Ajker Patrika

নতুনদের অগ্রাধিকার দেয় রেনাটা

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রেনাটা পিএলসি। দেশের অনেক তরুণ এখানে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখেন। ওষুধশিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছেন। রেনাটার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান নিসবাত আনোয়ার, যিনি ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন, রেনাটার নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নতুনদের জন্য ক্যারিয়ারের সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ০৯
নিসবাত আনোয়ার
নিসবাত আনোয়ার

আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং শিক্ষাজীবন নিয়ে কিছু বলবেন?

আমার জন্ম ঢাকায়। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোট। বাবা মোস্তফা আনোয়ার ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিকদের একজন। মা, নাজমা আনোয়ার ব্যবসায়ী ছিলেন এবং অভিনয়ও করেছেন। তাই বলা যায়, আমি সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছি। শিক্ষাজীবনের শুরুতে বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করি। স্নাতক সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ। একই সময়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও সম্পন্ন করি।

মানবসম্পদ বা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আগ্রহ কীভাবে তৈরি হলো?

প্রায় ২৫ বছর আগের কথা বলছি। তখন বাংলাদেশে ‘মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা’ বা এইচআর পেশা সেভাবে পরিচিত ছিল না। ছোটবেলায় মাকে দেখে করপোরেট দুনিয়ায় কাজ করার ইচ্ছে জন্ম নেয়। স্নাতক পর্যন্ত বাণিজ্য নিয়ে পড়ার পর স্নাতকোত্তরে ব্যবস্থাপনা বেছে নিই। এখান থেকেই মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ জন্মে এবং কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তা আরও গভীর হয়।

কর্মজীবনের শুরুটা কেমন ছিল?

ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। সকালে পড়াতাম, বিকেলে ভাইয়ের এজেন্সিতে হিসাব-নিকাশে সাহায্য করতাম। পরবর্তী সময়ে একটি ডেটা কমিউনিকেশন ও আইটি গ্রুপের নতুন ইউনিটে প্রাথমিক স্তরের নির্বাহী সহকারী হিসেবে কাজ করি। সেখানেই প্রথম ‘এইচআর’-এর সঙ্গে পরিচিত হই এবং সরাসরি টপ ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাই। প্রায় পাঁচ বছর কাজ করার পর ধীরে ধীরে পুরো গ্রুপের এইচআরের দায়িত্ব গ্রহণ করি।

কর্মজীবনে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন? কীভাবে মোকাবিলা করেছেন?

প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে। প্রথম সন্তানের জন্মের আগপর্যন্ত অফিসে কাজ করলেও ফিরে এসে প্রমোশন আটকে দেওয়া হয় এবং ইনক্রিমেন্ট কমানো হয়। একই পরিস্থিতি দ্বিতীয় সন্তানের সময়ও ঘটেছিল। আরেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল, পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মীদের প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ লক্ষ করা। তখন অভিজ্ঞতা কম হওয়ায় সরাসরি প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে হেনস্তা বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার নীতি অপরিহার্য। রেনাটায় যোগদানের পর আমরা এই নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করি। পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য ছয় মাসের বেতনভুক্ত ছুটি এবং গর্ভপাতের জন্যও বেতনভুক্ত ছুটি চালু করি, যাতে কোনো কর্মী এমন পরিস্থিতির শিকার না হন।

রেনাটা পিএলসির নিয়োগপ্রক্রিয়া ও নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাই।

রেনাটার নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও কাঠামোবদ্ধ। প্রতিবছর বেশি নিয়োগ হয় সেলস, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স বিভাগে। প্রক্রিয়াটি শুরু হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে। এরপর আবেদন যাচাই, প্রয়োজন অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং শেষে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়।

ফ্রেশার নাকি অভিজ্ঞ—কারা বেশি অগ্রাধিকার পায় রেনাটায়? বিভিন্ন বিভাগে কী ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড প্রয়োজন?

রেনাটা বিশেষভাবে ফ্রেশারদের গুরুত্ব দেয়। সেলস ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগে প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মীই নতুন গ্র্যাজুয়েট। তবে অভিজ্ঞ প্রার্থীরাও দক্ষতা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে সুযোগ পেতে পারেন। বিভিন্ন বিভাগের জন্য প্রার্থীর প্রাসঙ্গিক ব্যাকগ্রাউন্ড যেমন—ফার্মেসি, লাইফ সায়েন্স, ভেটেরিনারি সায়েন্স, এমবিবিএস ডাক্তারি, বায়োটেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, ডেটা অ্যানালাইসিস, ফাইন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিং এবং আইটির মতো ক্ষেত্রের প্রার্থীরা সুযোগ পান।

প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কোন কোন দিককে অগ্রাধিকার দেয়? টেকনিক্যাল ও সফট স্কিলের মধ্যে কোন ধরনের দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়?

পদের ধরন অনুযায়ী পূর্ব অভিজ্ঞতা, ইন্টার্নশিপ, প্রকল্প কাজ বা প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে নতুন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শেখার আগ্রহ এবং ইতিবাচক মনোভাবই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা, নমনীয়তা, শেখার ইচ্ছা, আচরণগত বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, কার্যকর যোগাযোগ দক্ষতা এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা—এসবই রেনাটার কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।

লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত কী ধরনের প্রশ্ন থাকে? মৌখিক সাক্ষাৎকারে প্রার্থীদের কীভাবে যাচাই করা হয় এবং তাদের কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন, সাধারণ জ্ঞান এবং ব্যবহারিক জ্ঞান যাচাই করা হয়। মৌখিক সাক্ষাৎকারে সাধারণত পরিস্থিতিভিত্তিক প্রশ্ন করা হয়, যা প্রার্থীর বাস্তব পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা পরীক্ষা করে। প্রস্তুতির জন্য প্রার্থীর উচিত নিজের বিষয়বস্তুর গভীর জ্ঞান রাখা, বাস্তব উদাহরণ প্রস্তুত করা এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা।

সাক্ষাৎকার বা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণত কোন ধরনের দুর্বলতা বেশি লক্ষ করা যায়? নিয়োগের ক্ষেত্রে কি নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়?

আমরা ‘দুর্বলতা’ শব্দটি ব্যবহার না করে একে ‘উন্নতির ক্ষেত্র’ হিসেবে দেখি। আত্মবিশ্বাসের অভাব, নিজের অর্জন সঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারা এবং যোগাযোগ দক্ষতার ঘাটতি—এসবই বেশি দেখা যায়। তবে আমরা গুরুত্ব দিই প্রার্থী তাঁর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন কি না এবং তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কি না। শেখার আগ্রহ থাকলে যেকোনো দুর্বলতাই শক্তিতে পরিণত হতে পারে। আর নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামের চেয়ে প্রার্থীর দক্ষতা, মনোভাব ও সামগ্রিক যোগ্যতাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

সঠিকভাবে লেখা একটি সিভি প্রার্থী নির্বাচনে কতটা ভূমিকা রাখে? সদ্য পাস করা তরুণদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

সিভি হলো প্রার্থীর প্রথম পরিচয়। তাই এটি সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট ও সুসংগঠিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের বলব, তিন বা চার পাতার দীর্ঘ সিভি নয়। এক পাতায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরুন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রকল্প, ইন্টার্নশিপ এবং সহশিক্ষা কার্যক্রম হাইলাইট করুন। অতি রংচঙে কিছু করার প্রয়োজন নেই। বরং নিজের ব্যক্তিত্ব এবং কাঙ্ক্ষিত পদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিভি সাজালে সেটিই হবে সবচেয়ে কার্যকর।

নতুন ও বর্তমান কর্মীদের জন্য রেনাটা কী ধরনের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ দেয়, বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে?

রেনাটা কর্মীদের জন্য বিস্তৃত ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়া প্রশিক্ষণব্যবস্থা নিশ্চিত করে। নতুন সেলস অফিসারদের জন্য শুরুতে একটি বিশেষ ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল জ্ঞান থেকে প্র্যাকটিক্যাল ফিল্ড স্কিল পর্যন্ত শেখানো হয়। দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ম্যানেজারিয়াল স্কিল উন্নয়ন, লিডারশিপ ও কমিউনিকেশন ট্রেনিং। টেকনিক্যাল ও ম্যানুফ্যাকচারিং টিম নিয়মিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে। সম্প্রতি হাইব্রিড লার্নিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে, যেখানে অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মীরাও সমানভাবে সুবিধা পান। রেনাটা বিশ্বাস করে যে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের কাজে দক্ষ করে তোলে এবং তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রেনাটা কর্মীদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা এবং প্রেরণা প্রদানের ক্ষেত্রে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে?

রেনাটায় শুরুর বেতন শিল্পের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, যা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে ভিন্ন হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি সুবিধার মধ্যে রয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, চিকিৎসা সহায়তা, জীবনবিমা এবং উৎসব ভাতা। এ ছাড়া কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে প্রতিষ্ঠান সুসংগঠিত পারফরম্যান্স অ্যাপ্রেইজাল ও রিওয়ার্ড সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেজমেন্ট প্রোগ্রাম ও মোটিভেশনাল কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মীদের উদ্দীপনা বজায় রাখা হয় এবং পারিবারিক দিকেও সমানভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়। এর ফলে রেনাটা একটি উষ্ণ, সহায়ক ও অনুপ্রেরণামূলক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে।

কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার সুবিধা রেনাটায় কীভাবে নিশ্চিত করা হয়?

হ্যাঁ, রেনাটার অন্যতম শক্তিশালী দিকই হলো কর্মীদের জন্য সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা। কর্মী ও তাঁদের পরিবারের জটিল চিকিৎসা যেমন ক্যানসার, ডায়ালাইসিস বা ট্রান্সপ্লান্টের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও আমরা সমানভাবে মনোযোগী। নিয়মিত সচেতনতামূলক সেশন, অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাউন্সেলিং এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কর্মীদের জন্য নিশ্চিত করা হয়। মানসিক চাপ বা ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের সময় এ ধরনের সহায়তা তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভরসা জোগায়।

রেনাটায় কাজ করতে আগ্রহী নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

আমি বলব, ওপেন মাইন্ডেড থাকুন, নতুন কিছু চেষ্টা করুন এবং পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন। প্রথম চাকরি হয়তো স্বপ্নের মতো নাও হতে পারে, কিন্তু প্রতিটি অভিজ্ঞতা শেখার সুযোগ দেয়। ভুল করবেন, তবে সেখান থেকেই শিখবেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো কাজকে ভালোবাসা এবং শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করা। একই সঙ্গে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন, শেখার আগ্রহ বজায় রাখুন এবং বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মানসিকতা রাখুন।

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফ্যাক্টচেক বিভাগে জনবল নিয়োগ দেবে আজকের পত্রিকা

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩১
ফ্যাক্টচেক বিভাগে জনবল নিয়োগ দেবে আজকের পত্রিকা

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্যাক্টচেক বিভাগে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: ফ্যাক্ট-চেকার/ ফ্যাক্টচেক কনটেন্ট রাইটার

পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে সম্মান বা সমমানের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা: ফ্যাক্ট-চেকিং সংশ্লিষ্ট কোনো প্রশিক্ষণ বা সনদ থাকতে হবে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন সংবাদপত্র/নিউজপোর্টাল, গবেষণা প্রতিষ্ঠান অথবা ব্লগ বা ওয়েব মিডিয়ায় কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

দায়িত্ব:

* অনলাইনে প্রচারিত বিভিন্ন বানোয়াট খবর, ভুল তথ্য, অপতথ্য ও গুজব সনাক্তকরণ

* Facebook, Instagram, Twitter, YouTube, TikTok-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করে ভাইরাল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য শনাক্ত

* ফ্যাক্টচেক করে নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ

* সাংবাদিকতার মানদণ্ডে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ

* ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ডেটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ

* সংবাদ ও সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে মিথ্যা তথ্য চিহ্নিতকরণ

* নিয়মিত তথ্য যাচাইকরণ যোগ্য বিষয়াদি সনাক্তকরণ ও সেই বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ

যোগ্যতা:

* সাংবাদিকতা নীতিমালা ও সম্পাদকীয় মানদণ্ড সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।

* জাতীয় রাজনীতি ও সমসাময়িক বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

* Google Fact Check Tools, InVID, TinEye ইত্যাদি ডিজিটাল ভেরিফিকেশন টুল ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে।

* মিডিয়া মনিটরিং বা ফ্যাক্ট-চেকিং টিমে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

* বাংলা ও ইংরেজিতে চমৎকার লিখিত ও মৌখিক যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

* দ্রুতগতির পরিবেশে একাধিক কাজ একসঙ্গে সামলানোর সক্ষমতা থাকতে হবে।

* রিভার্স ইমেজ সার্চ, মেটাডেটা বিশ্লেষণ, পাবলিক ডেটাবেস ব্যবহার করে যাচাই-বাছাই করা।

কর্মস্থল: বনশ্রী, ঢাকা

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষ

সুযোগ-সুবিধা: নিয়োগপ্রাপ্তরা লাঞ্চে অর্ধেক ভর্তুকি, বার্ষিক বেতন পর্যালোচনা, দুটি উৎসব ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়নের সুযোগ এবং লেট নাইট ড্রপ সুবিধা পাবেন।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা নিজেদের সিভি আজকের পত্রিকার এই [email protected] ই–মেইল ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩১ অক্টোবর ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

স্কয়ার গ্রুপের অধীনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। স্কয়ারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সাপ্লাই চেইন বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন

পদের নাম: সিনিয়র অফিস সহকারী/ জুনিয়র অফিসার, (সাপ্লাই চেইন)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা।

অন্যান্য যোগ্যতা: এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১ বছর।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

কর্মস্থল: ঢাকা।

বেতন: কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী আকর্ষণীয় এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা প্যাকেজ দেওয়া হবে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৮ অক্টোবর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যমুনা ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, ৪৫ বছরেও করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
যমুনা ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, ৪৫ বছরেও করা যাবে আবেদন

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটিতে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনে ‘রিস্ক অফিসার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৩ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: রিস্ক অফিসার।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফিন্যান্স, ইকোনমিকস, অ্যাকাউন্টিং, স্ট্যাটিস্টিকস বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সিএফএ চার্টারধারী (সিএফএ ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত) হতে হবে। সিএফএ চার্টার ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

অন্যান্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: এক্সেল (অ্যাডভান্সড), পাওয়ার বিআই, পাইথন বা আর-এ আর্থিক মডেলিং ও ডেটা বিশ্লেষণে দক্ষতা থাকতে হবে। স্বনামধন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক, এনবিএফআই বা ক্যাপিটাল মার্কেট প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কাজে ন্যূনতম ৭ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল: ঢাকা (হেড অফিস)।

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ-সুবিধা: যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে ইনসেনটিভ ও ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ম্যানেজার পদে কর্মী নেবে প্রাণ গ্রুপ, আবেদন শেষ ৯ নভেম্বর

চাকরি ডেস্ক 
ম্যানেজার পদে কর্মী নেবে প্রাণ গ্রুপ, আবেদন শেষ ৯ নভেম্বর

জনবল নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘ম্যানেজার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: ম্যানেজার, (প্রোডাকশন)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি (ইইই/কেমিক্যাল টেকনিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং)।

অভিজ্ঞতা: ৮-১২ বছর।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: সর্বনিম্ন ৩০ বছর।

কর্মস্থল: যে কোনো স্থান

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়া আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৯ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত