Ajker Patrika

সঠিক প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত জেনারেশন জেড

গোলাম ওয়াদুদ, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২২, ১২: ২৫
সঠিক প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত জেনারেশন জেড

তাসনুভা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।  বেশ কয়েক বছর কাজ করেও তিনি তাঁর ন্যায্য পাওনা পাচ্ছিলেন না। ভেবেছিলেন এটাই তাঁর জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ। কিন্তু দিন যত যাচ্ছিল, তাঁর মধ্যে ততই হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম হচ্ছিল। একদিকে অপ্রাপ্তি, অন্যদিকে ক্রমবর্ধিত চাহিদা—এ দুই মিলে তাঁকে ক্লান্ত করে তোলে। মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অপ্রাপ্তি ও উচ্চ আকাঙ্ক্ষাই তাঁর অসুস্থতার কারণ। একপর্যায়ে পছন্দের সেই চাকরি ছেড়ে দেন তাসনুভা। যোগ দেন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে, যেখানে তিনি চাহিদামতো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু পছন্দের কাজ ছেড়ে আসাটা একটা অস্বস্তি হয়ে রয়েছে এখনো।

এমন বাস্তবতায় কিন্তু তাসনুভার একার বাস নয়। ‘জেনারেশন জেড’ হিসেবে পরিচিত তরুণ কর্মীদের অনেকেরই বাস্তবতা এমন। তারা চায় একটি মানসম্মত কর্মসংস্থান, যেখানে থাকবে কর্মজীবনের ভারসাম্য, ন্যায্য বেতন ও মানসম্মত কর্মপরিবেশ। এর কোনোটি তাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে কর্মক্ষেত্র বদলের দিকে এগিয়ে যান তাঁরা। চাকরি সম্পর্কিত মার্কিন ওয়েবসাইট ক্যারিয়ার বিল্ডার্স ২০২২ সালে এ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। তারা বলছে, সামগ্রিকভাবে নতুন প্রজন্মের কর্মীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো উচ্চ বেতন। যারা এখনো চাকরিতে প্রবেশ করেনি, তাদেরও অগ্রাধিকার তালিকায় এটিই রয়েছে।

কথা হলো এই জেনারেশন জেড আসলে কারা? যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তাদের বর্তমান প্রজন্মের চাকরিপ্রার্থী বলা হচ্ছে। একসঙ্গে এদের বলা হয় জেনারেশন জেড। ক্যারিয়ার বিল্ডার্স পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা যায়, এই প্রজন্মের কর্মীরা বয়স্ক কর্মীদের অলসতা, সময়ের অপচয়, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দেখে কর্মক্ষেত্র থেকে আরও বেশি বেতন দাবি করছেন। শুধু তাই নয়, কর্মপরিবেশ নিয়েও তাঁরা বেশ খুঁতখুঁতে। এ ছাড়া নিজেদের জন্য সময় রাখতে চান তাঁরা। পুরো সময় কর্মক্ষেত্রে দিয়ে দেওয়াটা তাঁরা অপছন্দ করেন।

জেনারেশন জেডের এই দাবিগুলো মিলেনিয়ালস জেনারেশনেরও পছন্দের তালিকায় ছিল। মিলেনিয়ালস বলতে ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্ম হওয়া প্রজন্মকে বোঝানো হয়। সহস্রাব্দ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় উচ্চ বেতন, মানসম্মত কর্মপরিবেশ, অবকাশ ইত্যাদি থাকলেও তারা এ বিষয়গুলোতে সেভাবে জোর দেয়নি, যতটা দিচ্ছে এখনকার জেনারেশন জেড।

জেনারেশন জেডের এই চাহিদাপত্র দেখে মনে হতে পারে, কর্মক্ষেত্রর কাছ থেকে তারা কাজের তুলনায় বেশি দাবি করছে। কিন্তু এই ধারণা ধোপে টেকে না, যখন জানা যায়, এই প্রজন্মই সঠিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ শ্রম দিতে প্রস্তুত। কোনো প্রতিষ্ঠান বা নিয়োগকর্তা তাদের চাহিদা পূরণ করলে তাদের জন্য তারা সর্বোচ্চটুকু দিতে প্রস্তুত। কিন্তু এর অন্যথা হলে চাকরি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত তারা বেশ দ্রুত নেয়। অর্থাৎ, অপ্রাপ্তিকে প্রাপ্তিতে পরিণত করতে প্রতিষ্ঠানকে তারা বেশি সময় দিতে রাজি নয়।

এটা সত্য যে এই প্রজন্ম আর্থিক দিক থেকে বেশ উচ্চাভিলাষী। এ বিষয়ে আরেক মার্কিন নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম রিপলম্যাচ ২০২০ সালে বিভিন্ন কলেজ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে সমীক্ষা করে। সেখানে প্রার্থীরা বলেছে, চাকরির অফারগুলো মূল্যায়নের সময় তারা অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপরই বেশি গুরুত্ব দেয়।

সহস্রাব্দ প্রজন্মের তুলনায় জেনারেশন জেড বেশ কিছু জায়গায় আলাদা। পেশাদার পরিষেবা নেটওয়ার্ক পিডব্লিউসি ২০১১ সালে বিশ্বব্যাপী সমীক্ষা চালায়। সেখানে দেখা যায়, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশকারী মিলেনিয়ালস জেনারেশন আর্থিক পুরস্কারের চেয়ে ক্যারিয়ারের অগ্রগতি এবং ব্যক্তিগত বিকাশকে বেশি মূল্য দেয়। তারা এমন প্রতিষ্ঠানের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হয়েছিল, যারা তাদের পছন্দের জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।

এ বিষয়ে ক্যারিয়ার বিল্ডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুসান আর্থার বিবিসিকে বলেছেন, ‘বেতন বা মজুরি এখন সবচেয়ে বেশি ফোকাসে আছে। জেনারেশন জেডের কর্মীবাহিনী এমন এক অর্থনৈতিক পরিসরে প্রবেশ করছে, যা আগের চেয়ে খুব আলাদা। এই সময়ে তরুণ কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পরপরই ভীষণ চাপের মধ্যে থাকে। বিশেষত আর্থিকভাবে তাদের বেশ লড়াই করতে হয়। কারণ, তাদের এমন এক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় থাকতে হয়, যেখানে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি প্রতিনিয়তই তাদের বেতনকে ছাড়িয়ে যায়।’

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি প্রায় সবার জন্যই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে। সময়ের সঙ্গে এটি আরও তীব্র হচ্ছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বর্তমানের রাজনৈতিক অস্থিরতা। বিশেষত, ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের বাজার ব্যবস্থায় পড়া প্রভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এ অবস্থায় জেনারেশন জেড তাদের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আগের চেয়ে বেশি রক্ষণশীল হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের সামনে রয়েছে কর্মক্ষেত্রের অনিশ্চয়তার প্রমাণ। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেশন জেডের অনেকেই তাদের বয়োজ্যেষ্ঠ বা পরিবারের কোনো সদস্যকে মহামারির সময়ে চাকরি হারাতে বা তাদের বেতন কাটা পড়তে দেখেছেন।

লন্ডনভিত্তিক মনোবিজ্ঞানী এবং কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা বিষয়ক পরামর্শদাতা এলিজাবেথ মিশেল বিবিসিকে বলেন, ‘এই প্রজন্ম পুরোনো প্রজন্মকে একাধিক মন্দার মধ্য দিয়ে যেতে এবং বিপুল পরিমাণ ঋণের চাপে শেষ হয়ে যেতে দেখেছে। জেনারেশন জেড এসব দেখে ভেবে নিয়েছে যে, এটা তার জন্য নয়। এমন অনিশ্চয়তায় তারা পড়তে রাজি নয়।’

তবে শুধু বেতন হলেই যে জেনারেশন জেড বর্তে যায়, এমন নয়। তারা চায়, কর্মক্ষেত্র তাদের জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করবে না। মানসিক শান্তি, নিরাপত্তা ইত্যাদিকে তারা কর্মক্ষেত্রের অবিচ্ছেদ্য উপাদান হিসেবে মনে করে। একই সঙ্গে নিজের পছন্দের ক্ষেত্রেই ক্যারিয়ার গড়তে তারা সর্বোচ্চটুকু দিতে চায়। এ সম্পর্কিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মজীবনের ভারসাম্য, মানসিক স্বাস্থ্য সুবিধা, বৈচিত্র্য, ভালো কর্মপরিবেশ তাদের চাহিদার ওপরের দিকেই আছে।

কর্মক্ষেত্র বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ সংস্থা ট্যালেন্টএলএমএস ২০২২ সালে জেনারেশন জেডের ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো পরিবেশ চান এই প্রজন্মের ৮২ শতাংশ কর্মী। আর কোম্পানির বৈচিত্র্য, ইক্যুয়িটি ও অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ৭৭ শতাংশ কর্মী। এগুলো না পেলে চাকরি ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে ৭৪ শতাংশ কর্মী। অসন্তোষজনক বেতনের পর কর্মজীবনে ভারসাম্যের অভাবই এই ৭৪ শতাংশের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার এক নম্বর কারণ।

মিলেনিয়ালস জেনারেশনও ভালো কর্মপরিবেশ ও কাজের বাইরে বেশি সময় চেয়েছিল। কিন্তু তারা ভালো কোম্পানিগুলোর জন্য ছাড় দিতে রাজি ছিল। কাজের জন্য মর্যাদাপূর্ণ স্থানই তাদের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছিল। ২০০৮ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, যেসব প্রতিষ্ঠান সহস্রাব্দ প্রজন্মের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে, সেগুলো ছেড়ে দিতে চেয়েছিল সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৬ শতাংশ কর্মী। কিন্তু ২০১১ সালে এসে দেখা গেল এই সংখ্যা ৫৬ শতাংশে নেমে আসে।প্রতীকী ছবি 

এটি অবশ্য একটি নিয়মিত বিষয়ই। সাধারণত চাকরির বাজারে নতুন প্রবেশ করা প্রজন্ম নিজের উচ্চাশাকে সবার আগে স্থান দেয়। তরুণ বয়সে একের পর এক চাকরি বদল নিয়মিত ঘটনাই। সময়ের সঙ্গে একেকটি প্রজন্মের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা কমে আসে। ভোক্তা আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ব্যাংকরেটের ২০২১ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জেড প্রজন্মের ৭৭ শতাংশ কর্মী নতুন চাকরির সন্ধান করছে। একই পর্যায়ে ২০১১ সালে মিলেনিয়ালস প্রজন্মের ৩৮ শতাংশ সুযোগের সন্ধান করছিলেন। অবশ্য চাকরির বাজারে প্রবেশের পর এখনো যথেষ্ট সময় পার করেনি জেনারেশন জেড।

কথা হলো চাকরি ছেড়ে দিয়ে, বা নতুন কোনো কর্মক্ষেত্রের দিকে যারা যাত্রা করছেন, তাঁরা কি আগের চেয়ে ভালো মজুরি পাচ্ছেন? এ প্রশ্নের উত্তরটি বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস দেখেছে, যারা চাকরিতে আছেন, তাদের চেয়ে যারা ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ মজুরি পাচ্ছেন।

নতুন প্রজন্মের এই উচ্চাভিলাষ বা ক্যারিয়ার নিয়ে এই সচেতনতাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যাথলিন গারসন। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘একটি ডিজিটাল বিশ্বে জন্ম নিয়ে তারা সামাজিক ন্যায়বিচার, পরিবেশ আন্দোলন ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নতুন আবিষ্কৃত কাজের ক্ষেত্র নিয়ে বেশ সচেতন। এদিকে নিয়োগকর্তা ও কর্মীদের মধ্যে আস্থা ও আনুগত্য হ্রাস পেয়েছে। জেনারেশন জেড এই নিরাপত্তাহীনতাকেই হাতিয়ার করেছে। আসলে নিয়োগকর্তারা আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এটা সত্য যে, জেনারেশন জেড বড় অস্থির সময়ে কাজে যোগ দিচ্ছে। তারা নিজের পছন্দের কাজের জন্য উপযুক্ত মজুরি, সম্মান ও কাজের বাইরে অবসর চায়।’

কিন্তু শ্রমবাজারের পরিস্থিতি এর অনুকূলে পুরোপুরি নেই বলে উল্লেখ করেছেন গারসন। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জেনারেশন জেডের ওপরও তিনি আস্থাশীল। তিনি বলছেন, এই প্রজন্মকে খুব অল্পে হতাশ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে আশাবাদী। আশাবাদী এই প্রজন্ম ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের অনুঘটক হবে বলেও মনে করেন তিনি।

একইভাবে আশাবাদী তরুণ ব্রিটিশ উদ্যোক্তা বেথ কেনেডিও। সপ্তাহে চার দিন কাজ ও বাকি তিন দিন ছুটি দিতে আগ্রহী কেনেডি এ প্রজন্মকে চিন্তাশীল, সহানুভূতিশীল ও পরিশ্রমী বলে মনে করেন। এই প্রজন্ম প্রতিষ্ঠানের কোনো নীতি বা আচরণের সঙ্গে একমত না হলে সরাসরি সেই বিষয় তুলে ধরেন জানিয়ে কেনেডি বলেন, ‘জেনারেশন জেডের চাহিদা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কিছু বদল এনেছি। সাফল্যও এসেছে।’

জেনারেশন জেড কাজকে অর্থবহ করে তুলতে চায়। এই প্রজন্ম চায়, তাদের সব চাওয়া প্রতিষ্ঠান মেনে নিক, আর তারা বিনিময়ে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করবে। কাজের পর যেন তারা নিজেকে সময় দিতে পারে, তেমন নিশ্চয়তাও তারা চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মী নেবে সজীব গ্রুপ, ৩৫ বছরেও করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
কর্মী নেবে সজীব গ্রুপ, ৩৫ বছরেও করা যাবে আবেদন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান সজীব গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৭ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: জোনাল সেলস ইনচার্জ, জেডএসআই (ফুড অ্যান্ড বেভারেজ)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ অথবা এমবিএ।

অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ০২ থেকে ০৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম।

প্রার্থীর ধরন: আগ্রহী নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

বয়সসীমা: ২৫–৩৫ বছর।

কর্মস্থল: বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অফিসার পদে নিয়োগ দেবে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল

চাকরি ডেস্ক 
অফিসার পদে নিয়োগ দেবে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দ্য ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘মেডিকেল প্রমোশন অফিসার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৮ অক্টোবর অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: মেডিকেল প্রমোশন অফিসার।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/সমমানের ডিগ্রি।

চাকরির ধরন: ফুল টাইম।

প্রার্থীর ধরন: আগ্রহী শুধু পুরুষ পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

বয়সসীমা: ২২ থেকে ৩২ বছর ।

কর্মস্থল: বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী টি/এ, মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, কর্মক্ষমতা বোনাস, লাভের ভাগ, প্রভিডেন্ট তহবিল, গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওয়ান ব্যাংকে চাকরি, জানতে হবে ওয়ার্ড–এক্সেলের কাজ

চাকরি ডেস্ক 
ওয়ান ব্যাংকে চাকরি, জানতে হবে ওয়ার্ড–এক্সেলের কাজ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ওয়ান ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটির ইসলামি ব্যাংকিং ডিভিশন বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: সিনিয়র অফিসার টু প্রিন্সিপাল অফিসার, (ইসলামি ব্যাংকিং ডিভিশন)।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: এমএস অফিস, এক্সেল ইত্যাদি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় ধরনের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: নির্ধারিত নয়।

কর্মস্থল: ঢাকা।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুবিধা: ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ১২ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাইড্রোকার্বন ইউনিটে নিয়োগ পরীক্ষর ফল প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন হাইড্রোকার্বন ইউনিটের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে তিনজন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পদগুলো হলো সহকারী পরিচালক (রিজার্ভয়ার ও উৎপাদন) (৯ম গ্রেড), সহকারী পরিচালক (মাইনিং) (৯ম গ্রেড) এবং সহকারী পরিচালক (আইসিটি) (৯ম গ্রেড)। এসব পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রদত্ত সব তথ্য, ডকুমেন্টস, সনদ ইত্যাদি বিজ্ঞাপনের শর্ত এবং আবেদনপত্রে প্রদত্ত অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে কর্ম কমিশন প্রার্থীদের এই শর্তে সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে যে, নিয়োগের আগে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রার্থীর সব সনদ, ডকুমেন্টস ও কাগজপত্রের সত্যতা যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করবে।

পিএসসি কর্তৃক সাময়িকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে ওই প্রার্থীর সাময়িক মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। তা ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীকে ফৌজদারি আইনে সোপর্দ করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত