২০১৮ সালে টানা ১৭ দিন নিজের মৃত শাবককে বহন করে ১ হাজার মাইলেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৃদয় কেড়েছিল ‘তাহলিকোয়া’ নামে পরিচিতি পাওয়া এবং গবেষকদের কাছে ‘জে-৩৫’ হিসেবে চিহ্নিত একটি মা তিমি। দুঃখজনকভাবে সাউদার্ন রেসিডেন্ট সেই অর্কা তিমিটিকে আবারও একই রকম শোক প্রদর্শন করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ছয় বছর পর ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের পুগেট সাউন্ড এলাকায় নতুন শাবকের জন্ম দিয়েছিল মা তিমিটি।
তাহলিকোয়ার নতুন শাবক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই শাবকটিকে প্রথমবার দেখা যায় গত ২০ ডিসেম্বর। সাধারণ মানুষের মাধ্যমে পাওয়া খবরটি পরে ২৩ ডিসেম্বর নিশ্চিত করেছিল ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)। কিন্তু নববর্ষের আগেই ‘জে-৬১’ হিসেবে চিহ্নিত শাবকটির মৃত্যু হয়েছে।
এ অবস্থায় গত ৫ জানুয়ারিও নিজের মৃত শাবকটিকে বহন করতে দেখা গেছে তাহলিকোয়া নামের ওই তিমিটিকে। এনওএএ-এর নর্থওয়েস্ট ফিশারিজ সায়েন্স সেন্টারের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. ব্র্যাড হ্যানসন জানিয়েছেন, মৃত শাবকটি ৩০০ পাউন্ড (১৩৬ কেজি) ওজনের এবং তাহলিকোয়া এটিকে নাক দিয়ে ঠেলে সমুদ্রের স্রোত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
অর্কা তিমির সামাজিক কাঠামো নিয়ে গবেষণা করা ড. মাইকেল ওয়েইস বলেন, ‘মাতৃস্নেহের যে গভীরতা, তাহলিকোয়ার আচরণ সেটিকে প্রকাশ করে। এটি পৃথিবীর যে কোনো প্রাণীর অন্যতম শক্তিশালী সামাজিক সম্পর্ক। তাহলিকোয়া স্পষ্টতই তার শাবকটিকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নয়।’
সিএনএন জানিয়েছে, সাউদার্ন রেসিডেন্ট অর্কা তিমির সংখ্যা বর্তমানে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রজাতির মাত্র ৭৩টি তিমি বেঁচে আছে। নতুন শাবকের মৃত্যু এই তিমি সংখ্যার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
গবেষকেরা এখন উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, শাবক বহনের বাড়তি ওজন এবং এর ফলে তাহলিকোয়ার চলাচল ধীর হয়ে যাওয়ায় তার খাদ্য সংগ্রহে বাধা হতে পারে। তবে ২০১৮ সালে ১৭ দিনের শোক প্রকাশের সময় তাহলিকোয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি দেখা যায়নি। সম্ভবত তার পরিবার বা গোত্র তাকে খাদ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছিল।
সাউদার্ন রেসিডেন্ট অর্কাদের প্রজনন হার খুবই কম। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ গর্ভধারণ স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত কিংবা খুব অল্প সময়ে মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়। খাদ্যের অভাব, দূষণ, শব্দ দূষণ এবং অভ্যন্তরীণ প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এই প্রজাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলেছে।
এ ছাড়া মেয়ে শাবকের মৃত্যু এই প্রজাতির প্রজনন ক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দেয়। ফলে তাদের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনাও আরও কঠিন হয়ে যায়। গবেষকেরা বলছেন, আদর্শ পরিস্থিতিতে প্রতিটি মা অর্কা তাদের জীবদ্দশায় গড়ে ৫-৬টি শাবকের জন্ম দেয়। তবে এই প্রজাতির বেশির ভাগ মা অর্কাই এই পরিমাণ সফল প্রজননে সক্ষম নয়।
তাহলিকোয়ার শোক প্রকাশের এই আচরণ একদিকে তার মাতৃত্বের গভীরতা প্রকাশ করে, অন্যদিকে বিপন্ন প্রজাতির টিকে থাকার সংগ্রামের প্রতি বিজ্ঞানীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
২০১৮ সালে টানা ১৭ দিন নিজের মৃত শাবককে বহন করে ১ হাজার মাইলেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বজুড়ে হৃদয় কেড়েছিল ‘তাহলিকোয়া’ নামে পরিচিতি পাওয়া এবং গবেষকদের কাছে ‘জে-৩৫’ হিসেবে চিহ্নিত একটি মা তিমি। দুঃখজনকভাবে সাউদার্ন রেসিডেন্ট সেই অর্কা তিমিটিকে আবারও একই রকম শোক প্রদর্শন করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ছয় বছর পর ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের পুগেট সাউন্ড এলাকায় নতুন শাবকের জন্ম দিয়েছিল মা তিমিটি।
তাহলিকোয়ার নতুন শাবক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই শাবকটিকে প্রথমবার দেখা যায় গত ২০ ডিসেম্বর। সাধারণ মানুষের মাধ্যমে পাওয়া খবরটি পরে ২৩ ডিসেম্বর নিশ্চিত করেছিল ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)। কিন্তু নববর্ষের আগেই ‘জে-৬১’ হিসেবে চিহ্নিত শাবকটির মৃত্যু হয়েছে।
এ অবস্থায় গত ৫ জানুয়ারিও নিজের মৃত শাবকটিকে বহন করতে দেখা গেছে তাহলিকোয়া নামের ওই তিমিটিকে। এনওএএ-এর নর্থওয়েস্ট ফিশারিজ সায়েন্স সেন্টারের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. ব্র্যাড হ্যানসন জানিয়েছেন, মৃত শাবকটি ৩০০ পাউন্ড (১৩৬ কেজি) ওজনের এবং তাহলিকোয়া এটিকে নাক দিয়ে ঠেলে সমুদ্রের স্রোত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
অর্কা তিমির সামাজিক কাঠামো নিয়ে গবেষণা করা ড. মাইকেল ওয়েইস বলেন, ‘মাতৃস্নেহের যে গভীরতা, তাহলিকোয়ার আচরণ সেটিকে প্রকাশ করে। এটি পৃথিবীর যে কোনো প্রাণীর অন্যতম শক্তিশালী সামাজিক সম্পর্ক। তাহলিকোয়া স্পষ্টতই তার শাবকটিকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নয়।’
সিএনএন জানিয়েছে, সাউদার্ন রেসিডেন্ট অর্কা তিমির সংখ্যা বর্তমানে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রজাতির মাত্র ৭৩টি তিমি বেঁচে আছে। নতুন শাবকের মৃত্যু এই তিমি সংখ্যার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
গবেষকেরা এখন উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, শাবক বহনের বাড়তি ওজন এবং এর ফলে তাহলিকোয়ার চলাচল ধীর হয়ে যাওয়ায় তার খাদ্য সংগ্রহে বাধা হতে পারে। তবে ২০১৮ সালে ১৭ দিনের শোক প্রকাশের সময় তাহলিকোয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি দেখা যায়নি। সম্ভবত তার পরিবার বা গোত্র তাকে খাদ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছিল।
সাউদার্ন রেসিডেন্ট অর্কাদের প্রজনন হার খুবই কম। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ গর্ভধারণ স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত কিংবা খুব অল্প সময়ে মৃত্যুর মাধ্যমে শেষ হয়। খাদ্যের অভাব, দূষণ, শব্দ দূষণ এবং অভ্যন্তরীণ প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এই প্রজাতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলেছে।
এ ছাড়া মেয়ে শাবকের মৃত্যু এই প্রজাতির প্রজনন ক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দেয়। ফলে তাদের সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনাও আরও কঠিন হয়ে যায়। গবেষকেরা বলছেন, আদর্শ পরিস্থিতিতে প্রতিটি মা অর্কা তাদের জীবদ্দশায় গড়ে ৫-৬টি শাবকের জন্ম দেয়। তবে এই প্রজাতির বেশির ভাগ মা অর্কাই এই পরিমাণ সফল প্রজননে সক্ষম নয়।
তাহলিকোয়ার শোক প্রকাশের এই আচরণ একদিকে তার মাতৃত্বের গভীরতা প্রকাশ করে, অন্যদিকে বিপন্ন প্রজাতির টিকে থাকার সংগ্রামের প্রতি বিজ্ঞানীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
নেপালের পর্যটন এলাকা চন্দ্রগিরিতে একটি কেবল কারে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, নেতাদের বাসভবন এমনকি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
১ ঘণ্টা আগে‘মধ্যস্থতাকারী’—শব্দটা যেন কাতারের প্রতিশব্দই হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্ব চলছে এমন দুই দেশের সঙ্গে বেশ আলাদাভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে কাতারের। এবং বরাবরই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই আরব দেশটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, হামাস-
১ ঘণ্টা আগেভারত মিয়ানমারের শক্তিশালী এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সহায়তায় দেশটি থেকে বিরল খনিজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা এ কৌশলগত সম্পদের বিকল্প উৎস খুঁজছে দিল্লি। ভারতের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমারের উত্তর
১ ঘণ্টা আগেভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, নেপালের উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সশস্ত্র সীমা বল পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
১ ঘণ্টা আগে