নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সফর বাংলাদেশবিরোধী যেকোনো ধরনের ‘মিথ্যা প্রচার ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে’ প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশবিরোধী ভুয়া তথ্য প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই সফর যেকোনো ধরনের মিথ্যা প্রচার ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে প্রতিহত করবে।
আজ শনিবার বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মহাসচিব আরও প্রত্যক্ষ করেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় কী ধরনের উত্তরাধিকার পেয়েছে। তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের প্রকৃত রূপান্তরের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়ার জটিলতাগুলো উপলব্ধি করেছেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মহাসচিব বলেছেন, তিনি যা কিছু করতে পারেন, তাঁর সবকিছু দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবেন এবং বাংলাদেশ ও এর জনগণের পাশে থাকবেন।
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বোঝার জন্য মহাসচিব যুবসমাজ, সুশীল সমাজ এবং সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বলেও তৌহিদ তুলে ধরেন। এই কমিশনই জুলাই চার্টার এর রূপরেখা তৈরি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথনির্দেশিকা এবং রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচনী, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কারের দিকনির্দেশনা দেবে।
তিনি বলেন, ‘মহাসচিব বাংলাদেশবিরোধী ভুয়া তথ্য প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই সফর যেকোনো ধরনের মিথ্যা প্রচার ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে প্রতিহত করবে। তাঁর এই সমর্থন আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সফল করতে এবং জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
এ সফরকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ—উভয়ের জন্যই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, মহাসচিব নিজেই এমন এক নতুন বাংলাদেশের গঠনপর্ব প্রত্যক্ষ করছেন। যে বাংলাদেশ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক ন্যায়সংগত, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের স্বপ্ন দেখেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংকটময় সময়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ন্যায়বিচারভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের প্রচেষ্টার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তাই, এই সফর সরকার এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
মহাসচিব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন জানিয়ে তৌহিদ বলেন, তিনি মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাদের (রোহিঙ্গাদের) মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের কক্সবাজার সফরের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কীভাবে তাঁরা দক্ষতা ও শিক্ষা অর্জন করছে, যা তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করবে তা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক ঐতিহাসিক সংহতি ইফতারে এক লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, এই সফরের সময় মহাসচিব প্রত্যক্ষ করেছেন রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে কতটা মরিয়া। তারা নিজেদের পরিচয় বজায় রাখতে চায়। নিজ ভূমিতে অধিকার ভোগ করতে চায় এবং এমন একটি জীবন যাপন করতে চায়, যা তাঁরা মর্যাদাপূর্ণ মনে করে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, মহাসচিব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে তাঁদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার এই জনগোষ্ঠীকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেন।
তিনি বলেন, তিনি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনের সফল আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সফর বাংলাদেশবিরোধী যেকোনো ধরনের ‘মিথ্যা প্রচার ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে’ প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশবিরোধী ভুয়া তথ্য প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই সফর যেকোনো ধরনের মিথ্যা প্রচার ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে প্রতিহত করবে।
আজ শনিবার বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মহাসচিব আরও প্রত্যক্ষ করেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় কী ধরনের উত্তরাধিকার পেয়েছে। তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের প্রকৃত রূপান্তরের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়ার জটিলতাগুলো উপলব্ধি করেছেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মহাসচিব বলেছেন, তিনি যা কিছু করতে পারেন, তাঁর সবকিছু দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবেন এবং বাংলাদেশ ও এর জনগণের পাশে থাকবেন।
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বোঝার জন্য মহাসচিব যুবসমাজ, সুশীল সমাজ এবং সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বলেও তৌহিদ তুলে ধরেন। এই কমিশনই জুলাই চার্টার এর রূপরেখা তৈরি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথনির্দেশিকা এবং রাজনৈতিক, বিচারিক, নির্বাচনী, প্রশাসনিক, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ সংস্কারের দিকনির্দেশনা দেবে।
তিনি বলেন, ‘মহাসচিব বাংলাদেশবিরোধী ভুয়া তথ্য প্রচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই সফর যেকোনো ধরনের মিথ্যা প্রচার ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকে প্রতিহত করবে। তাঁর এই সমর্থন আমাদের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সফল করতে এবং জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
এ সফরকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ—উভয়ের জন্যই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, মহাসচিব নিজেই এমন এক নতুন বাংলাদেশের গঠনপর্ব প্রত্যক্ষ করছেন। যে বাংলাদেশ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক ন্যায়সংগত, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের স্বপ্ন দেখেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংকটময় সময়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ন্যায়বিচারভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের প্রচেষ্টার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষ্য, তাই, এই সফর সরকার এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
মহাসচিব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন জানিয়ে তৌহিদ বলেন, তিনি মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাদের (রোহিঙ্গাদের) মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের কক্সবাজার সফরের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কীভাবে তাঁরা দক্ষতা ও শিক্ষা অর্জন করছে, যা তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করবে তা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক ঐতিহাসিক সংহতি ইফতারে এক লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, এই সফরের সময় মহাসচিব প্রত্যক্ষ করেছেন রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে কতটা মরিয়া। তারা নিজেদের পরিচয় বজায় রাখতে চায়। নিজ ভূমিতে অধিকার ভোগ করতে চায় এবং এমন একটি জীবন যাপন করতে চায়, যা তাঁরা মর্যাদাপূর্ণ মনে করে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, মহাসচিব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে তাঁদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার এই জনগোষ্ঠীকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেন।
তিনি বলেন, তিনি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনের সফল আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারণ মাঝেমধ্যেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁরা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তাঁদের সহজে শনাক্ত করতে জাতিসংঘের হাতে থাকা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিকসহ ডাটাবেইস (তথ্যভান্ডার) ব্যবহার করতে চায় ইসি।
২৫ মিনিট আগেমাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও তার মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এখনো চলছে। ধর্ষকের বিচারের দাবিতে সোচ্চার সবাই। এর মধ্যেও নারী ও শিশুর প্রতি নির্মমতা থেমে নেই। বগুড়ায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারে জাতিসংঘ। তবে কতটুকু সংস্কার করা হবে এবং তার কতটা নির্বাচনের আগে এবং কতটা পরে হবে, দেশের জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকেই...
২ ঘণ্টা আগেসফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন এবং তাদের অধিকার সম্পূর্ণরূপে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আরাকান আর্মির সঙ্গে সংলাপে বসা জরুরি হয়ে পড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে