Ajker Patrika

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, রোগী বেশি বরগুনায়

বরগুনা প্রতিনিধিনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীদের মশারি টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকে বেলা ১টার মধ্যে এই হাসপাতালে চারজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগীদের মশারি টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকে বেলা ১টার মধ্যে এই হাসপাতালে চারজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের হাসপাতালগুলোয় প্রায় ৪০০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বরগুনা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ৯৩ জন রোগী, যা জেলাটিতে গত কয়েক বছরের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৯৪ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৩৫৩ জন। গতকাল কোনো চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়নি। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯২, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮, খুলনা বিভাগে ৮, রাজশাহী বিভাগে ৪৪ ও বরিশাল বিভাগে ১৫৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৪৩০ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ২ শতাংশ নারী।

এ বছর ডেঙ্গুর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে বরিশাল বিভাগে। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৭ জন। চিকিৎসাধীন ৪৩২ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে বরগুনা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৩৪২ জন। এর মধ্যে ৬ জন বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। অন্য তিনজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

বরগুনায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ৮০, বেতাগী উপজেলায় ২, আমতলী উপজেলায় ১, বামনা উপজেলায় ৬ এবং পাথরঘাটা উপজেলায় ৪ জন।

এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘আজ জেলায় সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। এখনই এই অবস্থা, জানি না ডেঙ্গুর পিক সময়ে এটি মহামারিতে রূপ নেয় কি না। এমনিতেই এখন আমাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বেগ পেতে হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত