ক্যারিয়ার ডেস্ক
অফিসে কাজ মানেই শুধু টার্গেট পূরণ, মিটিং বা প্রজেক্ট শেষ করা নয়, এর বাইরেও রয়েছে এক অদৃশ্য জগৎ—যেটাকে বলে অফিস পলিটিকস। চাইলে আপনি এ খেলায় অংশ না-ও নিতে পারেন; কিন্তু পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। বরং বোঝাপড়া রেখে, কৌশলী হয়ে চলতে পারলে এ পলিটিকস আপনার জন্য সুবিধা বয়ে আনতে পারে।
আর ভুল পথে গেলে এটা হয়ে উঠতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের বড় বাধা। তাই কাজের দক্ষতার পাশাপাশি অফিস পলিটিকস সামলানোর কৌশল জানা আজকাল সবার জন্য জরুরি। চলুন, অফিস পলিটিকস সামাল দেওয়ার কিছু কার্যকর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাবেন না
অনেকেই ভাবেন, অফিস পলিটিকস মানেই নোংরা খেলা, তাই এর কাছাকাছি না গেলেই ভালো। কিন্তু বাস্তবে দেখবেন, অফিসের সিদ্ধান্ত, প্রমোশন বা দায়িত্ব বণ্টনের মতো বিষয়গুলোতে রাজনীতির প্রভাব থাকেই। সম্পূর্ণ দূরে থাকলে আপনি হয়তো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা সুযোগে জায়গা পাবেন না। বরং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন, কারা প্রভাবশালী এবং কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—এসব জানুন।
যোগাযোগ খোলামেলা রাখুন
অফিসে ভুল-বোঝাবুঝির বড় কারণ হলো তথ্যের অভাব। তাই চেষ্টা করুন নিজের সহকর্মী ও টিমের সঙ্গে স্বচ্ছভাবে কথা বলতে। সমস্যা হলে চুপ না থেকে সরাসরি আলোচনা করুন, আর কোনো ভালো আইডিয়া থাকলে সেটাও খোলাখুলি শেয়ার করুন। এতে আস্থা তৈরি হয়, সম্পর্ক মজবুত হয়, আর অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব এড়ানো যায়।
ইতিবাচক সুনাম গঠন করুন
অফিসে আপনার কাজের দক্ষতা যত গুরুত্বপূর্ণ, আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিও ততটাই মূল্যবান। সহকর্মীরা যেন আপনাকে দায়িত্বশীল, সহযোগী এবং ভরসাযোগ্য মানুষ হিসেবে জানে। এটি গড়ে তুলতে সচেতন থাকুন। সময়মতো কাজ শেষ করা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা এবং পেশাদার আচরণ বজায় রাখা এসবের মূল চাবিকাঠি।
নেটওয়ার্ক ও সহায়তাকারী তৈরি করুন
অফিসে একা লড়াই করা সব সময় সহজ কাজ নয়। তাই সহকর্মী, সিনিয়র এবং এমনকি অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তৈরি এই নেটওয়ার্ক কঠিন সময়ে আপনার পাশে দাঁড়াতে পারে। সহকর্মীদের সাফল্যে অংশ নিন, প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন—এতে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
গসিপ ও নেতিবাচক আচরণ এড়িয়ে চলুন
গসিপ শুধু সম্পর্কের ভাঙন ঘটায় না; বরং আপনার পেশাগত সুনামও নষ্ট করতে পারে। অফিসে গসিপের ছড়াছড়ি হওয়া মানেই সবার বিশ্বাস হারানো এবং অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। সুতরাং সহকর্মীদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কারও পেছনে পেছনে কথাবার্তা ছড়িয়ে না দিয়ে সরাসরি ও পজিটিভ উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।
আপনার অবদান স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন
অনেক সময় আপনার কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্য অন্যরা পর্যবেক্ষণ করে না বা উপেক্ষা করতে পারে। তাই আপনি যা করেছেন, সেটাকে সঠিক সময়ে এবং সঠিক মাধ্যমে তুলে ধরুন। নিজেকে লুকিয়ে রাখার পরিবর্তে, মিটিং বা দলীয় আলোচনা চলাকালে আপনার কাজের ফলাফল ও অবদান স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করুন। তবে এর মানে এই নয়, অহংকার করবেন; বরং তথ্যভিত্তিক এবং বিনয়ী ভাষায় নিজেকে প্রকাশ করুন।
স্বভাব ও মূল্যবোধ বজায় রাখুন
অফিস পলিটিকসে সফল হতে হলে সৎ ও স্বাভাবিক হওয়া জরুরি। অনেকেই পলিটিকসের চাপ সামলাতে গিয়ে অভিনয় বা মিথ্যা আচরণ করতে পারেন, যা শেষমেশ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। তাই ভঙ্গিমা না করে, নিজের প্রকৃত স্বভাব ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে ভারসাম্যপূর্ণ সচেতনতা বজায় রাখুন।
সূত্র: ফোর্বস, লিংকডইন
অফিসে কাজ মানেই শুধু টার্গেট পূরণ, মিটিং বা প্রজেক্ট শেষ করা নয়, এর বাইরেও রয়েছে এক অদৃশ্য জগৎ—যেটাকে বলে অফিস পলিটিকস। চাইলে আপনি এ খেলায় অংশ না-ও নিতে পারেন; কিন্তু পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। বরং বোঝাপড়া রেখে, কৌশলী হয়ে চলতে পারলে এ পলিটিকস আপনার জন্য সুবিধা বয়ে আনতে পারে।
আর ভুল পথে গেলে এটা হয়ে উঠতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের বড় বাধা। তাই কাজের দক্ষতার পাশাপাশি অফিস পলিটিকস সামলানোর কৌশল জানা আজকাল সবার জন্য জরুরি। চলুন, অফিস পলিটিকস সামাল দেওয়ার কিছু কার্যকর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাবেন না
অনেকেই ভাবেন, অফিস পলিটিকস মানেই নোংরা খেলা, তাই এর কাছাকাছি না গেলেই ভালো। কিন্তু বাস্তবে দেখবেন, অফিসের সিদ্ধান্ত, প্রমোশন বা দায়িত্ব বণ্টনের মতো বিষয়গুলোতে রাজনীতির প্রভাব থাকেই। সম্পূর্ণ দূরে থাকলে আপনি হয়তো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা সুযোগে জায়গা পাবেন না। বরং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন, কারা প্রভাবশালী এবং কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়—এসব জানুন।
যোগাযোগ খোলামেলা রাখুন
অফিসে ভুল-বোঝাবুঝির বড় কারণ হলো তথ্যের অভাব। তাই চেষ্টা করুন নিজের সহকর্মী ও টিমের সঙ্গে স্বচ্ছভাবে কথা বলতে। সমস্যা হলে চুপ না থেকে সরাসরি আলোচনা করুন, আর কোনো ভালো আইডিয়া থাকলে সেটাও খোলাখুলি শেয়ার করুন। এতে আস্থা তৈরি হয়, সম্পর্ক মজবুত হয়, আর অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব এড়ানো যায়।
ইতিবাচক সুনাম গঠন করুন
অফিসে আপনার কাজের দক্ষতা যত গুরুত্বপূর্ণ, আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিও ততটাই মূল্যবান। সহকর্মীরা যেন আপনাকে দায়িত্বশীল, সহযোগী এবং ভরসাযোগ্য মানুষ হিসেবে জানে। এটি গড়ে তুলতে সচেতন থাকুন। সময়মতো কাজ শেষ করা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা এবং পেশাদার আচরণ বজায় রাখা এসবের মূল চাবিকাঠি।
নেটওয়ার্ক ও সহায়তাকারী তৈরি করুন
অফিসে একা লড়াই করা সব সময় সহজ কাজ নয়। তাই সহকর্মী, সিনিয়র এবং এমনকি অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তৈরি এই নেটওয়ার্ক কঠিন সময়ে আপনার পাশে দাঁড়াতে পারে। সহকর্মীদের সাফল্যে অংশ নিন, প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন—এতে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
গসিপ ও নেতিবাচক আচরণ এড়িয়ে চলুন
গসিপ শুধু সম্পর্কের ভাঙন ঘটায় না; বরং আপনার পেশাগত সুনামও নষ্ট করতে পারে। অফিসে গসিপের ছড়াছড়ি হওয়া মানেই সবার বিশ্বাস হারানো এবং অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি। সুতরাং সহকর্মীদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কারও পেছনে পেছনে কথাবার্তা ছড়িয়ে না দিয়ে সরাসরি ও পজিটিভ উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।
আপনার অবদান স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন
অনেক সময় আপনার কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্য অন্যরা পর্যবেক্ষণ করে না বা উপেক্ষা করতে পারে। তাই আপনি যা করেছেন, সেটাকে সঠিক সময়ে এবং সঠিক মাধ্যমে তুলে ধরুন। নিজেকে লুকিয়ে রাখার পরিবর্তে, মিটিং বা দলীয় আলোচনা চলাকালে আপনার কাজের ফলাফল ও অবদান স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করুন। তবে এর মানে এই নয়, অহংকার করবেন; বরং তথ্যভিত্তিক এবং বিনয়ী ভাষায় নিজেকে প্রকাশ করুন।
স্বভাব ও মূল্যবোধ বজায় রাখুন
অফিস পলিটিকসে সফল হতে হলে সৎ ও স্বাভাবিক হওয়া জরুরি। অনেকেই পলিটিকসের চাপ সামলাতে গিয়ে অভিনয় বা মিথ্যা আচরণ করতে পারেন, যা শেষমেশ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। তাই ভঙ্গিমা না করে, নিজের প্রকৃত স্বভাব ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে ভারসাম্যপূর্ণ সচেতনতা বজায় রাখুন।
সূত্র: ফোর্বস, লিংকডইন
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ( আনসার-ভিডিপি ) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । প্রতিষ্ঠানটিতে 'সিপাহি' পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে । ৬ আগস্ট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । অধিদপ্তরের ২ ধরনের শূন্য পদে মোট ১১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে । গত ৬ আগস্ট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় । ১০ আগস্ট থেকে আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ।
২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । প্রতিষ্ঠানটির ২ ধরনের শূন্য পদে মোট ১০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে । গত ৬ আগস্ট এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে । ১৩ আগস্ট থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে ।
২ ঘণ্টা আগেগণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ১৬টি শূন্য পদে মোট ৯৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৭ জুলাই এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সোমবার (৪ আগস্ট) থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে