Ajker Patrika

ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাতে বাসভবনের বাইরে ছিলেন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ২১: ২৯
তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে তেহরানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রাণহানির ঝুঁকি থাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরী গতকাল সোমবার রাতে নিজের বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করেছেন। এমন অবস্থায় শতাধিক বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কূটনীতিক ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১৪০ ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর বাইরে তেহরানসহ ইরানের যেসব স্থানে হামলা হচ্ছে, সেসব স্থান থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সরকার অনুরোধ করেছে।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তাবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘চ্যান্সারি (দূতাবাস) ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবন হামলার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি ছিল। তাই রাষ্ট্রদূত গতকাল সোমবার রাতে নিজের বাসা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছিলেন।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ইরানে বাংলাদেশের নাগরিক, দূতাবাস কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকির মুখে আছেন। এমন পরিস্থিতিতেও দূতাবাস এখনো খোলা আছে। কূটনীতিকেরা দায়িত্ব পালন করছেন।

রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, এ পর্যন্ত শতাধিক বাংলাদেশি নিরাপদ স্থানে সরে যেতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আকাশপথে যাতায়াত বন্ধ আছে। এই অবস্থায় স্থলপথে হয়তো কষ্ট করে তেহরান ত্যাগ করা সম্ভব। কিন্তু সেটিও নিরাপদ নয়। এ কারণে যাঁরা যোগাযোগ করছেন, তাঁরাসহ সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে ও সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ১০০ ব্যক্তিকে একসঙ্গে নেওয়া যাবে না। এক জায়গায় রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাগ করে রাখা হতে পারে। এ নির্দেশনা কার্যকর করতেও কয়েক দিন সময় লাগবে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দূতাবাসের কূটনীতিক ও কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের বিষয়ে এখনকার সিদ্ধান্ত হচ্ছে—তেহরান থেকে যতটুকু দূরত্বে গেলে নিরাপদে থাকা যাবে, তাঁরা যেন ততটুকু দূরে গিয়ে থাকেন।

লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন—এমনটা উল্লেখ করে রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো বেশ কঠিন। এ বিষয়ে চেষ্টা চলছে। আপাতত দূতাবাসের যে সীমিত তহবিল আছে, সেটি দিয়ে মানুষ সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত