Ajker Patrika

নমুনা ভাইভা: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর সম্পর্ক কী

এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
নমুনা ভাইভা: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর সম্পর্ক কী

মাজহারুল হাসান নাহিদ। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্সে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক, ২০২৩ ব্যাচে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

সালাম দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলাম। 

চেয়ারম্যান স্যার: আপনি ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স পড়ে ব্যাংকে কী করবেন? পঠিত বিষয়ের সঙ্গে ব্যাংকের সম্পর্ক কী?
আমি: আমি ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স নিয়ে পড়ার সুবাদে আইন, ইনস্টিগেশন, মানি লন্ডারিং, হোয়াইট কালার ক্রাইম, জালিয়াতি ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পাশাপাশি এসব অপরাধ দমনের কৌশল নিয়েও জেনেছি। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) মানি লন্ডারিংসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়েও কাজ করে। আমার পঠিত বিষয় থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে কাজ করতে পারব। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শেখা নিয়মানুবর্তিতা, কঠোর পরিশ্রম, সততা ইত্যাদি গুণ আমার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখবে। 

এক্সটার্নাল-২: মুদ্রানীতি কী?
আমি: মুদ্রানীতি হলো একটি রাষ্ট্রের আর্থিক কর্তৃপক্ষের গৃহীত একটি নীতি, যার মাধ্যমে ওই রাষ্ট্রের অর্থ সরবরাহ, মূল্যস্ফীতি, আর্থিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, আমদানি, রপ্তানি, ব্যাংক রেট ইত্যাদি নির্ধারিত হয়।

এক্সটার্নাল-৩: রাজস্ব নীতি কী?
আমি: রাজস্ব নীতি বলতে সরকারের আয়-ব্যয়, ঋণ ইত্যাদির নীতিকে বোঝানো হয়।

এক্সটার্নাল-২: মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির মধ্যকার পার্থক্য বলুন।
আমি: রাজস্ব নীতি বলতে সরকারের আয়-ব্যয়সংক্রান্ত নীতিকে বোঝানো হয়। আর যে নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থ কর্তৃপক্ষ অর্থের জোগান নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে মুদ্রানীতি বলে। সাধারণত সরকার রাজস্ব নীতি ঘোষণা করে আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। রাজস্ব নীতিতে করের হার, সরকারের ঋণ ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে মুদ্রানীতিতে সুদের হার, ব্যাংকের হার ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়। 

এক্সটার্নাল-২: CRR, SLR কী?
আমি: CRR হলো Cash Reserve Ratio এবং SLR হলো Statutory Liquidity Ratio.
এক্সটার্নাল-২: CRR, SLR-এর মধ্যকার পার্থক্য বলুন।
আমি: CRR-এর ক্ষেত্রে কেবল নগদ অর্থ রিজার্ভ হিসেবে রাখতে হয়। অন্যদিকে SLR-এর ক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলোকে তরল সম্পদের রিজার্ভ রাখতে বলা হয়, সে ক্ষেত্রে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণ উভয়ই রাখতে হয়। CRR থেকে লাভ পাওয়া যায় না কিন্তু SLR-এর ক্ষেত্রে জমাকৃত টাকা থেকে আয় করা যায় । 

এক্সটার্নাল-১: ব্যাংকে লিকুইডিটি মানি কী?
আমি: লিকুইডিটি মানি বলতে একটা সম্পত্তির কম ক্ষতিতে দ্রুত নগদ অর্থে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষমতাকে বোঝায়। নগদ অর্থ, স্বর্ণ ইত্যাদিকে দ্রুত নগদ অর্থে রূপান্তরিত করা যায়। 
এক্সটার্নাল-১: এটা থাকলে কী সুবিধা, না থাকলে কী সমস্যা?
আমি: লিকুইডিটি মানি থাকলে দ্রুত নগদ অর্থ পাওয়া যায়, এতে করে বাজারে অর্থের ঘাটতি থাকে না।
এক্সটার্নাল-১: বাংলাদেশে বর্তমানে কী অবস্থা?
আমি: বাংলাদেশে বর্তমানে লিকুইডিটি মানির কিছুটা ঘাটতি আছে।

চেয়ারম্যান স্যার: ডেভিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মধ্যকার পার্থক্য বলুন।
আমি: ডেভিট কার্ডের সাহায্যে গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা যেকোনো সময় উত্তোলন করতে পারেন। আর ক্রেডিট কার্ড মানে একধরনের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের লিমিট দেয়, সেই টাকা ঋণ আকারে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে গ্রাহক উত্তোলন করতে পারবেন। 
চেয়ারম্যান স্যার: এখন যদি আমি আমেরিকা যাই, তাহলে কোন কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করব? 
আমি: ইন্টারন্যাশনাল কার্ডের মাধ্যমে। যেমন: ভিসা কার্ড।
চেয়ারম্যান স্যার: এখন তো একটা ঘূর্ণিঝড় হবে শোনা যাচ্ছে, সেটার নাম কী? (তখন ঘূর্ণিঝড় মোখা আসবে, এ রকম সময় ছিল)

এক্সটার্নাল-১: আজকের পত্রিকা পড়েছেন?
আমি: জি, পড়েছি স্যার। 
এক্সটার্নাল-১: আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম বলুন।
আমি: (তখন বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ নতুন ঋণচুক্তি করেছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দিয়েছিলেন)
এক্সটার্নাল-১: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছু কি উপহার দিয়েছেন?
আমি: জি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে পদ্মা সেতুর ছবি উপহার দেন।
এক্সটার্নাল-১: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর সম্পর্ক কী?
আমি: বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রথম দিকে পদ্মা সেতুর জন্য ঋণ চেয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার হয়ে বাংলাদেশকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে পদ্মা সেতুর জন্য ঋণ দিতে অসম্মতি জানায়। পরে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই পদ্মা সেতু তৈরি করে।

এক্সটার্নাল-৩: পদ্মা সেতু কোন কোম্পানি তৈরি করেছে? 
আমি: পদ্মা সেতু চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি তৈরি করে। নকশা করেছে এইসিওএম কোম্পানি। নদীশাসনের কাজ করে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
এক্সটার্নাল-৩: কত টাকা খরচ হয়েছে?
আমি: পদ্মা সেতু তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

এক্সটার্নাল-৩: এর উপকারিতা কী হবে?
আমি: পদ্মা সেতুর ফলে দ্রুত পণ্য পরিবহন করা যাবে। এতে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ ও সময় বেঁচে যাচ্ছে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে সারা দেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করছে এই সেতু। পদ্মা সেতুর ফলে ১.২ শতাংশ হারে (জিডিপি) বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
এক্সটার্নাল-৩: কোন কোন জেলাকে সংযুক্ত করেছে? 
আমি: পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা যুক্ত হয়েছে। মাঝখানে মাদারীপুর জেলাও যুক্ত হয়েছে।
এক্সটার্নাল-৩: কটি জেলাকে যুক্ত করেছে?
আমি: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোট ১৯ জেলাকে যুক্ত করেছে।
এক্সটার্নাল-৩: নদীশাসন বলতে কী বোঝায়? 
আমি: নদীশাসন বলতে নদীর গতিপথ ও কিনারা রক্ষার জন্য যে স্ট্রাকচারাল কাজ করা হয় তাকে বোঝায়। মানে ইট-পাথর ইত্যাদি ব্যবহার করে নদীর কিনারা বাঁচানো। 

এক্সটার্নাল-২: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
আমি: সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার।
এক্সটার্নাল-২: পদ্মা সেতুর প্রস্থ কত?
আমি: পদ্মা সেতুর প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার।
এক্সটার্নাল-২: পৃথিবীর কততম বৃহৎ পদ্মা সেতু?
আমি: দৈর্ঘ্যে পৃথিবীর ১২২তম বৃহৎ হলো পদ্মা সেতু। 

এক্সটার্নাল-২: পদ্মা সেতুর পাইলিংয়ের গভীরতা কত?
আমি: পদ্মা সেতুর পাইলিং প্রায় ৪২০ ফুট গভীর।
চেয়ারম্যান স্যার: ভালো বলেছেন। আপনাকে তো অনেক সময় রাখা হয়ে গেল। এখন অন্যদের ডাকি।
আপনি আসুন।

আমি সালাম জানিয়ে চলে এলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢামেকের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পদগুলো হলো: ফিজিওথেরাপিস্ট, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্যাশিয়ার, টেলিফোন অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোরকিপার, লিনেন কিপার, কার্পেন্টার, টেইলর ও অফিস সহায়ক।

এসব পদে মোট ৬ হাজার ৭৩ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত ১০ অক্টোবর সকাল ১০টায় ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৩৮৭ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

এসব প্রার্থীর মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখগুলো টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নেবে ইস্টার্ন ব্যাংক

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা এবং এএমএল নিয়মকানুন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নির্দেশাবলির বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: ১ থেকে ২ বছর।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

কর্মক্ষেত্র: অফিসে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)।

বয়সসীমা: উল্লেখ নেই।

কর্মস্থল: যেকোনো জায়গায়।

বেতন: প্রবেশনকালীন মাসিক বেতন ৩৬,০০০ টাকা, প্রবেশনকালীন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর মাসিক বেতন ৪৫,০০০ টাকা হবে।

অন্যান্য সুবিধা: নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী

প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন এখানে

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথমবার টিম লিডার হলে যেভাবে সহকর্মীদের সামলাবেন

ক্যারিয়ার ডেস্ক
প্রথমবার টিম লিডার হলে যেভাবে সহকর্মীদের সামলাবেন

যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এ সময়ে আপনাকে একাধারে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং নতুন দায়িত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্রান্তিকালে প্রয়োজন সঠিক ভারসাম্য এবং পেশাদারত্ব। নিচে ৭টি কার্যকর পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো, যা প্রথমবার টিম লিডার হলে সহকর্মীদের সামলাতে আপনাকে সাহায্য করবে।

নতুন ভূমিকার শর্তাবলি স্পষ্ট করুন

নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো পেশাদারত্ব বজায় রাখা। সহকর্মীরা আপনাকে বন্ধু হিসেবে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এখন আপনার ভূমিকা বদলেছে। সে জন্য প্রথম দিকেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার সম্পর্কের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টানুন। একটি ব্যক্তিগত ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করে তাঁদের জানান, আপনার বন্ধুত্বের জায়গাটি আগের মতোই থাকবে, তবে কাজের ক্ষেত্রে আপনি এখন তাঁদের লিডার। একই সঙ্গে আপনার নতুন ভূমিকায় কাজের ক্ষেত্রে আপনি কী কী প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে স্বচ্ছ থাকুন।

শোনার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করুন

একজন কার্যকর টিম লিডারের অন্যতম শক্তিশালী গুণ হলো অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। আপনার দলের সদস্যরা যখন কথা বলার সুযোগ পান, তখন তাঁদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয় এবং যোগাযোগ মসৃণ হয়। যখন কেউ কথা বলছেন, তখন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন এবং মনোযোগ দিয়ে তা শুনুন। এতে দলের মনোবল দৃঢ় হয় এবং সদস্যরা মনে করেন, তাঁদের মতামতকে মূল্য দেওয়া হচ্ছে।

পরনিন্দা ও গসিপ এড়িয়ে চলুন

একসময় আপনি হয়তো সহকর্মীদের সঙ্গে বসে অফিস গসিপ বা পরনিন্দা করতেনদ কিন্তু এখন আপনি লিডার। এই অভ্যাস আপনার নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এজন্য অন্যের অনুপস্থিতিতে তাঁদের সম্পর্কে কোনো কথা বলা বা শোনা থেকে সব সময় বিরত থাকুন। এমনকি কেউ আন্তরিকভাবে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেও সে সম্পর্কে মন্তব্য করা এড়িয়ে চলুন। আপনার আচরণ দিয়েই প্রমাণ করুন, আপনার অফিসের কাজ ও গঠনমূলক আলোচনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এটি আপনার ভাবমূর্তিকে রক্ষা করবে এবং টিমের পরিবেশও উন্নত হবে।

সাফল্যের কৃতিত্ব ভাগ করে নিন

একজন ‘বড় নেতা’ হতে হলে আপনার বড় মন দরকার। দল যখন ভালো কিছু করে, তখন কৃতিত্ব নিজেকে না নিয়ে টিমের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিন। টিমের কেউ ভালো কিছু করলে সেটা খোলাখুলিভাবে স্বীকার করুন, প্রশংসা করুন এবং কৃতিত্ব দিন। এতে টিমের সদস্যরা আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হন। একই সঙ্গে কোনো সমস্যা বা সমালোচনার মুখে পড়লে একজন লিডার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই টিমের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাঁদের রক্ষা করতে হবে।

কাজ ভাগ করে দিন, অতিরিক্ত দখলদারি এড়িয়ে চলুন

নতুন টিম লিডারের একটি সাধারণ ভুল হলো কাজের প্রক্রিয়াগুলো নিজের ওপর কেন্দ্রীভূত করা বা মাইক্রো-ম্যানেজ করা। আপনি সহকর্মী হিসেবে দক্ষ ছিলেন; কিন্তু লিডার হিসেবে আপনার প্রধান কাজ হলো কাজের সঠিক বণ্টন। প্রতিটি কর্মীর দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বিশ্লেষণ করে তাঁকে উপযুক্ত কাজ বুঝিয়ে দিন। কর্মীদের কাজ করার স্বাধীনতা দিন এবং তাঁদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। কাজের প্রক্রিয়া নিজে না করে; বরং ফলাফল বা লক্ষ্যের দিকে নজর দিন।

উদাহরণ দ্বারা নেতৃত্ব দিন

টিম লিডারের কাজ শুধু নির্দেশ দেওয়া নয়; বরং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। আপনি যা প্রত্যাশা করেন, তা প্রথমে নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করুন। একই সঙ্গে আপনাকে সময়নিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। কাজে নিজের আন্তরিকতা প্রয়োগ করুন। আপনি যখন নিজে কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং পেশাদারত্ব বজায় রাখবেন, তখন আপনার দলের সদস্যরাও আপনাকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত হবেন।

সোর্স: কোরা ডটকম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রেস ইনস্টিটিউটে ২৭ পদে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)। প্রতিষ্ঠানটির ২৭ ক্যাটাগরির ৩৮টি পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২ নভেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম: পরিচালক (গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ)।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি। গণমাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে।

বেতন: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা।

পদের নাম: সহযোগী সম্পাদক।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা।

পদের নাম: অধ্যাপক।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যাত: গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা।

পদের নাম: সিনিয়র রিসার্চ অফিসার।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: সামাজিক বিজ্ঞানের কোনো বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার্স।

বেতন: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা।

পদের নাম: সহযোগী অধ্যাপক।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় থিসিসসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা এমফিল ডিগ্রি বা পিএইচডি ডিগ্রি।

বেতন: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা।

পদের নাম: গবেষণা বিশেষজ্ঞ (তথ্যপ্রযুক্তি)।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: সামাজিক বিজ্ঞানের কোনো বিষয়ে গণযোগাযোগ বা সাংবাদিকতা বা পরিসংখ্যান বা কম্পিউটার বিজ্ঞান উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা।

দের নাম: উপপরিচালক (প্রশাসন)।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণির ডিগ্রি।

বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: প্রশিক্ষক।

পদসংখ্যা: ২টি।

যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।

পদের নাম: জ্যেষ্ঠ গবেষক।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা।

পদের নাম: নির্বাহী অফিসার।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন: ২৩,০০০-৫৫,৪৭০ টাকা।

পদের নাম: সহকারী প্রশিক্ষক।

পদসংখ্যা: ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: কনিষ্ঠ প্রশিক্ষক।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: গবেষক।

পদসংখ্যা: ৪টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: সহসম্পাদক।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অংকনশিল্পী, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত আর্ট কলেজ থেকে ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: প্রতিবেদক।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম: টেকনিক্যাল সুপারভাইজার।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিষয়ে ডিপ্লোমা।

বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম: সম্পাদনা সহকারী।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম: সংশোধক।

পদসংখ্যা ১টি।

যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিসহ ইংরেজি ও বাংলা সংশোধনে দক্ষতা থাকতে হবে।

বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর।

পদসংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস।

বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: ড্রাইভার।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।

পদসংখ্যা: ২টি।

যোগ্যতা: এইচএসসি পাস।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: ডেসপাচ রাইডার।

পদসংখ্যা: ১টি।

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহায়ক।

পদসংখ্যা: ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

পদের নাম: নিরাপত্তাপ্রহরী।

পদসংখ্যা: ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

পদসংখ্যা: ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ঝাড়ুদার কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা pib.teletalk.com.bd গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনপত্র পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময় ২ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা। আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত