আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও। সিইও যে নারীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন তিনি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অ্যাস্ট্রোনমার। সিইওকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অ্যাস্ট্রোনমার প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি আমাদের পথ দেখিয়েছে, আমরা তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নেতাদের কাছ থেকে আচরণ ও জবাবদিহির সর্বোচ্চ মান আশা করা হয়।’
সিইও-এর এমন আচরণের বিষয়ে তদন্ত করছে অ্যাস্টোনমার। তাঁর চাকরিও যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্কের জেরে চাকরি হারানো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা কম নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, এখানে তাঁর অপরাধ কী? এখানে তো জবরদস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ধরনের সম্পর্কগুলো করপোরেট জগতে কেন এত নেতিবাচকভাবে দেখা হয়?
প্রকৃতপক্ষে কর্মক্ষেত্র শুধু পেশাদারির জায়গা নয়, এটি ব্যক্তিগত সম্পর্কেরও একটি ক্ষেত্র। সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু করপোরেট পরিবেশে এমন সম্পর্ক প্রায়শই নিরুৎসাহিত বা এমনকি নিষিদ্ধ করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নজর রাখলেই স্পষ্টত বোঝা যাবে, কোল্ডপ্লে কনসার্টে অ্যাস্টোনমার সিইও-কে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন এ ধরনের সম্পর্ক উচ্চপদস্থ বা তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থের মধ্যে হয়, তখন সেটি কেবল ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না, বরং সংস্থা এবং অন্যান্য কর্মীর ওপরও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এমন সম্পর্ক সব সময় অবৈধ নয়—এই সত্য মানলেও জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য এ ধরনের সম্পর্ক একটি চ্যালেঞ্জিং কর্মপরিবেশ তৈরি করতে পারে।
এই ধরনের সম্পর্কে যে ঝুঁকিগুলো থাকতে পারে:
১. স্বার্থের সংঘাত
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন একজন বস এবং অধস্তন কর্মীর মধ্যে হয়, তখন সরাসরি স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে পারে। যেমন:
পক্ষপাতিত্ব: এমন সম্পর্ক পক্ষপাতিত্বের জন্ম দিতে পারে। বাস্তবে পক্ষপাতের কোনো উদাহরণ দেখা না গেলেও বাকি কর্মীদের মধ্যে ওই ধরনের একটি অনুভূতি বা ধারণা তৈরি করতে পারে। এর ফলে টিম স্পিরিট বা কর্মীদের কর্মস্পৃহা ব্যাহত হতে পারে এবং কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন বস তাঁর প্রেমিক/প্রেমিকাকে অন্যায়ভাবে পদোন্নতি বা সুবিধা দিতে পারেন। এমনটি ঘটলে অন্য কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব: এমনকি আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক না হলেও, সমপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের সম্পর্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যায্য আচরণের দিকে পরিচালিত করতে পারে। যেমন, একজন কর্মী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর ভুল এড়িয়ে যেতে পারেন।
২. উৎপাদনশীলতা হ্রাস
অফিস রোমান্স কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদের জন্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। এটি এক সময় চাপা ক্ষোভ থেকে বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হতে পারে।
মনোযোগে বিঘ্ন: অফিসে দুই সহকর্মীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা, গুজব এবং জল্পনা বাকি কর্মীদের মনোযোগ কাজের বাইরে সরিয়ে নিতে পারে। এর ফলে কাজের প্রতি তাঁদের মনোযোগ কমে যায়। এমনকি যারা সম্পর্কে আছেন তাঁদের মধ্যেও সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ, গুজব ও জল্পনার প্রভাব পড়তে পারে।
বিরূপ পরিবেশ: সম্পর্কে থাকা দুজনের মধ্যে সংঘাত বা বিচ্ছেদের পরে কর্মক্ষেত্রে একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এটি সামগ্রিক কাজের প্রবাহকে ব্যাহত করে।
কর্মদক্ষতা হ্রাস: প্রেমের সম্পর্কের নাটক বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বাকি কর্মীরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। ফলে তাঁদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। সম্পর্কে থাকা দুজনের জন্যও এটি প্রযোজ্য।
৩. আইনি ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক সংস্থাগুলোর জন্য গুরুতর আইনি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই কারণে দেখা যায়, অফিস রোমান্সের তথ্য ফাঁস হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় অনেক প্রতিষ্ঠান। এমনকি বিষয়টি গোপনে সমঝোতার চেষ্টাও কখনো কখনো হয়। সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ বাইরে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার ঝুঁকিও থাকে। ফলে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও পরবর্তীতে আইনি ঝুঁকি থেকে যায়।
যৌন হয়রানি: সম্পর্ক যদি সম্মতিমূলক না হয় বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পক্ষ চাপ অনুভব করেন, তাহলে সেটি যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা প্রায়শই সম্মতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ক্ষমতার অপব্যবহার: বিশেষ করে ইমিডিয়েট বস, তত্ত্বাবধায়ক বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে অধস্তন কর্মীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সম্মতি উৎপাদনের চেষ্টা করে থাকতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং অস্বস্তি সত্ত্বেও সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
বৈষম্য ও প্রতিশোধ: সম্পর্ক যদি খুব বাজেভাবে ভেঙে যায়, তখন এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্য বা প্রতিশোধের অভিযোগ আনতে পারে। যেমন, পদোন্নতি বা কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে অন্যায্য আচরণের অভিযোগ উঠতে পারে। যদিও অভিযোগ সত্য নাও হতে পারে।
নীতি লঙ্ঘন: অনেক সংস্থার অফিস রোমান্স সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতিমালা থাকে, বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নীতিমালা মেনে চলা হয়। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, এমনকি চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
৪. কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের অবনতি
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে গুজব এবং জল্পনা অন্য কর্মীদের জন্য একটি নেতিবাচক এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কর্মীরা ভাবতে পারেন যে, সম্পর্কের কারণে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমন ধারণা তাঁদের মধ্যে অবিশ্বাস ও বিভেদ তৈরি করে। একটি সম্পর্ক যখন ভেঙে যায়, তখন সেই পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রে অস্বস্তি, উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য সংঘাতের কারণ হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে কর্মীদের মনোবলকে প্রভাবিত করে।
৫. গোপনীয়তার উদ্বেগ
প্রেমের সম্পর্ক সাধারণত একটি ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্ক গোপন রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ ছাড়া এমন সম্পর্ক কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা আরও জটিল করে তুলতে পারে। অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
গুজব: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রবণতা সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। এমনকি সম্পর্ক গোপন রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই অত্যন্ত বিচক্ষণ হলেও এটি গোপন থাকে না।
ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাদারির মিশ্রণ: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাদারির সীমারেখাকে ধূসর করে দেয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
করপোরেট নীতিমালা
মূলত ওপরে বর্ণিত ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করেই, অনেক সংস্থা কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক নিরুৎসাহিত বা নিষিদ্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রাখে। বিশেষ করে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা রয়েছে এমন সম্পর্কে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। করপোরেট চর্চায় মনে করা হয়, এই নীতিমালা কর্মীদের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং একটি সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
সুতরাং বলা যায়, কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সব সময় অবৈধ না হলেও, এটি জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য সম্ভাব্য সমস্যার একটি জটিল জাল তৈরি করতে পারে। এ কারণেই প্রতিটি সংস্থা সাধারণত এ বিষয়ে লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে। কর্মীদের পেশাদারি বজায় রাখা এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও। সিইও যে নারীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন তিনি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অ্যাস্ট্রোনমার। সিইওকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অ্যাস্ট্রোনমার প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি আমাদের পথ দেখিয়েছে, আমরা তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নেতাদের কাছ থেকে আচরণ ও জবাবদিহির সর্বোচ্চ মান আশা করা হয়।’
সিইও-এর এমন আচরণের বিষয়ে তদন্ত করছে অ্যাস্টোনমার। তাঁর চাকরিও যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্কের জেরে চাকরি হারানো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা কম নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, এখানে তাঁর অপরাধ কী? এখানে তো জবরদস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ধরনের সম্পর্কগুলো করপোরেট জগতে কেন এত নেতিবাচকভাবে দেখা হয়?
প্রকৃতপক্ষে কর্মক্ষেত্র শুধু পেশাদারির জায়গা নয়, এটি ব্যক্তিগত সম্পর্কেরও একটি ক্ষেত্র। সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু করপোরেট পরিবেশে এমন সম্পর্ক প্রায়শই নিরুৎসাহিত বা এমনকি নিষিদ্ধ করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নজর রাখলেই স্পষ্টত বোঝা যাবে, কোল্ডপ্লে কনসার্টে অ্যাস্টোনমার সিইও-কে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন এ ধরনের সম্পর্ক উচ্চপদস্থ বা তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থের মধ্যে হয়, তখন সেটি কেবল ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না, বরং সংস্থা এবং অন্যান্য কর্মীর ওপরও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এমন সম্পর্ক সব সময় অবৈধ নয়—এই সত্য মানলেও জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য এ ধরনের সম্পর্ক একটি চ্যালেঞ্জিং কর্মপরিবেশ তৈরি করতে পারে।
এই ধরনের সম্পর্কে যে ঝুঁকিগুলো থাকতে পারে:
১. স্বার্থের সংঘাত
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন একজন বস এবং অধস্তন কর্মীর মধ্যে হয়, তখন সরাসরি স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে পারে। যেমন:
পক্ষপাতিত্ব: এমন সম্পর্ক পক্ষপাতিত্বের জন্ম দিতে পারে। বাস্তবে পক্ষপাতের কোনো উদাহরণ দেখা না গেলেও বাকি কর্মীদের মধ্যে ওই ধরনের একটি অনুভূতি বা ধারণা তৈরি করতে পারে। এর ফলে টিম স্পিরিট বা কর্মীদের কর্মস্পৃহা ব্যাহত হতে পারে এবং কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন বস তাঁর প্রেমিক/প্রেমিকাকে অন্যায়ভাবে পদোন্নতি বা সুবিধা দিতে পারেন। এমনটি ঘটলে অন্য কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব: এমনকি আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক না হলেও, সমপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের সম্পর্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যায্য আচরণের দিকে পরিচালিত করতে পারে। যেমন, একজন কর্মী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর ভুল এড়িয়ে যেতে পারেন।
২. উৎপাদনশীলতা হ্রাস
অফিস রোমান্স কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদের জন্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। এটি এক সময় চাপা ক্ষোভ থেকে বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হতে পারে।
মনোযোগে বিঘ্ন: অফিসে দুই সহকর্মীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা, গুজব এবং জল্পনা বাকি কর্মীদের মনোযোগ কাজের বাইরে সরিয়ে নিতে পারে। এর ফলে কাজের প্রতি তাঁদের মনোযোগ কমে যায়। এমনকি যারা সম্পর্কে আছেন তাঁদের মধ্যেও সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ, গুজব ও জল্পনার প্রভাব পড়তে পারে।
বিরূপ পরিবেশ: সম্পর্কে থাকা দুজনের মধ্যে সংঘাত বা বিচ্ছেদের পরে কর্মক্ষেত্রে একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এটি সামগ্রিক কাজের প্রবাহকে ব্যাহত করে।
কর্মদক্ষতা হ্রাস: প্রেমের সম্পর্কের নাটক বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বাকি কর্মীরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। ফলে তাঁদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। সম্পর্কে থাকা দুজনের জন্যও এটি প্রযোজ্য।
৩. আইনি ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক সংস্থাগুলোর জন্য গুরুতর আইনি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই কারণে দেখা যায়, অফিস রোমান্সের তথ্য ফাঁস হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় অনেক প্রতিষ্ঠান। এমনকি বিষয়টি গোপনে সমঝোতার চেষ্টাও কখনো কখনো হয়। সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ বাইরে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার ঝুঁকিও থাকে। ফলে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও পরবর্তীতে আইনি ঝুঁকি থেকে যায়।
যৌন হয়রানি: সম্পর্ক যদি সম্মতিমূলক না হয় বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পক্ষ চাপ অনুভব করেন, তাহলে সেটি যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা প্রায়শই সম্মতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ক্ষমতার অপব্যবহার: বিশেষ করে ইমিডিয়েট বস, তত্ত্বাবধায়ক বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে অধস্তন কর্মীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সম্মতি উৎপাদনের চেষ্টা করে থাকতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং অস্বস্তি সত্ত্বেও সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
বৈষম্য ও প্রতিশোধ: সম্পর্ক যদি খুব বাজেভাবে ভেঙে যায়, তখন এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্য বা প্রতিশোধের অভিযোগ আনতে পারে। যেমন, পদোন্নতি বা কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে অন্যায্য আচরণের অভিযোগ উঠতে পারে। যদিও অভিযোগ সত্য নাও হতে পারে।
নীতি লঙ্ঘন: অনেক সংস্থার অফিস রোমান্স সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতিমালা থাকে, বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নীতিমালা মেনে চলা হয়। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, এমনকি চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
৪. কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের অবনতি
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে গুজব এবং জল্পনা অন্য কর্মীদের জন্য একটি নেতিবাচক এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কর্মীরা ভাবতে পারেন যে, সম্পর্কের কারণে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমন ধারণা তাঁদের মধ্যে অবিশ্বাস ও বিভেদ তৈরি করে। একটি সম্পর্ক যখন ভেঙে যায়, তখন সেই পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রে অস্বস্তি, উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য সংঘাতের কারণ হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে কর্মীদের মনোবলকে প্রভাবিত করে।
৫. গোপনীয়তার উদ্বেগ
প্রেমের সম্পর্ক সাধারণত একটি ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্ক গোপন রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ ছাড়া এমন সম্পর্ক কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা আরও জটিল করে তুলতে পারে। অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
গুজব: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রবণতা সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। এমনকি সম্পর্ক গোপন রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই অত্যন্ত বিচক্ষণ হলেও এটি গোপন থাকে না।
ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাদারির মিশ্রণ: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাদারির সীমারেখাকে ধূসর করে দেয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
করপোরেট নীতিমালা
মূলত ওপরে বর্ণিত ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করেই, অনেক সংস্থা কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক নিরুৎসাহিত বা নিষিদ্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রাখে। বিশেষ করে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা রয়েছে এমন সম্পর্কে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। করপোরেট চর্চায় মনে করা হয়, এই নীতিমালা কর্মীদের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং একটি সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
সুতরাং বলা যায়, কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সব সময় অবৈধ না হলেও, এটি জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য সম্ভাব্য সমস্যার একটি জটিল জাল তৈরি করতে পারে। এ কারণেই প্রতিটি সংস্থা সাধারণত এ বিষয়ে লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে। কর্মীদের পেশাদারি বজায় রাখা এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও। সিইও যে নারীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন তিনি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অ্যাস্ট্রোনমার। সিইওকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অ্যাস্ট্রোনমার প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি আমাদের পথ দেখিয়েছে, আমরা তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নেতাদের কাছ থেকে আচরণ ও জবাবদিহির সর্বোচ্চ মান আশা করা হয়।’
সিইও-এর এমন আচরণের বিষয়ে তদন্ত করছে অ্যাস্টোনমার। তাঁর চাকরিও যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্কের জেরে চাকরি হারানো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা কম নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, এখানে তাঁর অপরাধ কী? এখানে তো জবরদস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ধরনের সম্পর্কগুলো করপোরেট জগতে কেন এত নেতিবাচকভাবে দেখা হয়?
প্রকৃতপক্ষে কর্মক্ষেত্র শুধু পেশাদারির জায়গা নয়, এটি ব্যক্তিগত সম্পর্কেরও একটি ক্ষেত্র। সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু করপোরেট পরিবেশে এমন সম্পর্ক প্রায়শই নিরুৎসাহিত বা এমনকি নিষিদ্ধ করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নজর রাখলেই স্পষ্টত বোঝা যাবে, কোল্ডপ্লে কনসার্টে অ্যাস্টোনমার সিইও-কে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন এ ধরনের সম্পর্ক উচ্চপদস্থ বা তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থের মধ্যে হয়, তখন সেটি কেবল ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না, বরং সংস্থা এবং অন্যান্য কর্মীর ওপরও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এমন সম্পর্ক সব সময় অবৈধ নয়—এই সত্য মানলেও জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য এ ধরনের সম্পর্ক একটি চ্যালেঞ্জিং কর্মপরিবেশ তৈরি করতে পারে।
এই ধরনের সম্পর্কে যে ঝুঁকিগুলো থাকতে পারে:
১. স্বার্থের সংঘাত
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন একজন বস এবং অধস্তন কর্মীর মধ্যে হয়, তখন সরাসরি স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে পারে। যেমন:
পক্ষপাতিত্ব: এমন সম্পর্ক পক্ষপাতিত্বের জন্ম দিতে পারে। বাস্তবে পক্ষপাতের কোনো উদাহরণ দেখা না গেলেও বাকি কর্মীদের মধ্যে ওই ধরনের একটি অনুভূতি বা ধারণা তৈরি করতে পারে। এর ফলে টিম স্পিরিট বা কর্মীদের কর্মস্পৃহা ব্যাহত হতে পারে এবং কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন বস তাঁর প্রেমিক/প্রেমিকাকে অন্যায়ভাবে পদোন্নতি বা সুবিধা দিতে পারেন। এমনটি ঘটলে অন্য কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব: এমনকি আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক না হলেও, সমপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের সম্পর্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যায্য আচরণের দিকে পরিচালিত করতে পারে। যেমন, একজন কর্মী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর ভুল এড়িয়ে যেতে পারেন।
২. উৎপাদনশীলতা হ্রাস
অফিস রোমান্স কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদের জন্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। এটি এক সময় চাপা ক্ষোভ থেকে বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হতে পারে।
মনোযোগে বিঘ্ন: অফিসে দুই সহকর্মীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা, গুজব এবং জল্পনা বাকি কর্মীদের মনোযোগ কাজের বাইরে সরিয়ে নিতে পারে। এর ফলে কাজের প্রতি তাঁদের মনোযোগ কমে যায়। এমনকি যারা সম্পর্কে আছেন তাঁদের মধ্যেও সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ, গুজব ও জল্পনার প্রভাব পড়তে পারে।
বিরূপ পরিবেশ: সম্পর্কে থাকা দুজনের মধ্যে সংঘাত বা বিচ্ছেদের পরে কর্মক্ষেত্রে একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এটি সামগ্রিক কাজের প্রবাহকে ব্যাহত করে।
কর্মদক্ষতা হ্রাস: প্রেমের সম্পর্কের নাটক বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বাকি কর্মীরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। ফলে তাঁদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। সম্পর্কে থাকা দুজনের জন্যও এটি প্রযোজ্য।
৩. আইনি ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক সংস্থাগুলোর জন্য গুরুতর আইনি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই কারণে দেখা যায়, অফিস রোমান্সের তথ্য ফাঁস হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় অনেক প্রতিষ্ঠান। এমনকি বিষয়টি গোপনে সমঝোতার চেষ্টাও কখনো কখনো হয়। সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ বাইরে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার ঝুঁকিও থাকে। ফলে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও পরবর্তীতে আইনি ঝুঁকি থেকে যায়।
যৌন হয়রানি: সম্পর্ক যদি সম্মতিমূলক না হয় বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পক্ষ চাপ অনুভব করেন, তাহলে সেটি যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা প্রায়শই সম্মতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ক্ষমতার অপব্যবহার: বিশেষ করে ইমিডিয়েট বস, তত্ত্বাবধায়ক বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে অধস্তন কর্মীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সম্মতি উৎপাদনের চেষ্টা করে থাকতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং অস্বস্তি সত্ত্বেও সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
বৈষম্য ও প্রতিশোধ: সম্পর্ক যদি খুব বাজেভাবে ভেঙে যায়, তখন এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্য বা প্রতিশোধের অভিযোগ আনতে পারে। যেমন, পদোন্নতি বা কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে অন্যায্য আচরণের অভিযোগ উঠতে পারে। যদিও অভিযোগ সত্য নাও হতে পারে।
নীতি লঙ্ঘন: অনেক সংস্থার অফিস রোমান্স সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতিমালা থাকে, বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নীতিমালা মেনে চলা হয়। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, এমনকি চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
৪. কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের অবনতি
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে গুজব এবং জল্পনা অন্য কর্মীদের জন্য একটি নেতিবাচক এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কর্মীরা ভাবতে পারেন যে, সম্পর্কের কারণে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমন ধারণা তাঁদের মধ্যে অবিশ্বাস ও বিভেদ তৈরি করে। একটি সম্পর্ক যখন ভেঙে যায়, তখন সেই পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রে অস্বস্তি, উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য সংঘাতের কারণ হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে কর্মীদের মনোবলকে প্রভাবিত করে।
৫. গোপনীয়তার উদ্বেগ
প্রেমের সম্পর্ক সাধারণত একটি ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্ক গোপন রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ ছাড়া এমন সম্পর্ক কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা আরও জটিল করে তুলতে পারে। অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
