Ajker Patrika

ইরান-ইসরায়েল সংকট সামলাতে বিকল্প খুঁজছেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জি-৭ সম্মেলনস্থলে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
জি-৭ সম্মেলনস্থলে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।

কানাডায় চলমান শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে যেতে হবে।’ এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে তিনি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন। ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যম্ভাবী কিছু কারণে আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।’

ট্রাম্পের মূলত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কানাডায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরের মধ্যেই তিনি ইঙ্গিত দিতে শুরু করেন যে, তাঁর মনোযোগ অন্য কোথাও এবং তিনি ইরান-ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছেন।

কানাডার কানানাস্কিসের রিসোর্ট শহরে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইরান আলোচনা টেবিলে আছে। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি।’

এই শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভেদ তৈরি হয়। জোট নেতারা ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিভেদ তৈরি হয়। যদিও নথি প্রস্তুতকারী কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, তাঁকে হয়তো শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে রাজি করানো যেতে পারে।

এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ইরানের নাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা জারি করেন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবিলম্বে তেহরান খালি করতে হবে!’ তবে কেন খালি করতে হবে—এর কারণ বলেননি তিনি।

ট্রাম্পের এই বার্তা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। একটি সরকারি সূত্র ও এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প স্টিভ উইটকফসহ তাঁর দলের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। উইটকফ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত। সূত্র দুটি বলছেন, ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে চাইছেন যে—ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত সমাধানে ইরান কূটনীতিতে কতটা আন্তরিক।

গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলে আসছেন, ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আলোচনায় বসা। পাশাপাশি তিনি গোপনে তাঁর দলকে ইরান ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলা রাখতে উৎসাহিত করছেন।

জি-৭ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প তাঁর সমকক্ষদের বলেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনে আলোচনা চলছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, তিনি চান মার্কিন কর্মকর্তারা এ সপ্তাহেই তাদের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করুক। এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, যদিও এখনো কিছুই ঠিক হয়নি, তবে ইসরায়েল ও ইরান সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইরান সোমবার দিনের শুরুর দিকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।

তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প কোন পথে এগোবেন সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেননি ট্রাম্প। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আরও আরও মার্কিন সামরিক সম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করবেন কি না—তা নিয়েও তিনি কিছু বলেননি।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ইরান আক্রমণে যোগ দেয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যালেক্স ফেইফার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন বাহিনী তাদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রেখেছে এবং তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করব।’

পারস্য উপসাগর অঞ্চলের একটি দেশের কূটনীতিকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন রোববার আঞ্চলিক অংশীদারদের জানায় যে, ইরান যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত না করে, তাহলে তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িত হবে না। সোমবার রাত পর্যন্ত এই বার্তায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের ওয়াশিংটনের সিচুয়েশন রুমে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একত্র হতে বলেছেন না কি ডিসিতে ফেরার পর উপস্থিত থাকতে বলেছেন, তা জানা যায়নি।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে আসতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান রেইজিন কেইনও ছিলেন।

এদিকে কানাডায়, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ইউরোপীয় সমকক্ষদের ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন যে—ট্রাম্প সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জি-৭ নেতাদের বিবৃতিতে যোগ দেবেন না। এটি শীর্ষ সম্মেলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সমকক্ষদের সঙ্গে একটি তাৎক্ষণিক বিভেদ তৈরি করেছে।

ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের তৈরি করা খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য চূড়ান্ত করার আশা করেছিলেন।

যৌথ বিবৃতি সম্পর্কে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।’

হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে যা বলেছেন, তাতে এই মুহূর্তে বিবৃতিতে স্বাক্ষরের কোনো কারণ নেই। বিবৃতিতে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শিত হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অন্য নেতাদের অনুরোধে ট্রাম্পের সম্মেলনে উপস্থিতিই তাঁর ঐক্য প্রদর্শন।

এদিকে, সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তাঁর লক্ষ্য হলো ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র দেখতে চাই না, এবং আমরা তা নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়েছি।’

ইসরায়েল মার্কিন সাহায্য ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক হুমকি দমন করতে পারবে কি না—জানতে চাইলে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘এটা অপ্রাসঙ্গিক। কিছু একটা ঘটবে।’ সোমবার দিনের শুরুতে শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে তার সংঘাত কমাতে চায়।

কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘তারা (ইরান) কথা বলতে চায়, কিন্তু তাদের আগেই তা করা উচিত ছিল। আমার ৬০ দিন ছিল এবং তাদের ৬০ দিন ছিল। ৬১ তম দিনে আমি বলেছিলাম, আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। তাদের একটি চুক্তি করতে হবে এবং এটি উভয় পক্ষের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না এবং তাদের কথা বলা উচিত এবং খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।’

ট্রাম্প কিছুদিন আগে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটামের ৬১ তম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংঘাতে মার্কিন সামরিক জড়িত হবে কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সে সম্পর্কে কথা বলতে চাই না।’ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি অস্পষ্ট জবাব দেন।

ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় যে, ইসরায়েলের হামলার মাত্রা ও পরিধি বিবেচনা করে ট্রাম্প কেন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের ওপর মার্কিন প্রভাব বিবেচনা করে জি-৭ এর অন্যান্য নেতারা জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্র কত দিন ধরে সংঘাত চালিয়ে যেতে দেবে অথবা ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন কিনা। কিন্তু ট্রাম্প সেখানেও অস্পষ্ট জবাব দেন।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিহার রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও নীতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত জরিপে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। প্রায় সব বুথফেরত জরিপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, এনডিএর পাঁচ দল (জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা) মিলে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।

বেশির ভাগ জরিপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন, যা সরাসরি সরকার গঠনের রাস্তা খুলে দিচ্ছে নীতীশ কুমারের সামনে। তাঁর দল জেডিইউ একাই ৬৭ থেকে ৭৫ আসন পাবে, বলছে জরিপ।

অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধন (আরজেডি-কংগ্রেস ও বামপন্থী মহাজোট) পিছিয়ে রয়েছে। তাদের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা হতে পারে ৭০ থেকে ১০২-এর মধ্যে।

সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এই নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছেন। তাঁর নতুন দল ‘জন সুরাজ পার্টি’ (জেএসপি) বেশির ভাগ জরিপেই একটির বেশি আসন পাচ্ছে না; কয়েকটি জরিপে শূন্য আসনের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।

৬ নভেম্বর প্রথম দফায় বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৬৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।

আজ দ্বিতীয় দফায় ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটের হার নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে ৬৭ শতাংশ পেরিয়েছে। বিহারের লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে যা সর্বকালীন রেকর্ড।

পি-মার্ক, টিআইএফ রিসার্চ, দৈনিক ভাস্কর, ম্যাট্রাইজ ও পিপলস ইনসাইট—সব বুথফেরত জরিপেই এনডিএর পরিষ্কার জয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কিছু আসনে অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছে জরিপ সংস্থাগুলো।

যদিও ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস মেলে না। তবে মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে। বিহারে প্রকৃত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর, তিন দিন পর লালকেল্লায় বোমা হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩২
লালকেল্লা বোমা হামলায় জড়িত ডা. উমর নবি। ছবি: সংগৃহীত
লালকেল্লা বোমা হামলায় জড়িত ডা. উমর নবি। ছবি: সংগৃহীত

নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর নবি। শত চেষ্টা করেও পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এর তিন দিন পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসছে তাঁরই নাম।

পুলিশ ডা. আদিল ও ডা. মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তারের পরপরই উমর জানতে পারেন তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। ওই দুই চিকিৎসকের জিজ্ঞাসাবাদের পরই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার হয়, যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও রয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কয়াল গ্রামের মানুষ জানতে পেরেছে, ৩৩ বছর বয়সী চিকিৎসক উমরই সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী। এর পর থেকেই স্তব্ধ হয়ে আছেন ডা. নবির পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাবি মুজাম্মিল বলেন, ‘শুক্রবার নবি আমাদের ফোন করে বলেছিল, পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত আছে, তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে। আমরা তাঁকে পড়াশোনা করাতে অনেক কষ্ট করেছি। সে কোনো দিন রাজনীতি বা সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব।’

দিল্লির বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ চিরুনি অভিযানে নামে।

কয়াল গ্রামে ডা. নবির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাঁর মা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারীর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁর বাবাকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে। মানসিক অবস্থার কারণে গতকাল তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

আলফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. নবির সহকর্মী ও বন্ধু ডা. সাজাদ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছেন। পুলিশ তাঁকে কেবল উমরের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নাকি তিনিও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিযুক্ত, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

এ ছাড়া কয়েল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের সাম্বুরা গ্রামে পুলিশ আমির ও উমর রশিদ নামে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। পেশায় প্লাম্বার (নলমিস্ত্রি) আমিরকে এ ঘটনার মূল হোতা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, তাঁর একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাঁকে একটি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যা এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আমিরের পরিবার বলছে, সে কখনো জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে যায়নি, তাই ফরিদাবাদের কোনো গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রশ্নই ওঠে না।

পরিবার জানায়, সোমবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তৎক্ষণাৎ আমির ও উমরকে আটক করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, তারা আসলেই কোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল কি না।

এ ঘটনাগুলোর সূত্রপাত সোমবার পুলিশ অভিযান শুরু করার পর, যেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়।

অক্টোবর ১৯ তারিখে শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ এই মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে। স্থানীয় থানার সূক্ষ্ম তদন্তে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের চিত্র সামনে আসে, যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডা. আদিল।

তাঁকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে আনন্তনাগের এক হাসপাতালের আলমারি থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদেই আরেক চিকিৎসক, আলফালাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. মুজাম্মিল আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুজাম্মিলের জবানবন্দির পরই পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের হদিস পায়।

গত কয়েক দিনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে এমন এক ভয়াবহ ‘উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের’ সন্ধান পেয়েছে, যারা আদর্শগতভাবে চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লালকেল্লা বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ফুয়েল অয়েল ও ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে, যা ফরিদাবাদে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তদন্তভার জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে তুলে দিয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নবি সম্ভবত অভিযানের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদিল আহমদ রাঠারের সঙ্গে। যিনি আনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সিনিয়র রেসিডেন্ট এবং যাকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিল্লির পর পাকিস্তানের রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার আদালত এলাকায় আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। ছবি: এএফপি
ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার আদালত এলাকায় আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে এক ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইসলামাবাদের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে নিহতের তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক ডন।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই হামলাকে দেশের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের অবস্থায় আছি। যারা মনে করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চল ও বেলুচিস্তানের দূরবর্তী এলাকায় কেবল এই যুদ্ধ লড়ছে, তাদের জন্য ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আজকের এই আত্মঘাতী হামলাটি হলো জাগ্রত হওয়ার বার্তা।’

খাজা আসিফ আরও যোগ করেন, এই পরিস্থিতিতে কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার জন্য বেশি আশা রাখা অর্থহীন হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ঘটনার ভিডিওগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টনীর পেছনে একটি দগ্ধ গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী রুস্তম মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি যখন আমার গাড়ি পার্ক করে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছিলাম...ঠিক তখনই গেটে একটি বিকট শব্দ শুনতে পেলাম।’ বিস্ফোরণের পর সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

মালিক বলেন, ‘আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ প্রাঙ্গণের ভেতরে ছুটছিলেন। আমি গেটের ওপর দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল।’ বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশে থাকা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে এক ট্রাফিক সিগন্যালে একটি ধীরগতির গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। সাদা রঙের হুন্দাই আই-২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এতে ৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাটি ছিল রাজধানীর ব্যস্ততম জায়গাগুলোর একটি। এ ঘটনায় এখনো কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। ভারত সরকার সরাসরি কোনো পক্ষকে দায়ী করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করতে পারেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৮
ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্রগুলো। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলার আগমুহূর্তে ট্রাম্প সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন—এমন ভুল ধারণা তৈরি করার মতো তাঁর ভাষণ সম্পাদনা করায় বিবিসি গতকাল সোমবার ক্ষমা চাওয়ার পর বিষয়টি সামনে এল।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে—ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হওয়ায় গত রোববার বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।

সূত্রটি জানিয়েছে, ব্রিটিশ এই সম্প্রচার সংস্থাকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ওই ডকুমেন্টারি প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার জন্য। এটি প্রচারিত হয়েছিল ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগে মার্কিন গণমাধ্যমকে চুপ করাতে মামলা করার অভিযোগ উঠেছিল। তবে সাম্প্রতিক এই বিতর্ক আবারও আলোচনায় এনেছে বিবিসিকে। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদমাধ্যমটিকে অনেকে ভালোবাসেন, আবার অনেকে পক্ষপাতের অভিযোগেও অভিযুক্ত করেন।

ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী দলের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, বিবিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি এএফপিকে বলেন, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃত করেছে, যাতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবেন, যারা মিথ্যা, প্রতারণা ও ভুয়া খবর ছড়ায়।

এ বিষয়ে বিবিসির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা চিঠিটি পর্যালোচনা করব এবং যথা সময়ে সরাসরি জবাব দেব।’

এদিকে, বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ ব্রিটিশ এমপিদের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে স্বীকার করেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্পাদনা এমন ধারণা সৃষ্টি করেছে যেন তিনি সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিবিসি এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চায়।’ এ সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পুরো বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ তদারকি ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হবে।

গত রোববার তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও নিউজ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন। ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবিসির সাংবাদিকদের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ও ‘অসৎ’ বলে আখ্যা দেন। তাঁর প্রেস সচিব বিবিসিকে বলেন, শতভাগ ভুয়া খবর প্রচারকারী।

তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ভুয়া তথ্যের যুগে বিবিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বাস ধরে রাখতে হলে বিবিসির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এবং ভুল হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত