাবে না।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিএনপি-জামায়াত সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষ বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করেছিল বলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হলো। এটা অবশ্য বিএনপির চরিত্র। কারণ কৃষকেরা যখন সারের দাবিতে আন্দোলন করল, তখন ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। ২০১৩ সালে যখন অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করে, তখন সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটা শুধু আগুন দিয়ে পুড়িয়েই দেয় নাই, সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীকে পুড়িয়ে হত্যা করে। মানুষকে দিতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবন নিতে পারে। আর ধ্বংস করতে পারে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা বিদ্যুৎচ্চালিত বাসের ব্যবস্থা করতে পারব। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করতে পারব। রেলকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতে নিয়ে আসব। এ রকম অনেক পরিকল্পনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনি ব্যবহারও বাড়ছে। আমাকে গ্রামের একজন বলল, আপা ভাত এখন চুলায় রান্না করি না, রাইসকুকারে রান্না করি। আমরা যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অবশ্যই বিশেষভাবে পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখি। পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের পদক্ষেপ সব সময় গ্রহণ করি।'
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, `এখন অনেকেই অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়ে গেছেন। আপনারা বিল দেবেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমরা যে বিদ্যুৎটা উৎপাদর করছি। তার খরচটা অনেক বেশি। আমরা গ্রাহকসেবা দেওয়ার জন্য ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের খরচ বিল হিসেবে দিতে হচ্ছে না। অনেক কম টাকা বিল নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হবেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষের আর্থিক সংগতি বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ টিভি, ফ্রিজ এমনকি এসিও ব্যবহার করছে। মানুষের সক্ষমতা আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। সেটা আরও গড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই। এই বৈষম্যটা যেন না থাকে। মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। ব্যবহারের সময় সাশ্রয়ী না হলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারব সেটা দেখতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমি যখন বের হই, তখন যেখানে যেখানে অপ্রয়োজনীয় তার সুইচগুলো বন্ধ করি। আমি জানি গণভবন সরকারি। এখনকার নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় থাকি, সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি, যাতে অভ্যাসটা ঠিক রাখি। কারণ চিরদিনই কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকে না। এটা তো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপর আরও থাকব না। তখন তো নিজের মতোই চলতে হবে। কিন্তু অভ্যাসটা নষ্ট করে তো লাভ নাই।'
রোববার উদ্বোধন করা পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে তিনটি সরকারি আর দুটি বেসরকারি। এতে জাতীয় গ্রিডে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো—হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩-এ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ। আর বেসরকারি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর-পরবর্তী সামরিক শাসকেরা উন্নয়ন না করলেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সময়কার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
আজ রোববার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে বারবার ক্ষমতার বদল হয়। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে একের পর এক… ১৯টা ক্যু হয়েছে এ দেশে। ক্ষমতা সেনানিবাসে, সামরিক শাসকদের হাতে। ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি। অভার্টলি অর কভার্টলি। তাদের হাতেই ক্ষমতা। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু বানিয়েছে। কিছু চাটুকারের দল, তোষামোদি-খোশামোদি সৃষ্টি করে তাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দেশের মানুষের কল্যাণে বা উন্নয়নে তাদের কোনো অবদান ছিলও না। কিন্তু প্রচার পেয়েছে ব্যাপক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `বঙ্গবন্ধু এত উন্নয়নের কাজ করে গেছেন, সেখানে ঠিক উল্টো প্রচার করা হতো, যেটা এখনো আমি এত উন্নয়ন করার পরেও কিছু কিছু লোকের মুখে শুনি। সেই সব সুরের প্রতিধ্বনিই যেন আমি শুনতে পাই। সেই সব শ্রেণির লোকেরাই কিন্তু সমালোচনা কিংবা বলেই যায়। যদিও আমি এসব পরোয়া করি না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের কাজ জন্য করতে হবে। কারণ যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।'
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই সময় নিয়ম ছিলও শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আমি তখন উদ্যোগ নিলাম বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। এর জন্য আইন ও নীতিমালা করলাম। এমনকি ছোট্ট ছোট্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রও যাতে করতে পারে।'
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, `আমি বিদ্যুৎ খাত সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করলাম। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আনলাম। আমার হাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মেঘনা ঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট এবং হরিপুরে ৩৬০ মেগাওয়াট। এগুলো আমেরিকার ইএস কোম্পানি উৎপাদন করেছে।'
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষ আইনও আমরা করেছি। যদিও এসব কারণে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। শুধু সমালোচনা না, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলাও দিয়েছিল। যে কয়টা ভালো কাজ করেছি, তার সব কয়টার জন্য মামলা খেয়েছি। আবার ২০০৭ সালেও মামলা খেয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাও (তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী) আমার সঙ্গে আসামি ছিলেন। আমরা কাজও করেছি আবার এই ধরনের হয়রানিরও শিকার হয়েছি। কিন্তু থেমে থাকিনি।'
বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমরা সরকারি বা বেসরকারি কিংবা যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেই হবে না, এর জন্য সঞ্চালন লাইন প্রয়োজন। সেটাও আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত না। আমাদের সরকারি বিদ্যুৎ থেকে কিনে নিতে হতো। এখন আমরা তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে দিয়েছি। তারা নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সঞ্চালন করতে পারবে।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, `আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক। কারণ একমাত্র বিদ্যুৎ দিলেই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাদের উন্নতির বিষয়টি আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ যদি সারা বাংলাদেশে না পৌঁছাতে পারি, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতেও পারব না। মানুষ তার সুফল পাবে না।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিএনপি-জামায়াত সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষ বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করেছিল বলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হলো। এটা অবশ্য বিএনপির চরিত্র। কারণ কৃষকেরা যখন সারের দাবিতে আন্দোলন করল, তখন ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। ২০১৩ সালে যখন অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করে, তখন সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটা শুধু আগুন দিয়ে পুড়িয়েই দেয় নাই, সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীকে পুড়িয়ে হত্যা করে। মানুষকে দিতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবন নিতে পারে। আর ধ্বংস করতে পারে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা বিদ্যুৎচ্চালিত বাসের ব্যবস্থা করতে পারব। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করতে পারব। রেলকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতে নিয়ে আসব। এ রকম অনেক পরিকল্পনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনি ব্যবহারও বাড়ছে। আমাকে গ্রামের একজন বলল, আপা ভাত এখন চুলায় রান্না করি না, রাইসকুকারে রান্না করি। আমরা যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অবশ্যই বিশেষভাবে পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখি। পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের পদক্ষেপ সব সময় গ্রহণ করি।'
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, `এখন অনেকেই অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়ে গেছেন। আপনারা বিল দেবেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমরা যে বিদ্যুৎটা উৎপাদর করছি। তার খরচটা অনেক বেশি। আমরা গ্রাহকসেবা দেওয়ার জন্য ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের খরচ বিল হিসেবে দিতে হচ্ছে না। অনেক কম টাকা বিল নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হবেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষের আর্থিক সংগতি বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ টিভি, ফ্রিজ এমনকি এসিও ব্যবহার করছে। মানুষের সক্ষমতা আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। সেটা আরও গড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই। এই বৈষম্যটা যেন না থাকে। মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। ব্যবহারের সময় সাশ্রয়ী না হলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারব সেটা দেখতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমি যখন বের হই, তখন যেখানে যেখানে অপ্রয়োজনীয় তার সুইচগুলো বন্ধ করি। আমি জানি গণভবন সরকারি। এখনকার নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় থাকি, সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি, যাতে অভ্যাসটা ঠিক রাখি। কারণ চিরদিনই কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকে না। এটা তো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপর আরও থাকব না। তখন তো নিজের মতোই চলতে হবে। কিন্তু অভ্যাসটা নষ্ট করে তো লাভ নাই।'
রোববার উদ্বোধন করা পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে তিনটি সরকারি আর দুটি বেসরকারি। এতে জাতীয় গ্রিডে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো—হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩-এ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ। আর বেসরকারি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর-পরবর্তী সামরিক শাসকেরা উন্নয়ন না করলেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সময়কার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
আজ রোববার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে বারবার ক্ষমতার বদল হয়। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে একের পর এক… ১৯টা ক্যু হয়েছে এ দেশে। ক্ষমতা সেনানিবাসে, সামরিক শাসকদের হাতে। ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি। অভার্টলি অর কভার্টলি। তাদের হাতেই ক্ষমতা। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু বানিয়েছে। কিছু চাটুকারের দল, তোষামোদি-খোশামোদি সৃষ্টি করে তাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দেশের মানুষের কল্যাণে বা উন্নয়নে তাদের কোনো অবদান ছিলও না। কিন্তু প্রচার পেয়েছে ব্যাপক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `বঙ্গবন্ধু এত উন্নয়নের কাজ করে গেছেন, সেখানে ঠিক উল্টো প্রচার করা হতো, যেটা এখনো আমি এত উন্নয়ন করার পরেও কিছু কিছু লোকের মুখে শুনি। সেই সব সুরের প্রতিধ্বনিই যেন আমি শুনতে পাই। সেই সব শ্রেণির লোকেরাই কিন্তু সমালোচনা কিংবা বলেই যায়। যদিও আমি এসব পরোয়া করি না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের কাজ জন্য করতে হবে। কারণ যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।'
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই সময় নিয়ম ছিলও শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আমি তখন উদ্যোগ নিলাম বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। এর জন্য আইন ও নীতিমালা করলাম। এমনকি ছোট্ট ছোট্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রও যাতে করতে পারে।'
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, `আমি বিদ্যুৎ খাত সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করলাম। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আনলাম। আমার হাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মেঘনা ঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট এবং হরিপুরে ৩৬০ মেগাওয়াট। এগুলো আমেরিকার ইএস কোম্পানি উৎপাদন করেছে।'
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষ আইনও আমরা করেছি। যদিও এসব কারণে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। শুধু সমালোচনা না, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলাও দিয়েছিল। যে কয়টা ভালো কাজ করেছি, তার সব কয়টার জন্য মামলা খেয়েছি। আবার ২০০৭ সালেও মামলা খেয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাও (তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী) আমার সঙ্গে আসামি ছিলেন। আমরা কাজও করেছি আবার এই ধরনের হয়রানিরও শিকার হয়েছি। কিন্তু থেমে থাকিনি।'
বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমরা সরকারি বা বেসরকারি কিংবা যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেই হবে না, এর জন্য সঞ্চালন লাইন প্রয়োজন। সেটাও আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত না। আমাদের সরকারি বিদ্যুৎ থেকে কিনে নিতে হতো। এখন আমরা তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে দিয়েছি। তারা নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সঞ্চালন করতে পারবে।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, `আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক। কারণ একমাত্র বিদ্যুৎ দিলেই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাদের উন্নতির বিষয়টি আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ যদি সারা বাংলাদেশে না পৌঁছাতে পারি, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতেও পারব না। মানুষ তার সুফল পাবে না।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিএনপি-জামায়াত সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষ বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করেছিল বলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হলো। এটা অবশ্য বিএনপির চরিত্র। কারণ কৃষকেরা যখন সারের দাবিতে আন্দোলন করল, তখন ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। ২০১৩ সালে যখন অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করে, তখন সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটা শুধু আগুন দিয়ে পুড়িয়েই দেয় নাই, সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীকে পুড়িয়ে হত্যা করে। মানুষকে দিতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবন নিতে পারে। আর ধ্বংস করতে পারে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা বিদ্যুৎচ্চালিত বাসের ব্যবস্থা করতে পারব। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করতে পারব। রেলকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতে নিয়ে আসব। এ রকম অনেক পরিকল্পনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনি ব্যবহারও বাড়ছে। আমাকে গ্রামের একজন বলল, আপা ভাত এখন চুলায় রান্না করি না, রাইসকুকারে রান্না করি। আমরা যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অবশ্যই বিশেষভাবে পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখি। পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের পদক্ষেপ সব সময় গ্রহণ করি।'
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, `এখন অনেকেই অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়ে গেছেন। আপনারা বিল দেবেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমরা যে বিদ্যুৎটা উৎপাদর করছি। তার খরচটা অনেক বেশি। আমরা গ্রাহকসেবা দেওয়ার জন্য ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের খরচ বিল হিসেবে দিতে হচ্ছে না। অনেক কম টাকা বিল নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হবেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষের আর্থিক সংগতি বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ টিভি, ফ্রিজ এমনকি এসিও ব্যবহার করছে। মানুষের সক্ষমতা আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। সেটা আরও গড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই। এই বৈষম্যটা যেন না থাকে। মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। ব্যবহারের সময় সাশ্রয়ী না হলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারব সেটা দেখতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমি যখন বের হই, তখন যেখানে যেখানে অপ্রয়োজনীয় তার সুইচগুলো বন্ধ করি। আমি জানি গণভবন সরকারি। এখনকার নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় থাকি, সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি, যাতে অভ্যাসটা ঠিক রাখি। কারণ চিরদিনই কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকে না। এটা তো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপর আরও থাকব না। তখন তো নিজের মতোই চলতে হবে। কিন্তু অভ্যাসটা নষ্ট করে তো লাভ নাই।'
রোববার উদ্বোধন করা পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে তিনটি সরকারি আর দুটি বেসরকারি। এতে জাতীয় গ্রিডে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো—হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩-এ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ। আর বেসরকারি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর-পরবর্তী সামরিক শাসকেরা উন্নয়ন না করলেও ব্যাপক প্রচার পেয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সময়কার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
আজ রোববার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে বারবার ক্ষমতার বদল হয়। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে একের পর এক… ১৯টা ক্যু হয়েছে এ দেশে। ক্ষমতা সেনানিবাসে, সামরিক শাসকদের হাতে। ডাইরেক্টলি বা ইনডাইরেক্টলি। অভার্টলি অর কভার্টলি। তাদের হাতেই ক্ষমতা। ক্ষমতাকে তারা ভোগের বস্তু বানিয়েছে। কিছু চাটুকারের দল, তোষামোদি-খোশামোদি সৃষ্টি করে তাদের নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দেশের মানুষের কল্যাণে বা উন্নয়নে তাদের কোনো অবদান ছিলও না। কিন্তু প্রচার পেয়েছে ব্যাপক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `বঙ্গবন্ধু এত উন্নয়নের কাজ করে গেছেন, সেখানে ঠিক উল্টো প্রচার করা হতো, যেটা এখনো আমি এত উন্নয়ন করার পরেও কিছু কিছু লোকের মুখে শুনি। সেই সব সুরের প্রতিধ্বনিই যেন আমি শুনতে পাই। সেই সব শ্রেণির লোকেরাই কিন্তু সমালোচনা কিংবা বলেই যায়। যদিও আমি এসব পরোয়া করি না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের কাজ জন্য করতে হবে। কারণ যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।'
১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই সময় নিয়ম ছিলও শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আমি তখন উদ্যোগ নিলাম বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। এর জন্য আইন ও নীতিমালা করলাম। এমনকি ছোট্ট ছোট্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রও যাতে করতে পারে।'
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, `আমি বিদ্যুৎ খাত সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করলাম। সেই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আনলাম। আমার হাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র মেঘনা ঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট এবং হরিপুরে ৩৬০ মেগাওয়াট। এগুলো আমেরিকার ইএস কোম্পানি উৎপাদন করেছে।'
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষ আইনও আমরা করেছি। যদিও এসব কারণে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। শুধু সমালোচনা না, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আমার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলাও দিয়েছিল। যে কয়টা ভালো কাজ করেছি, তার সব কয়টার জন্য মামলা খেয়েছি। আবার ২০০৭ সালেও মামলা খেয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাও (তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী) আমার সঙ্গে আসামি ছিলেন। আমরা কাজও করেছি আবার এই ধরনের হয়রানিরও শিকার হয়েছি। কিন্তু থেমে থাকিনি।'
বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমরা সরকারি বা বেসরকারি কিংবা যৌথভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেই হবে না, এর জন্য সঞ্চালন লাইন প্রয়োজন। সেটাও আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুৎ আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারত না। আমাদের সরকারি বিদ্যুৎ থেকে কিনে নিতে হতো। এখন আমরা তাদের সেই সুযোগটা দিয়ে দিয়েছি। তারা নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সঞ্চালন করতে পারবে।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, `আমাদের একটাই লক্ষ্য, দেশের গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাক। কারণ একমাত্র বিদ্যুৎ দিলেই মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাদের উন্নতির বিষয়টি আমরা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পেলে মানুষ নিজের কর্মসংস্থান করতে পারে। বিদ্যুৎ যদি সারা বাংলাদেশে না পৌঁছাতে পারি, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করতেও পারব না। মানুষ তার সুফল পাবে না।'
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিএনপি-জামায়াত সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মানুষ বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করেছিল বলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হলো। এটা অবশ্য বিএনপির চরিত্র। কারণ কৃষকেরা যখন সারের দাবিতে আন্দোলন করল, তখন ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে একটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। ২০১৩ সালে যখন অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করে, তখন সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটা শুধু আগুন দিয়ে পুড়িয়েই দেয় নাই, সেখানে কর্মরত প্রকৌশলীকে পুড়িয়ে হত্যা করে। মানুষকে দিতে পারে না, কিন্তু তাদের জীবন নিতে পারে। আর ধ্বংস করতে পারে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
সরকারপ্রধান বলেন, `বিদ্যুচ্চালিত মেট্রোরেল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা বিদ্যুৎচ্চালিত বাসের ব্যবস্থা করতে পারব। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি হয়তো দেশেই উৎপাদন করতে পারব। রেলকে ধীরে ধীরে বিদ্যুতে নিয়ে আসব। এ রকম অনেক পরিকল্পনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনি ব্যবহারও বাড়ছে। আমাকে গ্রামের একজন বলল, আপা ভাত এখন চুলায় রান্না করি না, রাইসকুকারে রান্না করি। আমরা যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করলে অবশ্যই বিশেষভাবে পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখি। পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের পদক্ষেপ সব সময় গ্রহণ করি।'
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, `এখন অনেকেই অর্থশালী ও সম্পদশালী হয়ে গেছেন। আপনারা বিল দেবেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমরা যে বিদ্যুৎটা উৎপাদর করছি। তার খরচটা অনেক বেশি। আমরা গ্রাহকসেবা দেওয়ার জন্য ব্যাপক হারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের খরচ বিল হিসেবে দিতে হচ্ছে না। অনেক কম টাকা বিল নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হবেন।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষের আর্থিক সংগতি বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষ টিভি, ফ্রিজ এমনকি এসিও ব্যবহার করছে। মানুষের সক্ষমতা আস্তে আস্তে গড়ে উঠছে। সেটা আরও গড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই। এই বৈষম্যটা যেন না থাকে। মানুষ যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। ব্যবহারের সময় সাশ্রয়ী না হলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারব সেটা দেখতে হবে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমি যখন বের হই, তখন যেখানে যেখানে অপ্রয়োজনীয় তার সুইচগুলো বন্ধ করি। আমি জানি গণভবন সরকারি। এখনকার নিয়ম হচ্ছে সব জ্বালিয়ে রাখা। কিন্তু আমি যতটুকু জায়গায় থাকি, সেটার সাশ্রয়টা সঠিকভাবে করে রাখি, যাতে অভ্যাসটা ঠিক রাখি। কারণ চিরদিনই কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকে না। এটা তো পাঁচ বছরের জন্য আসে। এরপর আরও থাকব না। তখন তো নিজের মতোই চলতে হবে। কিন্তু অভ্যাসটা নষ্ট করে তো লাভ নাই।'
রোববার উদ্বোধন করা পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে তিনটি সরকারি আর দুটি বেসরকারি। এতে জাতীয় গ্রিডে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো—হবিগঞ্জের বিবিয়ানা-৩-এ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাগেরহাটের মধুমতী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ। আর বেসরকারি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো জুলদা চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২ এবং নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খান। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকেরা...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকেরা...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকেরা...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের উন্নয়নের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটার প্রচার পায়নি। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকেরা...
১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৪ ঘণ্টা আগে