আজকের পত্রিকা ডেস্ক
শাটডাউনে চলে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। বাজেট ইস্যুতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ১ মিনিট) ফেডারেল সরকারের ব্যয় চালিয়ে নিতে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত তহবিল প্যাকেজ ডেমোক্র্যাটরা আটকে দেওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সময়সীমার শেষ মুহূর্তে এসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা একে অপরের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন বিল প্রত্যাখ্যান করে। এতে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম শাটডাউনে চলে গেছে সরকার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেট অচলাবস্থার কারণে সরকারি কার্যক্রমের অর্থায়ন অক্টোবরের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নানা ধরনের ভোগান্তি ডেকে আনবে। প্রভাব পড়বে বিমান ভ্রমণ থেকে শুরু করে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্যন্ত।
রাজনৈতিক এই অচলাবস্থার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ ফেডারেল কর্মী (প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার) অবৈতনিক ছুটিতে যেতে পারেন।
শাটডাউনে ভ্রমণকারীরা দীর্ঘ নিরাপত্তা লাইনে পড়তে পারেন। আবার আকাশপথ নিয়ন্ত্রণকর্মী ও পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থার (টিএসএ) কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় কাজে অনুপস্থিত হলে ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে। তবে এ ধরনের কর্মীদের ‘অপরিহার্য’ ধরা হয়, তাই তাঁরা কাজে আসবেন, কিন্তু শাটডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেতন পাবেন না। ২০১৮-১৯ সালের শাটডাউনে এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের অনুপস্থিতি দেশজুড়ে ফ্লাইট বিলম্ব ঘটিয়েছিল।
বিদেশ ভ্রমণকারীরাও সমস্যায় পড়তে পারেন। পাসপোর্ট ইস্যুতে দেরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট সংস্থা।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন ফেডারেল কর্মীরা। শাটডাউন চলাকালে তাঁরা কোনো বেতন পাবেন না। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থার সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাবেন, তবে তাঁদেরও বেতন মিলবে না।
সিবিএস নিউজের তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হবে প্রতিরক্ষা দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, বাণিজ্য দপ্তর, পররাষ্ট্র দপ্তর ও নাসা। অগণিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান যেমন সিডিসি ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথে (এনআইএইচ) চলমান গবেষণাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কর্মীরা জীবিকার তাগিদে দ্বিতীয় চাকরি নিতে বাধ্য হতে পারেন। তবে অতীতে যেমন হয়েছে, শাটডাউন শেষে তাঁরা বকেয়া বেতন পেয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদার কর্মীরা (যাঁরা সরাসরি সরকারি কর্মী নন) সাধারণত বকেয়া পান না। তবে কংগ্রেসের সদস্যরা এর বাইরে থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা বেতন পেতেই থাকবেন।
শাটডাউনে ফেডারেল জমি ও জাতীয় উদ্যান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগে শাটডাউন চলাকালে পার্ক খোলা রাখায় ব্যাপক ভাঙচুর, চুরি ও পরিবেশের ক্ষতির মতো ঘটনা ঘটেছিল। এ জন্য এবার সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার দাবি তুলেছেন পার্ককর্মী ও সংরক্ষণকর্মীরা।
স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের জাদুঘরগুলো অন্তত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকবে। জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো যথারীতি যত্ন পাবে, তবে জনপ্রিয় লাইভ ওয়েবক্যামসেবা বন্ধ থাকবে। ফলে দর্শনার্থীরা অনলাইনে পান্ডা, হাতি বা সিংহ দেখতে পারবেন না।
বয়স্ক ও দরিদ্রদের জন্য মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে কর্মী সংকটে পরিষেবায় বিলম্ব হতে পারে। নারী ও শিশুদের জন্য খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউআইসি) অর্থসংকটে পড়তে পারে।
অন্য দিকে খাদ্য কুপন কর্মসূচি কিছুদিন চালু থাকলেও দীর্ঘ শাটডাউন হলে তহবিল ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বন্যাবিমা কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেলে অনেক বাড়ির বন্ধক প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে। আর দীর্ঘস্থায়ী হলে ফেমার (ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি) দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলও শূন্য হয়ে যেতে পারে।
তবে শাটডাউনের প্রভাব পড়বে না ডাক বিভাগে। ডাকঘর খোলা থাকবে এবং চিঠিপত্র যথারীতি পৌঁছাবে। কারণ, ডাক বিভাগ কংগ্রেস থেকে অর্থায়ন পায় না; তারা নিজেদের আয় দিয়ে পরিচালিত হয়।
শাটডাউনে চলে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। বাজেট ইস্যুতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ১ মিনিট) ফেডারেল সরকারের ব্যয় চালিয়ে নিতে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত তহবিল প্যাকেজ ডেমোক্র্যাটরা আটকে দেওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সময়সীমার শেষ মুহূর্তে এসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা একে অপরের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন বিল প্রত্যাখ্যান করে। এতে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম শাটডাউনে চলে গেছে সরকার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজেট অচলাবস্থার কারণে সরকারি কার্যক্রমের অর্থায়ন অক্টোবরের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নানা ধরনের ভোগান্তি ডেকে আনবে। প্রভাব পড়বে বিমান ভ্রমণ থেকে শুরু করে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ পর্যন্ত।
রাজনৈতিক এই অচলাবস্থার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ ফেডারেল কর্মী (প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার) অবৈতনিক ছুটিতে যেতে পারেন।
শাটডাউনে ভ্রমণকারীরা দীর্ঘ নিরাপত্তা লাইনে পড়তে পারেন। আবার আকাশপথ নিয়ন্ত্রণকর্মী ও পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থার (টিএসএ) কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় কাজে অনুপস্থিত হলে ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে। তবে এ ধরনের কর্মীদের ‘অপরিহার্য’ ধরা হয়, তাই তাঁরা কাজে আসবেন, কিন্তু শাটডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেতন পাবেন না। ২০১৮-১৯ সালের শাটডাউনে এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের অনুপস্থিতি দেশজুড়ে ফ্লাইট বিলম্ব ঘটিয়েছিল।
বিদেশ ভ্রমণকারীরাও সমস্যায় পড়তে পারেন। পাসপোর্ট ইস্যুতে দেরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট সংস্থা।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন ফেডারেল কর্মীরা। শাটডাউন চলাকালে তাঁরা কোনো বেতন পাবেন না। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থার সদস্যরা কাজ চালিয়ে যাবেন, তবে তাঁদেরও বেতন মিলবে না।
সিবিএস নিউজের তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হবে প্রতিরক্ষা দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর, বাণিজ্য দপ্তর, পররাষ্ট্র দপ্তর ও নাসা। অগণিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান যেমন সিডিসি ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথে (এনআইএইচ) চলমান গবেষণাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কর্মীরা জীবিকার তাগিদে দ্বিতীয় চাকরি নিতে বাধ্য হতে পারেন। তবে অতীতে যেমন হয়েছে, শাটডাউন শেষে তাঁরা বকেয়া বেতন পেয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদার কর্মীরা (যাঁরা সরাসরি সরকারি কর্মী নন) সাধারণত বকেয়া পান না। তবে কংগ্রেসের সদস্যরা এর বাইরে থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা বেতন পেতেই থাকবেন।
শাটডাউনে ফেডারেল জমি ও জাতীয় উদ্যান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগে শাটডাউন চলাকালে পার্ক খোলা রাখায় ব্যাপক ভাঙচুর, চুরি ও পরিবেশের ক্ষতির মতো ঘটনা ঘটেছিল। এ জন্য এবার সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার দাবি তুলেছেন পার্ককর্মী ও সংরক্ষণকর্মীরা।
স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের জাদুঘরগুলো অন্তত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকবে। জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলো যথারীতি যত্ন পাবে, তবে জনপ্রিয় লাইভ ওয়েবক্যামসেবা বন্ধ থাকবে। ফলে দর্শনার্থীরা অনলাইনে পান্ডা, হাতি বা সিংহ দেখতে পারবেন না।
বয়স্ক ও দরিদ্রদের জন্য মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে কর্মী সংকটে পরিষেবায় বিলম্ব হতে পারে। নারী ও শিশুদের জন্য খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি (ডব্লিউআইসি) অর্থসংকটে পড়তে পারে।
অন্য দিকে খাদ্য কুপন কর্মসূচি কিছুদিন চালু থাকলেও দীর্ঘ শাটডাউন হলে তহবিল ফুরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বন্যাবিমা কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেলে অনেক বাড়ির বন্ধক প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে। আর দীর্ঘস্থায়ী হলে ফেমার (ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি) দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলও শূন্য হয়ে যেতে পারে।
তবে শাটডাউনের প্রভাব পড়বে না ডাক বিভাগে। ডাকঘর খোলা থাকবে এবং চিঠিপত্র যথারীতি পৌঁছাবে। কারণ, ডাক বিভাগ কংগ্রেস থেকে অর্থায়ন পায় না; তারা নিজেদের আয় দিয়ে পরিচালিত হয়।
গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। কিন্তু সেই নথি খোলা যাচ্ছে না মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা অন্য কোনো মার্কিন সফটওয়্যারে। প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয় এমন ফাইল ফরম্যাটে নথি প্রকাশ করেছে, যা কেবলমাত্র চীনের নিজস্ব সফটওয়্যার ‘ডব্লিউপিএস অফিস’—এ খোলা যায়।
১ ঘণ্টা আগেবিহারের বর্তমান সরকার নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, রাজ্যে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জোট এনডিএ নিশ্চিতভাবে পরাজিত হতে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘নিতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডি-ইউ (জনতা দল-ইউনাইটেড) ২৫টি আসনও পাবে না। এনডিএর এবার বিদায় নিশ্চিত, নিতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না।’
৩ ঘণ্টা আগেসুপরিচিত পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিরক্ষা কৌশলবিদ অ্যাশলে জে. টেলিসকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গোপনীয় জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য বেআইনিভাবে নিজের কাছে রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভার্জিনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় জেলার মার্কিন অ্যাটর্নির কার্যালয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। হামাস রেডক্রসের হাতে আরও চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ফলে মোট মৃত জিম্মির সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। এদিকে গাজায় ভয়াবহ খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটের মধ্যে তুরস্ক ৯০০ টন মানবিক সাহায্যের একটি জাহাজ পাঠিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে