আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারত, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং পাকিস্তান—এই পাঁচ দেশকে কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং গুপ্তচরবৃত্তির প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে কানাডার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস)। গতকাল বুধবার দেশটির পার্লামেন্ট জমা দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্ক্রল এ তথ্য জানিয়েছে।
সিএসআইএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের কানাডা-ভিত্তিক প্রক্সি এজেন্টরা কানাডীয় সমাজ ও রাজনীতিবিদদের প্রভাবিত করার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই কার্যক্রম যখন প্রতারণামূলক, গোপন বা হুমকিমূলক হয়ে ওঠে, তখন তা বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়।’
এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আগের বার কানাডার অনুরূপ অভিযোগ ভারত জোরালোভাবে অস্বীকার করেছিল।
সিএসআইএস জানায়, ভারতের এসব প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য খালিস্তানপন্থী আন্দোলন ইস্যুতে কানাডার অবস্থানে পরিবর্তন আনা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কানাডায় বসবাসরত খালিস্তাপন্থিদের হুমকি হিসেবে দেখে ভারত সরকার। তাদের কার্যক্রম দমনেই কানাডার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায় তারা।’
কানাডায় কিছু খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠী উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং সহিংসতার মাধ্যমে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলে স্বীকার করেছে সিএসআইএস নিজেও। সংস্থাটির ভাষ্য—একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সহিংসতা প্রচার, তহবিল সংগ্রহ এবং ভারতের অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনার জন্য কানাডাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রকৃত ও ধারণাগত খালিস্তানি উগ্রবাদই কানাডায় ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি।’
এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটির সংসদে দাবি করেছিলেন, খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাই সম্পৃক্ত। এবং সেটি তদন্ত করছে কানাডার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। ভারত এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে।
এই ঘটনার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সাক্ষাৎ করেছেন এবং উভয় দেশই একে অপরের রাজধানীতে হাই কমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘বাকি কূটনৈতিক পদক্ষেপও পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করা হবে।’
এর আগেও ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছিল কানাডা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক তদন্ত কমিশন ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তারা কানাডার রাজনীতিবিদদের গোপনে অর্থ সহায়তা করেছে এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়েছে।
ভারত এই অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা অভিযোগ তোলে যে, আসলে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার হস্তক্ষেপ করছে। মার্চ মাসে সিএসআইএস আবারও সতর্ক করে জানায়, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভারত, চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান হস্তক্ষেপের চেষ্টা করতে পারে।
ভারত, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং পাকিস্তান—এই পাঁচ দেশকে কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং গুপ্তচরবৃত্তির প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে কানাডার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস)। গতকাল বুধবার দেশটির পার্লামেন্ট জমা দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্ক্রল এ তথ্য জানিয়েছে।
সিএসআইএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের কানাডা-ভিত্তিক প্রক্সি এজেন্টরা কানাডীয় সমাজ ও রাজনীতিবিদদের প্রভাবিত করার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত। এই কার্যক্রম যখন প্রতারণামূলক, গোপন বা হুমকিমূলক হয়ে ওঠে, তখন তা বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়।’
এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আগের বার কানাডার অনুরূপ অভিযোগ ভারত জোরালোভাবে অস্বীকার করেছিল।
সিএসআইএস জানায়, ভারতের এসব প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য খালিস্তানপন্থী আন্দোলন ইস্যুতে কানাডার অবস্থানে পরিবর্তন আনা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কানাডায় বসবাসরত খালিস্তাপন্থিদের হুমকি হিসেবে দেখে ভারত সরকার। তাদের কার্যক্রম দমনেই কানাডার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায় তারা।’
কানাডায় কিছু খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠী উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং সহিংসতার মাধ্যমে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলে স্বীকার করেছে সিএসআইএস নিজেও। সংস্থাটির ভাষ্য—একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী সহিংসতা প্রচার, তহবিল সংগ্রহ এবং ভারতের অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনার জন্য কানাডাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। এই প্রকৃত ও ধারণাগত খালিস্তানি উগ্রবাদই কানাডায় ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি।’
এর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটির সংসদে দাবি করেছিলেন, খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাই সম্পৃক্ত। এবং সেটি তদন্ত করছে কানাডার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। ভারত এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে।
এই ঘটনার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সাক্ষাৎ করেছেন এবং উভয় দেশই একে অপরের রাজধানীতে হাই কমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘বাকি কূটনৈতিক পদক্ষেপও পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করা হবে।’
এর আগেও ভারতের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছিল কানাডা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক তদন্ত কমিশন ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তারা কানাডার রাজনীতিবিদদের গোপনে অর্থ সহায়তা করেছে এবং বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়েছে।
ভারত এই অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা অভিযোগ তোলে যে, আসলে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার হস্তক্ষেপ করছে। মার্চ মাসে সিএসআইএস আবারও সতর্ক করে জানায়, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভারত, চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান হস্তক্ষেপের চেষ্টা করতে পারে।
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসের উত্তর প্রবেশপথে পৌঁছালে ট্রাম্প তাঁকে করমর্দন করে ও হাসি দিয়ে স্বাগত জানান।
২ ঘণ্টা আগেএক অদ্ভুত পদক্ষেপের কারণে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের মালা টকমাচকা এলাকায় হামলা চালানোর সময় দখল করা একটি মার্কিন সাঁজোয়া যানে তারা রাশিয়ার পতাকার পাশে আমেরিকার পতাকাও উড়িয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিট) এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ প্রায় সব ইউরোপীয় নেতা হোয়াইট হাউসে এসে পৌঁছেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের মাত্র তিন দিন পরে পুতিন ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জানালেন, বৈঠকের আগে তাঁর দেওয়া পরামর্শ কতটা কাজে লেগেছে। মোদির উত্তরও ছিল কূটনৈতিক—ভারত এখনো বিশ্বাস করে আলোচনার পথেই শান্তি সম্ভব। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে শক্ত বার্তা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যত স্বীকার
৪ ঘণ্টা আগে