Ajker Patrika

উদ্যোক্তাদের কেন ইংরেজি শেখা উচিত

একজন উদ্যোক্তা যখন বিশ্বমানের ব্র্যান্ড বানাতে চান, তখন তাঁকে ভাবতে হয় ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ই-মেইল কমিউনিকেশন, বিজ্ঞাপন, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়েও। কারণ, সবখানেই ইংরেজির উপস্থিতি স্পষ্ট। এই ভাষাজ্ঞান কীভাবে একজন উদ্যোক্তার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, পেশাগত পরিসর খুলে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ব্যবসার সফলতায় ভূমিকা রাখে, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন ইংরেজি শেখার প্রতিষ্ঠান ‘ইংলিশ থেরাপি’-এর প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম

মো. আশিকুর রহমান
উদ্যোক্তাদের কেন ইংরেজি শেখা উচিত

ভাষার সাবলীলতা তৈরি করে

একজন উদ্যোক্তার পক্ষে নিজের ভাবনা ও পণ্যের ধারণা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাহলে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে বহুগুণ। উদ্যোক্তাদের প্রায়ই বিভিন্ন মানুষ, সংস্থা কিংবা বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলতে হয়। সেখানে যদি আপনি সাবলীল ইংরেজিতে নিজের কথা তুলে ধরতে পারেন, তখন আপনার আইডিয়া, প্রেজেন্টেশন ও নিজেকে উপস্থাপন করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।

বিশ্বজুড়ে শেখার দিগন্তে প্রবেশ

উদ্যোক্তারা সব সময় নতুন কিছু শিখতে চান। আর সেই শেখার দুনিয়াটা আজ ইন্টারনেটেই বিস্তৃত। বহির্বিশ্বের আপনি যে বই পড়তে চান, যে পডকাস্ট শুনতে চান বা যে মেন্টরের ভিডিও দেখেন—প্রায় সবকিছুরই ভাষা ইংরেজি। একটা আন্তর্জাতিক কোর্স, মেন্টরশিপ কিংবা গ্লোবাল বিজনেস প্ল্যাটফর্ম—সবখানেই ইংরেজি আপনাকে এগিয়ে রাখবে। উদ্যোক্তাদের তাই শেখার জন্যই ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া জরুরি।

আন্তর্জালে যুক্ত হওয়ার প্রথম সোপান

বহুজাতিক সংস্থা, বিদেশি ক্লায়েন্ট, কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে গেলে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ইংরেজি। চুক্তিপত্র, মেইল, ভার্চুয়াল সভা কিংবা প্রযুক্তিগত নির্দেশনা—সব জায়গাতেই ইংরেজি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আপনার উদ্যোগকে যদি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে চান, তাহলে ইংরেজি আপনার প্রথম সহযাত্রী।

নিয়মিত চর্চা ও অধ্যবসায়

ইংরেজি শেখার যাত্রায় শুরুটা যত সহজই হোক না কেন, টিকে থাকতে হলে চাই নিয়মিত চর্চা, অধ্যবসায় ও মনোযোগ। প্রতিদিন যদি অল্প সময়ও শেখার পেছনে ব্যয় করেন, তাহলে একসময় তা বড় অর্জনে রূপ নেয়। ইংরেজি শেখা অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।

নতুন আয়ের পথ খুলে দেয় ভাষাজ্ঞান

একজন উদ্যোক্তার জন্য আয়ের পথ শুধু পণ্য বা সেবা নয়—বিশ্বব্যাপী নিজেকে তুলে ধরার সামর্থ্যও একটি বড় সম্পদ। ইংরেজি জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ভাষা জানার মাধ্যমে আপনি শুধু শিখতে নয়, শেখাতেও পারেন। সেখান থেকেই জন্ম নেয় নতুন সম্ভাবনা ও আয়।

উদ্যোক্তা হওয়া মানে নিজের ভেতর প্রতিনিয়ত রূপান্তর ঘটানো। এই রূপান্তরের বড় উপাদান হলো শেখার মানসিকতা। আর শেখার দুয়ার খুলে দেয় ভাষাজ্ঞান—বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা। শেখা কখনো বন্ধ করা যাবে না। ইংরেজি জানলে আপনি শুধু দেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন। তাই উদ্যোক্তা হোন কিংবা হওয়ার স্বপ্ন দেখুন—নিজেকে তৈরি করুন এমনভাবে, যাতে ভাষা সীমাবদ্ধতা না হয়ে দাঁড়ায়; বরং ভাষাকে গড়ে তুলেন আপনার অগ্রগতির সোপান হিসেবে।

অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সহকারী জজের লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য সূচি

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য অষ্টাদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (১৮ শ বিজেএস) লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চের শেষ ভাগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেলা ও দায়রা জজ) আশিকুল খবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম ও বিস্তারিত সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bjsc.gov.bd) ও দৈনিক পত্রিকায় এবং কেন্দ্রভিত্তিক আসনবিন্যাস কমিশনের ওয়েবসাইটে যথাসময়ে প্রকাশিত হবে।

এতে ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার বিষয়গুলোয় গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে গণ্য হবেন। কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে তিনি লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ নামীয় পুস্তিকার প্রথম অধ্যায়ের ১৪-১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। এর আগে, চলতি বছরের ১ নভেম্বর অষ্টাদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বা সহকারী জজ পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর ১১ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫১৬ জন প্রার্থী। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর পিএসসির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) দিলাওয়েজ দুরদানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উপসহকারী প্রকৌশলী পদের মধ্যে রয়েছে স্টোর, বিদ্যুৎ, মেকানিক্যাল বা ট্রেন এক্সামিনার বা ড্রইং, ওয়ে, ওয়ার্কস, ব্রিজ, এস্টিমেটর, সিভিল ড্রইং, সিগন্যাল বা টেলিকমিউনিকেশন, এস্টেট ও মেরিন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রচারিত ২০১১ ও ২০২৩ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর (১০ম গ্রেড) ১১ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করে প্রার্থীদের বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সাময়িকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে।

নিয়োগের আগে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রার্থীর সব সনদ, ডকুমেন্টস ও কাগজপত্রের সত্যতা যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করবে।

পিএসসি কর্তৃক সাময়িকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে কোনো যোগ্যতার বা কাগজপত্রাদির ঘাটতি ধরা পড়লে ওই প্রার্থীর সাময়িক মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। তা ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীকে ফৌজদারি আইনে সোপর্দ করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ আছে জাপানে

আমিমুল এহসান খান। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন আমিমুল এহসান খান। সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’-এ বিশ্বের ৫০ তরুণের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা, চাকরি ও ক্যারিয়ার বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান

টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এককথায় দুর্দান্ত এবং বৈচিত্র্যময়। প্রথম দুই বছর করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে। তবে বাকি সময়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করার সুযোগ পেয়েছি।

উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা জাপানকে কেন বেছে নিচ্ছেন?

নিরাপত্তা ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা জাপান উচ্চশিক্ষার জন্য আকর্ষণীয়। এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের। আর শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক। অর্থনৈতিকভাবে জাপান স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর বৃত্তি দেয়। মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাপানি ভাষা জানা থাকলে জীবনযাপন ও কর্মজীবনে সফল হওয়া অনেক সহজ হয়।

জাপান ও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখছেন?

জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত গবেষণাকেন্দ্রিক, প্রয়োগমুখী এবং লক্ষ্যভিত্তিক। এখানে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, শিক্ষার্থীর মতামত, নিয়মিত প্রেজেন্টেশন এবং গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্মুক্ত, প্রশ্ন করা এবং আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অনেক ক্ষেত্রে মুখস্থনির্ভর এবং গতানুগতিক। তবে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ অসীম। জাপানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, আত্মযত্ন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই জীবনমুখী শিক্ষা শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এভাবে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা দেশের প্রচলিত ব্যবস্থার থেকে ভিন্নতা সৃষ্টি করে।

জাপানের ভর্তিপ্রক্রিয়া কেমন এবং কতটা সময় লাগে?

জাপানে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সাধারণত এটি ৬-৭ মাস সময় নেয়। প্রথমে শিক্ষার্থীকে পছন্দের মেজর ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে পার্টটাইম কাজের সুযোগের একটা বিষয় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডাকযোগে পাঠাতে হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেয়, আবার কিছুতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। অফার লেটার এবং বৃত্তি নিশ্চিত হলে এক বছরের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। এরপর সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটির (সিওই) জন্য আবেদন করতে হয়। এতে প্রায় আড়াই মাস সময় নেয়। সিওই হাতে পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং জাপানে যাত্রা করা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের বৃত্তি আছে, নির্বাচনের মাপকাঠি কী?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে বৃত্তির সুযোগ ব্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় দিতে পারে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও বৃত্তি দেয়। যেমন: অনেক শিক্ষার্থী জেএএসএসও থেকে মাসিক ৪৮ হাজার ইয়েন অনুদান পান। এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন সাধারণত হলিস্টিক বা সামগ্রিক পদ্ধতিতে হয়। এখানে শুধু একাডেমিক ফল বা ভাষার স্কোর দেখা হয় না; বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ ও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবর্ষের বাইরের কার্যক্রম এবং বহুমুখী প্রতিভাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।

জাপানে পড়তে গেলে আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপের প্রক্রিয়া কেমন?

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা ও ভর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপ। আবেদনকারীর কাছে প্রমাণ দেখাতে হবে, তিনি পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করতে সক্ষম। স্পনসর হতে পারেন মা-বাবা, চাচা-মামা, খালা-ফুফু বা একাধিক ব্যক্তি। তাঁদের অর্থের উৎস এবং সম্পর্ক যথাযথ নথিপত্রের মাধ্যমে দেখাতে হয়। সাধারণত প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বা সমমানের অর্থ দেখাতে হয়।

জাপানে একই সঙ্গে পড়াশোনা ও কাজ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। তবে এটি অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতির অধীনে সাধারণ সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। সেমিস্টার বিরতির সময় এ সময়সীমা বেড়ে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পূর্ণ সময়ের কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। নিয়ম মেনে চললে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত খরচ উভয়ই সামলাতে পারেন।

পড়াশোনার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এসএসসি ও এইচএসসির মূল সনদপত্র এবং মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আইইএলটিএস বা ডুয়োলিংগোর মতো ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রও লাগবে। ব্যক্তিগত নথিপত্রের মধ্যে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং আর্থিক নিশ্চয়তাকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের সনদপত্রও জমা দিতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো নোটারাইজড কপি হিসেবে জমা দিতে হয়।

পড়াশোনা শেষে জাপানে চাকরির সুযোগ কেমন?

জাপানে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ অনেক। দেশে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র আইটি সেক্টর; অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং; রিক্রুটমেন্ট; ই-কমার্স; আইটি সাপোর্ট; ওভারসিজ সেলস। ভালো চাকরি ও দ্রুত উন্নতির জন্য জাপানি ভাষা দক্ষতা অপরিহার্য। এটি কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং সংস্কৃতি বোঝার চাবিকাঠি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্পারসোর একটি পদের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) টেকনিশিয়ান-১ বা সায়েন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৯ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ১০ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত স্পারসোর অফিসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।

মৌখিক পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক ও সব ধরনের প্রশিক্ষণের সনদ, পূরণ করা আবেদনপত্র, প্রবেশপত্রসহ সব কাগজপত্রের ১ সেট সত্যায়িত ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটায় আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ মৌখিক পরীক্ষার সময় উপস্থাপন করতে হবে। উল্লিখিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার শুরুর ৩০ মিনিট আগে স্পারসোতে উপস্থিত থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত