অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত গতকাল বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকে অবৈধ ঘোষণা করে এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাণিজ্য অংশীদারদের (বিভিন্ন দেশ) কাছ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বাত্মক শুল্ক আরোপ করে তাঁর ‘ক্ষমতা অতিক্রম’ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত জানিয়েছে, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার ‘একচেটিয়া ক্ষমতা’ কংগ্রেসের। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি রক্ষায় প্রেসিডেন্টের জরুরি ক্ষমতা এই সংবিধানিক ক্ষমতাকে বাতিল করতে পারে না।
তিন বিচারকের একটি প্যানেল তাঁদের সিদ্ধান্তে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহারের যৌক্তিকতা বা কার্যকারিতা নিয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করছে না।’ আদালত ট্রাম্পের জানুয়ারি থেকে জারি করা সব ‘একতরফা শুল্ক আদেশের’ ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্যানেল আরও জানান, ‘এই ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য, কারণ এটি অযৌক্তিক বা অকার্যকর বলে নয়, বরং (ফেডারেল আইন) এটি অনুমোদন করে না।’
বিচারকেরা ট্রাম্প প্রশাসনকে ১০ দিনের মধ্যে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিফলন ঘটিয়ে নতুন আদেশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এর কিছুক্ষণ পরেই আপিলের নোটিশ দাখিল করে এবং আদালতের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালত জানুয়ারি থেকে ট্রাম্পের জারি করা সব শুল্ক আদেশ ‘অবিলম্বে বাতিল’ করে দিয়েছেন। এসব আদেশ ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্টের’ আওতায় জারি করা হয়েছিল। এই আইন জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় ‘অস্বাভাবিক ও অসাধারণ’ হুমকি মোকাবিলায় প্রণীত হয়েছিল।
আদালতকে গাড়ি, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ট্রাম্পের জারি করা কিছু শিল্পে নির্দিষ্ট শুল্কের বিষয়ে রায় দিতে বলা হয়নি, কারণ সেগুলো ভিন্ন একটি আইনের অধীনে জারি করা হয়েছিল। ম্যানহাটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের সিদ্ধান্তগুলো মার্কিন আপিল আদালতে এবং শেষ পর্যন্ত মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যেতে পারে।
ট্রাম্প অন্য কোনো দেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপকে তাঁর চলমান ‘বাণিজ্যযুদ্ধের মূলনীতি’ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এই যুদ্ধ বৈশ্বিক বাণিজ্যপ্রবাহকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে এবং আর্থিক বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। সব আকারের কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের দ্রুত শুল্ক আরোপ এবং আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে উভয় সংকটে পড়েছে। তারা তাদের সাপ্লাই চেইন, উৎপাদন, কর্মী ব্যবস্থাপনা এবং পণ্যের দাম নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বুধবার বলেছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে, যা আমেরিকান সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছে, আমাদের কর্মীদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পকে দুর্বল করেছে এবং এই তথ্যগুলো আদালত অস্বীকার করেনি।’
মুখপাত্র কুশ দেশাই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা কীভাবে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত, তা অনির্বাচিত বিচারকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত গতকাল বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ক্ষমতাকে অবৈধ ঘোষণা করে এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাণিজ্য অংশীদারদের (বিভিন্ন দেশ) কাছ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বাত্মক শুল্ক আরোপ করে তাঁর ‘ক্ষমতা অতিক্রম’ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত জানিয়েছে, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার ‘একচেটিয়া ক্ষমতা’ কংগ্রেসের। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি রক্ষায় প্রেসিডেন্টের জরুরি ক্ষমতা এই সংবিধানিক ক্ষমতাকে বাতিল করতে পারে না।
তিন বিচারকের একটি প্যানেল তাঁদের সিদ্ধান্তে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহারের যৌক্তিকতা বা কার্যকারিতা নিয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করছে না।’ আদালত ট্রাম্পের জানুয়ারি থেকে জারি করা সব ‘একতরফা শুল্ক আদেশের’ ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্যানেল আরও জানান, ‘এই ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য, কারণ এটি অযৌক্তিক বা অকার্যকর বলে নয়, বরং (ফেডারেল আইন) এটি অনুমোদন করে না।’
বিচারকেরা ট্রাম্প প্রশাসনকে ১০ দিনের মধ্যে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিফলন ঘটিয়ে নতুন আদেশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এর কিছুক্ষণ পরেই আপিলের নোটিশ দাখিল করে এবং আদালতের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালত জানুয়ারি থেকে ট্রাম্পের জারি করা সব শুল্ক আদেশ ‘অবিলম্বে বাতিল’ করে দিয়েছেন। এসব আদেশ ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্টের’ আওতায় জারি করা হয়েছিল। এই আইন জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় ‘অস্বাভাবিক ও অসাধারণ’ হুমকি মোকাবিলায় প্রণীত হয়েছিল।
আদালতকে গাড়ি, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ট্রাম্পের জারি করা কিছু শিল্পে নির্দিষ্ট শুল্কের বিষয়ে রায় দিতে বলা হয়নি, কারণ সেগুলো ভিন্ন একটি আইনের অধীনে জারি করা হয়েছিল। ম্যানহাটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের সিদ্ধান্তগুলো মার্কিন আপিল আদালতে এবং শেষ পর্যন্ত মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যেতে পারে।
ট্রাম্প অন্য কোনো দেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক আরোপকে তাঁর চলমান ‘বাণিজ্যযুদ্ধের মূলনীতি’ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এই যুদ্ধ বৈশ্বিক বাণিজ্যপ্রবাহকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে এবং আর্থিক বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। সব আকারের কোম্পানিগুলো ট্রাম্পের দ্রুত শুল্ক আরোপ এবং আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে উভয় সংকটে পড়েছে। তারা তাদের সাপ্লাই চেইন, উৎপাদন, কর্মী ব্যবস্থাপনা এবং পণ্যের দাম নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বুধবার বলেছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে, যা আমেরিকান সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছে, আমাদের কর্মীদের পেছনে ফেলে দিয়েছে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পকে দুর্বল করেছে এবং এই তথ্যগুলো আদালত অস্বীকার করেনি।’
মুখপাত্র কুশ দেশাই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা কীভাবে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা উচিত, তা অনির্বাচিত বিচারকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়।’
কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব। এবার যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে আগেভাগে সম্মত হয়ে যায় ইসরায়েল, যা অত্যন্ত বিরল। অন্যদিকে, হামাস অভিযোগ করছে—যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে উপেক্ষিত ফিলিস্তিনি স্বার্থ। তবে, কী আছে ওই প্রস্তাবে তা জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আবারও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, ৯ ও ১০ মের মধ্যরাতে ভারতের মিসাইল হামলায় পাকিস্তানের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছিল। তিনি এটিও স্বীকার করেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এই অভিযানের বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না।
৪ ঘণ্টা আগেপেশাগত ক্ষেত্রে খুবই উচ্চমাত্রার দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন নারীরা। তবে, যুদ্ধক্ষেত্র ও শারীরিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে তাঁরা তাল মেলাতে পারছেন না। যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে ঘায়েল করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে ধরনের সক্ষমতা প্রয়োজন তা তাঁদের মধ্যে তুলনামূলক কম।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি কি না সেবিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামাসের কাছে যারা এখনো জিম্মি রয়েছেন তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ
৯ ঘণ্টা আগে