Ajker Patrika

আচরণবিধি নিয়ে গণমাধ্যমে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আচরণবিধি নিয়ে গণমাধ্যমে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য মনগড়া: ইসি

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমে বিশিষ্টজনদের বক্তব্যকে মনগড়া উল্লেখ করে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে এতে যেন প্রার্থীরা বিভ্রান্ত না হন সে লক্ষ্যে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি। 

আজ শনিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশোতে বা পত্রপত্রিকায় মন্তব্য করছেন যে—নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ কারণে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করা হলো। 

সংস্থাটি জানায়, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা রয়েছে। এই বিধিমালার ৫ নং বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধিমালার ৬ থেকে ১৪ নং বিধিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন। বিধিমালার ১২ নং বিধিতে ২১ দিন পূর্বের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের অধিক সময় পাবেন না। 

বিধিমালার বিষয়ে ইসি আরও জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণবিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপিলের সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি সম্পন্ন করে কোনো একটি নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন উক্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের সকলেই সমভাবে এক একজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। আচরণ প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১২ নং বিধিতে ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর তারিখের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে তৎপূর্বে কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণারও সুযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত