আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।
সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।
অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।
অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।
সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।
অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২ মিনিট আগেধর্ষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ রোববার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
৪২ মিনিট আগেমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জুলাইয়ে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের যে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। তাদের কারণেই একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জুলাই শহীদদের কাছে আমরা সবাই ঋণী।
১ ঘণ্টা আগেদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার যত মামলা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার (৯ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগে