Ajker Patrika

ক্ষমতার অপব্যবহার: বাইডেনকে অভিশংসনের উদ্যোগ রিপাবলিকানদের 

আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩, ১৬: ১২
ক্ষমতার অপব্যবহার: বাইডেনকে অভিশংসনের উদ্যোগ রিপাবলিকানদের 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিশংসনের জন্য রিপাবলিকানরা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ভোট দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁরা এই ভোট দেন। দলটির ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা পার্টির এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিক্ততা বাড়াতে এমনটি করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।

বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের আইনপ্রণেতারা একটি রেজল্যুুশন উদ্ধৃতি করে ভোট দেন। ওই রেজল্যুশনে ডেমোক্রেটিক দল থেকে নির্বাচিত ৮০ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ ও ‘কর্তব্যে অবহেলার’ অভিযোগ আনা হয়।

রিপাবলিকানরা বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগও এনেছেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অপরাধ ও চোরাচালান বেড়েছে।

তবে ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, রিপাবলিকানরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইন ভঙ্গ ও মামলা থেকে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এই ভোট দিয়েছে। ট্রাম্প অর্থ জালিয়াতির ৭০টিরও বেশি গুরুতর অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া সরকারি গোপনীয় নথির অব্যবস্থাপনা করেছেন এবং এখন আইন প্রয়োগে বাধা দিচ্ছেন।

এদিকে বাইডেনের ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে ওঠা কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত শেষে তিনি দায় স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন। তবে সমালোচকেরা বাইডেনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অন্যায়ের প্রমাণ সামনে নিয়ে আসতে পারেননি।

হাউস অব রিপ্রেজেনটিভের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফরিস কংগ্রেসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি এই জিনিসগুলো তৈরি করতে পারবেন না। তাদের চরমপন্থা সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করা অব্যাহত রয়েছে। তারা আমেরিকান জনগণের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক মঙ্গলের জন্য কিছুই করছে না, কিছুই না।’

হাউস অব রিপ্রেজেনটিভের অভিশংসন আসলে কোনো ফৌজদারি অভিযোগের রাজনৈতিক রূপ। এই অভিসংশন প্রস্তাব এরপর তাঁরা সিনেটের ১০০ সদস্যের কাছে পাঠাবেন। সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য অভিসংশনের পক্ষে ভোট দিলে প্রেসিডেন্ট অপসারিত হবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুবার অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন। তবে দুবারই সিনেটে রিপাবলিকান মিত্রদের ভোটে অভিসংশন প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। তিনি অভিশংসনের মুখে পড়া তিন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের একজন।

গত কয়েক মাস ধরে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়ছে। এ সময় রিপাবলিকানদের মধ্য অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ঠেকাতে শেষমেশ তাঁরা এই অসার অভিশংসন প্রস্তাব তুলেছেন, যা ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে সহজেই বাধাগ্রস্ত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ০০
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি।

বিস্তারিত আসছে....

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচন: ভোট গণনা শেষ, ‘জিততে যাচ্ছেন মামদানি’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভোট গণনা সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশের আশা করা হচ্ছে। প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফলাফলের অপেক্ষায় নানা স্থানে আয়োজন করেছে ওয়াচ পার্টি।

মামদানির নির্বাচনী অনুষ্ঠান হচ্ছে ডাউনটাউন ব্রুকলিনের ঐতিহাসিক কনসার্ট ভেন্যু ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে। অন্যদিকে, কুমো তাঁর নির্বাচনী আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের মিডটাউনের জিগফেল্ড থিয়েটারে। রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়া তাঁর নির্বাচনী পার্টির আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের একটি রেস্তোরাঁয়, যেটি মূলত ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন জানিয়েছে, ১৯৮৯ সালের পর এবারই প্রথম ভোটার উপস্থিতি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আগেই বোর্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

এদিকে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জোহরান মামদানির প্রচারশিবিরের প্রেস সেক্রেটারি ডোরা পেকেক আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আজ যা দেখছি, তা এক বছরের পরিশ্রম আর এক বছরের আন্দোলনের ফল। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই ভালো খবর। প্রাইমারিতেও এটি আমাদের পক্ষে গিয়েছিল, এবারও সেটি আমাদের পক্ষে যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা নতুন মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করছি।’

অপরদিকে, নির্বাচনে নিয়ে কাজ করা স্বাধীন সংস্থা ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ ইতোমধ্যেই মামদানিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কেবল এই সংস্থাটিই এমন ঘোষণা দিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, ‘ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানাচ্ছে যে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানিই জিততে যাচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাদ্দাফির পুত্রকে মুক্ত করতে লেবাননে গেল লিবিয়ার প্রতিনিধিদল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ২৫
মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল। ছবি: সংগৃহীত
মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল। ছবি: সংগৃহীত

মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধিদল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।

লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পুত্র হানিবাল ২০১৫ সাল থেকে কোনো বিচার ছাড়াই লেবাননের কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লেবাননের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুসা আল সদরের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য লুকিয়ে রেখেছেন।

মুসা আল সদর ১৯৭৮ সালে গাদ্দাফির আমন্ত্রণে লিবিয়ায় সফরে যান এবং সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। সদর যখন নিখোঁজ হন, হানিবাল তখন মাত্র দুই বছরের শিশু। তাই এই বিষয়ে কোনো তথ্য গোপনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, গত মাসে (অক্টোবর) লেবাননের আদালত হানিবালকে ১১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মুক্তির নির্দেশ দেন। তবে হানিবালের আইনজীবীরা তখন দাবি করেন, বিপুল এই অর্থ পরিশোধে তিনি সক্ষম নন। এ ছাড়া আদালতের আদেশ অনুযায়ী, হানিবালকে মুক্তি দেওয়া হলেও লেবানন ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অতীতে তিনি বন্দী অবস্থায় অনশন ধর্মঘটও পালন করেছিলেন।

এদিকে হানিবালের দেশ লিবিয়ান এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হানিবাল হয়তো লেবানন ও লিবিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অংশ হিসেবে ছাড়পত্র পেতে পারেন।

লিবিয়ার প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইব্রাহিম দবাইবাহ। তিনি ত্রিপোলির জাতীয় একতা সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবাইবাহর ভাগনে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির পরিবারের সঙ্গে দবাইবাহ পরিবারের একসময় শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।

প্রতিনিধিদলটি লেবাননের প্রেসিডেন্ট সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য ও ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারের যোগাযোগ ও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওয়ালিদ এল লাফি সরাসরি হানিবালের মামলার উল্লেখ না করে জানান, তাঁরা দুই দেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও বিচারিক সম্পর্ক আবারও চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আশা করি এই সফর শিগগির দৃশ্যমান ফলাফল দেবে।’

তিনি জানান, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে লেবাননের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনসহ দেশটির সংসদের স্পিকার নাবিহ বের্রি এই আলোচনার প্রতি ইতিবাচক মনোভব দেখিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নাবিহ বেররি হলেন ‘আমাল আন্দোলন’ এর নেতা। বহু বছর আগে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ মুসা আল সদরই এই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সদরের নিখোঁজ হওয়া এখনো লেবাননে গভীর অনুভূতি জাগায়। সদরের সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গী, শেখ মুহাম্মদ ইয়াকুব ও সাংবাদিক আব্বাস বাদরেদ্দিনও নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাই হানিবালের মুক্তির বিষয়ে সব ধরনের সমাধান ও চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইয়াকুবের পরিবার।

২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় লিবিয়া ত্যাগ করেছিলেন হানিবাল। পরে তিনি তাঁর লেবানিজ স্ত্রী আলিন স্কাফ ও সন্তানদের নিয়ে সিরিয়ায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ তাঁকে অপহরণ করে লেবানন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। তখন থেকেই তিনি লেবাননের কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মামদানিকে ভোট না দিতে নিউইয়র্কের ইহুদিদের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি একজন ইহুদিবিদ্বেষী। এটা জেনেও কোনো ইহুদি ব্যক্তি যদি তাকে ভোট দেয়, তাহলে সে স্বঘোষিত ও প্রমাণিত ইহুদিবিদ্বেষী। সেই সঙ্গে সে একজন বোকা মানুষ!!!’

এর আগে গত রোববার (২ নভেস্বর) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’

ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’

ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’

৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৩৪ বছর বয়সী মামদানি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হওয়ার দৌড়ে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত