Ajker Patrika

আজ সারা দিন যা যা ঘটল (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ২০
আজ সারা দিন যা যা ঘটল (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫)

শুভ সন্ধ্যা। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। আজকের দিনের সর্বশেষ আলোচিত খবর হলো—বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তারকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। ভারতের শীর্ষ গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে এবং ভারতের যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেডিকেল পর্যটন বাড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে দুটি খবর বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মামলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারসহ দিনভর নানা ঘটনা নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সব খবর পড়ার ফুরসত হয়তো আপনার হয়নি। তাই গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো নিয়ে আমাদের সন্ধ্যার এই আয়োজন।

৫ বছর নিষিদ্ধ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
৫ বছর নিষিদ্ধ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলি আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

১. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল আইসিসি

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলী আক্তারকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন কোডের পাঁচটি বিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে সোহেলীর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কার্যকর শুরু হয়ে গেছে। বিস্তারিত পড়ুন...

ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ার কোম্পানির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ছবি: বিজনেস লাইন/দ্য হিন্দু
ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ার কোম্পানির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ছবি: বিজনেস লাইন/দ্য হিন্দু

২. আদানিকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ

ভারত থেকে আদানি পাওয়ারের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনের পুরোটাই সরবরাহ করতে বলেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে টানা তিন মাসের বেশি সময় ধরে আদানি বাংলাদেশে ঝাড়খন্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সক্ষমতার খুব সামান্যই সরবরাহ করছিল। মূলত বাংলাদেশে শীতকালে বিদ্যুতের কম চাহিদা ও বকেয়া পরিশোধের জটিলতার কারণে সরবরাহ অর্ধেক করা হয়েছিল। বিস্তারিত পড়ুন...

রাজীব আহমেদ হেলু। ছবি: সংগৃহীত
রাজীব আহমেদ হেলু। ছবি: সংগৃহীত

৩. ফেসবুকে ‘বিদায় বাংলাদেশ’ লিখে বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা নেতা গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে তিন মামলার পলাতক আসামি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাজীব আহমেদ হেলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর ইউনিয়নে মধুরবহাটি এলাকা থেকে অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার রাজীব নাশকতাসহ তিন মামলার পলাতক আসামি। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বিস্তারিত পড়ুন...

মাথায় বলের আঘাতে এভাবেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রাচীন রবীন্দ্রকে (মাঝে)। ছবি: ক্রিকইনফো
মাথায় বলের আঘাতে এভাবেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রাচীন রবীন্দ্রকে (মাঝে)। ছবি: ক্রিকইনফো

৪. রাচীনের মাথা ফাটার ঘটনায় ভারতকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার

ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি না হলেও তাদের মধ্যে ‘ভার্চুয়াল লড়াই’ তো চলেই। সামাজিক মাধ্যমে দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা একে অপরকে নিয়ে বিদ্রূপ করেন প্রায়ই। এবার রাচীন রবীন্দ্রর দুর্ঘটনা নিয়ে যখন পাকিস্তান সমালোচনার মুখে, তখন কঠোর জবাব দিলেন পাকিস্তানের সালমান বাট। লাহোরে এ সপ্তাহের শনিবার ত্রিদেশীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের খুশদিল শাহর ক্যাচ ধরতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে মাথা ফেটে অঝোরে রক্ত ঝরতে থাকে রাচীনের। এমন ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এই মর্মে যে পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সরিয়ে নেওয়া উচিত। ঠিক তার পরের দিন (রোববার) কটকের বরাবাতি স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বিস্তারিত পড়ুন...

ভারতে চালু হতে যাচ্ছে আদানি হেলথ সিটি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতে চালু হতে যাচ্ছে আদানি হেলথ সিটি। ছবি: সংগৃহীত

৫. মার্কিন হাসপাতাল ভারতে আনছে আদানি, নিজের বিনিয়োগ ৬ হাজার কোটি রুপি

ভারতের মুম্বাই ও আহমেদাবাদে ‘আদানি হেলথ সিটি’ প্রকল্পের অধীনে দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছেন দেশটির অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। ৬ হাজার কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগে তৈরি হতে যাওয়া এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা মায়ো ক্লিনিক গ্লোবাল কনসালটিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে আদানি গ্রুপ। প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে এই মার্কিন সংস্থা। গৌতম আদানি বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার ৬০তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছিল আমার পরিবার। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সেই ৬০ হাজার কোটি রুপির প্রতিশ্রুতির প্রথম প্রকল্প।’ বিস্তারিত পড়ুন...

হাবিব ও শিফা এবং ইমন ও আয়েশা। ছবি: সংগৃহীত
হাবিব ও শিফা এবং ইমন ও আয়েশা। ছবি: সংগৃহীত

৬. পর্দায় আসছেন বাস্তবের জুটি

পর্দায় জুটি হয়ে কাজ করার সুবাদে অনেকে বাস্তব জীবনেও জুটি হয়েছেন। আবার বাস্তব জীবনের অনেক জুটিকেও পর্দায় দেখা গেছে একসঙ্গে। এবার পর্দায় হাজির হচ্ছেন বাস্তব জীবনের দুই জুটি—মডেল ও চিত্রনায়ক মামনুন ইমন ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা ইসলাম এবং সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ ও তাঁর স্ত্রী আফসানা চৌধুরী শিফা। ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমন। তাই ২০০৮ সালে বিয়ে করলেও তা প্রকাশ্যে আসে সাত বছর পর। সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্ত্রীকে নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যায় না তাঁকে। এবার আড়াল ভেঙে স্ত্রীকে নিয়ে পর্দায় হাজির হচ্ছেন তিনি। একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে, বাস্তব জীবনের এই জুটিকে। মডেলিং দিয়ে ইমনের ক্যারিয়ার শুরু হলেও এবারই প্রথম বিজ্ঞাপনে মডেল হলেন আয়েশা। গত শুক্রবার তাঁরা অংশ নেন শুটিংয়ে। বিস্তারিত পড়ুন...

গ্রেপ্তার জাবেদ ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার জাবেদ ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

৭. সাবেক এএসপি জাবেদ ইকবাল গ্রেপ্তার

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাবেদ ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি ডিবির সহকারী কমিশনার ছিলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। বিস্তারিত পড়ুন...

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর ফেসবুক পেজে পবিত্র হাদিস পোস্ট করেছেন দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর ফেসবুক পেজে পবিত্র হাদিস পোস্ট করেছেন দাবিতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট

৮. অধ্যাপক জাফর ইকবাল ফেসবুকে হাদিস পোস্ট করেননি, তাঁর নামের পেজটি ভুয়া

বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর ফেসবুক পেজে পবিত্র হাদিস পোস্ট করেছেন—এমন দাবিতে একটি পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল’ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পোস্টটি করা হয়। পোস্টে লেখা আছে, ‘একদল তরুণের আবির্ভাব ঘটবে, যারা চিন্তায় হবে অপরিণত’। তারা সুন্দর সুন্দর কথা বলবে, কিন্তু করবে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ। তারা এত বেশি ধর্ম পালন করবে, যার কাছে মুসলমানদের ইবাদত তুচ্ছ বলে মনে হবে। তারা মানুষকে কোরআনের কথা বলবে, কিন্তু তা হবে কেবল তাদের মুখে মুখের কথা। বিস্তারিত পড়ুন...

আবিদ হাসান জজ মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আবিদ হাসান জজ মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

৯. আ.লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক

নরসিংদীর শিবপুরে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় পুলিশকে মারধর করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে। শিবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবিদ হাসান জজ মিয়া উপজেলার পুবেরগাঁও এলাকার মজি মিয়ার ছেলে। শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবিদ হাসান জজ মিয়াকে আটক করা হয়েছে।’ বিস্তারিত পড়ুন...

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

১০. ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষক বরখাস্ত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দ্বিতীয় শ্রেণির (নাজরানা বিভাগ) এক মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের মুখে আলকাতরা মেখে এবং মাথার চুল কেটে দিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার মালিগ্রাম বাজারসংলগ্ন ওই মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার শেখের (৪০) বাড়ি জেলার বোয়ালমারী উপজেলায়। এলাকাবাসী জানান, গতকাল সোমবার রাতে মালিগ্রামে একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রকে রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন শিক্ষক আনোয়ার শেখ। পরে ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়। বিস্তারিত পড়ুন...

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চলছে আপিল শুনানি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৩১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।

২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের সময় রাতে এআই অপব্যবহার বেশি হওয়ার শঙ্কা সিইসির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪৬
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের সময় রাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কার কথা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাতের বেলায় এআই অপব্যবহার বেশি হতে পারে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘এআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় অনেক কিছু রাতে ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এআইয়ের অপব্যবহার বেশি হতে পারে। এ জন্য আমাদের দিন-রাত রাউন্ড দ্য ক্লক কাজ করতে হবে। কী ধরনের জনবল আমরা এ কাজে লাগাতে পারি, ডিসইনফরমেশন যেকোনো জায়গা থেকে আসতে পারে, আমরা কীভাবে সেই তথ্য পৌঁছাব, সে বিষয়ে পরামর্শ দরকার।’

আইডিইএ-২ প্রকল্প আয়োজিত এই কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদেরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: সুপারিশ কার্যকরে সরকারের শক্ত অবস্থান চায় কমিশন

  • কমিশনের করা সুপারিশ সব দল মানবে না বলে ধারণা।
  • কোনো কোনো দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ আসবে।
  • তখন শক্ত অবস্থান নিয়ে তাদের মানাতে হবে সরকারকে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ০৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।

সূত্র জানায়, কমিশন মনে করছে তারা বাস্তবায়নের যে সুপারিশই দিক না কেন, তা সব দল মানবে না। তা নিয়ে দলগুলোর প্রতিবাদ আসবেই। সব দলকে খুশি করার মতো সুপারিশ তৈরি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকারকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা না হলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।

জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মতামতের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করব। আমাদের বিবেচনার দিক হচ্ছে, এটাকে বাস্তবায়নে সরকারের দিক থেকে যেন সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন। সরকার যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারে, সে তাগাদা দেওয়া হবে। কারণ কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করতে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিন বৈঠক করেছে। সেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি। এমন অবস্থায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। যেখানে জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষ আদেশ জারি এবং এর বৈধতা নিতে গণভোট আয়োজনের কথা থাকবে। এ ছাড়া থাকতে পারে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দিয়ে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে

জমা দেবে কমিশন। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, আদেশ জারি নিয়ে কারসাজি ঠেকাতেই তারা পূর্ণাঙ্গ ড্রাফট সরকারকে দেবে।

সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কি না, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কি না, এ প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কি না। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে।

১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল স্বাক্ষর করে। বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট না পাওয়ায় সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে রাজি করাতে সরকার ও কমিশনের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত রোববারও কমিশনের সঙ্গে এনসিপির তিন নেতার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে মনে করে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টার্গেট করে মারার অভিযোগ সঠিক নয়: ট্রাইব্যুনালে হাসিনা-কামালের আইনজীবী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৩৩
টার্গেট করে মারার অভিযোগ সঠিক নয়: ট্রাইব্যুনালে হাসিনা-কামালের আইনজীবী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।

যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’

আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’

আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।

পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’

যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’

ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত