আজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল শ্বেতাঙ্গরা। একদিনে কয়েকশ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা এবং বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় তারা।
‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিকল্পনাটি তুলসার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র মনরো নিকোলসের নেতৃত্বে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যক্তি বা নিহত-আহতদের উত্তরাধিকারীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হবে না। বরং এর লক্ষ্য হলো কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের এলাকাগুলোর সামগ্রিক পুনর্বিকাশ এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার প্রথমবারের মতো পালিত ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার স্মরণ দিবস’-এ নিকোলস এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার ছিল আমাদের শহরের ইতিহাসে এক কলঙ্ক...যা ইতিহাস থেকে এক প্রকার গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।’
ঘোষণা অনুযায়ী, এই তহবিলটি ব্যক্তিগত একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ২৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকবে আবাসন তহবিলে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার যাবে ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও আঞ্চলিক উন্নয়নের কাজে, যা বর্ণবৈষম্যের প্রভাব দূরীকরণে ব্যবহৃত হবে। পুরো পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোড টু রিপেয়ার’। তহবিল পরিচালনা করবে গ্রিনউড ট্রাস্ট। তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত গ্রিনউড (এক সময় ব্ল্যাক ওয়াল স্ট্রিট নামেও পরিচিত ছিল) জেলার অনুকরণে এই ট্রাস্টের নামকরণ হয়েছে।
নিকোলস বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞ তো বটেই, হত্যাযজ্ঞের পর যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, তা ছিল আরও গভীর। সেখানে মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল, যা আমাদের অর্থনীতিকে চেপে ধরেছিল; ছিল দীর্ঘদিনের অবহেলা। পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের ঋণ দেওয়া হতো না।’
তিনি আরও জানান, ১ জুনের মধ্যে ১০৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ বা প্রতিশ্রুতি পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি অংশ দিয়ে ট্রাস্টের জন্য একটি ‘লিগ্যাসি ফান্ড’ গঠন করা হবে, যা দিয়ে তারা জমি কিনতে ও উন্নয়ন করতে পারে। পরিকল্পনার জন্য সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না, তবে যেকোনো শহর-মালিকানাধীন সম্পত্তি ট্রাস্টে হস্তান্তর করতে হলে কাউন্সিলের অনুমতি লাগবে। নিকোলস বলছেন, সেটি মিলবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
১৯২১ সালের মে মাসে একদল শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত সমৃদ্ধ গ্রিনউড এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজারের বেশি বাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। আনুমানিক ৩০০ কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়, আহত হয় আরও বহু মানুষ। নিকোলস বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ তুলসাকে এমন এক সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত করেছে, যেটি বিশ্বের যেকোনো শহরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারত।’
ঘটনাটি বহু দশক ধরে ইতিহাসে চাপা পড়ে ছিল। তবে ২০২০ সালের ১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুলসায় নির্বাচনী সমাবেশের ঘোষণা দিলে সেই ঘটনা আলোচনায় আসে। কারণ, ১৮৬৫ সালের ১৯ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গ্যালভেস্টন শহরে সর্বশেষ দাসদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার প্রকৃত অবসানের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি জুনটিনথ হিসেবে পরিচিত। কৃষ্ণাঙ্গদের এমন একটি বিশেষ দিনে তুলসায় সমাবেশ করতে চেয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরে তিনি সমাবেশের তারিখ বদলান।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুনটিনথ-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
তুলসার এই ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় উদ্যোগ, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বর্ণবৈষম্যমূলক হামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে শিকাগোর কাছাকাছি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এভানস্টন শহর কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে বাড়ির সংস্কার বা ডাউন পেমেন্টের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে মার্কিন জনগণ বরাবরই সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত। গত মে মাসে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ওয়েস মুর—যিনি রাজ্যের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর—একটি ক্ষতিপূরণ কমিশন গঠনের প্রস্তাবিত বিলে ভেটো দেন। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রতি অতীতের বৈষম্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং কিছু ক্ষতিপূরণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেখানেও সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তুলসা রেস ম্যাসাকারের শেষ জীবিত দুই সাক্ষী—লেসি বেনিংফিল্ড র্যান্ডেল এবং ভায়োলা ফোর্ড ফ্লেচার—গত বছর আদালতে দায়ের করা এক দীর্ঘ মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে হেরে যান।

১৯২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল শ্বেতাঙ্গরা। একদিনে কয়েকশ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা এবং বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় তারা।
‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিকল্পনাটি তুলসার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র মনরো নিকোলসের নেতৃত্বে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যক্তি বা নিহত-আহতদের উত্তরাধিকারীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হবে না। বরং এর লক্ষ্য হলো কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের এলাকাগুলোর সামগ্রিক পুনর্বিকাশ এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার প্রথমবারের মতো পালিত ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার স্মরণ দিবস’-এ নিকোলস এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার ছিল আমাদের শহরের ইতিহাসে এক কলঙ্ক...যা ইতিহাস থেকে এক প্রকার গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।’
ঘোষণা অনুযায়ী, এই তহবিলটি ব্যক্তিগত একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ২৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকবে আবাসন তহবিলে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার যাবে ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও আঞ্চলিক উন্নয়নের কাজে, যা বর্ণবৈষম্যের প্রভাব দূরীকরণে ব্যবহৃত হবে। পুরো পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোড টু রিপেয়ার’। তহবিল পরিচালনা করবে গ্রিনউড ট্রাস্ট। তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত গ্রিনউড (এক সময় ব্ল্যাক ওয়াল স্ট্রিট নামেও পরিচিত ছিল) জেলার অনুকরণে এই ট্রাস্টের নামকরণ হয়েছে।
নিকোলস বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞ তো বটেই, হত্যাযজ্ঞের পর যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, তা ছিল আরও গভীর। সেখানে মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল, যা আমাদের অর্থনীতিকে চেপে ধরেছিল; ছিল দীর্ঘদিনের অবহেলা। পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের ঋণ দেওয়া হতো না।’
তিনি আরও জানান, ১ জুনের মধ্যে ১০৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ বা প্রতিশ্রুতি পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি অংশ দিয়ে ট্রাস্টের জন্য একটি ‘লিগ্যাসি ফান্ড’ গঠন করা হবে, যা দিয়ে তারা জমি কিনতে ও উন্নয়ন করতে পারে। পরিকল্পনার জন্য সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না, তবে যেকোনো শহর-মালিকানাধীন সম্পত্তি ট্রাস্টে হস্তান্তর করতে হলে কাউন্সিলের অনুমতি লাগবে। নিকোলস বলছেন, সেটি মিলবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
১৯২১ সালের মে মাসে একদল শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত সমৃদ্ধ গ্রিনউড এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজারের বেশি বাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। আনুমানিক ৩০০ কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়, আহত হয় আরও বহু মানুষ। নিকোলস বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ তুলসাকে এমন এক সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত করেছে, যেটি বিশ্বের যেকোনো শহরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারত।’
ঘটনাটি বহু দশক ধরে ইতিহাসে চাপা পড়ে ছিল। তবে ২০২০ সালের ১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুলসায় নির্বাচনী সমাবেশের ঘোষণা দিলে সেই ঘটনা আলোচনায় আসে। কারণ, ১৮৬৫ সালের ১৯ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গ্যালভেস্টন শহরে সর্বশেষ দাসদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার প্রকৃত অবসানের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি জুনটিনথ হিসেবে পরিচিত। কৃষ্ণাঙ্গদের এমন একটি বিশেষ দিনে তুলসায় সমাবেশ করতে চেয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরে তিনি সমাবেশের তারিখ বদলান।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুনটিনথ-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
তুলসার এই ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় উদ্যোগ, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বর্ণবৈষম্যমূলক হামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে শিকাগোর কাছাকাছি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এভানস্টন শহর কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে বাড়ির সংস্কার বা ডাউন পেমেন্টের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে মার্কিন জনগণ বরাবরই সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত। গত মে মাসে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ওয়েস মুর—যিনি রাজ্যের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর—একটি ক্ষতিপূরণ কমিশন গঠনের প্রস্তাবিত বিলে ভেটো দেন। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রতি অতীতের বৈষম্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং কিছু ক্ষতিপূরণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেখানেও সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তুলসা রেস ম্যাসাকারের শেষ জীবিত দুই সাক্ষী—লেসি বেনিংফিল্ড র্যান্ডেল এবং ভায়োলা ফোর্ড ফ্লেচার—গত বছর আদালতে দায়ের করা এক দীর্ঘ মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে হেরে যান।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল শ্বেতাঙ্গরা। একদিনে কয়েকশ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা এবং বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় তারা।
‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিকল্পনাটি তুলসার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র মনরো নিকোলসের নেতৃত্বে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যক্তি বা নিহত-আহতদের উত্তরাধিকারীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হবে না। বরং এর লক্ষ্য হলো কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের এলাকাগুলোর সামগ্রিক পুনর্বিকাশ এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার প্রথমবারের মতো পালিত ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার স্মরণ দিবস’-এ নিকোলস এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার ছিল আমাদের শহরের ইতিহাসে এক কলঙ্ক...যা ইতিহাস থেকে এক প্রকার গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।’
ঘোষণা অনুযায়ী, এই তহবিলটি ব্যক্তিগত একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ২৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকবে আবাসন তহবিলে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার যাবে ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও আঞ্চলিক উন্নয়নের কাজে, যা বর্ণবৈষম্যের প্রভাব দূরীকরণে ব্যবহৃত হবে। পুরো পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোড টু রিপেয়ার’। তহবিল পরিচালনা করবে গ্রিনউড ট্রাস্ট। তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত গ্রিনউড (এক সময় ব্ল্যাক ওয়াল স্ট্রিট নামেও পরিচিত ছিল) জেলার অনুকরণে এই ট্রাস্টের নামকরণ হয়েছে।
নিকোলস বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞ তো বটেই, হত্যাযজ্ঞের পর যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, তা ছিল আরও গভীর। সেখানে মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল, যা আমাদের অর্থনীতিকে চেপে ধরেছিল; ছিল দীর্ঘদিনের অবহেলা। পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের ঋণ দেওয়া হতো না।’
তিনি আরও জানান, ১ জুনের মধ্যে ১০৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ বা প্রতিশ্রুতি পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি অংশ দিয়ে ট্রাস্টের জন্য একটি ‘লিগ্যাসি ফান্ড’ গঠন করা হবে, যা দিয়ে তারা জমি কিনতে ও উন্নয়ন করতে পারে। পরিকল্পনার জন্য সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না, তবে যেকোনো শহর-মালিকানাধীন সম্পত্তি ট্রাস্টে হস্তান্তর করতে হলে কাউন্সিলের অনুমতি লাগবে। নিকোলস বলছেন, সেটি মিলবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
১৯২১ সালের মে মাসে একদল শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত সমৃদ্ধ গ্রিনউড এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজারের বেশি বাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। আনুমানিক ৩০০ কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়, আহত হয় আরও বহু মানুষ। নিকোলস বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ তুলসাকে এমন এক সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত করেছে, যেটি বিশ্বের যেকোনো শহরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারত।’
ঘটনাটি বহু দশক ধরে ইতিহাসে চাপা পড়ে ছিল। তবে ২০২০ সালের ১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুলসায় নির্বাচনী সমাবেশের ঘোষণা দিলে সেই ঘটনা আলোচনায় আসে। কারণ, ১৮৬৫ সালের ১৯ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গ্যালভেস্টন শহরে সর্বশেষ দাসদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার প্রকৃত অবসানের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি জুনটিনথ হিসেবে পরিচিত। কৃষ্ণাঙ্গদের এমন একটি বিশেষ দিনে তুলসায় সমাবেশ করতে চেয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরে তিনি সমাবেশের তারিখ বদলান।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুনটিনথ-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
তুলসার এই ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় উদ্যোগ, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বর্ণবৈষম্যমূলক হামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে শিকাগোর কাছাকাছি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এভানস্টন শহর কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে বাড়ির সংস্কার বা ডাউন পেমেন্টের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে মার্কিন জনগণ বরাবরই সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত। গত মে মাসে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ওয়েস মুর—যিনি রাজ্যের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর—একটি ক্ষতিপূরণ কমিশন গঠনের প্রস্তাবিত বিলে ভেটো দেন। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রতি অতীতের বৈষম্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং কিছু ক্ষতিপূরণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেখানেও সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তুলসা রেস ম্যাসাকারের শেষ জীবিত দুই সাক্ষী—লেসি বেনিংফিল্ড র্যান্ডেল এবং ভায়োলা ফোর্ড ফ্লেচার—গত বছর আদালতে দায়ের করা এক দীর্ঘ মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে হেরে যান।

১৯২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল শ্বেতাঙ্গরা। একদিনে কয়েকশ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা এবং বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় তারা।
‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এই পরিকল্পনাটি তুলসার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মেয়র মনরো নিকোলসের নেতৃত্বে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যক্তি বা নিহত-আহতদের উত্তরাধিকারীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হবে না। বরং এর লক্ষ্য হলো কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের এলাকাগুলোর সামগ্রিক পুনর্বিকাশ এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার প্রথমবারের মতো পালিত ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার স্মরণ দিবস’-এ নিকোলস এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘তুলসা রেস ম্যাসাকার ছিল আমাদের শহরের ইতিহাসে এক কলঙ্ক...যা ইতিহাস থেকে এক প্রকার গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।’
ঘোষণা অনুযায়ী, এই তহবিলটি ব্যক্তিগত একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ২৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকবে আবাসন তহবিলে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার যাবে ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও আঞ্চলিক উন্নয়নের কাজে, যা বর্ণবৈষম্যের প্রভাব দূরীকরণে ব্যবহৃত হবে। পুরো পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোড টু রিপেয়ার’। তহবিল পরিচালনা করবে গ্রিনউড ট্রাস্ট। তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত গ্রিনউড (এক সময় ব্ল্যাক ওয়াল স্ট্রিট নামেও পরিচিত ছিল) জেলার অনুকরণে এই ট্রাস্টের নামকরণ হয়েছে।
নিকোলস বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞ তো বটেই, হত্যাযজ্ঞের পর যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল, তা ছিল আরও গভীর। সেখানে মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল, যা আমাদের অর্থনীতিকে চেপে ধরেছিল; ছিল দীর্ঘদিনের অবহেলা। পরিকল্পিতভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের ঋণ দেওয়া হতো না।’
তিনি আরও জানান, ১ জুনের মধ্যে ১০৫ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ বা প্রতিশ্রুতি পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর একটি অংশ দিয়ে ট্রাস্টের জন্য একটি ‘লিগ্যাসি ফান্ড’ গঠন করা হবে, যা দিয়ে তারা জমি কিনতে ও উন্নয়ন করতে পারে। পরিকল্পনার জন্য সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না, তবে যেকোনো শহর-মালিকানাধীন সম্পত্তি ট্রাস্টে হস্তান্তর করতে হলে কাউন্সিলের অনুমতি লাগবে। নিকোলস বলছেন, সেটি মিলবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
১৯২১ সালের মে মাসে একদল শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী তুলসার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত সমৃদ্ধ গ্রিনউড এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজারের বেশি বাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। আনুমানিক ৩০০ কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়, আহত হয় আরও বহু মানুষ। নিকোলস বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ তুলসাকে এমন এক সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত করেছে, যেটি বিশ্বের যেকোনো শহরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারত।’
ঘটনাটি বহু দশক ধরে ইতিহাসে চাপা পড়ে ছিল। তবে ২০২০ সালের ১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুলসায় নির্বাচনী সমাবেশের ঘোষণা দিলে সেই ঘটনা আলোচনায় আসে। কারণ, ১৮৬৫ সালের ১৯ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গ্যালভেস্টন শহরে সর্বশেষ দাসদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার প্রকৃত অবসানের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি জুনটিনথ হিসেবে পরিচিত। কৃষ্ণাঙ্গদের এমন একটি বিশেষ দিনে তুলসায় সমাবেশ করতে চেয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরে তিনি সমাবেশের তারিখ বদলান।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জুনটিনথ-কে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
তুলসার এই ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় উদ্যোগ, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বর্ণবৈষম্যমূলক হামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তহবিল গঠন করা হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে শিকাগোর কাছাকাছি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এভানস্টন শহর কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে বাড়ির সংস্কার বা ডাউন পেমেন্টের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
তবে মার্কিন জনগণ বরাবরই সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত। গত মে মাসে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ওয়েস মুর—যিনি রাজ্যের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর—একটি ক্ষতিপূরণ কমিশন গঠনের প্রস্তাবিত বিলে ভেটো দেন। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের প্রতি অতীতের বৈষম্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং কিছু ক্ষতিপূরণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেখানেও সরাসরি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তুলসা রেস ম্যাসাকারের শেষ জীবিত দুই সাক্ষী—লেসি বেনিংফিল্ড র্যান্ডেল এবং ভায়োলা ফোর্ড ফ্লেচার—গত বছর আদালতে দায়ের করা এক দীর্ঘ মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে হেরে যান।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
২ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
০৩ জুন ২০২৫
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৩ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
০৩ জুন ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
০৩ জুন ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
২ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

‘তুলসা রেস ম্যাসাকার’ নামে ইতিহাসে কুখ্যাত সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য ১০৫ মিলিয়ন ডলারের পুনর্বাসন তহবিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ওকলাহোমার তুলসা শহর কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই বর্ণবিদ্বেষী হত্যাযজ্ঞের ক্ষত সারাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
০৩ জুন ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
২ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে