নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা, প্রশিক্ষণ দিতে ফিল্ডে পাঠানো আর সম্ভব হয়ে উঠবে না।’ আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব জানান।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, তবে বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট সম্ভব। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেগুলো দ্বাদশ ভোটে ব্যবহার করা হবে।’
এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’—শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
এদিকে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্পটিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের অবজারভেশন দিয়েছে সেটা বলতে পারবে এটার প্রকল্প পরিচালক। অবজারভেশনগুলো দেখার পর আমরা বসব। কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি ভালো পরামর্শ আসে তাহলে অবশ্যই আমরা বিবেচনায় নিব।’
বাজেট কমানোর বিষয়ে ইসি কাজ করবে কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে যে ইচ্ছা ছিল সেটা হলো—সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করা। বর্তমানে যে ইভিএম আছে সেটা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট করা সম্ভব।’
সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দিতে তার ওপরে নির্ভর করে।’ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। সে হিসেবে প্ল্যানিং কমিশন যদি বলে তারা কতটুকু পারবে কি পারবে না। তা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব আমাদের কি করা উচিত।’
প্রকল্পটি শুধু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনা নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে কম্পোনেন্ট আরও ছিল। আগের যে দেড় লাখ ইভিএম ছিল সেগুলোর গোডাউন করা হয় নাই। ইভিএমগুলো স্বল্প সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। আসলে তো সেগুলো ভালো থাকবে না। সেগুলো সংরক্ষণের জন্য গোডাউন তৈরি করা, গাড়ি কেনা এ ধরনের নানা কম্পোনেন্ট ছিল। ইভিএমের প্রশিক্ষণের জন্য খরচ আছে। যাই করা হোক না কেন সেটা যাতে অর্থের অপচয় না হয়, সম্পদের অপচয় না হয় সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিব।’
ইভিএমের বিষয়ে যখন আলোচনা করা হয়েছে তখন দেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না দাবি করে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ হওয়ার কারণে শেষের দিকে দেশের যে আর্থিক সমস্যাগুলো দেখতে পাচ্ছি এগুলো সাম্প্রতিককালের; একেবারে দুই-এক মাসের ব্যাপার। আমরা এটা পাঠানোর পরই বুঝতে পেরেছি যে কিছুটা অর্থনৈতিক সংকট আছে দেশে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বলতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেটা আমরা বলতে পারব না। আমরা আমদের চাহিদার কথা বলেছি। তাঁরা কতটুকু দিতে পারবে সেটা তাঁদের ব্যাপার।’
বাজেট কমাতে হলে কি করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামঞ্জস্য করতে হবে। দেড় লাখ ইভিএম আছে সেটাকে রাখার ব্যবস্থাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সেটাকে ভালোভাবে রাখতে পারি। এরপরে যদি দেখা যায় আরও কিছু ইভিএম কেনা সম্ভব সেটা কিনব। যদি না হয় তাহলে কেনা হবে না।’ পূর্বের ইভিএমগুলো জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো রোডম্যাপে আগেই বলে দিয়েছি, এটা ব্যবহার করা হবে।’
ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এটা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম না। ইভিএমের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির তেমন কিছু নেই, ন্যাচারটাই ভিন্ন। দেড় লাখ ইভিএম যে কেনা হয়েছে সেগুলো আমরা এখন পুরোদমে ব্যবহার করছি বিভিন্ন নির্বাচনে। এখানে সেটিই বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রয়োজন নাই। যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে সেটা। বাজেট কমে গেলে ১৫০ আসনে হবে না, কমে যাবে।’
সিঙ্গেল সোর্স হলে ইভিএমের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, ‘যে জিনিসের একটাই মাত্র সোর্স সে জিনিসের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই। ইভিএমের সোর্স বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ডলারের রেট ফ্লাকচুয়েট হওয়ায় দাম বেড়েছে।’

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা, প্রশিক্ষণ দিতে ফিল্ডে পাঠানো আর সম্ভব হয়ে উঠবে না।’ আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব জানান।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, তবে বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট সম্ভব। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেগুলো দ্বাদশ ভোটে ব্যবহার করা হবে।’
এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’—শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
এদিকে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্পটিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের অবজারভেশন দিয়েছে সেটা বলতে পারবে এটার প্রকল্প পরিচালক। অবজারভেশনগুলো দেখার পর আমরা বসব। কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি ভালো পরামর্শ আসে তাহলে অবশ্যই আমরা বিবেচনায় নিব।’
বাজেট কমানোর বিষয়ে ইসি কাজ করবে কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে যে ইচ্ছা ছিল সেটা হলো—সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করা। বর্তমানে যে ইভিএম আছে সেটা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট করা সম্ভব।’
সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দিতে তার ওপরে নির্ভর করে।’ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। সে হিসেবে প্ল্যানিং কমিশন যদি বলে তারা কতটুকু পারবে কি পারবে না। তা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব আমাদের কি করা উচিত।’
প্রকল্পটি শুধু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনা নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে কম্পোনেন্ট আরও ছিল। আগের যে দেড় লাখ ইভিএম ছিল সেগুলোর গোডাউন করা হয় নাই। ইভিএমগুলো স্বল্প সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। আসলে তো সেগুলো ভালো থাকবে না। সেগুলো সংরক্ষণের জন্য গোডাউন তৈরি করা, গাড়ি কেনা এ ধরনের নানা কম্পোনেন্ট ছিল। ইভিএমের প্রশিক্ষণের জন্য খরচ আছে। যাই করা হোক না কেন সেটা যাতে অর্থের অপচয় না হয়, সম্পদের অপচয় না হয় সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিব।’
ইভিএমের বিষয়ে যখন আলোচনা করা হয়েছে তখন দেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না দাবি করে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ হওয়ার কারণে শেষের দিকে দেশের যে আর্থিক সমস্যাগুলো দেখতে পাচ্ছি এগুলো সাম্প্রতিককালের; একেবারে দুই-এক মাসের ব্যাপার। আমরা এটা পাঠানোর পরই বুঝতে পেরেছি যে কিছুটা অর্থনৈতিক সংকট আছে দেশে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বলতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেটা আমরা বলতে পারব না। আমরা আমদের চাহিদার কথা বলেছি। তাঁরা কতটুকু দিতে পারবে সেটা তাঁদের ব্যাপার।’
বাজেট কমাতে হলে কি করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামঞ্জস্য করতে হবে। দেড় লাখ ইভিএম আছে সেটাকে রাখার ব্যবস্থাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সেটাকে ভালোভাবে রাখতে পারি। এরপরে যদি দেখা যায় আরও কিছু ইভিএম কেনা সম্ভব সেটা কিনব। যদি না হয় তাহলে কেনা হবে না।’ পূর্বের ইভিএমগুলো জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো রোডম্যাপে আগেই বলে দিয়েছি, এটা ব্যবহার করা হবে।’
ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এটা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম না। ইভিএমের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির তেমন কিছু নেই, ন্যাচারটাই ভিন্ন। দেড় লাখ ইভিএম যে কেনা হয়েছে সেগুলো আমরা এখন পুরোদমে ব্যবহার করছি বিভিন্ন নির্বাচনে। এখানে সেটিই বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রয়োজন নাই। যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে সেটা। বাজেট কমে গেলে ১৫০ আসনে হবে না, কমে যাবে।’
সিঙ্গেল সোর্স হলে ইভিএমের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, ‘যে জিনিসের একটাই মাত্র সোর্স সে জিনিসের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই। ইভিএমের সোর্স বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ডলারের রেট ফ্লাকচুয়েট হওয়ায় দাম বেড়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা, প্রশিক্ষণ দিতে ফিল্ডে পাঠানো আর সম্ভব হয়ে উঠবে না।’ আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব জানান।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, তবে বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট সম্ভব। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেগুলো দ্বাদশ ভোটে ব্যবহার করা হবে।’
এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’—শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
এদিকে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্পটিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের অবজারভেশন দিয়েছে সেটা বলতে পারবে এটার প্রকল্প পরিচালক। অবজারভেশনগুলো দেখার পর আমরা বসব। কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি ভালো পরামর্শ আসে তাহলে অবশ্যই আমরা বিবেচনায় নিব।’
বাজেট কমানোর বিষয়ে ইসি কাজ করবে কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে যে ইচ্ছা ছিল সেটা হলো—সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করা। বর্তমানে যে ইভিএম আছে সেটা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট করা সম্ভব।’
সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দিতে তার ওপরে নির্ভর করে।’ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। সে হিসেবে প্ল্যানিং কমিশন যদি বলে তারা কতটুকু পারবে কি পারবে না। তা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব আমাদের কি করা উচিত।’
প্রকল্পটি শুধু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনা নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে কম্পোনেন্ট আরও ছিল। আগের যে দেড় লাখ ইভিএম ছিল সেগুলোর গোডাউন করা হয় নাই। ইভিএমগুলো স্বল্প সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। আসলে তো সেগুলো ভালো থাকবে না। সেগুলো সংরক্ষণের জন্য গোডাউন তৈরি করা, গাড়ি কেনা এ ধরনের নানা কম্পোনেন্ট ছিল। ইভিএমের প্রশিক্ষণের জন্য খরচ আছে। যাই করা হোক না কেন সেটা যাতে অর্থের অপচয় না হয়, সম্পদের অপচয় না হয় সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিব।’
ইভিএমের বিষয়ে যখন আলোচনা করা হয়েছে তখন দেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না দাবি করে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ হওয়ার কারণে শেষের দিকে দেশের যে আর্থিক সমস্যাগুলো দেখতে পাচ্ছি এগুলো সাম্প্রতিককালের; একেবারে দুই-এক মাসের ব্যাপার। আমরা এটা পাঠানোর পরই বুঝতে পেরেছি যে কিছুটা অর্থনৈতিক সংকট আছে দেশে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বলতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেটা আমরা বলতে পারব না। আমরা আমদের চাহিদার কথা বলেছি। তাঁরা কতটুকু দিতে পারবে সেটা তাঁদের ব্যাপার।’
বাজেট কমাতে হলে কি করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামঞ্জস্য করতে হবে। দেড় লাখ ইভিএম আছে সেটাকে রাখার ব্যবস্থাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সেটাকে ভালোভাবে রাখতে পারি। এরপরে যদি দেখা যায় আরও কিছু ইভিএম কেনা সম্ভব সেটা কিনব। যদি না হয় তাহলে কেনা হবে না।’ পূর্বের ইভিএমগুলো জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো রোডম্যাপে আগেই বলে দিয়েছি, এটা ব্যবহার করা হবে।’
ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এটা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম না। ইভিএমের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির তেমন কিছু নেই, ন্যাচারটাই ভিন্ন। দেড় লাখ ইভিএম যে কেনা হয়েছে সেগুলো আমরা এখন পুরোদমে ব্যবহার করছি বিভিন্ন নির্বাচনে। এখানে সেটিই বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রয়োজন নাই। যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে সেটা। বাজেট কমে গেলে ১৫০ আসনে হবে না, কমে যাবে।’
সিঙ্গেল সোর্স হলে ইভিএমের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, ‘যে জিনিসের একটাই মাত্র সোর্স সে জিনিসের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই। ইভিএমের সোর্স বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ডলারের রেট ফ্লাকচুয়েট হওয়ায় দাম বেড়েছে।’

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা, প্রশিক্ষণ দিতে ফিল্ডে পাঠানো আর সম্ভব হয়ে উঠবে না।’ আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব জানান।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, তবে বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট সম্ভব। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেগুলো দ্বাদশ ভোটে ব্যবহার করা হবে।’
এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’—শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার লক্ষ্যে প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়।
এদিকে ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্পটিতে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের অবজারভেশন দিয়েছে সেটা বলতে পারবে এটার প্রকল্প পরিচালক। অবজারভেশনগুলো দেখার পর আমরা বসব। কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি ভালো পরামর্শ আসে তাহলে অবশ্যই আমরা বিবেচনায় নিব।’
বাজেট কমানোর বিষয়ে ইসি কাজ করবে কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে যে ইচ্ছা ছিল সেটা হলো—সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করা। বর্তমানে যে ইভিএম আছে সেটা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট করা সম্ভব।’
সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দিতে তার ওপরে নির্ভর করে।’ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। সে হিসেবে প্ল্যানিং কমিশন যদি বলে তারা কতটুকু পারবে কি পারবে না। তা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব আমাদের কি করা উচিত।’
প্রকল্পটি শুধু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনা নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওখানে কম্পোনেন্ট আরও ছিল। আগের যে দেড় লাখ ইভিএম ছিল সেগুলোর গোডাউন করা হয় নাই। ইভিএমগুলো স্বল্প সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। আসলে তো সেগুলো ভালো থাকবে না। সেগুলো সংরক্ষণের জন্য গোডাউন তৈরি করা, গাড়ি কেনা এ ধরনের নানা কম্পোনেন্ট ছিল। ইভিএমের প্রশিক্ষণের জন্য খরচ আছে। যাই করা হোক না কেন সেটা যাতে অর্থের অপচয় না হয়, সম্পদের অপচয় না হয় সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিব।’
ইভিএমের বিষয়ে যখন আলোচনা করা হয়েছে তখন দেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না দাবি করে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ হওয়ার কারণে শেষের দিকে দেশের যে আর্থিক সমস্যাগুলো দেখতে পাচ্ছি এগুলো সাম্প্রতিককালের; একেবারে দুই-এক মাসের ব্যাপার। আমরা এটা পাঠানোর পরই বুঝতে পেরেছি যে কিছুটা অর্থনৈতিক সংকট আছে দেশে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বলতে পারেন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেটা আমরা বলতে পারব না। আমরা আমদের চাহিদার কথা বলেছি। তাঁরা কতটুকু দিতে পারবে সেটা তাঁদের ব্যাপার।’
বাজেট কমাতে হলে কি করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামঞ্জস্য করতে হবে। দেড় লাখ ইভিএম আছে সেটাকে রাখার ব্যবস্থাকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সেটাকে ভালোভাবে রাখতে পারি। এরপরে যদি দেখা যায় আরও কিছু ইভিএম কেনা সম্ভব সেটা কিনব। যদি না হয় তাহলে কেনা হবে না।’ পূর্বের ইভিএমগুলো জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো রোডম্যাপে আগেই বলে দিয়েছি, এটা ব্যবহার করা হবে।’
ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হয় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এটা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম না। ইভিএমের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির তেমন কিছু নেই, ন্যাচারটাই ভিন্ন। দেড় লাখ ইভিএম যে কেনা হয়েছে সেগুলো আমরা এখন পুরোদমে ব্যবহার করছি বিভিন্ন নির্বাচনে। এখানে সেটিই বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রয়োজন নাই। যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে সেটা। বাজেট কমে গেলে ১৫০ আসনে হবে না, কমে যাবে।’
সিঙ্গেল সোর্স হলে ইভিএমের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, ‘যে জিনিসের একটাই মাত্র সোর্স সে জিনিসের বাজারদর যাচাই করার সুযোগ নাই। ইভিএমের সোর্স বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। ডলারের রেট ফ্লাকচুয়েট হওয়ায় দাম বেড়েছে।’

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৬ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশ করাসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ও স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশ করাসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ও স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি
০৯ নভেম্বর ২০২২
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি
০৯ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৬ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি
০৯ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৬ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প অনুমোদন না পেলে দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি নাই পাই তাহলে সেগুলো দেশে আনা, কোয়ালিটি
০৯ নভেম্বর ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
৬ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগে