Ajker Patrika

সহকারী জজ হয়ে ‘সাফল্যের উচ্চ শিখরে’ ঐশী

আশরিফা আকন্দ ঐশী
আশরিফা আকন্দ ঐশী।
আশরিফা আকন্দ ঐশী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন আশরিফা আকন্দ ঐশী। তিনি ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় ২৩তম হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর সফলতার পেছনের গল্প ও অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার

প্রস্তুতি শুরু যেভাবে

ঐশী প্রথমেই নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করেছিলেন। জীবনে তিনি কী হতে চান। তাই মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হতেই তিনি এক দিনও দেরি না করে প্রস্তুতি শুরু করে দেন। প্রথমে ঠিক করেছেন, কোন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তার কাঠামো কেমন। এরপর সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিয়েছেন। একই সঙ্গে তৈরি করেছেন একটি রুটিন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করা, টপিকভিত্তিক নোট তৈরি করা এবং বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করা— এভাবেই তাঁর প্রস্তুতির যাত্রা শুরু হয়। নিজের আরাম-আয়েশ কিছুটা কমিয়ে নিজের প্রতি দৃঢ় সংকল্প নিয়েছিলেন, ‘আমাকে বিচারক হতে হবে।’

প্রিলি ও রিটেন প্রস্তুতি যেভাবে নিয়েছেন

প্রিলিমিনারির জন্য ঐশী মূলত মৌলিক বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছিলেন। নিয়মিত সেলফ মডেল টেস্ট ও এক্সাম দিয়ে নিজের জ্ঞান যাচাই করেছেন। তাঁর মতে, লিখিত পরীক্ষা ছিল একটি সুবিধার জায়গা। কারণ, এখানে তিনি নিজের দক্ষতা পুরোপুরি প্রমাণ করতে পারতেন। তাই তিনি প্রতিটি বিষয়ের গভীরে ঢুকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতেন এবং চেষ্টা করতেন সর্বোচ্চ মানের প্রস্তুতি দেখানোর।

যেহেতু তিনি সম্পূর্ণ একা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাই প্রতিটি বিষয় নিয়ে নিজে নিজে গবেষণা করতে হয়েছে। কোন অংশ বেশি দুর্বল বা কোন বিষয় কেমনভাবে সঠিকভাবে উত্তর লেখা যায়; সবকিছু নিজে যাচাই ও চর্চা করতে হয়েছে।

রিটেন পরীক্ষার জন্য তিনি প্রতিদিন নিয়মিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর লিখে লিখে প্র্যাকটিস করতেন। উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ানোর এই নিয়মিত চর্চাই তাঁর আত্মবিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছে। লিখিত প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে তা পরের দিনের প্রস্তুতিতে কাজে লাগাতেন। এই একনিষ্ঠতা ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা তাঁকে রিটেন পরীক্ষায় সাফল্যের পথ দেখিয়েছে।

ভাইভা প্রস্তুতি

ভাইভার জন্য প্রথমেই আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে মনোযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, পরীক্ষার দিন নিজেকে পুরোপুরি প্রেজেন্ট করতে পারা। এ জন্য তিনি নিজের পরিচিতি নিখুঁতভাবে সাজিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতেন এবং কাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলোর গভীর জ্ঞান অর্জন করতেন।

শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, বাস্তব পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারাটাও তাঁর প্রস্তুতির অংশ ছিল। তাই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত মক ভাইভা দিয়ে তিনি নিজেকে পরীক্ষার পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত করতেন। নিজের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে পরবর্তী চর্চায় তা উন্নত করা, প্রশ্নের ধরন বুঝে তার উত্তরকে আরও প্রাঞ্জল করা— এসবই তাঁর ভাইভা প্রস্তুতির মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এই আত্মবিশ্বাস ও ধারাবাহিক চর্চাই তাঁকে ভাইভায় সাফল্যের পথ দেখিয়েছে।

সাফল্যের রহস্য

ছোটবেলা থেকেই ঐশীর জীবনের মূলমন্ত্র ছিল নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস, সময় ব্যবস্থাপনা এবং কখনো হতাশ না হওয়া। দৃঢ় সংকল্প তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে কাজ করেছে। ব্যর্থতাকে তিনি কখনো বাধা হিসেবে দেখেননি, বরং প্রতিটি ভুলকে শিক্ষার অংশ মনে করে তা থেকে শিখেছেন।

ঐশীর মা সব সময় চাইতেন, তিনি যেন জীবনে সাফল্যের সবচেয়ে উচ্চ শিখরে পৌঁছান। মা-বাবার এই আশা ও নিজের অনুপ্রেরণা মিলিয়ে তিনি চেষ্টা করেছেন, যেকোনো বাধা ডিঙিয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং এলএলএমে তিনি প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরপর প্রথমবারেই হন অ্যাডভোকেট। পরে প্রথম বিজেএস পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও নিজের যোগ্যতা ও কঠোর পরিশ্রমে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে সম্মানিত পেশা সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপপ্রাপ্ত হয়েছেন।

নতুনদের জন্য পরামর্শ

নতুনদের পরামর্শ দিতে গিয়ে ঐশী বলেন, প্রথমেই লক্ষ্য স্থির করুন এবং ছোট ছোট টার্গেট ঠিক করে এগিয়ে যান। প্রতিটি ধাপেই নিজের অগ্রগতি যাচাই করুন। মূল বইয়ের প্রতি আস্থা রাখুন এবং গুজব বা অপ্রয়োজনীয় পরামর্শ থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত রিভিশন করুন। নিজেকে সময়মতো মূল্যায়ন করুন।

ঐশী আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য ধরে রাখা। সফলতা এক দিনের ফল নয়—এটি সময়সাপেক্ষ। ধারাবাহিক পরিশ্রম, মনোযোগ এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলেই আপনি লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ঐশীর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হলো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করা। পাশাপাশি তিনি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অবিরত শেখার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়েই তিনি কাজ করতে চান।

বিচারক হিসেবে ঐশী জনসাধারণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চান। দেশের বেশির ভাগ মানুষ জানে না তাদের অধিকার কী, তাই তাদের ভরসার সবচেয়ে বড় জায়গা হলো বিচারালয়। নিপীড়িত মানুষ বিচারকের কাছে প্রার্থনা করে ন্যায়বিচারের আশায়। ঐশীর সংকল্প, তিনি আমৃত্যু চেষ্টা করবেন যেন তাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের আলো দেখাতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের পদ বাড়ানোর সুযোগ নেই

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের পদ বাড়ানোর সুযোগ নেই

পদ বাড়িয়ে নিয়োগের দাবিতে চিকিৎসকেরা আন্দোলন করলেও ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের পদ আর বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে।

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে পদ বাড়িয়ে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকেরা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া ও চিকিৎসকসংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ৩ হাজার ৬ জন সহকারী সার্জন, ২৮০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জনসহ ৩ হাজার ২৮৬ জন চিকিৎসককে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে শিগগির তাঁদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এতে বলা হয়, ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রায় ৪১ হাজার চিকিৎসক অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা নির্বাচিত হতে পারেননি, তাঁরা এখনো চাকরির জন্য অপেক্ষমাণ। তাঁদের সঙ্গে গত কয়েক মাসে যোগ হয়েছেন আরও ৫ হাজার চিকিৎসক। অপেক্ষমাণ ও নতুন পাস করা প্রায় ৪৩ হাজার চিকিৎসককে সরকারি চাকরির সুযোগ অবারিত রাখা এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের পদ আর বাড়ানোর সুযোগ নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ৩ হাজার পদের জন্য সুপারিশের সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে আরও ৫০০টি পদ বাড়ানোর জন্য চাহিদা দেওয়া হয়। তবে এই বিসিএসে ২৮৬টি পদ বাড়িয়েছে সরকার। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে বর্তমানে সহকারী সার্জনের ৪ হাজার ৮৩৭টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জনের ১৫০টি শূন্য পদ রয়েছে।

চলমান বিসিএসগুলোতে ৪ হাজার ৫২৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ও চলমান অন্যান্য বিসিএসের চিকিৎসকেরা যোগদান করলে আর কোনো শূন্য পদ থাকবে না। এরপর আরও চিকিৎসকের পদায়ন নিশ্চিত করতে নতুন পদ সৃষ্টি করতে হবে। ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪০
চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডে লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৩ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০ অক্টোবর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র সরাসরি অথবা ই-মেইল ঠিকানার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন।

পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল বা মেকানিক্যাল। কমপক্ষে ৩ বছরের ওয়ার্কশপ পরিচালনার বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।

পদের নাম: উপ-সহ প্রকৌশলী।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল। কমপক্ষে ৩ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।

পদের নাম: স্টোর ইনচার্জ।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল বা পাওয়ার এবং কমপক্ষে ৩ বছর স্টোর এবং কম্পিউটার পরিচালনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।

পদের নাম: স্টোরকিপার।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি পাস এবং কম্পিউটার পরিচালনায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।

পদের নাম: মেকানিক (হালকা যান)।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস (অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য)।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।

পদের নাম: সহকারী মেকানিক (হালকা যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ২৮ বছর।

পদের নাম: মেকানিক (ভারী যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।

পদের নাম: সহকারী মেকানিক (ভারী যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ২৮ বছর।

পদের নাম: এসি ও অটো ইলেকট্রিশিয়ান (ভারী যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।

পদের নাম: ডেন্ট মেকানিক (ভারী যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।

পদের নাম: সহকারী ডেন্ট মেকানিক (হালকা যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ২৮ বছর।

পদের নাম: সহকারী ডেন্ট মেকানিক (ভারী যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ২৮ বছর।

পদের নাম: পেইন্টার (ভারী যান)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৪০ বছর।

আবেদন পদ্ধতি: আবেদনের জন্য নির্ধারিত ফরম প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট (www.cddl.gov.bd) থেকেও অথবা সরাসরি এই লিংকে গিয়ে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে আবেদন করা যাবে। খামের ওপর আবেদন করা পদের নাম, নিজ জেলা এবং বিজ্ঞপ্তির সূত্র নম্বর উল্লেখ করে নির্ধারিত ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: ‘বিএন এমটি ওয়ার্কশপ, বানৌজা ঈসা খান, নিউ মুরিং চট্টগ্রাম’ অফিসে অথবা [email protected] এই ঠিকানায় ই-মেইল করা যাবে। প্রার্থীকে পূরণকৃত আবেদন ফরমের সঙ্গে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সম্প্রতি তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও অভিজ্ঞতা সনদপত্রের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে ৯৯ জনের চাকরি

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ) বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ১৩ ক্যাটাগরির পদে মোট ৯৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২১ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক (সমমান) বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। কম্পিউটার টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে ২৫ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দ গতিসম্পন্ন হতে হবে।

বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক (সমমান) বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: উচ্চমান সহকারী।

পদসংখ্যা: ১৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। শর্টহ্যান্ডে প্রতি মিনিটে অন্তত ৭০ শব্দ; টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দ গতি থাকতে হবে।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: ক্যাশিয়ার।

পদসংখ্যা: ৪টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।

পদসংখ্যা: ৪টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: ডেটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: টেলিফোন অপারেটর।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: গাড়িচালক (ড্রাইভার)।

পদসংখ্যা: ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: সিপাহি।

পদসংখ্যা: ৫২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা।

পদের নাম: ডেসপাচ রাইডার।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম: ফটোকপি অপারেটর।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহায়ক।

পদসংখ্যা: ৯টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৭ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার উপায়

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কর্মক্ষেত্র নিয়ে হা-হুতাশ করেন; দিনরাত যেখানে কাজ করছেন, সে কোম্পানিকে গালমন্দ করেন—এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। কিন্তু তিনি কেন সফল হচ্ছেন না, বছরের পর বছর এক জায়গার পড়ে রয়েছেন, সেটা নিয়ে মোটেও ভাবেন না।

এমন মানুষেরা নিজের দুর্বলতার

দিকে নজর না দিয়ে বরং কোম্পানির দুর্বলতা নিয়ে আলোচনায় মুখর থাকেন। আমাদের মানতে হবে, সফলতা অর্জনের সংক্ষিপ্ত কোনো পথ নেই। তবে কিছু নিয়ম তো আছেই, যা মানলে ক্যারিয়ারে উন্নতি করা সম্ভব।

কথায়-কাজে হতে হবে গোছানো

প্রতিষ্ঠানের হয়ে যতটুকু কাজ করবেন, সেটা গুছিয়ে করতে হবে। অগোছালো কাজ ক্যারিয়ারের ক্ষতি করে। গোছানো মানুষেরা সহজে সফল হন। শুধু কাজই নয়, কর্মক্ষেত্রে কথাও গুছিয়ে বলতে হবে।

দুর্বল দিক নিয়ে কাজ করুন

মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট কিংবা ইংরেজি—যেকোনো বিষয়ে আপনার দুর্বলতা থাকতেই পারে। আপনার দুর্বল জায়গাটা কোথায়, আগে তা চিহ্নিত করতে হবে।

অতঃপর দুর্বল দিকগুলোর বিষয়ে নিতে হবে উপযুক্ত পদক্ষেপ। যেমন কারও লিডারশিপে ঘাটতি থাকতে পারে। তাঁদের উচিত হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর দু-একটি প্রশিক্ষণ নেওয়া।

উপস্থাপনের দক্ষতা থাকা জরুরি

কর্মক্ষেত্রে শুধু মেধা নয়, নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতাও সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ভালো কাজ করেও অনেক সময় অনেকে পিছিয়ে পড়েন, কেবল নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরতে না পারার কারণে। এ জন্য উপস্থাপনার দক্ষতা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যোগাযোগকে কার্যকর করে এবং সহকর্মী ও কর্তৃপক্ষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে প্রমাণ করে।

বস কী চান, মন দিয়ে শুনুন

ভারতের প্রখ্যাত লেখক শংকর বলেছেন, বস হলেন আগুন। এর খুব কাছেও যেতে নেই। আবার খুব দূরেও থাকতে নেই। মোদ্দাকথা, বস আপনার কাছে কী চান, কেমনভাবে চান—আগে সেটা বুঝতে হবে। বস ইজ অলওয়েজ রাইট, কথাটা মাথায় রাখতে হবে। আবার একই সঙ্গে বসের চাটুকারিতা, মোসাহেবি পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।

সুসম্পর্ক বজায় রাখুন

অফিসে পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখা কর্মজীবনের অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরচর্চা, গুজব বা ব্যক্তিগত বিরোধ কাজের পরিবেশ নষ্ট করে এবং দলীয় মনোভাব দুর্বল করে দেয়। সহকর্মীর কাজ ভালো না লাগলে সমালোচনার বদলে গঠনমূলকভাবে পরামর্শ দেওয়া উচিত। সহানুভূতি, শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠলে কাজের গতি বাড়ে এবং সবার মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি হয়।

নিয়মানুবর্তী হওয়া

কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে নিয়মানুবর্তিতা অপরিহার্য। সময়মতো অফিসে আসা ও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা একজন কর্মীর দায়িত্ববোধ ও পেশাদারত্বের পরিচয় বহন করে। অফিসের নিয়ম মেনে চলা, উপযুক্ত পোশাক পরিধান করা এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করা কর্মপরিবেশকে সুন্দর রাখে। সময়ানুবর্তিতা শুধু ব্যক্তিগত গুণ নয়, এটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গেও জড়িত।

পরিকল্পনা ও বোঝাপড়া জরুরি

যেকোনো দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর সরাসরি কাজে ঝাঁপিয়ে না পড়ে আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করা উচিত। কাজটি কীভাবে করা হবে, কোন পদ্ধতিতে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর হবে—এসব নিয়ে অন্তত কয়েক মিনিট ভাবতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, বস বা দায়িত্ব প্রদানকারীর কাছ থেকে কাজের উদ্দেশ্য ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়া। এতে ভুল কমে, সংশোধনের প্রয়োজনও কম হয়।

শরীর ও মনের যত্ন নিন

একটানা কাজ শুধু মানসিক চাপই নয়, শারীরিক ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। তাই মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নেওয়া, হাঁটাহাঁটি করা বা দূরে কোথাও ঘুরে আসা কর্মক্ষমতা ধরে রাখে। দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে চোখ ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর চোখে পানি দেওয়া, কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখা বা দূরে তাকানো খুবই উপকারী।

লেখক: মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, সেলস অপারেশনস, ফেয়ার

ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত