পড়াশোনা, ভ্রমণ, চিকিৎসা, চাকরি কিংবা ব্যবসার জন্য বিদেশগামী সবার ভিসার প্রয়োজন হয়। ভিসার আবেদনপ্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হওয়ায় অনেকে নিজে আবেদন না করে ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের শরণাপন্ন হন। হালিমা ইয়াসমিন মুক্তা উইংস ট্রাভেলস নামক একটি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর ধরে ভিসা অ্যানালিস্টের কাজ করেন। তিনি ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট পেশায় তাঁর সফলতা, সম্ভাবনাসহ খুঁটিনাটি বিষয় জানিয়েছেন। লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
একজন ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টকে অনেক কাজ করতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ভিসা আবেদন যাচাই ও মূল্যায়ন। আবেদনকারীর সব নথি (পাসপোর্ট, ছবি, ফরম, ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস ইত্যাদি) নির্ভুলভাবে যাচাই করে দেখা যে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার নিয়ম অনুযায়ী সঠিক কি না।
নারীদের জন্য উপযুক্ত পেশা
এ পেশা নারীদের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত এবং সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন মুক্তা। তিনি বলেন, ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের কাজ মূলত ডেস্কে বসে কম্পিউটার, ই-মেইল ও ডকুমেন্টসের মাধ্যমে। শারীরিক পরিশ্রম বা ঝুঁকি নেই বললে চলে। পাশাপাশি নারী কর্মীরা সাধারণত ধৈর্যশীল ও কমিউনিকেশন স্কিলে ভালো হন। এটা এই পেশায় তাঁদের বড় প্লাস পয়েন্ট।
ফ্রিল্যান্স ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট
ফ্রিল্যান্সারদের ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। মুক্তা জানান, সাধারণত ক্লায়েন্টরা প্রয়োজনীয় স্ক্যান কপি ও ডকুমেন্ট অনলাইনে পাঠান। তাই ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বাসা থেকেও আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। একসময় যদি কারও শক্তিশালী ক্লায়েন্ট তৈরি হয়ে যায়, তখন অফিসে না গিয়েও কাজ করা সম্ভব। ক্লায়েন্টদের থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে বাসায় বসে কাজ করা যায়।
ভালো আয় করা সম্ভব
ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টদের বেতন প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিন্ন হয়। সাধারণত নতুন বা জুনিয়র অ্যানালিস্টদের মাসিক বেতন ২০-৩০ হাজার টাকা। অভিজ্ঞ ও সিনিয়র অ্যানালিস্টরা ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বা তার বেশি উপার্জন করতে পারেন। মুক্তা বর্তমানে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করেন।
যাঁরা ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট হতে চান
ভিসা অ্যানালিস্ট পেশায় আসতে চাইলে সাধারণত স্নাতক (গ্র্যাজুয়েশন) ডিগ্রি থাকতে হবে। বিশেষ করে ব্যবসায়, ট্যুরিজম, ইংরেজি বা এ সম্পর্কিত বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভালো ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারা জরুরি। কারণ, প্রায় সব যোগাযোগ ইংরেজিতে হয়। মাইক্রোসফট অফিস, ই-মেইল, ভিসা আবেদন সফটওয়্যার ইত্যাদি পরিচালনা করতে হয় ভিসা অ্যানালিস্টকে। তাই আইটি বিষয় জানা থাকা চাই।
কীভাবে চাকরির খোঁজ পাবেন
ট্রাভেল এজেন্সি ও ভিসা প্রসেসিং কোম্পানির ওয়েবসাইটে চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকে। এ ছাড়া বিডি জবস, লিংকডইন, চাকরি ডট কম পোর্টালগুলোতে ট্রাভেল এজেন্সি ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট চায়।
বিদেশে কাজের সুযোগ
ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের কাজ শিখে বিদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন দেশের ট্রাভেল এজেন্সি, ভিসা কনসালট্যান্সি, এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি বা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের পেশাদারদের চাহিদা থাকে।
ভিসায় যত ভুল
ভিসার আবেদন করতে গিয়ে সাধারণত মানুষ যে ভুলগুলো বেশি করে, তাহলো অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য প্রদান, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ঠিকমতো জমা না দেওয়া, ভিসার নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে না নেওয়া, আর্থিক প্রমাণ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা, সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত না থাকা, অতিরিক্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান, সঠিক সময়ের আগে বা পরে আবেদন করা, ভিসা আবেদনের সময়সীমা না মেনে খুব দ্রুত বা অনেক দেরিতে আবেদন করা।
যে ভুলে ভিসা বাতিল
মুক্তা বলেন, ভিসা না পাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে যখন আবেদনকারীরা মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেন। অনেক সময় কেউ তাঁদের আবেদন ফরম বা সাক্ষাৎকারে তথ্য গোপন করেন বা ভুলভাবে উপস্থাপন করেন, যা ভিসা অফিসারের সন্দেহ জাগায়। এ ছাড়া নকল বা জালিয়াতিপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিলে বা আর্থিক সামর্থ্যের যথাযথ প্রমাণ দিতে না পারলে ভিসা মঞ্জুর হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
একজন ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টকে অনেক কাজ করতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ভিসা আবেদন যাচাই ও মূল্যায়ন। আবেদনকারীর সব নথি (পাসপোর্ট, ছবি, ফরম, ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্টস ইত্যাদি) নির্ভুলভাবে যাচাই করে দেখা যে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার নিয়ম অনুযায়ী সঠিক কি না।
নারীদের জন্য উপযুক্ত পেশা
এ পেশা নারীদের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত এবং সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন মুক্তা। তিনি বলেন, ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের কাজ মূলত ডেস্কে বসে কম্পিউটার, ই-মেইল ও ডকুমেন্টসের মাধ্যমে। শারীরিক পরিশ্রম বা ঝুঁকি নেই বললে চলে। পাশাপাশি নারী কর্মীরা সাধারণত ধৈর্যশীল ও কমিউনিকেশন স্কিলে ভালো হন। এটা এই পেশায় তাঁদের বড় প্লাস পয়েন্ট।
ফ্রিল্যান্স ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট
ফ্রিল্যান্সারদের ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। মুক্তা জানান, সাধারণত ক্লায়েন্টরা প্রয়োজনীয় স্ক্যান কপি ও ডকুমেন্ট অনলাইনে পাঠান। তাই ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বাসা থেকেও আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। একসময় যদি কারও শক্তিশালী ক্লায়েন্ট তৈরি হয়ে যায়, তখন অফিসে না গিয়েও কাজ করা সম্ভব। ক্লায়েন্টদের থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে বাসায় বসে কাজ করা যায়।
ভালো আয় করা সম্ভব
ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টদের বেতন প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিন্ন হয়। সাধারণত নতুন বা জুনিয়র অ্যানালিস্টদের মাসিক বেতন ২০-৩০ হাজার টাকা। অভিজ্ঞ ও সিনিয়র অ্যানালিস্টরা ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বা তার বেশি উপার্জন করতে পারেন। মুক্তা বর্তমানে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করেন।
যাঁরা ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট হতে চান
ভিসা অ্যানালিস্ট পেশায় আসতে চাইলে সাধারণত স্নাতক (গ্র্যাজুয়েশন) ডিগ্রি থাকতে হবে। বিশেষ করে ব্যবসায়, ট্যুরিজম, ইংরেজি বা এ সম্পর্কিত বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভালো ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারা জরুরি। কারণ, প্রায় সব যোগাযোগ ইংরেজিতে হয়। মাইক্রোসফট অফিস, ই-মেইল, ভিসা আবেদন সফটওয়্যার ইত্যাদি পরিচালনা করতে হয় ভিসা অ্যানালিস্টকে। তাই আইটি বিষয় জানা থাকা চাই।
কীভাবে চাকরির খোঁজ পাবেন
ট্রাভেল এজেন্সি ও ভিসা প্রসেসিং কোম্পানির ওয়েবসাইটে চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকে। এ ছাড়া বিডি জবস, লিংকডইন, চাকরি ডট কম পোর্টালগুলোতে ট্রাভেল এজেন্সি ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্ট চায়।
বিদেশে কাজের সুযোগ
ভিসা প্রসেসিং অ্যানালিস্টের কাজ শিখে বিদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন দেশের ট্রাভেল এজেন্সি, ভিসা কনসালট্যান্সি, এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি বা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের পেশাদারদের চাহিদা থাকে।
ভিসায় যত ভুল
ভিসার আবেদন করতে গিয়ে সাধারণত মানুষ যে ভুলগুলো বেশি করে, তাহলো অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য প্রদান, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ঠিকমতো জমা না দেওয়া, ভিসার নিয়ম ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে না নেওয়া, আর্থিক প্রমাণ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা, সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুত না থাকা, অতিরিক্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান, সঠিক সময়ের আগে বা পরে আবেদন করা, ভিসা আবেদনের সময়সীমা না মেনে খুব দ্রুত বা অনেক দেরিতে আবেদন করা।
যে ভুলে ভিসা বাতিল
মুক্তা বলেন, ভিসা না পাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে যখন আবেদনকারীরা মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেন। অনেক সময় কেউ তাঁদের আবেদন ফরম বা সাক্ষাৎকারে তথ্য গোপন করেন বা ভুলভাবে উপস্থাপন করেন, যা ভিসা অফিসারের সন্দেহ জাগায়। এ ছাড়া নকল বা জালিয়াতিপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিলে বা আর্থিক সামর্থ্যের যথাযথ প্রমাণ দিতে না পারলে ভিসা মঞ্জুর হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাংকটিতে ‘চীফ লিগ্যাল অফিসার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির ই–মেইল ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দেশের বিভিন্ন আউটলেটে ফ্রাই বাকেট বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৪ জুন এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের অন্যতম ওষুধ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লাজ ফার্মা লিমিটেডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘গ্রোসারী এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। সম্প্রতি এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
৬ ঘণ্টা আগেব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ৮টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালভিত্তিক সিনিয়র অফিসারের (সাধারণ) লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২০ জুন চারটি নির্ধারিত কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হবে। এতে ৯৭৪টি শূন্য পদের বিপরীতে ৭ হাজার ৮০৫ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। বিএসসিএসের
৬ ঘণ্টা আগে