গুজব: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রবণতা সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। এমনকি সম্পর্ক গোপন রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই অত্যন্ত বিচক্ষণ হলেও এটি গোপন থাকে না।
ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাদারির মিশ্রণ: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাদারির সীমারেখাকে ধূসর করে দেয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
করপোরেট নীতিমালা
মূলত ওপরে বর্ণিত ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করেই, অনেক সংস্থা কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক নিরুৎসাহিত বা নিষিদ্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রাখে। বিশেষ করে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা রয়েছে এমন সম্পর্কে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। করপোরেট চর্চায় মনে করা হয়, এই নীতিমালা কর্মীদের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং একটি সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
সুতরাং বলা যায়, কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সব সময় অবৈধ না হলেও, এটি জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য সম্ভাব্য সমস্যার একটি জটিল জাল তৈরি করতে পারে। এ কারণেই প্রতিটি সংস্থা সাধারণত এ বিষয়ে লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে। কর্মীদের পেশাদারি বজায় রাখা এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও। সিইও যে নারীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন তিনি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে অ্যাস্ট্রোনমার। সিইওকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অ্যাস্ট্রোনমার প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি আমাদের পথ দেখিয়েছে, আমরা তার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নেতাদের কাছ থেকে আচরণ ও জবাবদিহির সর্বোচ্চ মান আশা করা হয়।’
সিইও-এর এমন আচরণের বিষয়ে তদন্ত করছে অ্যাস্টোনমার। তাঁর চাকরিও যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্কের জেরে চাকরি হারানো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা কম নয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, এখানে তাঁর অপরাধ কী? এখানে তো জবরদস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ধরনের সম্পর্কগুলো করপোরেট জগতে কেন এত নেতিবাচকভাবে দেখা হয়?
প্রকৃতপক্ষে কর্মক্ষেত্র শুধু পেশাদারির জায়গা নয়, এটি ব্যক্তিগত সম্পর্কেরও একটি ক্ষেত্র। সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু করপোরেট পরিবেশে এমন সম্পর্ক প্রায়শই নিরুৎসাহিত বা এমনকি নিষিদ্ধ করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নজর রাখলেই স্পষ্টত বোঝা যাবে, কোল্ডপ্লে কনসার্টে অ্যাস্টোনমার সিইও-কে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন এ ধরনের সম্পর্ক উচ্চপদস্থ বা তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থের মধ্যে হয়, তখন সেটি কেবল ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না, বরং সংস্থা এবং অন্যান্য কর্মীর ওপরও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এমন সম্পর্ক সব সময় অবৈধ নয়—এই সত্য মানলেও জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য এ ধরনের সম্পর্ক একটি চ্যালেঞ্জিং কর্মপরিবেশ তৈরি করতে পারে।
এই ধরনের সম্পর্কে যে ঝুঁকিগুলো থাকতে পারে:
১. স্বার্থের সংঘাত
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক, বিশেষ করে যখন একজন বস এবং অধস্তন কর্মীর মধ্যে হয়, তখন সরাসরি স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে পারে। যেমন:
পক্ষপাতিত্ব: এমন সম্পর্ক পক্ষপাতিত্বের জন্ম দিতে পারে। বাস্তবে পক্ষপাতের কোনো উদাহরণ দেখা না গেলেও বাকি কর্মীদের মধ্যে ওই ধরনের একটি অনুভূতি বা ধারণা তৈরি করতে পারে। এর ফলে টিম স্পিরিট বা কর্মীদের কর্মস্পৃহা ব্যাহত হতে পারে এবং কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন বস তাঁর প্রেমিক/প্রেমিকাকে অন্যায়ভাবে পদোন্নতি বা সুবিধা দিতে পারেন। এমনটি ঘটলে অন্য কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব: এমনকি আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক না হলেও, সমপর্যায়ের কর্মীদের মধ্যেও এ ধরনের সম্পর্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যায্য আচরণের দিকে পরিচালিত করতে পারে। যেমন, একজন কর্মী তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর ভুল এড়িয়ে যেতে পারেন।
২. উৎপাদনশীলতা হ্রাস
অফিস রোমান্স কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদের জন্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। এটি এক সময় চাপা ক্ষোভ থেকে বিশৃঙ্খলার দিকে ধাবিত হতে পারে।
মনোযোগে বিঘ্ন: অফিসে দুই সহকর্মীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা, গুজব এবং জল্পনা বাকি কর্মীদের মনোযোগ কাজের বাইরে সরিয়ে নিতে পারে। এর ফলে কাজের প্রতি তাঁদের মনোযোগ কমে যায়। এমনকি যারা সম্পর্কে আছেন তাঁদের মধ্যেও সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ, গুজব ও জল্পনার প্রভাব পড়তে পারে।
বিরূপ পরিবেশ: সম্পর্কে থাকা দুজনের মধ্যে সংঘাত বা বিচ্ছেদের পরে কর্মক্ষেত্রে একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এটি সামগ্রিক কাজের প্রবাহকে ব্যাহত করে।
কর্মদক্ষতা হ্রাস: প্রেমের সম্পর্কের নাটক বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বাকি কর্মীরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। ফলে তাঁদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। সম্পর্কে থাকা দুজনের জন্যও এটি প্রযোজ্য।
৩. আইনি ঝুঁকি
কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক সংস্থাগুলোর জন্য গুরুতর আইনি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই কারণে দেখা যায়, অফিস রোমান্সের তথ্য ফাঁস হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় অনেক প্রতিষ্ঠান। এমনকি বিষয়টি গোপনে সমঝোতার চেষ্টাও কখনো কখনো হয়। সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ বাইরে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার ঝুঁকিও থাকে। ফলে ব্যবস্থা নেওয়ার পরও পরবর্তীতে আইনি ঝুঁকি থেকে যায়।
যৌন হয়রানি: সম্পর্ক যদি সম্মতিমূলক না হয় বা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি পক্ষ চাপ অনুভব করেন, তাহলে সেটি যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা প্রায়শই সম্মতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ক্ষমতার অপব্যবহার: বিশেষ করে ইমিডিয়েট বস, তত্ত্বাবধায়ক বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে অধস্তন কর্মীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সম্মতি উৎপাদনের চেষ্টা করে থাকতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং অস্বস্তি সত্ত্বেও সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
বৈষম্য ও প্রতিশোধ: সম্পর্ক যদি খুব বাজেভাবে ভেঙে যায়, তখন এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্য বা প্রতিশোধের অভিযোগ আনতে পারে। যেমন, পদোন্নতি বা কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে অন্যায্য আচরণের অভিযোগ উঠতে পারে। যদিও অভিযোগ সত্য নাও হতে পারে।
নীতি লঙ্ঘন: অনেক সংস্থার অফিস রোমান্স সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিয়ম বা নীতিমালা থাকে, বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক এবং অধীনস্থদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নীতিমালা মেনে চলা হয়। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, এমনকি চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
৪. কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের অবনতি
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে গুজব এবং জল্পনা অন্য কর্মীদের জন্য একটি নেতিবাচক এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে। কর্মীরা ভাবতে পারেন যে, সম্পর্কের কারণে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এমন ধারণা তাঁদের মধ্যে অবিশ্বাস ও বিভেদ তৈরি করে। একটি সম্পর্ক যখন ভেঙে যায়, তখন সেই পরিস্থিতি কর্মক্ষেত্রে অস্বস্তি, উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য সংঘাতের কারণ হতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে কর্মীদের মনোবলকে প্রভাবিত করে।
৫. গোপনীয়তার উদ্বেগ
প্রেমের সম্পর্ক সাধারণত একটি ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের সম্পর্ক গোপন রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ ছাড়া এমন সম্পর্ক কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা আরও জটিল করে তুলতে পারে। অন্য সহকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে।
গুজব: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের প্রবণতা সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। এমনকি সম্পর্ক গোপন রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই অত্যন্ত বিচক্ষণ হলেও এটি গোপন থাকে না।
ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাদারির মিশ্রণ: কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাদারির সীমারেখাকে ধূসর করে দেয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
করপোরেট নীতিমালা
মূলত ওপরে বর্ণিত ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করেই, অনেক সংস্থা কর্মক্ষেত্রে সম্পর্ক নিরুৎসাহিত বা নিষিদ্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রাখে। বিশেষ করে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা রয়েছে এমন সম্পর্কে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। করপোরেট চর্চায় মনে করা হয়, এই নীতিমালা কর্মীদের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং একটি সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
সুতরাং বলা যায়, কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক সব সময় অবৈধ না হলেও, এটি জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থার জন্য সম্ভাব্য সমস্যার একটি জটিল জাল তৈরি করতে পারে। এ কারণেই প্রতিটি সংস্থা সাধারণত এ বিষয়ে লিখিত বা অলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে। কর্মীদের পেশাদারি বজায় রাখা এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়ো
১০ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেবেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেকোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
১৯ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
পদ: হিসাবরক্ষক, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বেতন: ৩০,০০০ টাকা।
পদ: অফিস ম্যানেজার, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বেতন: ৩০,০০০ টাকা।
পদ: ডেটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার অপারেটর, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বেতন: ৩০,০০০ টাকা।
পদ: অফিস সহায়ক, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বেতন: ২০,০০০ টাকা।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র ‘সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) ও অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ড. অলোকেশ কুমার ঘোষ’ বরাবর সরাসরি অথবা ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
পদ: হিসাবরক্ষক, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বেতন: ৩০,০০০ টাকা।
পদ: অফিস ম্যানেজার, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বেতন: ৩০,০০০ টাকা।
পদ: ডেটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার অপারেটর, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।
বেতন: ৩০,০০০ টাকা।
পদ: অফিস সহায়ক, ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বেতন: ২০,০০০ টাকা।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র ‘সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) ও অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ড. অলোকেশ কুমার ঘোষ’ বরাবর সরাসরি অথবা ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও।
১৯ জুলাই ২০২৫জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেবেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেকোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
১৯ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার।
পদ সংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বয়সসীমা: ৩২ বছর।
আবেদন ফি: ২২৩ টাকা।
বেতন: ২২,০০০–৫৩, ০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার।
পদ সংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।
বয়সসীমা: ৩২ বছর।
আবেদন ফি: ২২৩ টাকা।
বেতন: ২২,০০০–৫৩, ০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও।
১৯ জুলাই ২০২৫বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়ো
১০ ঘণ্টা আগেবেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেকোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
১৯ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মোট ২২ হাজার ৯৯৫ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।
পদগুলো হলো নিরাপত্তা সুপারভাইজার (মহিলা), নিরাপত্তা সুপারভাইজার (পুরুষ), নিরাপত্তা সুপারভাইজার, নিরাপত্তা অপারেটর, নিরাপত্তা অপারেটর (পুরুষ), নিরাপত্তা অপারেটর (মহিলা), সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ অক্টোবর বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর ৬টি পৃথক কেন্দ্রে এসব পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো কাওলার সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলক্ষেতের কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহীনবাগের সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুর্মিটোলার বিএএফ শাহীন কলেজ, নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এসব পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার সময়সূচি এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক সব প্রার্থীকে ইতিমধ্যে এসএমএস প্রদান করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মোট ২২ হাজার ৯৯৫ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।
পদগুলো হলো নিরাপত্তা সুপারভাইজার (মহিলা), নিরাপত্তা সুপারভাইজার (পুরুষ), নিরাপত্তা সুপারভাইজার, নিরাপত্তা অপারেটর, নিরাপত্তা অপারেটর (পুরুষ), নিরাপত্তা অপারেটর (মহিলা), সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ অক্টোবর বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর ৬টি পৃথক কেন্দ্রে এসব পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো কাওলার সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলক্ষেতের কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহীনবাগের সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুর্মিটোলার বিএএফ শাহীন কলেজ, নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এসব পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার সময়সূচি এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক সব প্রার্থীকে ইতিমধ্যে এসএমএস প্রদান করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও।
১৯ জুলাই ২০২৫বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়ো
১০ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেকোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
১৯ ঘণ্টা আগেএম এম মুজাহিদ উদ্দীন
কোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করু
কোনো কাজ শুরু করার আগে সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। কত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে, তা আগে থেকে জানা থাকলে কাজে গতি বাড়ে। সময়সীমা বেঁধে দিলে মন অবচেতনভাবে একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ করার তাগিদ অনুভব করে। তবে মনে রাখতে হবে, কাজের মধ্যে বারবার ঘড়ি দেখা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।
কাজের তালিকা আগেই তৈরি করুন
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, তা আগেই ঠিক করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তালিকার প্রথম দিকে রাখুন। এরপর ক্রমানুসারে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো। এতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ পড়বে না, কাজের গতি বজায় থাকবে এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। যদি আগের দিন তালিকা তৈরি করা না যায়, তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গুরুত্ব অনুযায়ী কাজের তালিকা তৈরি করুন এবং প্রতিটি কাজের আনুমানিক সময় লিখে রাখুন। এতে কাজের প্রতি মনোযোগ ও নিয়মানুবর্তিতা দুটোই বৃদ্ধি পায়।
কাজের মাঝখানে ছোট বিরতি নিন
একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে মনোযোগ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৪-৫ মিনিটের বিরতি নিন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন, চা-পান করুন বা হালকা নাশতা করতে পারেন। জানালার পাশে গিয়ে কিছুক্ষণ তাজা বাতাস নিন। এতে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকবে, ফলে কাজে মনোযোগও বৃদ্ধি পাবে।
একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়
অনেকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করেন, ফলে কোনো কাজই ঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। মানুষের মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতো একসঙ্গে একাধিক কাজ সামলাতে পারে না। তাই যে কাজটি করছেন, তাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। কাজটি শেষ হলে তবেই অন্য কাজে হাত দিন।
কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন
যেমনভাবে ভালো পরিবেশে সন্তান বেড়ে ওঠে, তেমনি ভালো পরিবেশে কাজও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। কাজের সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দূরে সরিয়ে রাখুন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কাছে রাখুন। একটি শান্ত ও পরিপাটি পরিবেশ মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কাজের সময় ঘন ঘন ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা ইমো ব্যবহার করলে মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটে। তাই কাজের সময় এসব মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্মার্টফোনটিও কিছুটা দূরে রাখুন, যাতে নোটিফিকেশন দেখে মনোযোগ নষ্ট না হয়।
কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজুন
যেকোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা জরুরি। ভাবুন, কাজটি কেন করছেন, এর সুফল কী, কাজটি শেষ হলে আপনি কী অর্জন করবেন। এ চিন্তাগুলো কাজের প্রতি আগ্রহ ও উদ্যম বাড়ায়। অনুপ্রেরণা থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়।
শরীর সুস্থ রাখুন
সুস্থ শরীরই সুখী হওয়ার অন্যতম নিয়ামক। শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কাজে মন বসে না। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দেহ ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। আর মন ঠিক থাকলে মনোযোগও অটুট থাকে।
নিয়মিত সৃষ্টিকর্তাতে স্মরণ করুন
আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হোন না কেন, প্রতিদিন প্রার্থনা করুন। প্রার্থনা মনকে শান্ত ও সতেজ রাখে।
মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন
মনোযোগী মনই আপনাকে সফল ও সুন্দর মানুষে পরিণত করবে। আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন, সাফল্য আপনার নাগালেই থাকবে।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখা একদিনের অভ্যাস নয়। এটি নিয়মিত অনুশীলন ও সচেতনতার ফল। ছোট ছোট পরিবর্তন যেমন সময়সীমা নির্ধারণ, কাজের তালিকা তৈরি, বিরতি নেওয়া বা সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকা মনোযোগ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা, অনুপ্রেরণায় ভরপুর থাকা এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা মনকে স্থির ও ইতিবাচক করে তোলে। মনে রাখুন, মনোযোগই সাফল্যের প্রথম ধাপ। মনোযোগীভাবে কাজ শুরু করুন, সাফল্য স্বাভাবিকভাবেই আপনার পথে আসবে।
কোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করু
কোনো কাজ শুরু করার আগে সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। কত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে, তা আগে থেকে জানা থাকলে কাজে গতি বাড়ে। সময়সীমা বেঁধে দিলে মন অবচেতনভাবে একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ করার তাগিদ অনুভব করে। তবে মনে রাখতে হবে, কাজের মধ্যে বারবার ঘড়ি দেখা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।
কাজের তালিকা আগেই তৈরি করুন
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, তা আগেই ঠিক করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তালিকার প্রথম দিকে রাখুন। এরপর ক্রমানুসারে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো। এতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ পড়বে না, কাজের গতি বজায় থাকবে এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। যদি আগের দিন তালিকা তৈরি করা না যায়, তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গুরুত্ব অনুযায়ী কাজের তালিকা তৈরি করুন এবং প্রতিটি কাজের আনুমানিক সময় লিখে রাখুন। এতে কাজের প্রতি মনোযোগ ও নিয়মানুবর্তিতা দুটোই বৃদ্ধি পায়।
কাজের মাঝখানে ছোট বিরতি নিন
একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে মনোযোগ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৪-৫ মিনিটের বিরতি নিন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন, চা-পান করুন বা হালকা নাশতা করতে পারেন। জানালার পাশে গিয়ে কিছুক্ষণ তাজা বাতাস নিন। এতে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকবে, ফলে কাজে মনোযোগও বৃদ্ধি পাবে।
একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়
অনেকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করেন, ফলে কোনো কাজই ঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। মানুষের মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতো একসঙ্গে একাধিক কাজ সামলাতে পারে না। তাই যে কাজটি করছেন, তাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। কাজটি শেষ হলে তবেই অন্য কাজে হাত দিন।
কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন
যেমনভাবে ভালো পরিবেশে সন্তান বেড়ে ওঠে, তেমনি ভালো পরিবেশে কাজও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। কাজের সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দূরে সরিয়ে রাখুন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কাছে রাখুন। একটি শান্ত ও পরিপাটি পরিবেশ মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কাজের সময় ঘন ঘন ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা ইমো ব্যবহার করলে মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটে। তাই কাজের সময় এসব মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্মার্টফোনটিও কিছুটা দূরে রাখুন, যাতে নোটিফিকেশন দেখে মনোযোগ নষ্ট না হয়।
কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজুন
যেকোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা জরুরি। ভাবুন, কাজটি কেন করছেন, এর সুফল কী, কাজটি শেষ হলে আপনি কী অর্জন করবেন। এ চিন্তাগুলো কাজের প্রতি আগ্রহ ও উদ্যম বাড়ায়। অনুপ্রেরণা থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়।
শরীর সুস্থ রাখুন
সুস্থ শরীরই সুখী হওয়ার অন্যতম নিয়ামক। শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কাজে মন বসে না। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দেহ ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। আর মন ঠিক থাকলে মনোযোগও অটুট থাকে।
নিয়মিত সৃষ্টিকর্তাতে স্মরণ করুন
আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হোন না কেন, প্রতিদিন প্রার্থনা করুন। প্রার্থনা মনকে শান্ত ও সতেজ রাখে।
মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন
মনোযোগী মনই আপনাকে সফল ও সুন্দর মানুষে পরিণত করবে। আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন, সাফল্য আপনার নাগালেই থাকবে।
কাজে মনোযোগ ধরে রাখা একদিনের অভ্যাস নয়। এটি নিয়মিত অনুশীলন ও সচেতনতার ফল। ছোট ছোট পরিবর্তন যেমন সময়সীমা নির্ধারণ, কাজের তালিকা তৈরি, বিরতি নেওয়া বা সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকা মনোযোগ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা, অনুপ্রেরণায় ভরপুর থাকা এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা মনকে স্থির ও ইতিবাচক করে তোলে। মনে রাখুন, মনোযোগই সাফল্যের প্রথম ধাপ। মনোযোগীভাবে কাজ শুরু করুন, সাফল্য স্বাভাবিকভাবেই আপনার পথে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লে-এর একটি কনসার্টে সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে দুলছিলেন মার্কিন কোম্পানি অ্যাস্টোনমার-এর সিইও। বিশাল স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখেছে হাজার হাজার দর্শক। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সেই ভিডিও।
১৯ জুলাই ২০২৫বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়ো
১০ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেবেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে