Ajker Patrika

অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে বাধা, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এনে লস অ্যাঞ্জেলেস নগর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ—শহরটির ‘স্যাংচুয়ারি সিটি’ নীতি ফেডারেল ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে এবং একটি ‘আইনবহির্ভূত পরিবেশ’ তৈরি করছে।

মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়ের করা মামলার নথির বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার, বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের ‘স্যাংচুয়ারি সিটি’ নীতিমালা হোয়াইট হাউসের ‘অবৈধ অভিবাসন’ প্রতিরোধের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

উল্লেখ্য, স্যাংচুয়ারি নীতির আওতায় অভিবাসন সংক্রান্ত কোনো তথ্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে দিতে পারবে না পুলিশ। এর আগে নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কলোরাডোর মতো আরও শহরের বিরুদ্ধেও এ ধরনের মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই সব শহরেও স্যাংচুয়ারিটি সিটি নীতি মানা হয়।

মামলায় লস অ্যাঞ্জেলেসের এই নীতিমালাকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে এটি বাতিলের আদেশ চাওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির চিফ অব স্টাফ চ্যাড মিজেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ফেডারেল ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগে কেউ বাধা দিতে পারবে না। লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের সরকার বা বাসিন্দারা রাজি না থাকলেও আমরা আইন প্রয়োগ চালিয়ে যাব।’

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাসের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এপি। তবে, তাতে সাড়া দেয়নি তারা।

সিটি অ্যাটর্নি হাইডি ফেল্ডস্টাইন সোটোর মুখপাত্র আইভার পাইন বলেন, শহরটির এই নীতিমালা ‘খুব সতর্কতার সঙ্গে খসড়া করা হয়েছে’ এবং তা ফেডারেল আইন ও সংবিধানে নির্ধারিত কেন্দ্র-রাজ্য ক্ষমতার সীমারেখা অনুসরণ করে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার এবং আমাদের বাসিন্দাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এই নীতির সহ-প্রণেতা লস অ্যাঞ্জেলেস সিটির কাউন্সিল সদস্য হুগো সোটো-মার্টিনেজ জানান, শহর কর্তৃপক্ষ তার নাগরিকদের রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। তাঁর বলেন, ‘ট্রাম্প আমেরিকাজুড়ে পরিবারগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছেন। তিনি শহর ও কাউন্টিগুলোকে তাঁর এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাধ্য করতে চাইছেন। আমরা চুপচাপ বসে থেকে নিরীহ পরিবারগুলোকে নির্বাসনে পাঠাতে দেব না।’

লস অ্যাঞ্জেলেসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি’ দিয়েই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেই গত তিন সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা শত শত মানুষকে আটক করেছে।

এর জেরে লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ। অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি—পরিস্থিতি সামাল দিতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী ও মেরিন সেনা মোতায়েন করতে হয়। বিক্ষোভকালীন নানা সহিংস কার্যক্রমের জন্য শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ। ওই বিক্ষোভেও ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে লস অ্যাঞ্জেলেসের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সহায়তা করেনি।

আদালতে জমা দেওয়া মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ‘ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লস অ্যাঞ্জেলেসের অসহযোগিতার ফলে ৬ জুন ২০২৫ থেকে শহরজুড়ে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা এক কথায় বিশৃঙ্খলা, দাঙ্গা, লুটপাট ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কুৎসা, বরখাস্ত নিরাপত্তাপ্রহরী

এত শিক্ষার্থীর জীবন হুমকিতে ফেললেন, সন্তানদের মুখ মনে পড়ল না—বাশারকে আদালত

অবৈধ অভিবাসী বিষয়ে কঠোর মালয়েশিয়া, ফেরত পাঠাচ্ছে বিমানবন্দর থেকেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত