এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

২০২৪ সাল দেশের মতো বিচার বিভাগও খুবই ঘটনাবহুল; বলা যায় বিচার বিভাগ ওলটপালট হয়েছে। একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা বাংলাদেশের বিচার বিভাগে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, গুরুত্বপূর্ণ রায়সহ নানা কারণে বিদায়ী বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল দেশের বিচার বিভাগ।
একদিকে কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগ, বিচার বিভাগ সচিবালয় গঠন এবং কুইক রেন্টাল আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা ছিল বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এসব ঘটনা বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও আইনি কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ওই দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। পরে এই ইস্যুতে দানা বাধে আন্দোলন, যা পরে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ ১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার পরও কমেনি আন্দোলনের তীব্রতা; বরং তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আন্দোলনে যুক্ত হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে দমাতে কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; চলে গুলির ঘটনাও। একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করে সরকার। আর কারফিউর মাঝেই ২১ জুলাই আপিল বিভাগ বসে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন রায় দেন।
আপিল বিভাগের রায়ের পরও চলতে থাকে আন্দোলন। একপর্যায়ে তাতে যোগ দেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানির পর অবশেষে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যান চলে শেখ হাসিনা। একটানা দেড় দশকের বেশি সময় দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে আপিল বিভাগের মত
আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট। পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই মুহূর্তে দেশে কোনো সরকার না থাকায় সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি অন্তবর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের মতামত চান। তাতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন আপিল বিভাগ। এরপর উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়।
ছয় বিচারপতির পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১০ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন। অপর পাঁচ বিচারপতি হলেন এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগের পর ওই দিনই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ১২ আগস্ট আরও চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিচার বিভাগ সচিবালয় ও বিচারপতি নিয়োগে কমিশন
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করতে ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ধারণাপত্রসহ এই প্রস্তাব পাঠায়। এ ছাড়া বিচারপতি নিয়োগে ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করতে ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে, যা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন ২০ অক্টোবর পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। আদালত ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করতে বলেন। রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান পুনর্বহাল হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। এর ফলে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৭ ডিসেম্বর ওই রায় দেন হাইকোর্ট।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে রায়ে। এ ছাড়া ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী মারা যাওয়ায় তাঁর আপিল মেরিটে নিষ্পত্তি করে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ১৮ ডিসেম্বর এই রায় দেওয়া হয়।
তিন বিচারপতির পদত্যাগ ও ১২ জনকে বেঞ্চ না দেওয়া
দীর্ঘ ৫ বছর বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার পর অবশেষে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক। গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
তিন বিচারপতির পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন বলে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তিন বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সময়ের বিচারপতিদের পদত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ১২ বিচারপতিকে গত ১৬ অক্টোবর বেঞ্চ না দেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ১২ বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তাঁদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
কুইক রেন্টালের দায় মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৬(২) ও ৯ ধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর পুরোপুরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১৪ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, আইনের ৬(২) ধারা সংবিধানের ম্যান্ডেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এটি বাতিল ঘোষণা করা হলো।

২০২৪ সাল দেশের মতো বিচার বিভাগও খুবই ঘটনাবহুল; বলা যায় বিচার বিভাগ ওলটপালট হয়েছে। একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা বাংলাদেশের বিচার বিভাগে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, গুরুত্বপূর্ণ রায়সহ নানা কারণে বিদায়ী বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল দেশের বিচার বিভাগ।
একদিকে কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগ, বিচার বিভাগ সচিবালয় গঠন এবং কুইক রেন্টাল আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা ছিল বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এসব ঘটনা বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও আইনি কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ওই দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। পরে এই ইস্যুতে দানা বাধে আন্দোলন, যা পরে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ ১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার পরও কমেনি আন্দোলনের তীব্রতা; বরং তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আন্দোলনে যুক্ত হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে দমাতে কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; চলে গুলির ঘটনাও। একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করে সরকার। আর কারফিউর মাঝেই ২১ জুলাই আপিল বিভাগ বসে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন রায় দেন।
আপিল বিভাগের রায়ের পরও চলতে থাকে আন্দোলন। একপর্যায়ে তাতে যোগ দেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানির পর অবশেষে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যান চলে শেখ হাসিনা। একটানা দেড় দশকের বেশি সময় দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে আপিল বিভাগের মত
আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট। পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই মুহূর্তে দেশে কোনো সরকার না থাকায় সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি অন্তবর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের মতামত চান। তাতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন আপিল বিভাগ। এরপর উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়।
ছয় বিচারপতির পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১০ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন। অপর পাঁচ বিচারপতি হলেন এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগের পর ওই দিনই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ১২ আগস্ট আরও চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিচার বিভাগ সচিবালয় ও বিচারপতি নিয়োগে কমিশন
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করতে ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ধারণাপত্রসহ এই প্রস্তাব পাঠায়। এ ছাড়া বিচারপতি নিয়োগে ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করতে ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে, যা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন ২০ অক্টোবর পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। আদালত ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করতে বলেন। রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান পুনর্বহাল হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। এর ফলে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৭ ডিসেম্বর ওই রায় দেন হাইকোর্ট।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে রায়ে। এ ছাড়া ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী মারা যাওয়ায় তাঁর আপিল মেরিটে নিষ্পত্তি করে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ১৮ ডিসেম্বর এই রায় দেওয়া হয়।
তিন বিচারপতির পদত্যাগ ও ১২ জনকে বেঞ্চ না দেওয়া
দীর্ঘ ৫ বছর বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার পর অবশেষে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক। গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
তিন বিচারপতির পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন বলে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তিন বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সময়ের বিচারপতিদের পদত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ১২ বিচারপতিকে গত ১৬ অক্টোবর বেঞ্চ না দেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ১২ বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তাঁদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
কুইক রেন্টালের দায় মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৬(২) ও ৯ ধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর পুরোপুরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১৪ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, আইনের ৬(২) ধারা সংবিধানের ম্যান্ডেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এটি বাতিল ঘোষণা করা হলো।
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

২০২৪ সাল দেশের মতো বিচার বিভাগও খুবই ঘটনাবহুল; বলা যায় বিচার বিভাগ ওলটপালট হয়েছে। একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা বাংলাদেশের বিচার বিভাগে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, গুরুত্বপূর্ণ রায়সহ নানা কারণে বিদায়ী বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল দেশের বিচার বিভাগ।
একদিকে কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগ, বিচার বিভাগ সচিবালয় গঠন এবং কুইক রেন্টাল আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা ছিল বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এসব ঘটনা বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও আইনি কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ওই দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। পরে এই ইস্যুতে দানা বাধে আন্দোলন, যা পরে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ ১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার পরও কমেনি আন্দোলনের তীব্রতা; বরং তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আন্দোলনে যুক্ত হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে দমাতে কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; চলে গুলির ঘটনাও। একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করে সরকার। আর কারফিউর মাঝেই ২১ জুলাই আপিল বিভাগ বসে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন রায় দেন।
আপিল বিভাগের রায়ের পরও চলতে থাকে আন্দোলন। একপর্যায়ে তাতে যোগ দেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানির পর অবশেষে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যান চলে শেখ হাসিনা। একটানা দেড় দশকের বেশি সময় দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে আপিল বিভাগের মত
আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট। পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই মুহূর্তে দেশে কোনো সরকার না থাকায় সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি অন্তবর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের মতামত চান। তাতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন আপিল বিভাগ। এরপর উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়।
ছয় বিচারপতির পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১০ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন। অপর পাঁচ বিচারপতি হলেন এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগের পর ওই দিনই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ১২ আগস্ট আরও চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিচার বিভাগ সচিবালয় ও বিচারপতি নিয়োগে কমিশন
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করতে ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ধারণাপত্রসহ এই প্রস্তাব পাঠায়। এ ছাড়া বিচারপতি নিয়োগে ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করতে ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে, যা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন ২০ অক্টোবর পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। আদালত ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করতে বলেন। রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান পুনর্বহাল হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। এর ফলে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৭ ডিসেম্বর ওই রায় দেন হাইকোর্ট।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে রায়ে। এ ছাড়া ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী মারা যাওয়ায় তাঁর আপিল মেরিটে নিষ্পত্তি করে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ১৮ ডিসেম্বর এই রায় দেওয়া হয়।
তিন বিচারপতির পদত্যাগ ও ১২ জনকে বেঞ্চ না দেওয়া
দীর্ঘ ৫ বছর বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার পর অবশেষে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক। গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
তিন বিচারপতির পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন বলে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তিন বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সময়ের বিচারপতিদের পদত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ১২ বিচারপতিকে গত ১৬ অক্টোবর বেঞ্চ না দেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ১২ বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তাঁদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
কুইক রেন্টালের দায় মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৬(২) ও ৯ ধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর পুরোপুরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১৪ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, আইনের ৬(২) ধারা সংবিধানের ম্যান্ডেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এটি বাতিল ঘোষণা করা হলো।

২০২৪ সাল দেশের মতো বিচার বিভাগও খুবই ঘটনাবহুল; বলা যায় বিচার বিভাগ ওলটপালট হয়েছে। একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা বাংলাদেশের বিচার বিভাগে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, গুরুত্বপূর্ণ রায়সহ নানা কারণে বিদায়ী বছরের প্রায় পুরোটা সময় আলোচনায় ছিল দেশের বিচার বিভাগ।
একদিকে কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে নতুন বিচারপতি নিয়োগ, বিচার বিভাগ সচিবালয় গঠন এবং কুইক রেন্টাল আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা ছিল বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এসব ঘটনা বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও আইনি কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
চাকরিতে কোটা নিয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। ওই দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। পরে এই ইস্যুতে দানা বাধে আন্দোলন, যা পরে দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ ছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপিল বিভাগ ১০ জুলাই হাইকোর্টের রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার পরও কমেনি আন্দোলনের তীব্রতা; বরং তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আন্দোলনে যুক্ত হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে দমাতে কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; চলে গুলির ঘটনাও। একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করে সরকার। আর কারফিউর মাঝেই ২১ জুলাই আপিল বিভাগ বসে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নতুন রায় দেন।
আপিল বিভাগের রায়ের পরও চলতে থাকে আন্দোলন। একপর্যায়ে তাতে যোগ দেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক প্রাণহানির পর অবশেষে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যান চলে শেখ হাসিনা। একটানা দেড় দশকের বেশি সময় দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে আপিল বিভাগের মত
আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট। পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই মুহূর্তে দেশে কোনো সরকার না থাকায় সাংবিধানিক সংকট দেখা দেয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি অন্তবর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের মতামত চান। তাতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন আপিল বিভাগ। এরপর উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়।
ছয় বিচারপতির পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১০ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন। অপর পাঁচ বিচারপতি হলেন এম ইনায়েতুর রহিম, মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও কাশেফা হোসেন।
হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগের পর ওই দিনই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ১২ আগস্ট আরও চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিচার বিভাগ সচিবালয় ও বিচারপতি নিয়োগে কমিশন
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করতে ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ধারণাপত্রসহ এই প্রস্তাব পাঠায়। এ ছাড়া বিচারপতি নিয়োগে ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করতে ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে, যা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন ২০ অক্টোবর পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ। আদালত ৯৬ অনুচ্ছেদের ২ থেকে ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপন করতে বলেন। রায়ের ফলে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অসমর্থতা ও পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান পুনর্বহাল হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়। এর ফলে এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ দণ্ডিত সব আসামি খালাস পান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল এবং আইনের আরও চারটি ধারা বাতিল করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৭ ডিসেম্বর ওই রায় দেন হাইকোর্ট।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পরেশ বড়ুয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে রায়ে। এ ছাড়া ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী মারা যাওয়ায় তাঁর আপিল মেরিটে নিষ্পত্তি করে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ১৮ ডিসেম্বর এই রায় দেওয়া হয়।
তিন বিচারপতির পদত্যাগ ও ১২ জনকে বেঞ্চ না দেওয়া
দীর্ঘ ৫ বছর বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার পর অবশেষে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক। গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে তাঁদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।
তিন বিচারপতির পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন বলে ১৯ নভেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তিন বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সময়ের বিচারপতিদের পদত্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ১২ বিচারপতিকে গত ১৬ অক্টোবর বেঞ্চ না দেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ১২ বিচারপতিকে আপাতত বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তাঁদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
কুইক রেন্টালের দায় মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৬(২) ও ৯ ধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর পুরোপুরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১৪ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, আইনের ৬(২) ধারা সংবিধানের ম্যান্ডেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এটি বাতিল ঘোষণা করা হলো।

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য নেতিবাচক তৎপরতা, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর মতবিরোধ, লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়া—এ সব মিলিয়ে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওপরের চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যথায় তা অবনতির দিকে যেতে পারে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত গণভোটও নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের তফসিল ঘোষণা করার পর তরুণদের দল এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী। মাথায় গুলি লাগার পর বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই জুলাই যোদ্ধা।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সক্রিয় আছে। তারা যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে রয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা ‘প্রতিহত করা হবে’। এই ‘প্রতিহত করার’ জন্য দলটি তফসিল ঘোষণার পর বড় ধরনের কর্মসূচি বা সহিংস কার্যক্রমের পথেও যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন চলাকালেও বড় ধরনের নাশকতা বা সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইসি এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য দলসংশ্লিষ্ট বিষয়ও পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন জোট গঠন ও মতবিরোধও জটিলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম মনে করছেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়; তাই তফসিলের পর ইসিকে আরও কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের দিনে দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হয়। এসব অস্ত্রের সব এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ১ হাজার অস্ত্র এখনো বেহাত রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটেছে খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেহাত অস্ত্রকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি চার ধাপে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত চলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর পরস্পরের বিরোধ বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, মিটিং-মিছিল থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটের বাইরে থাকায় তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মাঝেও মতবিরোধ রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় আলাদা ও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ইসিকে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা মনে করেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালালেও নির্বাচন বানচালে সফল হতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দেশে বিপুল মানুষ ভোট দিতে চাস। তাই একটি পক্ষ চাইলেই বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’
পুলিশপ্রধান, মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর।’

জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য নেতিবাচক তৎপরতা, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর মতবিরোধ, লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়া—এ সব মিলিয়ে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে উত্তেজনা ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ওপরের চিত্র পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যথায় তা অবনতির দিকে যেতে পারে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত গণভোটও নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের তফসিল ঘোষণা করার পর তরুণদের দল এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এ সময় অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর উদাসীনতা রয়েছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যাচ্ছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী। মাথায় গুলি লাগার পর বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে রয়েছেন এই জুলাই যোদ্ধা।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা সক্রিয় আছে। তারা যেকোনোভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করতে পারে—এমন আশঙ্কা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মহলে রয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন হলে তা ‘প্রতিহত করা হবে’। এই ‘প্রতিহত করার’ জন্য দলটি তফসিল ঘোষণার পর বড় ধরনের কর্মসূচি বা সহিংস কার্যক্রমের পথেও যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। নির্বাচন চলাকালেও বড় ধরনের নাশকতা বা সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইসি এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুধু কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নয়, অন্যান্য দলসংশ্লিষ্ট বিষয়ও পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব, অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন জোট গঠন ও মতবিরোধও জটিলতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম মনে করছেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়; তাই তফসিলের পর ইসিকে আরও কঠোর ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের দিনে দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হয়। এসব অস্ত্রের সব এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় ১ হাজার অস্ত্র এখনো বেহাত রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ঘটেছে খুন-খারাবিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে বেহাত অস্ত্রকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এ পর্যন্ত কয়েক দফা বৈঠক করেছে ইসি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা প্রস্তুতি চার ধাপে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত চলবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর পরস্পরের বিরোধ বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা, মিটিং-মিছিল থেকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ বাহিনী সব সময় প্রস্তুত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে অবস্থিত মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটের বাইরে থাকায় তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মাঝেও মতবিরোধ রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচন আগের তুলনায় আলাদা ও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। ইসিকে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
তবে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা মনে করেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা চালালেও নির্বাচন বানচালে সফল হতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দেশে বিপুল মানুষ ভোট দিতে চাস। তাই একটি পক্ষ চাইলেই বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’
পুলিশপ্রধান, মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পুলিশ সর্বদা তৎপর।’

২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যাপক আলোচনায় ছিল, বিশেষত একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা। কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাব
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। তাঁর মতে, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ সময়ে কোনো নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।
আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সায়েদুর রহমান এসব তথ্য জানান।
সায়েদুর রহমান বলেন, হাদি এখন খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং আগামী ৭২ ঘণ্টাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসে রাখা হয়েছে, যদিও চিকিৎসকেরা এখনো আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, গুলি বাঁ কানের ঠিক ওপর দিয়ে মাথায় ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই পথ বরাবর মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেনস্টেমেও ইনজুরি হয়েছে, যা জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে বিবেচনা করছি। এখন কোনো ধরনের ইন্টারভেনশন সম্ভব নয়। রোগীকে কেবল লাইফ সাপোর্টে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
সায়েদুর রহমানের ভাষায়, রোগীকে এখন কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবু একটুখানি আশার জায়গা আছে, ‘রোগীর শরীরে এখনো সাইন অব লাইফ আছে। অপারেশনের সময় তাঁর নিজের শ্বাস নেওয়ার কিছু প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিল।’
তবে পথটা সহজ নয় বলেও জানান ডা. সায়েদুর। তাঁর মতে, হাদি অস্ত্রোপচারের আগেই একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তাঁর নাক ও গলা দিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যদিও আপাতত সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
বিশেষ সহকারী আরও জানান, এখনই আশার কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দুপুরে পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যাপক আলোচনায় ছিল, বিশেষত একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা। কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাব
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে অন্যতম উদ্বেগজনক ঘটনা। এই হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। এর মাধ্যমে পরাজিত শক্তি দেশের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের হামলার চেষ্টাকে আমরা যেকোনো মূল্যে ব্যর্থ করে দিব। জাতির ওপর এই ধরনের অপশক্তির আঘাত কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
এই হামলার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দিব না। আঘাত যা-ই আসুক, যত ঝড়-তুফান আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জাতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।’
সভায় বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জানান, ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছায় ইতোমধ্যে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির ওপর হামলা এবং হামলার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’ তিনি দেশবাসীকে ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে আহ্বান জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার কারণে যাঁরা সম্ভাব্য টার্গেটে পরিণত হয়ে থাকতে পারেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিশেষ হটলাইন নম্বর চালু করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সম্ভাব্য যেসব স্থানে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যাপক আলোচনায় ছিল, বিশেষত একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা। কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাব
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ রাত ৯টার দিকে এই টেলিফোন কলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উপদেষ্টা পরিষদ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত।’
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়ে ওসমান হাদির ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কয়েকজন উপদেষ্টাসহ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করতে বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, হাদির চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে-বিদেশে যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানেই সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার অতি আপন ও স্নেহের মানুষ। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা তার জন্য দোয়া করছি, আশা করি তিনি দ্রুতই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যাপক আলোচনায় ছিল, বিশেষত একসঙ্গে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির পদত্যাগ এবং হাইকোর্ট থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ঘটনা। কোটা বাতিলসংক্রান্ত রায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগকে প্রভাব
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
জুলাই অভ্যুত্থানের জেরে বিপর্যস্ত পুলিশ বাহিনীকে ধীরে ধীরে গুছিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে এ নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল বা জনমনে স্বস্তি এখনো ফেরেনি। এমন অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বাঁ কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেনস্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর...
৭ ঘণ্টা আগে