
হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দোহাই খাটবে না।
বর্ণপ্রথা ভারতের অতিপ্রাচীন একটি সামাজিক সমস্যা। ভারতে এখনো এটি রয়েছে। বিশেষ করে দলিতরা এখনো নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন। কিন্তু আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে কেন এই বর্ণপ্রথা বিরোধী আইন করতে হচ্ছে? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক সবিতা পাতিল এই বিলের পক্ষে–বিপক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন সুখজিন্দর কাউর। হাসপাতালে দীর্ঘ ক্লান্তিকর কাজ করেন। কিন্তু বিরতিতে গেলেই বুঝতে পারেন তিনি এক নিপীড়নমূলক সমাজে বাস করেন।
সুখজিন্দর দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের গভীর বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথায় এই দলিতরা সবচেয়ে নিচের স্তরের। সুখজিন্দর প্রায়ই উচ্চ বর্ণের হিন্দু সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণবাদমূলক অসম্মানের সম্মুখীন হন।
দলিত অধিকার কর্মীরা বলছেন, বর্ণপ্রথার দোহাই দিয়ে নিপীড়নের শিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা আবাসন, শিক্ষাগত, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত মার্চে ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব এসবি–৪০২ বিলটি প্রণয়ন করেন। বৈষম্য বিরোধী এই বিলে লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম এবং অক্ষমতার পাশাপাশি বর্ণকেও একটি বিভাগ হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলটি মে মাসে রাজ্যের সিনেটে ৩৪–১ ভোটে পাস হয়। এটি রাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়া হবে বর্ণপ্রথা বৈষম্য নিষিদ্ধ করা প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য।
ক্যালিফোর্নিয়ায় যারা বিলটির পক্ষে তাঁদের মধ্যে একজন সুখজিন্দর। তিনি বলেন, ‘উচ্চ বর্ণের নার্সরা চামারদের (দলিতদের জন্য একটি নিন্দনীয় শব্দ) নোংরা ভাষায় গালি দেয়।’
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল কর্তৃপক্ষ বর্ণপ্রথা নিষিদ্ধ করে। এরপরই ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা উদ্যোগী হন। ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক ইকুয়ালিটি ল্যাবস নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে ৪০ টিরও বেশি আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট এটির প্রচারে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের সংখ্যা বিপুল। বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি রয়েছে এখানে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখের বেশি শিখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বাস করে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ—শিখ কোয়ালিশন এবং শিখ আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশন ফান্ড—বিলটি সমর্থন করছে। শিখদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলিত সম্প্রদায় রবিদাসিয়া—যাদের সদস্য সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার—তাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়েও এই বিলের পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
ইকুয়ালিটি ল্যাবসের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বর্ণপ্রথার কারণে নিপীড়িত চারজনের মধ্যে একজনই শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের শিকার হন; তিনজনের মধ্যে একজন শিক্ষায় বৈষম্যের সম্মুখীন হন এবং তিনজনের মধ্যে দুজন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণপ্রথা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে প্রথম বিস্তৃত একটি গবেষণা ছিল এটি। এতে অংশ নেন দেড় হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নিম্ন বর্ণের’ মানুষেরা প্রতি–আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় পান এবং তাঁরা ‘সমাজচ্যুত’ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তাই ‘জাত লুকিয়ে রাখেন’।
তবে ভারতীয় প্রবাসীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বর্ণপ্রথার কারণে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক দলিত কর্মী দীপক অলড্রিন বিলটির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। কোনো হিন্দু আমাকে কখনো জিজ্ঞেস করেনি আমি কোন বর্ণের।’
বিলটি অনেক ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তি, ধর্মীয় এবং পেশাজীবী গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছে। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিলে ধর্মের নাম উল্লেখ করা না হলেও এটি ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে ও তাঁদের উপাসনালয়ের প্রতি বৈষম্য উসকে দেবে। এমনকি হিন্দুদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে।’
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যমান আইনগুলো যে কোনো বৈষম্য মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তাঁরা। এটি আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে তাঁরা সংগঠিত হচ্ছেন।
হিন্দুপ্যাক্টের অধীনে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং হিন্দু মন্দির রয়েছে। এই সংগঠন আমেরিকায় বসবাসরত হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতাদের প্রতি বিলটি প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন করেছে। এর আহ্বায়ক অজয় শাহ বলেছেন, বিলটি ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের তরুণ ও যুবকদের এবং যারা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে তাদের লক্ষ্য করে আনা হয়েছে।’
হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক সুহাগ শুক্লা বলছেন, এই বিল এরই মধ্যে বর্ণ সম্পর্কে একটি ‘অবাঞ্ছিত’ সচেতনতা তৈরি করছে। এটি একপর্যায়ে বর্ণগত হয়রানির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। এরই মধ্যে এই ফাউন্ডেশন বিলে উল্লেখিত ‘বর্ণের সংজ্ঞাকে অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছে।
তবে বিলের লেখক আয়েশা ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিলে অন্যান্য সুরক্ষিত বিভাগের মতো বর্ণ শনাক্তকরণের বিস্তারিত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কীভাবে বর্ণ নির্ধারণ করা হবে তার কোনো কথা এখানে নেই। এটি কেবল একটি বৈষম্য–বিরোধী বিল। যখন কেউ আদালতে একটি বিষয় নিয়ে যায়, তখন সাধারণত সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিযুক্ত হন, সম্ভাব্য বৈষম্যের ধরনটি জানতে তদন্ত করা হয়।’
আয়েশা ওয়াহাব বলেন, বিলটি প্রস্তাব করার পর তিনি ‘হত্যা হুমকি’ পেয়েছেন। এখন প্রত্যাহারের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। এটি আবার ভোটে যেতে পারে। বিলটির বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া সেটি হতাশাজনক। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের তিনি বিলটি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আয়েশা বলেন, ‘আপনি উচ্চ বর্ণের বা নিম্ন বর্ণের যেই হোন না কেন, এতে কিছু যায় আসে না, এটি সবাইকে সুরক্ষা দেবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

হিন্দুদের বর্ণপ্রথা বিরোধী একটি আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত একটি বিল পার্লামেন্টে উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে তথাকথিত বর্ণের ভিত্তিতে কারও প্রতি আর বৈষম্য করা যাবে না। এই অঙ্গরাজ্যে ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে আর কোনো ভাবেই ধর্মের দো
০৯ জুন ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে