শানিরুল ইসলাম শাওন ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে (সুপারিশপ্রাপ্ত) প্রথম হয়েছেন। তাঁর শৈশব ও বেড়ে ওঠা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। তিনি ২০১১ সালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) থেকে অ্যাপারেলস ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হওয়ার পেছনের গল্প জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রথম হয়েছি! স্বপ্নের মতো লাগছিল! তালিকায় প্রথম হয়েছি দেখে চোখ কচলে নিচ্ছিলাম। কয়েকবার মেলানোর পর নিশ্চিত হয়েছি।
স্বপ্ন দেখার শুরুর পথচলা
স্নাতক চলাকালে বিসিএস দেওয়ার তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে নিজের ফিল্ডে চাকরি করব। কিন্তু স্নাতক শেষে পরিবারের সবাই অনুরোধ করলেন বিসিএস দেওয়ার জন্য। ২০১৯ সালের জুনে বিএসসি সম্পন্ন হয়। এরপর সিদ্ধান্ত নেই বিসিএস দেওয়ার।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি
স্নাতক শেষ করার পর ঢাকায় একটি কোচিংয়ে ক্লাস করেছি। ৬০ শতাংশ ক্লাস করার পর কোভিডের জন্য সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। বাহিরে বের হওয়া পর্যন্ত যেত না। বাসায় বসে না থেকে সময়টাকে কাজে লাগাতে বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। তখন থেকে বাসায় নিজে নিজেই পড়ি। বাজারে প্রচলিত নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই কিনে পড়ি। ‘এক বই বারবার পড়া’ এই নীতিটা ফলো করি। এক বই একাধিকবার পড়ার পর আলাদা সহায়ক বই পড়ার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া বিগত বিসিএসের প্রশ্ন সমাধান করা এবং অন্যান্য চাকরির প্রশ্ন জব সল্যুশন থেকে একাধিকবার পড়েছি। পাশাপাশি নিয়মিত ভোকাবুলারি অনুশীলন করেছি। কারণ এগুলো সহজে মনে থাকে না!
যাঁদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
আমার পরিবার ও প্রিয়জন, কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব আমাকে সর্বদা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এমনকি আমার আত্মীয়, শিক্ষক, পাড়া-প্রতিবেশীরা সব সময় আমাকে দোয়া ও উৎসাহ জুগিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি
চার বছরের দীর্ঘ বিসিএস যাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করে, তখন আমার বেকার অবস্থায় মাসের পর মাস পার করাটা কিছুটা হলেও মনের ওপর চাপ প্রয়োগ করত। তবে মা সব সময় সান্ত্বনা দিতেন। বলতেন, ধৈর্য ধরো, দেখবে আল্লাহ সব দেবেন একসময়।
প্রস্তুতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার
বিসিএসের প্রস্তুতিতে ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। না জানা এবং কঠিন বিষয়গুলোর ওপর আমি বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ, ইউটিউবে অনেক নোটস ও ভিডিও পেয়েছি। এগুলো নিঃসন্দেহে অনেক তথ্য জোগায়, দুর্বোধ্য বিষয় বোধগম্য করা এবং আমার উন্নতিতে সহায়তা করেছে। নতুনরাও এ থেকে সহায়তা নিতে পারেন। অহেতুক ফেসবুকিং বা ইউটিউবে মুভি-ড্রামা না দেখে আপাতত কিছুদিন বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতি সম্পর্কিত গ্রুপ ও পেজে রেগুলার ঢুঁ মারা উচিত। পাশাপাশি কোনো বিষয় বা টপিক জানতে চাইলে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
নতুনরা যাঁরা বিসিএস দেবেন, তাঁরা অবশ্যই বিসিএসের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেন। তবে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলে ভালো হবে—অবশ্যই বিভাগীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত পড়া উচিত। বিসিএসের লক্ষ্যে নিজের বিষয়ের পড়া একপাশে ফেলে রেখে চাকরির প্রস্তুতি কোনোভাবেই ভালো কিছু নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাইম
শানিরুল ইসলাম শাওন ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে (সুপারিশপ্রাপ্ত) প্রথম হয়েছেন। তাঁর শৈশব ও বেড়ে ওঠা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। তিনি ২০১১ সালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৩ সালে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) থেকে অ্যাপারেলস ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হওয়ার পেছনের গল্প জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রথম হয়েছি! স্বপ্নের মতো লাগছিল! তালিকায় প্রথম হয়েছি দেখে চোখ কচলে নিচ্ছিলাম। কয়েকবার মেলানোর পর নিশ্চিত হয়েছি।
স্বপ্ন দেখার শুরুর পথচলা
স্নাতক চলাকালে বিসিএস দেওয়ার তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ইচ্ছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে নিজের ফিল্ডে চাকরি করব। কিন্তু স্নাতক শেষে পরিবারের সবাই অনুরোধ করলেন বিসিএস দেওয়ার জন্য। ২০১৯ সালের জুনে বিএসসি সম্পন্ন হয়। এরপর সিদ্ধান্ত নেই বিসিএস দেওয়ার।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি
স্নাতক শেষ করার পর ঢাকায় একটি কোচিংয়ে ক্লাস করেছি। ৬০ শতাংশ ক্লাস করার পর কোভিডের জন্য সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। বাহিরে বের হওয়া পর্যন্ত যেত না। বাসায় বসে না থেকে সময়টাকে কাজে লাগাতে বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। তখন থেকে বাসায় নিজে নিজেই পড়ি। বাজারে প্রচলিত নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই কিনে পড়ি। ‘এক বই বারবার পড়া’ এই নীতিটা ফলো করি। এক বই একাধিকবার পড়ার পর আলাদা সহায়ক বই পড়ার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া বিগত বিসিএসের প্রশ্ন সমাধান করা এবং অন্যান্য চাকরির প্রশ্ন জব সল্যুশন থেকে একাধিকবার পড়েছি। পাশাপাশি নিয়মিত ভোকাবুলারি অনুশীলন করেছি। কারণ এগুলো সহজে মনে থাকে না!
যাঁদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
আমার পরিবার ও প্রিয়জন, কাছের কিছু বন্ধুবান্ধব আমাকে সর্বদা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এমনকি আমার আত্মীয়, শিক্ষক, পাড়া-প্রতিবেশীরা সব সময় আমাকে দোয়া ও উৎসাহ জুগিয়েছেন। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি
চার বছরের দীর্ঘ বিসিএস যাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করে, তখন আমার বেকার অবস্থায় মাসের পর মাস পার করাটা কিছুটা হলেও মনের ওপর চাপ প্রয়োগ করত। তবে মা সব সময় সান্ত্বনা দিতেন। বলতেন, ধৈর্য ধরো, দেখবে আল্লাহ সব দেবেন একসময়।
প্রস্তুতিতে প্রযুক্তির ব্যবহার
বিসিএসের প্রস্তুতিতে ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। না জানা এবং কঠিন বিষয়গুলোর ওপর আমি বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ, ইউটিউবে অনেক নোটস ও ভিডিও পেয়েছি। এগুলো নিঃসন্দেহে অনেক তথ্য জোগায়, দুর্বোধ্য বিষয় বোধগম্য করা এবং আমার উন্নতিতে সহায়তা করেছে। নতুনরাও এ থেকে সহায়তা নিতে পারেন। অহেতুক ফেসবুকিং বা ইউটিউবে মুভি-ড্রামা না দেখে আপাতত কিছুদিন বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতি সম্পর্কিত গ্রুপ ও পেজে রেগুলার ঢুঁ মারা উচিত। পাশাপাশি কোনো বিষয় বা টপিক জানতে চাইলে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
নতুনরা যাঁরা বিসিএস দেবেন, তাঁরা অবশ্যই বিসিএসের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেন। তবে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলে ভালো হবে—অবশ্যই বিভাগীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত পড়া উচিত। বিসিএসের লক্ষ্যে নিজের বিষয়ের পড়া একপাশে ফেলে রেখে চাকরির প্রস্তুতি কোনোভাবেই ভালো কিছু নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাইম
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও।
১৮ মিনিট আগেবিয়াম ফাউন্ডেশনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা ও কক্সবাজারের আঞ্চলিক কেন্দ্রে ২০ পদে ২৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বাস্তবায়নাধীন ‘দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে চাকরির বাজারের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। কর্মজগতে প্রযুক্তিনির্ভরতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বদলে যাচ্ছে নিয়োগের ধরন ও চাহিদাও।
৪ ঘণ্টা আগে