বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের পক্ষে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেছেন জো বাইডেন। বিবদমান জলসীমায় দুই দেশের দুটি জাহাজের সংঘর্ষের দুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা এল।
গতকাল বুধবার হোয়াইটহাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি রক্ষার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দেওয়া ভাসমান বেড়া কেটে ফেলে ফিলিপাইন এবং দেশটির ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ তুলে ধরতে গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানায়। ওই জলসীমাকে ম্যানিলা নিজের বলে দাবি করছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ম্যানিলা ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পর গত বুধবার প্রথম দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বাইডেন জোরালো বক্তব্য দেন।
বাইডেন বলেন, ফিলিপাইনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি ও প্রতিরক্ষা চুক্তি- দুটোই ‘লৌহবৃত’।
১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের মধ্যেকার স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুসারে, যেকোনো সশস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে এ দুটি দেশ পরস্পরকে রক্ষা করতে বাধ্য।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর বাইডেন বলেন, ‘ফিলিপাইনের উড়োজাহাজ, জাহাজ বা সশস্ত্র বাহিনীর ওপর যেকোনো ধরনের হামলার ক্ষেত্রে ফিলিপাইনের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চীন ও ফিলিপাইনের সমস্যার মধ্যে নাক গলানোর কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাও নিং বলেন, ‘ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড চীনের সার্বভৌমত্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে এর সামুদ্রিক স্বার্থে আঘাত হানতে পারবে না।’
গত রোববার ফিলিপাইন বলে, ফিলিপাইনের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) মধ্যে চীনের একটি কোস্ট গার্ড জাহাজ এবং ফিলিপাইনের পণ্য সরবরাহকারী নৌকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক একটি ঘটনায় ম্যানিলা জানিয়েছে, চীনা মিলিশিয়াদের একটি নৌকা ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে।
ফিলিপাইনের নৌকাগুলি নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজের দিকে যাচ্ছিল। ম্যানিলা জাহাজটি দক্ষিণ চীন সমুদ্রে এর দাবিকে আরও জোরদার করার জন্য সেকেন্ড থমাস শোলে নোঙর করে রেখেছে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গিলবার্তো তেওদরো জুনিয়র বলেন, চীনের নৌকাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিপাইনের জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে। এ ছাড়াও তিনি চীনের বিরুদ্ধে ‘নিজের স্বার্থে ঘটনা বিকৃত করার’ অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাইডেন বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় চীনা জাহাজগুলি ‘বিপজ্জনক এবং অবৈধভাবে কাজ করেছিল।’
ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলী এক মিত্র দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের দুটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলের— দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান— সঙ্গে এর সীমানা আছে।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে এবং ফিলিপাইন সরকার দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের পক্ষে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেছেন জো বাইডেন। বিবদমান জলসীমায় দুই দেশের দুটি জাহাজের সংঘর্ষের দুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা এল।
গতকাল বুধবার হোয়াইটহাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি রক্ষার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দেওয়া ভাসমান বেড়া কেটে ফেলে ফিলিপাইন এবং দেশটির ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ তুলে ধরতে গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানায়। ওই জলসীমাকে ম্যানিলা নিজের বলে দাবি করছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ম্যানিলা ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পর গত বুধবার প্রথম দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বাইডেন জোরালো বক্তব্য দেন।
বাইডেন বলেন, ফিলিপাইনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি ও প্রতিরক্ষা চুক্তি- দুটোই ‘লৌহবৃত’।
১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের মধ্যেকার স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুসারে, যেকোনো সশস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে এ দুটি দেশ পরস্পরকে রক্ষা করতে বাধ্য।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর বাইডেন বলেন, ‘ফিলিপাইনের উড়োজাহাজ, জাহাজ বা সশস্ত্র বাহিনীর ওপর যেকোনো ধরনের হামলার ক্ষেত্রে ফিলিপাইনের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চীন ও ফিলিপাইনের সমস্যার মধ্যে নাক গলানোর কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাও নিং বলেন, ‘ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড চীনের সার্বভৌমত্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে এর সামুদ্রিক স্বার্থে আঘাত হানতে পারবে না।’
গত রোববার ফিলিপাইন বলে, ফিলিপাইনের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের (ইইজেড) মধ্যে চীনের একটি কোস্ট গার্ড জাহাজ এবং ফিলিপাইনের পণ্য সরবরাহকারী নৌকার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক একটি ঘটনায় ম্যানিলা জানিয়েছে, চীনা মিলিশিয়াদের একটি নৌকা ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে।
ফিলিপাইনের নৌকাগুলি নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজের দিকে যাচ্ছিল। ম্যানিলা জাহাজটি দক্ষিণ চীন সমুদ্রে এর দাবিকে আরও জোরদার করার জন্য সেকেন্ড থমাস শোলে নোঙর করে রেখেছে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গিলবার্তো তেওদরো জুনিয়র বলেন, চীনের নৌকাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিপাইনের জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে। এ ছাড়াও তিনি চীনের বিরুদ্ধে ‘নিজের স্বার্থে ঘটনা বিকৃত করার’ অভিযোগ করেন।
এসব অভিযোগের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাইডেন বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় চীনা জাহাজগুলি ‘বিপজ্জনক এবং অবৈধভাবে কাজ করেছিল।’
ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলী এক মিত্র দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের দুটি উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলের— দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান— সঙ্গে এর সীমানা আছে।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে এবং ফিলিপাইন সরকার দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১৫ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে