ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিং ব্যবসার বর্তমান অবস্থা কেমন?
মাইক কাজী: নিঃসন্দেহে সবকিছুতেই করোনার প্রভাব পড়েছে গত দেড় বছরে। লোকসান হয়েছে, চাকরির সুযোগ কমে গেছে। তবে আশার কথা হলো, আমাদের ব্যবসাটার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, সবাই ব্যয় সাশ্রয় করতে চায়। সেদিক থেকে আউটসোর্সিংয়ের যারা সেবা গ্রহণ করবে, তারা খরচ কমাতে পারে। সুতরাং আমি মনে করি, এই আউটসোর্সিং হচ্ছে আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আর এখন তো সবাই অনলাইনে কাজ করছে। যেহেতু অনলাইনে কাজ করছে, পড়াশোনা করছে, তাদের দক্ষতা তৈরি হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: এতে কতটা সক্ষমতা অর্জন করেছি আমরা?
মাইক কাজী: আমি মনে করি, এই করোনাকালে বাংলাদেশ অন্তত ৫০ বছর এগিয়ে গেছে। বিশেষ করে আউটসোর্সিং বা বিপিওর ক্ষেত্রে। কারণ, সবার বাসায় ইন্টারনেট আছে। মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনে ক্লাস করছে, শিখছে। করোনার কারণে এমনিতে একটু কষ্ট হলেও ভবিষ্যতের জন্য পৃথিবীটা একদম হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে। সুতরাং এখন খারাপ সময় গেলেও ৫ বা ১০ বছর পর অনেক ভালো হবে দেশের জন্য। একটি ব্যাকবোন তৈরি হয়েছে বলতে পারেন। এখন একজন মানুষের যদি একটা ডিভাইস আর ইন্টারনেট থাকে, সে কিন্তু অনেক কিছু করতে পারে। ইন্টারনেটের খরচও এখন কমে এসেছে। এতে মানুষের অ্যাকসেস বেড়েছে।
আজকের পত্রিকা: চাকরি বা কাজের সুযোগ তৈরিতে আপনারা কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
মাইক কাজী: আমরা সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন রকম অবকাঠামোগত সুযোগসুবিধা তৈরি করছি, যাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ খাতে কাজ করতে পারে। মার্কেটিং বাড়িয়ে দিয়েছি। কারণ, এখন বিদেশে বিশেষ করে উন্নত দেশ আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপের উদ্যোক্তারা তাঁদের লোকসান কমাতে, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে, শ্রমিক নিয়োগ ব্যয়বহুল বলে তাঁরা নির্ভর করছেন আউটসোর্সিংয়ের ওপর। রীতিমতো তাঁরা টিকে থাকার লড়াই করছেন। এই টিকে থাকার জন্য আউটসোর্সিং ছাড়া তাঁদের কোনো গতি নেই। কারণ, আমেরিকার একজন উদ্যোক্তা যদি কাউকে নিয়োগ দেন, তাঁর বছরে খরচ পড়বে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ থেকে কাজটা করিয়ে নিলে এর খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডলার। মানে, তাঁদের অন্তত ৫০ শতাংশ সাশ্রয় হয়।
আজকের পত্রিকা: ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারছি কিনা?
মাইক কাজী: গত ১৫ মাসে আমাদের কর্মীরা কিন্তু রাজশাহীতে ঘরে বসে বা নাটোরে বাড়িতে বসে কাজ করেছেন। যাঁদের ভালো ইন্টারনেট ছিল, তাঁরা তাঁদের কাজটা ওখানে বসেই করেছেন। যাঁদের খুব প্রয়োজন, আমাদের ব্যাংকিং বা অন্য ক্লায়েন্ট যাঁরা নিরাপত্তার কারণে বাসায় বসে কাজের অনুমোদন দেন না, কেবল তাঁদের হয়তো অফিসে আনতে হয়েছে। আর যাঁদের অফিসে আসা প্রয়োজন নেই, এমন বেশির ভাগ কর্মীকে আমরা বাসায় বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছি। একটা অফিস চালাতে অনেক খরচ আছে। তাঁরা বাসায় বসে কাজ করায় আমাদেরও অনেক রকমের খরচ কমেছে।
আজকের পত্রিকা:একটি দক্ষ জনবল গড়ে তোলার উপায় কী?
মাইক কাজী: আমাদের তরুণদের পরিপূর্ণভাবে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে একটু সময় লাগবে। সরকারকে বিশ্ববাজারের জন্য তরুণদের তৈরি করতে হলে একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও এরই মধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরও আরও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা উচিত। ফিলিপাইন তাদের শিক্ষাক্রম আমূল বদলে দিয়েছে। যার প্রতিফলন হলো, তারা এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করছে। তাদের শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক থেকে ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ রকম একটি পরিবর্তনের দিকে যেতে হলে ভালো শিক্ষক এবং তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ লাগবে। শুধু ফেসবুক চালালে হবে না; একটা গুণগত যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি হতে হবে। ভালোভাবে একটি ই-মেইল লেখা, কাস্টমার সার্ভিস দেওয়া ইত্যাদি।
আজকের পত্রিকা: আমাদের তরুণদের দুর্বলতাটা কোথায়?
মাইক কাজী: বাংলাদেশে অনেক মেধাবী ছেলে আছে, যারা কোডিং পারে, প্রোগ্রামিং জানে। কিন্তু তারা তাদের পণ্যটা বিক্রি করতে পারে না। কারণ, তারা ইংরেজি ভালো জানে না। মোটকথা তারা কমিউনিকেটিভ না। আমাদের ছেলেরা যদি ইংরেজি জানে, আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমাদের ছেলেরা বেকার থাকবে না। আমাদের এখন বিপুল জনগোষ্ঠী বেকার রয়েছে। এখন অনলাইনে এত কাজের সুযোগ। কাজের অভাব নেই। অভাব শুধু ইংরেজি জানা মানুষের। অর্থাৎ যোগ্য লোকের অভাব।
আজকের পত্রিকা: ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিং ব্যবসার বর্তমান অবস্থা কেমন?
মাইক কাজী: নিঃসন্দেহে সবকিছুতেই করোনার প্রভাব পড়েছে গত দেড় বছরে। লোকসান হয়েছে, চাকরির সুযোগ কমে গেছে। তবে আশার কথা হলো, আমাদের ব্যবসাটার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, সবাই ব্যয় সাশ্রয় করতে চায়। সেদিক থেকে আউটসোর্সিংয়ের যারা সেবা গ্রহণ করবে, তারা খরচ কমাতে পারে। সুতরাং আমি মনে করি, এই আউটসোর্সিং হচ্ছে আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আর এখন তো সবাই অনলাইনে কাজ করছে। যেহেতু অনলাইনে কাজ করছে, পড়াশোনা করছে, তাদের দক্ষতা তৈরি হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: এতে কতটা সক্ষমতা অর্জন করেছি আমরা?
মাইক কাজী: আমি মনে করি, এই করোনাকালে বাংলাদেশ অন্তত ৫০ বছর এগিয়ে গেছে। বিশেষ করে আউটসোর্সিং বা বিপিওর ক্ষেত্রে। কারণ, সবার বাসায় ইন্টারনেট আছে। মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনে ক্লাস করছে, শিখছে। করোনার কারণে এমনিতে একটু কষ্ট হলেও ভবিষ্যতের জন্য পৃথিবীটা একদম হাতের নাগালে নিয়ে এসেছে। সুতরাং এখন খারাপ সময় গেলেও ৫ বা ১০ বছর পর অনেক ভালো হবে দেশের জন্য। একটি ব্যাকবোন তৈরি হয়েছে বলতে পারেন। এখন একজন মানুষের যদি একটা ডিভাইস আর ইন্টারনেট থাকে, সে কিন্তু অনেক কিছু করতে পারে। ইন্টারনেটের খরচও এখন কমে এসেছে। এতে মানুষের অ্যাকসেস বেড়েছে।
আজকের পত্রিকা: চাকরি বা কাজের সুযোগ তৈরিতে আপনারা কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
মাইক কাজী: আমরা সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন রকম অবকাঠামোগত সুযোগসুবিধা তৈরি করছি, যাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ খাতে কাজ করতে পারে। মার্কেটিং বাড়িয়ে দিয়েছি। কারণ, এখন বিদেশে বিশেষ করে উন্নত দেশ আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপের উদ্যোক্তারা তাঁদের লোকসান কমাতে, ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে, শ্রমিক নিয়োগ ব্যয়বহুল বলে তাঁরা নির্ভর করছেন আউটসোর্সিংয়ের ওপর। রীতিমতো তাঁরা টিকে থাকার লড়াই করছেন। এই টিকে থাকার জন্য আউটসোর্সিং ছাড়া তাঁদের কোনো গতি নেই। কারণ, আমেরিকার একজন উদ্যোক্তা যদি কাউকে নিয়োগ দেন, তাঁর বছরে খরচ পড়বে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ থেকে কাজটা করিয়ে নিলে এর খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডলার। মানে, তাঁদের অন্তত ৫০ শতাংশ সাশ্রয় হয়।
আজকের পত্রিকা: ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারছি কিনা?
মাইক কাজী: গত ১৫ মাসে আমাদের কর্মীরা কিন্তু রাজশাহীতে ঘরে বসে বা নাটোরে বাড়িতে বসে কাজ করেছেন। যাঁদের ভালো ইন্টারনেট ছিল, তাঁরা তাঁদের কাজটা ওখানে বসেই করেছেন। যাঁদের খুব প্রয়োজন, আমাদের ব্যাংকিং বা অন্য ক্লায়েন্ট যাঁরা নিরাপত্তার কারণে বাসায় বসে কাজের অনুমোদন দেন না, কেবল তাঁদের হয়তো অফিসে আনতে হয়েছে। আর যাঁদের অফিসে আসা প্রয়োজন নেই, এমন বেশির ভাগ কর্মীকে আমরা বাসায় বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছি। একটা অফিস চালাতে অনেক খরচ আছে। তাঁরা বাসায় বসে কাজ করায় আমাদেরও অনেক রকমের খরচ কমেছে।
আজকের পত্রিকা:একটি দক্ষ জনবল গড়ে তোলার উপায় কী?
মাইক কাজী: আমাদের তরুণদের পরিপূর্ণভাবে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে একটু সময় লাগবে। সরকারকে বিশ্ববাজারের জন্য তরুণদের তৈরি করতে হলে একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও এরই মধ্যে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরও আরও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা উচিত। ফিলিপাইন তাদের শিক্ষাক্রম আমূল বদলে দিয়েছে। যার প্রতিফলন হলো, তারা এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করছে। তাদের শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক থেকে ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ রকম একটি পরিবর্তনের দিকে যেতে হলে ভালো শিক্ষক এবং তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ লাগবে। শুধু ফেসবুক চালালে হবে না; একটা গুণগত যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি হতে হবে। ভালোভাবে একটি ই-মেইল লেখা, কাস্টমার সার্ভিস দেওয়া ইত্যাদি।
আজকের পত্রিকা: আমাদের তরুণদের দুর্বলতাটা কোথায়?
মাইক কাজী: বাংলাদেশে অনেক মেধাবী ছেলে আছে, যারা কোডিং পারে, প্রোগ্রামিং জানে। কিন্তু তারা তাদের পণ্যটা বিক্রি করতে পারে না। কারণ, তারা ইংরেজি ভালো জানে না। মোটকথা তারা কমিউনিকেটিভ না। আমাদের ছেলেরা যদি ইংরেজি জানে, আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমাদের ছেলেরা বেকার থাকবে না। আমাদের এখন বিপুল জনগোষ্ঠী বেকার রয়েছে। এখন অনলাইনে এত কাজের সুযোগ। কাজের অভাব নেই। অভাব শুধু ইংরেজি জানা মানুষের। অর্থাৎ যোগ্য লোকের অভাব।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২২ জুন ২০২৫‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
১৫ জুন ২০২৫গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ জুন ২০২৫ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
০১ জুন ২০২৫