কাউসার লাবীব
আঁধারে ডুবে ছিল পৃথিবী। জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে মানুষ ভুলে গিয়েছিল মানবিকতা ও নৈতিকতার সবটুকু আলো। কন্যাশিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো, গোত্রে গোত্রে লেগে থাকত রক্তক্ষয়ী সংঘাত, আরবের ধূলিকণার প্রতিটি বিন্দু ছিল অন্যায় আর পাপাচারের সাক্ষী। তখন এই জাহেলি সমাজে মূর্তি ছিল পূজার বস্তু, আর ক্ষমতার জোরে চলছিল মানুষের ওপর অত্যাচার। এমন একসময়ে, যখন বিশ্বমানবতা দিশা হারিয়েছে, ঠিক তখনই মক্কার পবিত্র ভূমিতে জন্ম নেন এক মহাপুরুষ—যিনি শুধু মানবজাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হয়ে আসেন।
তাঁর নাম মুহাম্মদ (সা.), যাঁর জন্মের পর থেকে আরবের আকাশ-বাতাসে এক নতুন সুর বেজে ওঠে। শৈশবে তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘আল-আমিন’ (বিশ্বস্ত) উপাধিতে ভূষিত। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছিল। যখন তিনি নবুওয়াত লাভ করেন, তখন তাঁর সামনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল—একের পর এক বাধা, সমাজের বিরোধিতা এবং নিজের আপনজনদের বিদ্রূপ। আল্লাহর নির্দেশে তিনি প্রথম তিন বছর গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন। এরপর প্রকাশ্যে সাফা পাহাড়ে উঠে এক আল্লাহর ওপর ইমান আনার ঘোষণা দেন।
মক্কাবাসী তাঁর এই আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে। শুরু হয় তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন। পাথর নিক্ষেপ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, লাঞ্ছনা—সবকিছুই তিনি পরম ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস ছিল অটল। আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে জানিয়ে দেন, মক্কার লোকজন তাঁর দাওয়াত গ্রহণ না করলেও মদিনার মানুষ তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এই নির্দেশের পর তিনি আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করে মদিনার পথে হিজরত করেন। তাঁর এই হিজরত শুধু একটি স্থান পরিবর্তন ছিল না, ছিল মানবতার মুক্তির জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মক্কা ত্যাগ করার সময় বায়তুল্লাহর দিকে তাকিয়ে তাঁর হৃদয় থেকে যে আকুলতা বেরিয়ে এসেছিল, তা তাঁর জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল তিনি মদিনায় পৌঁছান। মদিনার মানুষ তাঁকে উষ্ণতম অভ্যর্থনা জানায়। এই হিজরতের মাধ্যমে মদিনা এক নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করে এবং মহানবী (সা.) সেই রাষ্ট্রের প্রধান হন।
মদিনায় এসে তিনি গোত্রীয় বিভাজন ভুলে সবাইকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসেন। সেখানকার মুসলমান, ইহুদি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মদিনা সনদ স্বাক্ষর করে পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। এই সনদের মাধ্যমে মদিনা এক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে সবার অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই নবগঠিত সমাজ ছিল পারস্পরিক সহযোগিতা, ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের এক আদর্শ দৃষ্টান্ত।
মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনি মানুষকে মন্দ কাজের অশুভ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং সুন্দর ও কল্যাণের পথে আহ্বান করেছেন। তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতির চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন করা। তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক, যিনি মানুষকে ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চারিত্রিক গুণাবলির ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সুরা কলম: ৪)। তিনি শুধু কোনো বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত হননি, বরং সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসেবে এসেছিলেন।
জীবনের শেষ পর্যায়ে, বিদায় হজের ভাষণে তিনি মানবতাকে এক নতুন বার্তা পৌঁছে দেন—‘তোমাদের জন্য আজ তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করেছি।’ এই আয়াত থেকে সাহাবিরা বুঝতে পারলেন, নবীজি (সা.)-এর দায়িত্ব সম্পন্ন হয়েছে এবং তাঁর বিদায় আসন্ন। বিদায় হজের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর অন্তিম দিনগুলো ছিল অসুস্থতা, কষ্ট এবং উম্মাহর জন্য উদ্বেগে ভরা। জীবনের শেষ মুহূর্তেও তিনি তাঁর উম্মাহর জন্য প্রার্থনা করেছেন। ১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল, এই মহান মানব ইহজগৎ ত্যাগ করে তাঁর রবের সান্নিধ্যে চলে যান। তাঁর বিদায়ে মদিনার আকাশ-বাতাস শোকে ভারী হয়ে ওঠে, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শের আলোয় বিশ্ব আজও আলোকিত।
মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবতার জন্য এক পূর্ণাঙ্গ আদর্শ। তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় বন্ধু, যিনি দাতা ও বণ্টনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর শিক্ষা ছিল নম্রতা, ক্ষমা, ধৈর্য এবং ভালোবাসার। তাঁর পবিত্র চরিত্র, অতুলনীয় আদর্শ এবং মানবিক গুণাবলি ঘোর শত্রুদেরও মুগ্ধ করেছিল। তিনি বলপ্রয়োগ করে নয়, বরং উত্তম চরিত্র ও দয়া দিয়ে ইসলামকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সমগ্র মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের জন্য প্রেরিত এক মহামানব, যিনি কিয়ামত পর্যন্ত সবার জন্য অনুসরণীয়। তাঁর মাধ্যমে মানবজাতি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম পৃথিবীর সমস্ত আঁধার দূর করে আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক ছিল না, ছিল তাঁর সচ্চরিত্রের মাঝেও। শেখ সাদীর কবিতায় তাঁর প্রশংসা যেন পূর্ণতা লাভ করে:
বালাগাল উলা বিকামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বিজামালিহি,
হাসুনাত জামিউ খিসালিহি,
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি।
‘সাধনায় যিনি সুউচ্চ মর্যাদায় পূর্ণতায় পৌঁছেছেন, যাঁর সৌন্দর্যের ছটায় বিতাড়িত হয়েছে সমস্ত আঁধার, সব সচ্চরিত্রের সম্মিলন ঘটেছে যাঁর মাঝে—আসুন, দরুদ ও সালাম জানাই তাঁর ও তাঁর বংশধরদের প্রতি।’
আঁধারে ডুবে ছিল পৃথিবী। জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে মানুষ ভুলে গিয়েছিল মানবিকতা ও নৈতিকতার সবটুকু আলো। কন্যাশিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো, গোত্রে গোত্রে লেগে থাকত রক্তক্ষয়ী সংঘাত, আরবের ধূলিকণার প্রতিটি বিন্দু ছিল অন্যায় আর পাপাচারের সাক্ষী। তখন এই জাহেলি সমাজে মূর্তি ছিল পূজার বস্তু, আর ক্ষমতার জোরে চলছিল মানুষের ওপর অত্যাচার। এমন একসময়ে, যখন বিশ্বমানবতা দিশা হারিয়েছে, ঠিক তখনই মক্কার পবিত্র ভূমিতে জন্ম নেন এক মহাপুরুষ—যিনি শুধু মানবজাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হয়ে আসেন।
তাঁর নাম মুহাম্মদ (সা.), যাঁর জন্মের পর থেকে আরবের আকাশ-বাতাসে এক নতুন সুর বেজে ওঠে। শৈশবে তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘আল-আমিন’ (বিশ্বস্ত) উপাধিতে ভূষিত। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছিল। যখন তিনি নবুওয়াত লাভ করেন, তখন তাঁর সামনে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল—একের পর এক বাধা, সমাজের বিরোধিতা এবং নিজের আপনজনদের বিদ্রূপ। আল্লাহর নির্দেশে তিনি প্রথম তিন বছর গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন। এরপর প্রকাশ্যে সাফা পাহাড়ে উঠে এক আল্লাহর ওপর ইমান আনার ঘোষণা দেন।
মক্কাবাসী তাঁর এই আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে। শুরু হয় তাঁর ওপর অকথ্য নির্যাতন। পাথর নিক্ষেপ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, লাঞ্ছনা—সবকিছুই তিনি পরম ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস ছিল অটল। আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে জানিয়ে দেন, মক্কার লোকজন তাঁর দাওয়াত গ্রহণ না করলেও মদিনার মানুষ তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
এই নির্দেশের পর তিনি আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করে মদিনার পথে হিজরত করেন। তাঁর এই হিজরত শুধু একটি স্থান পরিবর্তন ছিল না, ছিল মানবতার মুক্তির জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মক্কা ত্যাগ করার সময় বায়তুল্লাহর দিকে তাকিয়ে তাঁর হৃদয় থেকে যে আকুলতা বেরিয়ে এসেছিল, তা তাঁর জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল তিনি মদিনায় পৌঁছান। মদিনার মানুষ তাঁকে উষ্ণতম অভ্যর্থনা জানায়। এই হিজরতের মাধ্যমে মদিনা এক নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করে এবং মহানবী (সা.) সেই রাষ্ট্রের প্রধান হন।
মদিনায় এসে তিনি গোত্রীয় বিভাজন ভুলে সবাইকে একই ছাতার নিচে নিয়ে আসেন। সেখানকার মুসলমান, ইহুদি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মদিনা সনদ স্বাক্ষর করে পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। এই সনদের মাধ্যমে মদিনা এক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে সবার অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই নবগঠিত সমাজ ছিল পারস্পরিক সহযোগিতা, ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়বিচারের এক আদর্শ দৃষ্টান্ত।
মহানবী (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনি মানুষকে মন্দ কাজের অশুভ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং সুন্দর ও কল্যাণের পথে আহ্বান করেছেন। তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতির চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন করা। তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক, যিনি মানুষকে ইহকাল ও পরকালের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চারিত্রিক গুণাবলির ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সুরা কলম: ৪)। তিনি শুধু কোনো বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত হননি, বরং সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসেবে এসেছিলেন।
জীবনের শেষ পর্যায়ে, বিদায় হজের ভাষণে তিনি মানবতাকে এক নতুন বার্তা পৌঁছে দেন—‘তোমাদের জন্য আজ তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করেছি।’ এই আয়াত থেকে সাহাবিরা বুঝতে পারলেন, নবীজি (সা.)-এর দায়িত্ব সম্পন্ন হয়েছে এবং তাঁর বিদায় আসন্ন। বিদায় হজের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর অন্তিম দিনগুলো ছিল অসুস্থতা, কষ্ট এবং উম্মাহর জন্য উদ্বেগে ভরা। জীবনের শেষ মুহূর্তেও তিনি তাঁর উম্মাহর জন্য প্রার্থনা করেছেন। ১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল, এই মহান মানব ইহজগৎ ত্যাগ করে তাঁর রবের সান্নিধ্যে চলে যান। তাঁর বিদায়ে মদিনার আকাশ-বাতাস শোকে ভারী হয়ে ওঠে, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শের আলোয় বিশ্ব আজও আলোকিত।
মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবতার জন্য এক পূর্ণাঙ্গ আদর্শ। তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় বন্ধু, যিনি দাতা ও বণ্টনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর শিক্ষা ছিল নম্রতা, ক্ষমা, ধৈর্য এবং ভালোবাসার। তাঁর পবিত্র চরিত্র, অতুলনীয় আদর্শ এবং মানবিক গুণাবলি ঘোর শত্রুদেরও মুগ্ধ করেছিল। তিনি বলপ্রয়োগ করে নয়, বরং উত্তম চরিত্র ও দয়া দিয়ে ইসলামকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সমগ্র মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের জন্য প্রেরিত এক মহামানব, যিনি কিয়ামত পর্যন্ত সবার জন্য অনুসরণীয়। তাঁর মাধ্যমে মানবজাতি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনুগ্রহপ্রাপ্ত হয়েছে।
মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম পৃথিবীর সমস্ত আঁধার দূর করে আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক ছিল না, ছিল তাঁর সচ্চরিত্রের মাঝেও। শেখ সাদীর কবিতায় তাঁর প্রশংসা যেন পূর্ণতা লাভ করে:
বালাগাল উলা বিকামালিহি,
কাশাফাদ্দুজা বিজামালিহি,
হাসুনাত জামিউ খিসালিহি,
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি।
‘সাধনায় যিনি সুউচ্চ মর্যাদায় পূর্ণতায় পৌঁছেছেন, যাঁর সৌন্দর্যের ছটায় বিতাড়িত হয়েছে সমস্ত আঁধার, সব সচ্চরিত্রের সম্মিলন ঘটেছে যাঁর মাঝে—আসুন, দরুদ ও সালাম জানাই তাঁর ও তাঁর বংশধরদের প্রতি।’
সর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন। বিশ্বমানবের হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে এর আগমন। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী। যার তিলাওয়াত মনে প্রশান্তি আনে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সবল করে।
৫ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
১৮ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১ দিন আগে