Ajker Patrika

বিজেএস পরীক্ষা: ঐচ্ছিক আইনে সর্বোচ্চ নম্বর তোলার কৌশল

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ০১
ছবি: মাহতাব হোসেন
ছবি: মাহতাব হোসেন

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষা খুব প্রতিযোগিতামূলক। এ পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি ঐচ্ছিক আইনেও সমান মনোযোগ দিতে হবে। অনেক পরীক্ষার্থী আবশ্যিক বিষয়গুলোতে গভীর প্রস্তুতি নিলেও ঐচ্ছিক আইন নিয়ে প্রায়ই দ্বিধায় পড়েন। অথচ ঐচ্ছিক আইনে ঠিকঠাক প্রস্তুতি থাকলে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা যায়। কীভাবে ঐচ্ছিক আইনে ভালো ফল করা সম্ভব, সেই অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ জানালেন মেধাক্রমে চতুর্থ স্থান অর্জনকারী সহকারী জজ (সুপারিশপ্রাপ্ত) তানজিলা আকতার। লিখেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার

বিজেএস পরীক্ষায় ৯টি আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি থাকে একটি ঐচ্ছিক বিষয়। আবেদন করার সময় পরীক্ষার্থীদের ঐচ্ছিক ১ বা ঐচ্ছিক ২, এ দুটির মধ্যে একটি বেছে নিতে হয়। প্রিলিমিনারিতে উভয় ঐচ্ছিকের সব আইন থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। তবে কেউ ঐচ্ছিক ১ বেছে নিলে তাঁকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর লিখিত পরীক্ষার সময় ঐচ্ছিক ১-এর আইনগুলোর ওপর লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৌশল

  • ছোট আকারের বিশেষ আইন (যেখানে ১০-১২টি ধারা রয়েছে) পুরোপুরি আত্মস্থ করতে হবে।
  • শুধু মুখস্থ নয়, আইনগুলোর দর্শন ও প্রেক্ষাপট বুঝে পড়তে হবে।
  • ঐচ্ছিক আইনে সংজ্ঞার ধারাগুলো মুখস্থ ও বোঝা জরুরি। কারণ, এখান থেকে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় বেশি প্রশ্ন আসে।
  • কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে, তদন্তের সময়সীমা, আপিলের ফোরাম ও সময়সীমা—এসব তথ্য এক পৃষ্ঠার নোটে সাজিয়ে রাখুন।
  • পরীক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত বিশেষ আইনে ১০-এর মধ্যে ১০ নম্বর পাওয়া। সঠিক কৌশলে প্রস্তুতি নিলে তা সম্ভব।
  • প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বিশেষ আইনে ১০-এর মধ্যে ১০ পাওয়ার লক্ষ্য রাখতে হবে। সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে তা অবশ্যই সম্ভব।

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রিলিতে পড়া বিষয়গুলো রিভিশনের পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য অনুসন্ধান ও তদন্তের প্রক্রিয়া, আদালত বা ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও কার্যাবলি এবং বিচারের ধাপগুলো পড়া যেতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। নতুন কোনো সংশোধনী এলে তার কারণ, দর্শন ও উপকারিতা ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নোট করে রাখতে হবে।

লিখিত পরীক্ষার ভাষা

ঐচ্ছিক আইনগুলো মূলত বাংলায় লেখা থাকলেও ইংরেজিতেও পরীক্ষা দেওয়া যায়। ভাষানির্বিশেষে নম্বরপ্রাপ্তিতে কোনো পার্থক্য হয় না। যে ভাষাতেই লিখুন, উত্তর হতে হবে তথ্যসমৃদ্ধ এবং প্রশ্নের সব দিক স্পর্শ করতে হবে। প্রশ্নের মূল চাহিদা না মেনে অপ্রয়োজনীয় বিস্তারিত লিখলে নম্বর পাওয়া যায় না। তাই সময় নিয়ে প্রশ্ন বুঝে উত্তর দেওয়া জরুরি।

প্রবলেমেটিক, না ব্যাখ্যামূলক উত্তর

বিশেষ আইনে ১০ নম্বরের প্রবলেম প্রশ্নে অনেক ধারা উল্লেখ করতে হয়। যদি সব ধারা মনে না থাকে, তবে প্রবলেমেটিক উত্তর না দিয়ে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন বেছে নেওয়া ভালো। স্মার্টভাবে লিখলে ব্যাখ্যামূলক উত্তরও আধা ভুল উত্তর থেকে অনেক বেশি নম্বর দেয়। তাই নোট ও ব্যাখ্যামূলক উত্তর দেওয়ায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই।

নতুনদের জন্য পরামর্শ

যাঁরা প্রথমবার বিজেএস দেবেন, ছোট আকারের বিশেষ আইন দিয়ে শুরু করুন। যেমন ক্রিমিনাল ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৮। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং ভয় কমে যাবে। শুরু থেকে প্রিলিমিনারিভিত্তিক নোট করলে পরবর্তী সময়ে সুবিধা হবে।

  • ঐচ্ছিক ১ না ২ বাছাই: যদি আপনি বিজ্ঞানে ভালো হন, তাহলে ঐচ্ছিক ২ নিতে পারেন। এখানে আইনগুলো ছোট, পড়া সহজ। কিন্তু কিছুটা জটিল। ঐচ্ছিক ১ বড় আইনসমৃদ্ধ হলেও তুলনামূলক সহজ এবং অনেক আইন একাডেমিক পড়াশোনার সময় পড়া হয়ে যায়। অনেকে সুবিধার কারণে ঐচ্ছিক ১ পছন্দ করে, তবে ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে ঐচ্ছিক ২ নিলেও আফসোস হয় না।
  • আইন বাদ দেওয়ার ঝুঁকি: অনেকে ভাবেন, কয়েকটি আইন না পড়লেও অন্যগুলো থেকে প্রশ্ন উত্তর করাই যথেষ্ট। কিন্তু পরীক্ষার হলে বাদ দেওয়া আইন থেকে প্রশ্ন এলে বিপাকে পড়তে হয়। তাই কোনো আইনই বাদ দেওয়া উচিত নয়।

শেষ মুহূর্তের রিভিশন

পরীক্ষার আগের রাতে সব আইন রিভিশন সম্ভব নয়। তবে বিশেষ আইনে অবশ্যই শেষ মুহূর্তে একবার দেখে নিতে হবে। কারণ এগুলোতে প্রচুর সংজ্ঞা, ধারা ও সময়সীমা মনে রাখতে হয়। ছোট ও তথ্যসমৃদ্ধ আইনগুলো নোট রাখুন। এটি আপনার রিভিশনে সময় কম লাগবে।

বিশেষ আইন আগে থেকে পড়া হয় না বলেই বিজেএস প্রস্তুতির শুরু থেকে এগুলোকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আর বারবার রিভিশনের বিকল্প নেই। যতবার রিভিশন দেবেন, তত বেশি আত্মবিশ্বাসী হবেন এবং নম্বরও পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢামেকের নিয়োগ পরীক্ষার সূচি প্রকাশ, প্রার্থী ১২৯৭৩

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিভিন্ন পদে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মোট ১২ হাজার ৯৭৩ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

পদগুলো হলো—কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়িচালক, ইন্সট্রুমেন্ট কেয়ারটেকার এবং ইলেকট্রিশিয়ান।

এসব পদের পরীক্ষা ৩১ অক্টোবর বেলা ৩টায় ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় একই কেন্দ্রে ফিজিওথেরাপিস্ট, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্যাশিয়ার, টেলিফোন অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোরকিপার, লিনেন কিপার, কার্পেন্টার, টেইলর এবং অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফল প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের রাজস্ব খাতভুক্ত ২ ধরনের পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শোভা শাহনাজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পদগুলো হলো: কম্পিউটার অপারেটর (গ্রেড-১৩) ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (গ্রেড-১৬)। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে উল্লেখযোগ্য কোনো ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের ক্ষমতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

বিদ্যমান সব বিধিবিধান অনুসরণ এবং আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা প্রার্থীদের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হবে এবং তাঁদের স্থায়ী ঠিকানায় নিয়োগপত্র ডাকযোগে পাঠানো হবে। নিয়োগপত্র জারি এবং যোগদান-সংক্রান্ত তথ্যাদি পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদ: হিসাবরক্ষক, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ৩০,০০০ টাকা।

পদ: অফিস ম্যানেজার, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ৩০,০০০ টাকা।

পদ: ডেটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ৩০,০০০ টাকা।

পদ: অফিস সহায়ক, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ২০,০০০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র ‘সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) ও অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ড. অলোকেশ কুমার ঘোষ’ বরাবর সরাসরি অথবা ডাকযোগে পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে চাকরি, বেতন নবম গ্রেডে

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার।

পদ সংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বয়সসীমা: ৩২ বছর।

আবেদন ফি: ২২৩ টাকা।

বেতন: ২২,০০০–৫৩, ০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত