Ajker Patrika

বিসিএস খাদ্য ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা

বিসিএস খাদ্য ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা

বিসিএস চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে খাদ্য ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত হয়তো জানেন না। খাদ্য ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা ও প্রমোশন নিয়ে ৪০তম বিসিএস খাদ্য ক্যাডারে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী অনিক পালের (অন্তু) কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

বর্তমানে বিসিএস খাদ্য ক্যাডারে দুই রকম ক্যাডার রয়েছে। বিসিএস খাদ্য (জেনারেল) ও বিসিএস খাদ্য (টেকনিক্যাল)। 

বিসিএস খাদ্য (জেনারেল) 
পদায়ন: বিসিএস খাদ্য (জেনারেল) ক্যাডারে নির্বাচিত হলে আপনাকে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে খাদ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হবে। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে যেকোনো জেলায় পোস্টিং দেওয়া হবে। একজন সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাধারণত ‘এ’ গ্রেডে পোস্টিং পেয়ে থাকেন। 

পদক্রম

  • মাঠপর্যায়: Assistant Controller of Food (AC Food) > District Controller of Food (DC Food) > Regional Controller of Food Director > Additional Director General > Director General.
  • খাদ্য ভবন: Assistant Director > Deputy Director > Additional Director > Director > Additional Director General > Director General

দায়িত্ব
একজন এসি ফুড বা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মূল কাজ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা ডিসি ফুডকে সহায়তা করা। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন ধান, চাল, গম ইত্যাদি সংগ্রহ করে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখা, বিদেশ থেকে নানা ধরনের খাদ্য আমদানি করা, সরকারি খাদ্যগুদাম নির্মাণ ও মজুত রাখা, ওএমএস, টিসিবি, ভিজিএফ, ভিজিডি, কাবিখা, টিআর, ভিআর, রেশনিং ইত্যাদি খাতে সুলভ মূল্যে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিক্রি, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখাসহ আরও অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এসি ফুড মূলত ডিসি ফুডকে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করেন। 

সুবিধা-অসুবিধা
খাদ্য ভবনে পোস্টিং হলে যাতায়াতের জন্য মাইক্রোবাসের সুবিধা পাবেন। জেলা পর্যায়ে পোস্টিং হলে এক-দেড় বছরের মধ্যে সাধারণত কোনো জেলার ডিসি ফুডের (গ্রেড ৬) চলতি দায়িত্ব পেয়ে যাবেন। কাজের প্রেশার এখানে মোটামুটি, ছুটিছাটা পাবেন ভালো। তখন ব্যক্তিগত গাড়ি সুবিধা পাবেন। যেসব জেলায় বাংলো আছে, সেখানে পোস্টিং পেলে বাংলোর সুবিধাও পাবেন। পদোন্নতি ভালো। গ্রেড ৩ বা ২ পর্যন্ত অনায়াসে যাওয়া যায়। ক্যারিয়ারের শীর্ষে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যা একটি গ্রেড ১ পদে যাওয়ার সুযোগও আছে। ঝামেলাহীন জীবন, নিয়মিত প্রমোশন, ভালো লজিস্টিক সাপোর্ট পেতে চাইলে খুব পছন্দের দু-তিনটি ক্যাডারের পরে চোখ বন্ধ করে এই ক্যাডার আপনার চয়েজ লিস্টে রাখতে পারেন। 

শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ বছর মেয়াদি যেকোনো বিষয়ে ডিগ্রি। 

প্রশিক্ষণ
যোগদানের পর খাদ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ক্যাডারদের বিভাগীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। চাকরিকালে একজন কর্মকর্তা দেশের ভেতরে ও বাইরে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া সরকারি বৃত্তি নিয়ে দেশ-বিদেশে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করার সুযোগও আছে। 

বেতন ও ভাতা
জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে সব ক্যাডারের কর্মকর্তা ৯ম গ্রেডে ২২,০০০ টাকা মূল বেতনে চাকরিজীবন শুরু করে থাকেন। যোগদানের সময় একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর মূল বেতন হয় ২৩,১০০ টাকা। এ ছাড়া মূল বেতনের নির্দিষ্ট হারে বাড়িভাড়া (জেলা শহরে ৪০ শতাংশ, অন্য বিভাগে ৪৫ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে ৫০ শতাংশ), ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা, ঈদ/পূজায় উৎসব ভাতা, বৈশাখে নববর্ষ ভাতা, সরকারি দায়িত্ব ও যাতায়াতের জন্য টিএ/ডিএ ভাতাসহ সরকারি সব আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। 

বিসিএস খাদ্য (টেকনিক্যাল)
পদায়ন: বিসিএস খাদ্য (টেকনিক্যাল) ক্যাডারে আপনাকে সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী বা অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে খাদ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হবে। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে সাইলোতে বা খাদ্য ভবনে পদায়ন করা হবে। 

পদক্রম

  • সাইলো: Assistant Maintenance Engineer > Maintenance Engineer > Silo Superintendent > Director > Additional Director General > Director General
  • খাদ্য ভবন: Assistant Director > Deputy Director > Additional Director > Director > Additional Director General > Director General. 

দায়িত্ব
সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী বা অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মূলত সরকারি গম সংরক্ষণাগার বা সাইলোতে কাজ করেন। সাইলোর প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক কার্যাবলি সম্পাদন করেন, সাইলোর যন্ত্রাংশে কোনো ধরনের সমস্যা হলে তা সমাধান করেন। আর যদি খাদ্য ভবনে পদায়ন হয়, তাহলে খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন। 

সুবিধা-অসুবিধা
খাদ্য ভবনে পোস্টিং হলে যাতায়াতের জন্য মাইক্রোবাসের সুবিধা পাবেন। সাইলোতে পদায়ন হলে আবাসন সুবিধা পাবেন, তবে গাড়ি সুবিধা পাবেন না। সাইলো সুপার হলে গাড়ি পাওয়া যায়। কাজের প্রেশার এখানে মোটামুটি, ছুটিছাটা পাবেন ভালো। পদোন্নতি মোটামুটি ভালো। সাধারণত গ্রেড ৩ পর্যন্ত অনায়াসে যাওয়া যায়। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড ১) এ যাওয়ার সুযোগও আছে। সাইলো এবং খাদ্য অধিদপ্তরের বাইরে সাধারণত পদায়ন হয় না বিধায় নিজ এলাকায় থাকার সুযোগ কম। 

শিক্ষাগত যোগ্যতা
কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রকৌশলে বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। 

প্রশিক্ষণ
যোগদানের পর খাদ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ক্যাডারদের বিভাগীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। চাকরিকালে একজন কর্মকর্তা দেশের ভেতরে ও বাইরে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া সরকারি বৃত্তি নিয়ে দেশ-বিদেশে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার সুযোগও আছে। 

বেতন ও ভাতা
যোগদানের সময় ২২,০০০ টাকা মূল বেতনের সঙ্গে দুটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট যোগ হওয়ার ফলে মূল বেতন হয় ২৪,২৬০ টাকা। মূল বেতনের সঙ্গে নির্দিষ্ট হারে বাড়িভাড়া (জেলা শহরে ৪০ শতাংশ, অন্যান্য বিভাগে ৪৫ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে ৫০ শতাংশ), ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়ক ভাতা, ঈদ/পূজায় উৎসব ভাতা, বৈশাখে নববর্ষ ভাতা, সরকারি দায়িত্ব ও যাতায়াতের জন্য টিএ/ডিএ ভাতাসহ সরকারি সব আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রজেক্টের আওতাধীন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব-প্রজেক্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (প্রজেক্ট মেয়াদকালীন) ৪টি শূন্য পদে ৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৩ অক্টোবর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদ: হিসাবরক্ষক, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ৩০,০০০ টাকা।

পদ: অফিস ম্যানেজার, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ৩০,০০০ টাকা।

পদ: ডেটা এন্ট্রি বা কম্পিউটার অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে।

বেতন: ৩০,০০০ টাকা।

পদ: অফিস সহায়ক, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ২০,০০০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র ‘সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার, হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) ও অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ড. অলোকেশ কুমার ঘোষ’ বরাবর সরাসরি অথবা ডাকযোগে পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে চাকরি, বেতন নবম গ্রেডে

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার।

পদ সংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বয়সসীমা: ৩২ বছর।

আবেদন ফি: ২২৩ টাকা।

বেতন: ২২,০০০–৫৩, ০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেবিচকের ৭ পদের পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর, প্রার্থী ২২৯৯৫

চাকরি ডেস্ক 
বেবিচকের ৭ পদের পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর, প্রার্থী ২২৯৯৫

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মোট ২২ হাজার ৯৯৫ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

পদগুলো হলো নিরাপত্তা সুপারভাইজার (মহিলা), নিরাপত্তা সুপারভাইজার (পুরুষ), নিরাপত্তা সুপারভাইজার, নিরাপত্তা অপারেটর, নিরাপত্তা অপারেটর (পুরুষ), নিরাপত্তা অপারেটর (মহিলা), সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ অক্টোবর বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর ৬টি পৃথক কেন্দ্রে এসব পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো কাওলার সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলক্ষেতের কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহীনবাগের সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুর্মিটোলার বিএএফ শাহীন কলেজ, নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এসব পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার সময়সূচি এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক সব প্রার্থীকে ইতিমধ্যে এসএমএস প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাজে মনোযোগ বাড়ানোর ১০ উপায়

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করু
কোনো কাজ শুরু করার আগে সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। কত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে, তা আগে থেকে জানা থাকলে কাজে গতি বাড়ে। সময়সীমা বেঁধে দিলে মন অবচেতনভাবে একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ করার তাগিদ অনুভব করে। তবে মনে রাখতে হবে, কাজের মধ্যে বারবার ঘড়ি দেখা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।

কাজের তালিকা আগেই তৈরি করুন
আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, তা আগেই ঠিক করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তালিকার প্রথম দিকে রাখুন। এরপর ক্রমানুসারে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো। এতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ পড়বে না, কাজের গতি বজায় থাকবে এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। যদি আগের দিন তালিকা তৈরি করা না যায়, তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গুরুত্ব অনুযায়ী কাজের তালিকা তৈরি করুন এবং প্রতিটি কাজের আনুমানিক সময় লিখে রাখুন। এতে কাজের প্রতি মনোযোগ ও নিয়মানুবর্তিতা দুটোই বৃদ্ধি পায়।

কাজের মাঝখানে ছোট বিরতি নিন
একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে মনোযোগ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৪-৫ মিনিটের বিরতি নিন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন, চা-পান করুন বা হালকা নাশতা করতে পারেন। জানালার পাশে গিয়ে কিছুক্ষণ তাজা বাতাস নিন। এতে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকবে, ফলে কাজে মনোযোগও বৃদ্ধি পাবে।

একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়
অনেকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করেন, ফলে কোনো কাজই ঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। মানুষের মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতো একসঙ্গে একাধিক কাজ সামলাতে পারে না। তাই যে কাজটি করছেন, তাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। কাজটি শেষ হলে তবেই অন্য কাজে হাত দিন।

কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন
যেমনভাবে ভালো পরিবেশে সন্তান বেড়ে ওঠে, তেমনি ভালো পরিবেশে কাজও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। কাজের সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দূরে সরিয়ে রাখুন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কাছে রাখুন। একটি শান্ত ও পরিপাটি পরিবেশ মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কাজের সময় ঘন ঘন ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা ইমো ব্যবহার করলে মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটে। তাই কাজের সময় এসব মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্মার্টফোনটিও কিছুটা দূরে রাখুন, যাতে নোটিফিকেশন দেখে মনোযোগ নষ্ট না হয়।

কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজুন
যেকোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা জরুরি। ভাবুন, কাজটি কেন করছেন, এর সুফল কী, কাজটি শেষ হলে আপনি কী অর্জন করবেন। এ চিন্তাগুলো কাজের প্রতি আগ্রহ ও উদ্যম বাড়ায়। অনুপ্রেরণা থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়।

শরীর সুস্থ রাখুন
সুস্থ শরীরই সুখী হওয়ার অন্যতম নিয়ামক। শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কাজে মন বসে না। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দেহ ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। আর মন ঠিক থাকলে মনোযোগও অটুট থাকে।

নিয়মিত সৃষ্টিকর্তাতে স্মরণ করুন
আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হোন না কেন, প্রতিদিন প্রার্থনা করুন। প্রার্থনা মনকে শান্ত ও সতেজ রাখে।

মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন
মনোযোগী মনই আপনাকে সফল ও সুন্দর মানুষে পরিণত করবে। আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন, সাফল্য আপনার নাগালেই থাকবে।

কাজে মনোযোগ ধরে রাখা একদিনের অভ্যাস নয়। এটি নিয়মিত অনুশীলন ও সচেতনতার ফল। ছোট ছোট পরিবর্তন যেমন সময়সীমা নির্ধারণ, কাজের তালিকা তৈরি, বিরতি নেওয়া বা সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকা মনোযোগ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা, অনুপ্রেরণায় ভরপুর থাকা এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা মনকে স্থির ও ইতিবাচক করে তোলে। মনে রাখুন, মনোযোগই সাফল্যের প্রথম ধাপ। মনোযোগীভাবে কাজ শুরু করুন, সাফল্য স্বাভাবিকভাবেই আপনার পথে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত