Ajker Patrika

বিশ্বসেরা তিন প্রতিষ্ঠানে ডাক

আনিসুল ইসলাম নাঈম
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১২: ৪৪
বিশ্বসেরা তিন প্রতিষ্ঠানে ডাক

বিশ্বের সেরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন, মাইক্রোসফট ও আইবিএমে চাকরি পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও তরুণ বিজ্ঞানী আহমেদ কাওছার। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণার জন্য ২০২১ সালে ভারতের সম্মানজনক ‘সায়েন্টিস্ট অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড পান। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টিভেন্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে মেশিন লার্নিংয়ের ওপর পিএইচডি করছেন।

বিশ্বসেরা তিনটি প্রতিষ্ঠানে ডাক পেয়েছেন, আপনার অনুভূতি জানতে চাই?
আহমেদ কাওছার: অনুভূতি অবশ্যই অনেক ভালো। সবারই একটা স্বপ্ন থাকে টেকজায়ান্ট কোম্পানিতে চাকরি করার। সবার মতো করে আমিও আবেদন করেছিলাম। এরপর কর্তৃপক্ষ ভার্চুয়ালি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতার ইন্টারভিউ নেয়। আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা সত্যিই আনন্দের। সেরা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতিটাও সেরা। 

আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন কীভাবে? 
আহমেদ কাওছার: আসলে এটা ডিপেন্ট করে আমি কোন সেক্টরে চাকরি করব। আমি আর্টিফিশিয়াল রিসার্চ ফিল্ডে আছি। আমার ফিল্ডে প্রস্তুতি অনেক লম্বা সময়ের। একেকটা অ্যাপ্লিকেশন করার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন ছিল। ভালো কোডিং স্কিল জানতে হয়েছে। এআই নলেজ থাকতে হয়। তা ছাড়া ম্যাথমেটিক্যাল ও স্ট্যাটিস্টিকসে ভালো দক্ষতা থাকা দরকার। আমি বেশ কয়েক দিন ধরেই এই ফিল্ডে আছি। আমেরিকায় যখন আসলাম, তখন চিন্তা করলাম অ্যাপ্লাই করে দেখি কী হয়। তারপর অ্যাপ্লাইড সায়েন্টিস্ট (মেশিন লার্নিং) হিসেবে অ্যাপ্লাই করি। 

টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির আবেদন-প্রক্রিয়া কেমন?
আহমেদ কাওছার: টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদন-প্রক্রিয়া এবং চাকরি পাওয়ার ধাপ প্রায় একই। এখানে চাকরির জন্য বেশি দক্ষতা প্রয়োজন। অবশ্যই সেরাদের মধ্যে সেরা হতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন চাকরির অ্যাপ্লিকেশন পড়ে। যাঁদের টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে পরিচিত লোক থাকে না, তাঁরা নরমালি আবেদন করে থাকেন। তবে যাঁদের নিজস্ব লোক থাকে, তাঁরা রেফারেন্স দিয়ে অ্যাপ্লাই করে থাকেন। রেফারেন্স দিয়ে অ্যাপ্লাই করলে ইন্টারভিউর জন্য কল করা হয়। নরমালি অ্যাপ্লাই করলে ইন্টারভিউ পেতে অনেক কঠিন হয়ে যায়। ইন্টারভিউর ক্ষেত্রে রিক্রুটার চাকরিপ্রার্থীর ই-মেইলে নক দেন এবং ইন্টারভিউর জন্য টাইম নেন। তারপর নির্ধারিত সময়ে রিক্রুটের সঙ্গে কথা বলে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইন্টারভিউগুলো তুলনামূলক একটু কঠিন হয়ে থাকে। টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন সেক্টরে লোক নেওয়া হয়। চাকরিপ্রার্থী যে সেক্টরে আবেদন করেন মূলত সেই বিষয়ের ওপর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। ইন্টারভিউর দুই-তিন সপ্তাহ পর জানানো হয় চাকরিপ্রার্থী পরবর্তী ধাপের জন্য সিলেক্টেড কি না। পরবর্তী ধাপের জন্য সিলেক্টেড হলে তাঁর সঙ্গে রিক্রুটার যোগাযোগ করবেন। তারপর যে টিমের সঙ্গে কাজ করবেন, সেই টিমের সঙ্গে অ্যাসাইন করা হবে। শেষে দেখা হয় ব্যবহার ও মন-মানসিকতা কেমন। সবার সঙ্গে কাজ করতে পারবে কি না। এরপর তাদের তথ্য দিতে হয় এবং কিছু তথ্য ফিলাপ করতে হয়। তারপর সবকিছু ঠিক হলে তারা অফার লেটার পাঠায়। সেখানে উল্লেখ থাকে কোন সময়ে প্রার্থী জয়েন করবেন। 

আমাদের দেশের তরুণেরা উচ্চপর্যায়ের কোম্পানিগুলোতে না যাওয়ার কারণ কী বলে মনে করেন?
আহমেদ কাওছার: আমাদের দেশের তরুণেরা গুগল, আমাজন ও ফেসবুকের মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অনেকের স্বপ্ন আছে এবং অনেকে চেষ্টা করছেন। তবে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের প্রচুর লোক এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আমার মনে হয় আমাদের দেশের স্টাডি প্ল্যানে ঘাটতি রয়েছে। এখানে এসে বুঝেছি আমাদের একাডেমিক সিস্টেমে কিছু ভুল রয়েছে। এখানকার লেখাপড়ার তুলনায় বাংলাদেশের লেখাপড়া অনেক ভিন্ন। সরকার হয়তো সেটা দিতে পারছে না। 

এখানে কাউকে জব খুঁজতে হয় না। কোম্পানির লোকজন এসে জবের জন্য ক্যাম্পেইন করেন। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো ক্যাম্পেইন করার পাশাপাশি সাক্ষাৎ করবে। এখানকার স্টুডেন্টরা এসব দেখে আসছে। তাই তাদের জন্য ব্যাপারটা অনেক সহজ। যেগুলো হয়তো দেশের স্টুডেন্টরা পায় না।

টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরি করতে তরুণদের কী পরামর্শ দেবেন?
আহমেদ কাওছার: প্রথমে তাদের ঠিক করতে হবে কোন ফিল্ডে থাকতে চান। টেক জায়ান্ট প্রতিটি কোম্পানিগুলোতে বেশ কয়েকটি সেক্টর রয়েছে। যে ফিল্ডে থাকবে সে বিষয়ে ভালো স্কিল থাকতে হবে। জবের ক্ষেত্রে এখানে নলেজকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ভার্সিটির সিজিপিএর চেয়ে রিয়েল লাইফে কতটুকু দক্ষ ও অভিজ্ঞ তা দেখা হয়। একজন কতটুকু প্রবলেম সমাধান করতে পারেন। এসব দেখা হয়। আমি সায়েন্টিস্ট হিসেবে এপ্লাই করছি। আমার ম্যাথমেটিক্যাল নলেজ, স্টাডিক্যাল নলেজ, রিসার্চ নলেজ বা কোন একটা এলগরিদম ডেভেলপমেন্ট নলেজ। এসব বিষয়গুলো আমার বেশি গুরুত্ব পায়। যারা ডেটা সায়েন্সে কাজ করে তাদের ডেটা সম্পর্কিত বিষয়গুলো ভালো জানতে হব। যে ফিল্ডে যেতে চায় সে ফিল্ডে প্রচুর দক্ষ হতে হয়।

চাকরি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
আহমেদ কাওছার: আমি যুক্তরাষ্ট্রের স্টিভেন্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে মেশিন লার্নিংয়ের ওপর পিএইচডি করছি। তাই আমাজনে তিন মাসের জন্য চাকরিতে জয়েন করব। তা ছাড়া ভবিষ্যতে প্রফেসর হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। সেটা না হলে টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর একটিতে স্থায়ী চাকরি করব।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে চাকরি, বেতন নবম গ্রেডে

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

পদের নাম: সহকারী প্রোগ্রামার।

পদ সংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বয়সসীমা: ৩২ বছর।

আবেদন ফি: ২২৩ টাকা।

বেতন: ২২,০০০–৫৩, ০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেবিচকের ৭ পদের পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর, প্রার্থী ২২৯৯৫

চাকরি ডেস্ক 
বেবিচকের ৭ পদের পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর, প্রার্থী ২২৯৯৫

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৭ পদের এমসিকিউ পরীক্ষার স্থান ও সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সাধারণ প্রশিক্ষণ) মোহাম্মদ ইকরাম উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মোট ২২ হাজার ৯৯৫ জন প্রার্থী অংশ নেবেন।

পদগুলো হলো নিরাপত্তা সুপারভাইজার (মহিলা), নিরাপত্তা সুপারভাইজার (পুরুষ), নিরাপত্তা সুপারভাইজার, নিরাপত্তা অপারেটর, নিরাপত্তা অপারেটর (পুরুষ), নিরাপত্তা অপারেটর (মহিলা), সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ অক্টোবর বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর ৬টি পৃথক কেন্দ্রে এসব পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো কাওলার সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলক্ষেতের কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহীনবাগের সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুর্মিটোলার বিএএফ শাহীন কলেজ, নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এসব পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার সময়সূচি এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক সব প্রার্থীকে ইতিমধ্যে এসএমএস প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাজে মনোযোগ বাড়ানোর ১০ উপায়

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোনো কাজে সফলতার পূর্বশর্ত মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারলে শুধু কর্মদক্ষতা নয়, কাজের মান, আগ্রহ, ইচ্ছাও ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কাজে মনোযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করুন

কোনো কাজ শুরু করার আগে সময়সীমা নির্ধারণ করা জরুরি। কত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হবে, তা আগে থেকে জানা থাকলে কাজে গতি বাড়ে। সময়সীমা বেঁধে দিলে মন অবচেতনভাবে একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ করার তাগিদ অনুভব করে। তবে মনে রাখতে হবে, কাজের মধ্যে বারবার ঘড়ি দেখা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।

কাজের তালিকা আগেই তৈরি করুন

আগামীকাল কী কী কাজ করতে হবে, তা আগেই ঠিক করুন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তালিকার প্রথম দিকে রাখুন। এরপর ক্রমানুসারে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো। এতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ পড়বে না, কাজের গতি বজায় থাকবে এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। যদি আগের দিন তালিকা তৈরি করা না যায়, তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গুরুত্ব অনুযায়ী কাজের তালিকা তৈরি করুন এবং প্রতিটি কাজের আনুমানিক সময় লিখে রাখুন। এতে কাজের প্রতি মনোযোগ ও নিয়মানুবর্তিতা দুটোই বৃদ্ধি পায়।

কাজের মাঝখানে ছোট বিরতি নিন

একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করলে মনোযোগ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৪-৫ মিনিটের বিরতি নিন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন, চা-পান করুন বা হালকা নাশতা করতে পারেন। জানালার পাশে গিয়ে কিছুক্ষণ তাজা বাতাস নিন। এতে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকবে, ফলে কাজে মনোযোগও বৃদ্ধি পাবে।

একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়

অনেকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করেন, ফলে কোনো কাজই ঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। মানুষের মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতো একসঙ্গে একাধিক কাজ সামলাতে পারে না। তাই যে কাজটি করছেন, তাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। কাজটি শেষ হলে তবেই অন্য কাজে হাত দিন।

কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন

যেমনভাবে ভালো পরিবেশে সন্তান বেড়ে ওঠে, তেমনি ভালো পরিবেশে কাজও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। কাজের সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দূরে সরিয়ে রাখুন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো

কাছে রাখুন। একটি শান্ত ও পরিপাটি পরিবেশ মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কাজের সময় ঘন ঘন ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা ইমো ব্যবহার করলে মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটে। তাই কাজের সময় এসব মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্মার্টফোনটিও কিছুটা দূরে রাখুন, যাতে নোটিফিকেশন দেখে মনোযোগ নষ্ট না হয়।

কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজুন

যেকোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে অনুপ্রেরণা জরুরি। ভাবুন, কাজটি কেন করছেন, এর সুফল কী, কাজটি শেষ হলে আপনি কী অর্জন করবেন।

এ চিন্তাগুলো কাজের প্রতি আগ্রহ ও উদ্যম বাড়ায়। অনুপ্রেরণা থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়।

শরীর সুস্থ রাখুন

সুস্থ শরীরই সুখী হওয়ার অন্যতম নিয়ামক। শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কাজে মন বসে না। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিমিত খাবার খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দেহ ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। আর মন ঠিক থাকলে মনোযোগও অটুট থাকে।

কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক প্রশান্তি অপরিহার্য। আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হোন না কেন, প্রতিদিন প্রার্থনা করুন। প্রার্থনা মনকে শান্ত ও সতেজ রাখে। মনোযোগী মনই আপনাকে সফল ও সুন্দর মানুষে পরিণত করবে। আজ থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ শুরু করুন, সাফল্য আপনার নাগালেই থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগের দাবি ৪৪তম বিসিএস ক্যাডার প্রার্থীদের

চাকরি ডেস্ক 
দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগের দাবি ৪৪তম বিসিএস ক্যাডার প্রার্থীদের

৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে সকাল ১১টায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে প্রার্থীরা বলেন, ‘রিপিট ক্যাডার’ নিয়ে জটিলতা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ, সমালোচনা ও বিতর্কের পর পিএসসি বিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে রিপিট ক্যাডারের জায়গায় মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করা যায়। কিন্তু বিধি সংশোধনের প্রশাসনিক জটিলতায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও এই প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হয়নি। এতে করে রিপিট ক্যাডার সম্পর্কিত নয়, এমন প্রার্থীদেরও নিয়োগ আটকে আছে।

কর্মসূচি থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো: গেজেট কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে অবিলম্বে পিএসসির পক্ষ থেকে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা; ফলাফল প্রকাশের পর প্রায় চার মাস পরও ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ না করে আটকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করা; চলতি বছরেই ৪৪তম বিসিএস নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা।

এর আগে, ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিমিনারিতে ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়।

পিএসসি কার্যালয়ের সামনে এদিন অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত গেজেট প্রত্যাশী প্রার্থীরা অংশ নেন।

তারা বলেন, ৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের বিপরীতে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়। তবে তাদের মধ্যে ৩৭২ জন আগেই একই বা সমতুল্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। রিপিট ক্যাডার সংক্রান্ত বিধি সংশোধনে দেরি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। এর মধ্যে অনেকেরই বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। ফলে তারা হতাশায় ভুগছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত