আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি), যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখন শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালে বিশ্বের ২৫০ কোটি মানুষের মাত্র ২০ শতাংশ শহরে বসবাস করত। অর্থাৎ গত সাত দশকে শহরবাসী মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশ ঘটবে শহরগুলোতে, এবং অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি হবে ছোট শহরে।
মেগাসিটির সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি
১০ মিলিয়ন (১ কোটি) বা তার বেশি বাসিন্দা রয়েছে এমন ‘মেগাসিটি’র সংখ্যা ১৯৭৫ সালে ছিল মাত্র ৮টি, যা ২০২৫ সালের মধ্যে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ টিতে দাঁড়িয়েছে। এই মেগাসিটিগুলোর অর্ধেকের বেশি (১৯ টি) এশিয়া মহাদেশে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হলো ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যেখানে প্রায় ৪২ মিলিয়ন (৪ কোটি ২০ লাখ) বাসিন্দা রয়েছে। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা, যার জনসংখ্যা প্রায় ৪০ মিলিয়ন (৪ কোটি)। তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের টোকিও (৩৩ মিলিয়ন কা ৩ কোটি ৩০ লাখ)। শীর্ষ ১০টি মেগাসিটির মধ্যে কায়রো (মিসর) একমাত্র অ-এশীয় শহর।
২০৫০ সালের মধ্যে মেগাসিটির সংখ্যা বেড়ে ৩৭ টিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, তানজানিয়ার দারুস সালাম, ভারতের হাজিপুর এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মতো শহরগুলো এই সময়ের মধ্যে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) জনসংখ্যা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছোট ও মাঝারি আকারের শহরে জনসংখ্যার চাপ
মেগাসিটির ব্যাপক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ছোট এবং মাঝারি আকারের শহরগুলোতেই মেগাসিটির তুলনায় বেশি মানুষ বাস করে এবং বিশেষত আফ্রিকা ও এশিয়াতে এই শহরগুলো আরও দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
পর্যালোচিত ১২ হাজার শহরের মধ্যে ৯৬ শতাংশে ১ মিলিয়নের (১০ লাখ) কম এবং ৮১ শতাংশে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের মোট সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেগুলোর বেশির ভাগের জনসংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের কম হবে।
অনেক বড় শহরে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা
প্রতিবেদনে শহর বৃদ্ধির বিপরীত চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে অনেক শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে, সেখানে মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো) এবং চেংদু (চীন)-এর মতো কিছু খুব বড় শহরসহ অন্য শহরগুলোতে জনসংখ্যার সংকোচন দেখা যাচ্ছে। জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতায় থাকা বেশির ভাগ শহরে চলতি ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে, এসব শহরের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি চীনে এবং ১৭ শতাংশ ভারতে অবস্থিত। এটি এমন একটি প্রবণতা যেখানে দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এসব শহরের জনসংখ্যা কমছে।
‘টাউন’ বা ছোট শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
প্রতিবেদনে ‘টাউন’ বা ছোট শহরের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যে বসতিতে কমপক্ষে ৫ হাজার বাসিন্দা এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে কমপক্ষে ৩০০ জন মানুষ বাস করে, সেগুলোই টাউন। জার্মানি, ভারত, উগান্ডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ৭১টি দেশে এই ‘টাউন’ হলো সবচেয়ে সাধারণ বসতির ধরন। গ্রামীণ অঞ্চল এবং শহরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কমে যাচ্ছে গ্রাম
বর্তমানে বিশ্বের ৬২টি দেশে গ্রামীণ অঞ্চল প্রধান বসতি হলেও ১৯৭৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬টি। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমে ৪৪ টিতে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইউরোপের অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক ও জাম্বিয়ার মতো অনেক দেশে এখনো গ্রামীণ বসতিগুলোর আধিপত্য রয়েছে। উপ-সাহারা আফ্রিকা একমাত্র অঞ্চল যেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে প্রায় সমস্ত গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলটিই দায়ী থাকবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহুয়া জোর দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু-সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি এগিয়ে নিতে সরকারগুলো যখন কোপ৩০-তে মিলিত হচ্ছেন, তখন জাতিসংঘ সকল প্রকার বসতিতে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরির ক্ষেত্রে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিচ্ছে। ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য, দেশগুলোকে অবশ্যই সমন্বিত জাতীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে যা শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চল জুড়ে আবাসন, ভূমি ব্যবহার, চলাচল এবং জনসেবাগুলো নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের এই সংস্করণে একটি বড় পদ্ধতিগত উদ্ভাবন যুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো, এটি ‘ডিগ্রি অব আর্বানাইজেশন’ যুক্ত করা হয়েছে। এটিকে একটি সমন্বিত জিওস্পেশিয়াল পদ্ধতি বলা হচ্ছে। এটিতে শহর, টাউন এবং গ্রামীণ এলাকা—এই তিন ধরনের বসতির জন্য আলাদা করে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির ফলে আন্তর্জাতিক তুলনামূলক আলোচনা এবং নগরায়ণ প্রবণতা সম্পর্কে আরও সূক্ষ্ম ধারণা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের জন্য ন্যূনতম জনসংখ্যা সীমা ৩ লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত শহরের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি), যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখন শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালে বিশ্বের ২৫০ কোটি মানুষের মাত্র ২০ শতাংশ শহরে বসবাস করত। অর্থাৎ গত সাত দশকে শহরবাসী মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশ ঘটবে শহরগুলোতে, এবং অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি হবে ছোট শহরে।
মেগাসিটির সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি
১০ মিলিয়ন (১ কোটি) বা তার বেশি বাসিন্দা রয়েছে এমন ‘মেগাসিটি’র সংখ্যা ১৯৭৫ সালে ছিল মাত্র ৮টি, যা ২০২৫ সালের মধ্যে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ টিতে দাঁড়িয়েছে। এই মেগাসিটিগুলোর অর্ধেকের বেশি (১৯ টি) এশিয়া মহাদেশে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হলো ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যেখানে প্রায় ৪২ মিলিয়ন (৪ কোটি ২০ লাখ) বাসিন্দা রয়েছে। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা, যার জনসংখ্যা প্রায় ৪০ মিলিয়ন (৪ কোটি)। তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের টোকিও (৩৩ মিলিয়ন কা ৩ কোটি ৩০ লাখ)। শীর্ষ ১০টি মেগাসিটির মধ্যে কায়রো (মিসর) একমাত্র অ-এশীয় শহর।
২০৫০ সালের মধ্যে মেগাসিটির সংখ্যা বেড়ে ৩৭ টিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, তানজানিয়ার দারুস সালাম, ভারতের হাজিপুর এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মতো শহরগুলো এই সময়ের মধ্যে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) জনসংখ্যা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছোট ও মাঝারি আকারের শহরে জনসংখ্যার চাপ
মেগাসিটির ব্যাপক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ছোট এবং মাঝারি আকারের শহরগুলোতেই মেগাসিটির তুলনায় বেশি মানুষ বাস করে এবং বিশেষত আফ্রিকা ও এশিয়াতে এই শহরগুলো আরও দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
পর্যালোচিত ১২ হাজার শহরের মধ্যে ৯৬ শতাংশে ১ মিলিয়নের (১০ লাখ) কম এবং ৮১ শতাংশে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের মোট সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেগুলোর বেশির ভাগের জনসংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের কম হবে।
অনেক বড় শহরে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা
প্রতিবেদনে শহর বৃদ্ধির বিপরীত চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে অনেক শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে, সেখানে মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো) এবং চেংদু (চীন)-এর মতো কিছু খুব বড় শহরসহ অন্য শহরগুলোতে জনসংখ্যার সংকোচন দেখা যাচ্ছে। জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতায় থাকা বেশির ভাগ শহরে চলতি ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে, এসব শহরের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি চীনে এবং ১৭ শতাংশ ভারতে অবস্থিত। এটি এমন একটি প্রবণতা যেখানে দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এসব শহরের জনসংখ্যা কমছে।
‘টাউন’ বা ছোট শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
প্রতিবেদনে ‘টাউন’ বা ছোট শহরের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যে বসতিতে কমপক্ষে ৫ হাজার বাসিন্দা এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে কমপক্ষে ৩০০ জন মানুষ বাস করে, সেগুলোই টাউন। জার্মানি, ভারত, উগান্ডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ৭১টি দেশে এই ‘টাউন’ হলো সবচেয়ে সাধারণ বসতির ধরন। গ্রামীণ অঞ্চল এবং শহরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কমে যাচ্ছে গ্রাম
বর্তমানে বিশ্বের ৬২টি দেশে গ্রামীণ অঞ্চল প্রধান বসতি হলেও ১৯৭৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬টি। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমে ৪৪ টিতে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইউরোপের অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক ও জাম্বিয়ার মতো অনেক দেশে এখনো গ্রামীণ বসতিগুলোর আধিপত্য রয়েছে। উপ-সাহারা আফ্রিকা একমাত্র অঞ্চল যেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে প্রায় সমস্ত গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলটিই দায়ী থাকবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহুয়া জোর দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু-সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি এগিয়ে নিতে সরকারগুলো যখন কোপ৩০-তে মিলিত হচ্ছেন, তখন জাতিসংঘ সকল প্রকার বসতিতে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরির ক্ষেত্রে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিচ্ছে। ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য, দেশগুলোকে অবশ্যই সমন্বিত জাতীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে যা শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চল জুড়ে আবাসন, ভূমি ব্যবহার, চলাচল এবং জনসেবাগুলো নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের এই সংস্করণে একটি বড় পদ্ধতিগত উদ্ভাবন যুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো, এটি ‘ডিগ্রি অব আর্বানাইজেশন’ যুক্ত করা হয়েছে। এটিকে একটি সমন্বিত জিওস্পেশিয়াল পদ্ধতি বলা হচ্ছে। এটিতে শহর, টাউন এবং গ্রামীণ এলাকা—এই তিন ধরনের বসতির জন্য আলাদা করে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির ফলে আন্তর্জাতিক তুলনামূলক আলোচনা এবং নগরায়ণ প্রবণতা সম্পর্কে আরও সূক্ষ্ম ধারণা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের জন্য ন্যূনতম জনসংখ্যা সীমা ৩ লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত শহরের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি), যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখন শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালে বিশ্বের ২৫০ কোটি মানুষের মাত্র ২০ শতাংশ শহরে বসবাস করত। অর্থাৎ গত সাত দশকে শহরবাসী মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশ ঘটবে শহরগুলোতে, এবং অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি হবে ছোট শহরে।
মেগাসিটির সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি
১০ মিলিয়ন (১ কোটি) বা তার বেশি বাসিন্দা রয়েছে এমন ‘মেগাসিটি’র সংখ্যা ১৯৭৫ সালে ছিল মাত্র ৮টি, যা ২০২৫ সালের মধ্যে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ টিতে দাঁড়িয়েছে। এই মেগাসিটিগুলোর অর্ধেকের বেশি (১৯ টি) এশিয়া মহাদেশে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হলো ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যেখানে প্রায় ৪২ মিলিয়ন (৪ কোটি ২০ লাখ) বাসিন্দা রয়েছে। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা, যার জনসংখ্যা প্রায় ৪০ মিলিয়ন (৪ কোটি)। তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের টোকিও (৩৩ মিলিয়ন কা ৩ কোটি ৩০ লাখ)। শীর্ষ ১০টি মেগাসিটির মধ্যে কায়রো (মিসর) একমাত্র অ-এশীয় শহর।
২০৫০ সালের মধ্যে মেগাসিটির সংখ্যা বেড়ে ৩৭ টিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, তানজানিয়ার দারুস সালাম, ভারতের হাজিপুর এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মতো শহরগুলো এই সময়ের মধ্যে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) জনসংখ্যা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছোট ও মাঝারি আকারের শহরে জনসংখ্যার চাপ
মেগাসিটির ব্যাপক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ছোট এবং মাঝারি আকারের শহরগুলোতেই মেগাসিটির তুলনায় বেশি মানুষ বাস করে এবং বিশেষত আফ্রিকা ও এশিয়াতে এই শহরগুলো আরও দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
পর্যালোচিত ১২ হাজার শহরের মধ্যে ৯৬ শতাংশে ১ মিলিয়নের (১০ লাখ) কম এবং ৮১ শতাংশে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের মোট সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেগুলোর বেশির ভাগের জনসংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের কম হবে।
অনেক বড় শহরে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা
প্রতিবেদনে শহর বৃদ্ধির বিপরীত চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে অনেক শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে, সেখানে মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো) এবং চেংদু (চীন)-এর মতো কিছু খুব বড় শহরসহ অন্য শহরগুলোতে জনসংখ্যার সংকোচন দেখা যাচ্ছে। জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতায় থাকা বেশির ভাগ শহরে চলতি ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে, এসব শহরের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি চীনে এবং ১৭ শতাংশ ভারতে অবস্থিত। এটি এমন একটি প্রবণতা যেখানে দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এসব শহরের জনসংখ্যা কমছে।
‘টাউন’ বা ছোট শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
প্রতিবেদনে ‘টাউন’ বা ছোট শহরের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যে বসতিতে কমপক্ষে ৫ হাজার বাসিন্দা এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে কমপক্ষে ৩০০ জন মানুষ বাস করে, সেগুলোই টাউন। জার্মানি, ভারত, উগান্ডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ৭১টি দেশে এই ‘টাউন’ হলো সবচেয়ে সাধারণ বসতির ধরন। গ্রামীণ অঞ্চল এবং শহরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কমে যাচ্ছে গ্রাম
বর্তমানে বিশ্বের ৬২টি দেশে গ্রামীণ অঞ্চল প্রধান বসতি হলেও ১৯৭৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬টি। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমে ৪৪ টিতে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইউরোপের অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক ও জাম্বিয়ার মতো অনেক দেশে এখনো গ্রামীণ বসতিগুলোর আধিপত্য রয়েছে। উপ-সাহারা আফ্রিকা একমাত্র অঞ্চল যেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে প্রায় সমস্ত গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলটিই দায়ী থাকবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহুয়া জোর দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু-সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি এগিয়ে নিতে সরকারগুলো যখন কোপ৩০-তে মিলিত হচ্ছেন, তখন জাতিসংঘ সকল প্রকার বসতিতে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরির ক্ষেত্রে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিচ্ছে। ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য, দেশগুলোকে অবশ্যই সমন্বিত জাতীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে যা শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চল জুড়ে আবাসন, ভূমি ব্যবহার, চলাচল এবং জনসেবাগুলো নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের এই সংস্করণে একটি বড় পদ্ধতিগত উদ্ভাবন যুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো, এটি ‘ডিগ্রি অব আর্বানাইজেশন’ যুক্ত করা হয়েছে। এটিকে একটি সমন্বিত জিওস্পেশিয়াল পদ্ধতি বলা হচ্ছে। এটিতে শহর, টাউন এবং গ্রামীণ এলাকা—এই তিন ধরনের বসতির জন্য আলাদা করে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির ফলে আন্তর্জাতিক তুলনামূলক আলোচনা এবং নগরায়ণ প্রবণতা সম্পর্কে আরও সূক্ষ্ম ধারণা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের জন্য ন্যূনতম জনসংখ্যা সীমা ৩ লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত শহরের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি), যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখন শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালে বিশ্বের ২৫০ কোটি মানুষের মাত্র ২০ শতাংশ শহরে বসবাস করত। অর্থাৎ গত সাত দশকে শহরবাসী মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশ ঘটবে শহরগুলোতে, এবং অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি হবে ছোট শহরে।
মেগাসিটির সংখ্যা চার গুণ বৃদ্ধি
১০ মিলিয়ন (১ কোটি) বা তার বেশি বাসিন্দা রয়েছে এমন ‘মেগাসিটি’র সংখ্যা ১৯৭৫ সালে ছিল মাত্র ৮টি, যা ২০২৫ সালের মধ্যে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ টিতে দাঁড়িয়েছে। এই মেগাসিটিগুলোর অর্ধেকের বেশি (১৯ টি) এশিয়া মহাদেশে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল শহর হলো ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যেখানে প্রায় ৪২ মিলিয়ন (৪ কোটি ২০ লাখ) বাসিন্দা রয়েছে। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা, যার জনসংখ্যা প্রায় ৪০ মিলিয়ন (৪ কোটি)। তৃতীয় স্থানে আছে জাপানের টোকিও (৩৩ মিলিয়ন কা ৩ কোটি ৩০ লাখ)। শীর্ষ ১০টি মেগাসিটির মধ্যে কায়রো (মিসর) একমাত্র অ-এশীয় শহর।
২০৫০ সালের মধ্যে মেগাসিটির সংখ্যা বেড়ে ৩৭ টিতে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, তানজানিয়ার দারুস সালাম, ভারতের হাজিপুর এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মতো শহরগুলো এই সময়ের মধ্যে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) জনসংখ্যা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছোট ও মাঝারি আকারের শহরে জনসংখ্যার চাপ
মেগাসিটির ব্যাপক পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ছোট এবং মাঝারি আকারের শহরগুলোতেই মেগাসিটির তুলনায় বেশি মানুষ বাস করে এবং বিশেষত আফ্রিকা ও এশিয়াতে এই শহরগুলো আরও দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
পর্যালোচিত ১২ হাজার শহরের মধ্যে ৯৬ শতাংশে ১ মিলিয়নের (১০ লাখ) কম এবং ৮১ শতাংশে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের মোট সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী শহরের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেগুলোর বেশির ভাগের জনসংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের কম হবে।
অনেক বড় শহরে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা
প্রতিবেদনে শহর বৃদ্ধির বিপরীত চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে অনেক শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে, সেখানে মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো) এবং চেংদু (চীন)-এর মতো কিছু খুব বড় শহরসহ অন্য শহরগুলোতে জনসংখ্যার সংকোচন দেখা যাচ্ছে। জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতায় থাকা বেশির ভাগ শহরে চলতি ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজারের কম বাসিন্দা রয়েছে, এসব শহরের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি চীনে এবং ১৭ শতাংশ ভারতে অবস্থিত। এটি এমন একটি প্রবণতা যেখানে দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এসব শহরের জনসংখ্যা কমছে।
‘টাউন’ বা ছোট শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
প্রতিবেদনে ‘টাউন’ বা ছোট শহরের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যে বসতিতে কমপক্ষে ৫ হাজার বাসিন্দা এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে কমপক্ষে ৩০০ জন মানুষ বাস করে, সেগুলোই টাউন। জার্মানি, ভারত, উগান্ডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ৭১টি দেশে এই ‘টাউন’ হলো সবচেয়ে সাধারণ বসতির ধরন। গ্রামীণ অঞ্চল এবং শহরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কমে যাচ্ছে গ্রাম
বর্তমানে বিশ্বের ৬২টি দেশে গ্রামীণ অঞ্চল প্রধান বসতি হলেও ১৯৭৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ১১৬টি। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমে ৪৪ টিতে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইউরোপের অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, রোমানিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক ও জাম্বিয়ার মতো অনেক দেশে এখনো গ্রামীণ বসতিগুলোর আধিপত্য রয়েছে। উপ-সাহারা আফ্রিকা একমাত্র অঞ্চল যেখানে গ্রামীণ জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে প্রায় সমস্ত গ্রামীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলটিই দায়ী থাকবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহুয়া জোর দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু-সংক্রান্ত বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি এগিয়ে নিতে সরকারগুলো যখন কোপ৩০-তে মিলিত হচ্ছেন, তখন জাতিসংঘ সকল প্রকার বসতিতে টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরির ক্ষেত্রে নগর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিচ্ছে। ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য, দেশগুলোকে অবশ্যই সমন্বিত জাতীয় নীতি গ্রহণ করতে হবে যা শহর এবং গ্রামীণ অঞ্চল জুড়ে আবাসন, ভূমি ব্যবহার, চলাচল এবং জনসেবাগুলো নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের এই সংস্করণে একটি বড় পদ্ধতিগত উদ্ভাবন যুক্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো, এটি ‘ডিগ্রি অব আর্বানাইজেশন’ যুক্ত করা হয়েছে। এটিকে একটি সমন্বিত জিওস্পেশিয়াল পদ্ধতি বলা হচ্ছে। এটিতে শহর, টাউন এবং গ্রামীণ এলাকা—এই তিন ধরনের বসতির জন্য আলাদা করে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতির ফলে আন্তর্জাতিক তুলনামূলক আলোচনা এবং নগরায়ণ প্রবণতা সম্পর্কে আরও সূক্ষ্ম ধারণা পাওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের জন্য ন্যূনতম জনসংখ্যা সীমা ৩ লাখ থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে, যার ফলে প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত শহরের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সচিব ড্যান ড্রিসকল আবুধাবিতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তবে আলোচনার প্রস্তাবটি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তাদের কিছু অনড় শর্ত বা ‘রেড লাইন’ রয়েছে, যা কোনোভাবেই অতিক্রম করা
৪২ মিনিট আগে
ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘এই ফোনালাপ তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অত্যন্ত সফল বৈঠকের ফলোআপ ছিল। তার পর থেকে আমাদের চুক্তিগুলোকে সময়োপযোগী এবং নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এবার আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে পারি।’
৬ ঘণ্টা আগে
ঘুমের মধ্যে স্বামী সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসার পর এ মাসে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সচিব ড্যান ড্রিসকল আবুধাবিতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তবে আলোচনার প্রস্তাবটি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তাদের কিছু অনড় শর্ত বা ‘রেড লাইন’ রয়েছে, যা কোনোভাবেই অতিক্রম করা যাবে না।
মার্কিন পক্ষের খসড়া শান্তি প্রস্তাবে বলা হয়েছে—যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে দনবাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে। তাদের সেনাবাহিনীর আকারও ছোট করতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার অঙ্গীকার করতে হবে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই শর্তগুলো অবশ্য রাশিয়ার দাবির সঙ্গে অনেকাংশেই মিলে যায়।
তবে দনবাস অঞ্চলকে ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই এই অঞ্চল ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি অতীতেও এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেখানে দনবাসের অঞ্চল ছাড়ার বিনিময়ে খেরসন ও জাপোরিজঝিয়ার কিছু দখলকৃত অংশ ফেরত নিতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, গত রোববার (২৩ নভেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নও শান্তি-আলোচনায় তিনটি ‘রেড লাইন’-এর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের ভাষ্যমতে সেই রেড লাইনগুলো এমন—ইউক্রেনের সীমানা শক্তি প্রয়োগ করে পরিবর্তন করা যাবে না। ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা সীমিত করার কোনো শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এতে দেশটি ভবিষ্যৎ হামলার ঝুঁকিতে পড়বে এবং ইউরোপের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে। শান্তি-প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে এবং ইউক্রেনকে নিজের ভবিষ্যৎ—বিশেষ করে তার ইউরোপমুখী পথ স্বাধীনভাবে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে।
ফন ডার লিয়েন আরও বলেন, ইউক্রেন ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ভবিষ্যৎকেই বেছে নিয়েছে এবং সেটি শক্তিশালী হবে দেশটির পুনর্গঠন ও ইউরোপীয় বাজার ও প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তির মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং রাশিয়ার ত্রিমুখী আলোচনার মধ্যে এই নতুন অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিসরে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সচিব ড্যান ড্রিসকল আবুধাবিতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তবে আলোচনার প্রস্তাবটি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তাদের কিছু অনড় শর্ত বা ‘রেড লাইন’ রয়েছে, যা কোনোভাবেই অতিক্রম করা যাবে না।
মার্কিন পক্ষের খসড়া শান্তি প্রস্তাবে বলা হয়েছে—যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে দনবাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে। তাদের সেনাবাহিনীর আকারও ছোট করতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার অঙ্গীকার করতে হবে। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই শর্তগুলো অবশ্য রাশিয়ার দাবির সঙ্গে অনেকাংশেই মিলে যায়।
তবে দনবাস অঞ্চলকে ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই এই অঞ্চল ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি অতীতেও এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেখানে দনবাসের অঞ্চল ছাড়ার বিনিময়ে খেরসন ও জাপোরিজঝিয়ার কিছু দখলকৃত অংশ ফেরত নিতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, গত রোববার (২৩ নভেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নও শান্তি-আলোচনায় তিনটি ‘রেড লাইন’-এর মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের ভাষ্যমতে সেই রেড লাইনগুলো এমন—ইউক্রেনের সীমানা শক্তি প্রয়োগ করে পরিবর্তন করা যাবে না। ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা সীমিত করার কোনো শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এতে দেশটি ভবিষ্যৎ হামলার ঝুঁকিতে পড়বে এবং ইউরোপের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে। শান্তি-প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে এবং ইউক্রেনকে নিজের ভবিষ্যৎ—বিশেষ করে তার ইউরোপমুখী পথ স্বাধীনভাবে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে।
ফন ডার লিয়েন আরও বলেন, ইউক্রেন ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ভবিষ্যৎকেই বেছে নিয়েছে এবং সেটি শক্তিশালী হবে দেশটির পুনর্গঠন ও ইউরোপীয় বাজার ও প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযুক্তির মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং রাশিয়ার ত্রিমুখী আলোচনার মধ্যে এই নতুন অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিসরে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি)...
১০ ঘণ্টা আগে
ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘এই ফোনালাপ তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অত্যন্ত সফল বৈঠকের ফলোআপ ছিল। তার পর থেকে আমাদের চুক্তিগুলোকে সময়োপযোগী এবং নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এবার আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে পারি।’
৬ ঘণ্টা আগে
ঘুমের মধ্যে স্বামী সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসার পর এ মাসে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দাহ শুরু হওয়ার আগেই কফিনের ভেতর থেকে আসা মৃদু শব্দে মন্দিরের কর্মীরা চমকে ওঠেন।
মন্দিরের ব্যবস্থাপক পাইরাত সুধথুপ জানিয়েছেন, তিনি কফিনের দিক থেকে ক্ষীণ ঠকঠক শব্দ শুনে থমকে যান। পরে কফিন খুলে দেখা যায়—নারীটি চোখ আধখোলা অবস্থায় কফিনের দেয়ালে হাত দিয়ে আঘাত করছেন। সুধথুপ বলেন, ‘সম্ভবত তিনি বেশ কিছুক্ষণ ধরে নক করছিলেন।’
ওই নারীর ছোট ভাই জানান, স্থানীয় কর্মকর্তারা তাঁকে তাঁর বোনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বোনের মৃত্যুর কোনো সনদ ছিল না সেই ভাইয়ের কাছে। ব্যবস্থাপক সুধথুপ তাই ভাইটির সঙ্গে সনদের বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক এমন সময়ই কফিনের ভেতর থেকে শব্দ শোনা যায়। পরে কফিন খুলে সবাই নিশ্চিত হন—নারীটি জীবিত!

এ অবস্থায় মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে চিকিৎসকেরা জানান, ওই নারী গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছিলেন। এটি এমন এক অবস্থা যখন রক্তে শর্করার মাত্রা অতিমাত্রায় কমে যায়। স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর শ্বাসযন্ত্র বা হৃদ্যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নারীটি গত দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে পরিবার মনে করে তিনি আর শ্বাস নিচ্ছেন না। এরপরই দাহের প্রস্তুতি নিতে তাঁরা ফিৎসানুলোক প্রদেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ব্যাংককে আসেন।
চিকিৎসাধীন নারী এখনো হাসপাতালে আছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দাহ শুরু হওয়ার আগেই কফিনের ভেতর থেকে আসা মৃদু শব্দে মন্দিরের কর্মীরা চমকে ওঠেন।
মন্দিরের ব্যবস্থাপক পাইরাত সুধথুপ জানিয়েছেন, তিনি কফিনের দিক থেকে ক্ষীণ ঠকঠক শব্দ শুনে থমকে যান। পরে কফিন খুলে দেখা যায়—নারীটি চোখ আধখোলা অবস্থায় কফিনের দেয়ালে হাত দিয়ে আঘাত করছেন। সুধথুপ বলেন, ‘সম্ভবত তিনি বেশ কিছুক্ষণ ধরে নক করছিলেন।’
ওই নারীর ছোট ভাই জানান, স্থানীয় কর্মকর্তারা তাঁকে তাঁর বোনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বোনের মৃত্যুর কোনো সনদ ছিল না সেই ভাইয়ের কাছে। ব্যবস্থাপক সুধথুপ তাই ভাইটির সঙ্গে সনদের বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক এমন সময়ই কফিনের ভেতর থেকে শব্দ শোনা যায়। পরে কফিন খুলে সবাই নিশ্চিত হন—নারীটি জীবিত!

এ অবস্থায় মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে চিকিৎসকেরা জানান, ওই নারী গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছিলেন। এটি এমন এক অবস্থা যখন রক্তে শর্করার মাত্রা অতিমাত্রায় কমে যায়। স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর শ্বাসযন্ত্র বা হৃদ্যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নারীটি গত দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে পরিবার মনে করে তিনি আর শ্বাস নিচ্ছেন না। এরপরই দাহের প্রস্তুতি নিতে তাঁরা ফিৎসানুলোক প্রদেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ব্যাংককে আসেন।
চিকিৎসাধীন নারী এখনো হাসপাতালে আছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি)...
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সচিব ড্যান ড্রিসকল আবুধাবিতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তবে আলোচনার প্রস্তাবটি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তাদের কিছু অনড় শর্ত বা ‘রেড লাইন’ রয়েছে, যা কোনোভাবেই অতিক্রম করা
৪২ মিনিট আগে
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘এই ফোনালাপ তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অত্যন্ত সফল বৈঠকের ফলোআপ ছিল। তার পর থেকে আমাদের চুক্তিগুলোকে সময়োপযোগী এবং নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এবার আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে পারি।’
৬ ঘণ্টা আগে
ঘুমের মধ্যে স্বামী সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসার পর এ মাসে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে বেইজিং সফরের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি চীনা প্রেসিডেন্টও সেই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন।
দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলাপের পর এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্ক ‘বেশ মজবুত’।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আগে গত ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে দুই নেতার সরাসরি বৈঠকের পর তাঁদের মধ্যে ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছে দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
এই ফোনালাপকে ‘খুবই ভালো’ উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, তিনি ও সি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ফেন্টানিল সংকট, সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্পের দাবি, দুই পক্ষই মার্কিন কৃষকদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এক চুক্তিতে পৌঁছেছে।
তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘এই ফোনালাপ তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অত্যন্ত সফল বৈঠকের ফলোআপ ছিল। তার পর থেকে আমাদের চুক্তিগুলোকে সময়োপযোগী এবং নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এবার আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে পারি।’
‘এই উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট সি আগামী বছরের এপ্রিলে আমাকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা আমি গ্রহণ করেছি। আমিও তাঁকে পাল্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি ওই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আমার আতিথেয়তায় রাষ্ট্রীয় সফরে আসবেন,’ যোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে বেইজিং সফরের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি চীনা প্রেসিডেন্টও সেই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন।
দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলাপের পর এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্ক ‘বেশ মজবুত’।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আগে গত ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে দুই নেতার সরাসরি বৈঠকের পর তাঁদের মধ্যে ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছে দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।
এই ফোনালাপকে ‘খুবই ভালো’ উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, তিনি ও সি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ফেন্টানিল সংকট, সয়াবিনসহ কৃষিপণ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ট্রাম্পের দাবি, দুই পক্ষই মার্কিন কৃষকদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এক চুক্তিতে পৌঁছেছে।
তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘এই ফোনালাপ তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অত্যন্ত সফল বৈঠকের ফলোআপ ছিল। তার পর থেকে আমাদের চুক্তিগুলোকে সময়োপযোগী এবং নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এবার আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে পারি।’
‘এই উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট সি আগামী বছরের এপ্রিলে আমাকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা আমি গ্রহণ করেছি। আমিও তাঁকে পাল্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি ওই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে আমার আতিথেয়তায় রাষ্ট্রীয় সফরে আসবেন,’ যোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি)...
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সচিব ড্যান ড্রিসকল আবুধাবিতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তবে আলোচনার প্রস্তাবটি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তাদের কিছু অনড় শর্ত বা ‘রেড লাইন’ রয়েছে, যা কোনোভাবেই অতিক্রম করা
৪২ মিনিট আগে
ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ঘুমের মধ্যে স্বামী সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসার পর এ মাসে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘুমের মধ্যে স্বামী সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসার পর এ মাসে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির আগে পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে এ কথা বলে যান বিদ্যা নামের ওই নারী। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী বসবারাজকে এক ল্যাব টেকনিশিয়ান দম্পতি ক্লোরোফর্ম, সিরিঞ্জ ও পারদ সরবরাহ করেছিলেন। এসএলএন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ল্যাবে কাজ করতেন তাঁরা।
স্ত্রীর নাম শ্বেতা বলতে পারলেও স্বামীর নাম বলতে পারেননি বিদ্যা।
বিদ্যা পুলিশের কাছে জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমাতে যান তিনি। পরদিন সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙে তাঁর। এরপরই ডান উরুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। তাঁর মনে হতে থাকে যে তাঁকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। পা ফুলে গিয়ে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল। অবস্থার অবনতি হলে তিনি ৭ মার্চ আত্তিবেলে সরকারি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাঁকে অক্সফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অক্সফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বিদ্যার শরীরে পারদের বিষক্রিয়া শনাক্ত করেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকেরা। পরীক্ষায় পারদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।
বিদ্যা পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে এ কাজে সহায়তা করেন তাঁর শ্বশুর মারিস্বামাচারী। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে পারদের ইনজেকশন দেন।
মৃত্যুশয্যায় জবানবন্দিতে তিনি আরও জানান, স্বামী ও শ্বশুরের কাছ থেকে তিনি নিয়মিত হয়রানি, অপমান ও অবহেলার শিকার হতেন। তাঁর স্বামী তাঁকে ‘পাগল’ বলে সম্বোধন করতেন, ঘরে আটকে রাখতেন, আত্মীয়দের বাসায় যেতে দিতেন না। নিয়মিত নির্যাতন করতেন।
অক্সফোর্ড হাসপাতালে এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর বিদ্যাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর পুরো শরীর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। কিডনিসহ একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে তাঁর ডায়ালাইসিস করা হয়। ৯ মাস চিকিৎসার পর তিনি মারা যান।
বিদ্যা ও বসবারাজ দম্পতির চার বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

ঘুমের মধ্যে স্বামী সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে পারদ প্রবেশ করিয়েছেন বলে মৃত্যুর আগে অভিযোগ করেছেন স্ত্রী। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসার পর এ মাসে মৃত্যু হয় ওই নারীর।
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির আগে পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে এ কথা বলে যান বিদ্যা নামের ওই নারী। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী বসবারাজকে এক ল্যাব টেকনিশিয়ান দম্পতি ক্লোরোফর্ম, সিরিঞ্জ ও পারদ সরবরাহ করেছিলেন। এসএলএন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ল্যাবে কাজ করতেন তাঁরা।
স্ত্রীর নাম শ্বেতা বলতে পারলেও স্বামীর নাম বলতে পারেননি বিদ্যা।
বিদ্যা পুলিশের কাছে জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমাতে যান তিনি। পরদিন সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙে তাঁর। এরপরই ডান উরুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। তাঁর মনে হতে থাকে যে তাঁকে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। পা ফুলে গিয়ে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল। অবস্থার অবনতি হলে তিনি ৭ মার্চ আত্তিবেলে সরকারি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তাঁকে অক্সফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অক্সফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বিদ্যার শরীরে পারদের বিষক্রিয়া শনাক্ত করেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকেরা। পরীক্ষায় পারদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।
বিদ্যা পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে এ কাজে সহায়তা করেন তাঁর শ্বশুর মারিস্বামাচারী। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে পারদের ইনজেকশন দেন।
মৃত্যুশয্যায় জবানবন্দিতে তিনি আরও জানান, স্বামী ও শ্বশুরের কাছ থেকে তিনি নিয়মিত হয়রানি, অপমান ও অবহেলার শিকার হতেন। তাঁর স্বামী তাঁকে ‘পাগল’ বলে সম্বোধন করতেন, ঘরে আটকে রাখতেন, আত্মীয়দের বাসায় যেতে দিতেন না। নিয়মিত নির্যাতন করতেন।
অক্সফোর্ড হাসপাতালে এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর বিদ্যাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর পুরো শরীর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। কিডনিসহ একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে তাঁর ডায়ালাইসিস করা হয়। ৯ মাস চিকিৎসার পর তিনি মারা যান।
বিদ্যা ও বসবারাজ দম্পতির চার বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

বিশ্ব দ্রুতগতিতে নগরকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক দপ্তরের (ইউএন ডিইএসএ) ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড আর্বানাইজেশন প্রসপেক্টাস ২০২৫: সামারি অব রেজাল্টস’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন (৮২০ কোটি)...
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সচিব ড্যান ড্রিসকল আবুধাবিতে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছেন। তবে আলোচনার প্রস্তাবটি প্রকাশ্যে আসার পরই ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—তাদের কিছু অনড় শর্ত বা ‘রেড লাইন’ রয়েছে, যা কোনোভাবেই অতিক্রম করা
৪২ মিনিট আগে
ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহ করার ঠিক আগ মুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘এই ফোনালাপ তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমাদের অত্যন্ত সফল বৈঠকের ফলোআপ ছিল। তার পর থেকে আমাদের চুক্তিগুলোকে সময়োপযোগী এবং নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এবার আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে পারি।’
৬ ঘণ্টা আগে