অনলাইন ডেস্ক
গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক নীরব কিন্তু গভীর রূপান্তর ঘটছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘকাল ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা যে উন্মুক্ত নীতির চর্চা করে এসেছে, তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই পরিবর্তন শুরু হয়েছিল ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি-বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এটি এমন এক কৌশলে রূপ নিয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বাধ্য করা।
এই বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে রয়েছে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মার্কিন সরকারের একটি বিতর্কিত সমঝোতা। মূলত ৪০ কোটি ডলারের গবেষণা তহবিল আটকে রেখে ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গোপন ধারা মানতে বাধ্য করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তার অর্থনৈতিক মডেল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন-ফি নির্ভরতা কমাতে হবে। যদিও এই শিক্ষার্থীরাই সাধারণত অধিক ফি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এই পরিবর্তনের মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন ট্রাম্পের উপপ্রধান উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার। তার দীর্ঘদিনের অভিবাসনবিরোধী অবস্থান এখন শিক্ষাক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলার ও তাঁর সহযোগীরা এই ধরনের চুক্তি চাপিয়ে দিচ্ছেন, যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নয়, বরং তাদের জাতীয়তা হয়ে উঠছে মূল বিষয়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির উদাহরণ প্রমাণ করে এই কৌশল কতটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদের ওপর কলাম্বিয়ার মতো কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যেসব প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক পরিচয়ে দৃঢ়, তারাই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান নিশানা হচ্ছে।
তবে অর্থনৈতিকভাবে এই পদক্ষেপ ভয়াবহ। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে এবং প্রায় ৩.৮ লাখ চাকরি সহায়তা দিয়েছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার সায়েন্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয়গুলোতে ৭০ শতাংশের বেশি স্নাতক শিক্ষার্থী বিদেশি। এই শিক্ষার্থীদের প্রবেশ সীমিত করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকেই বিপন্ন করবে।
শুধু ভর্তির ক্ষেত্রেই নয়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগও সংকুচিত করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন ওপিটি ও এসটিইএম ওপিটি সুবিধা বাতিলের পরিকল্পনা করছে এবং এইচ-১বি ভিসা নীতিতে এমন পরিবর্তন আনার কথা বলছে, যাতে আন্তর্জাতিক স্নাতকেরা বঞ্চিত হন। এমনকি ‘স্থিতি সময়কাল’ নীতিও বাতিল করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতিতে প্রশাসনিক বাধা সৃষ্টি করার প্রস্তাব এসেছে।
মার্কিন জন্মহার কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে স্থানীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাবে—এমন পূর্বাভাস থাকলেও প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি উল্টো। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি যেখানে উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্য বাড়ায়, সেখানে এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রকে এক ধরনের অন্তর্মুখী সমাজে পরিণত করছে।
বলা যায়—ট্রাম্প প্রশাসনের এই কৌশল শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, গোটা মার্কিন শিক্ষাব্যবস্থার উন্মুক্ততা, বৈচিত্র্য ও বিশ্ব নেতৃত্বের ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি তো আছেই, সবচেয়ে বড় ক্ষতি হতে চলেছে জ্ঞান-বিনিময়ের সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের, যা যুক্তরাষ্ট্রকে এত দিন বিশ্বে উচ্চশিক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিল।
গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক নীরব কিন্তু গভীর রূপান্তর ঘটছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘকাল ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা যে উন্মুক্ত নীতির চর্চা করে এসেছে, তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই পরিবর্তন শুরু হয়েছিল ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি-বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই এটি এমন এক কৌশলে রূপ নিয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বাধ্য করা।
এই বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে রয়েছে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মার্কিন সরকারের একটি বিতর্কিত সমঝোতা। মূলত ৪০ কোটি ডলারের গবেষণা তহবিল আটকে রেখে ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গোপন ধারা মানতে বাধ্য করা হয়। এই ধারায় বলা হয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তার অর্থনৈতিক মডেল পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন-ফি নির্ভরতা কমাতে হবে। যদিও এই শিক্ষার্থীরাই সাধারণত অধিক ফি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এই পরিবর্তনের মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন ট্রাম্পের উপপ্রধান উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার। তার দীর্ঘদিনের অভিবাসনবিরোধী অবস্থান এখন শিক্ষাক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলার ও তাঁর সহযোগীরা এই ধরনের চুক্তি চাপিয়ে দিচ্ছেন, যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নয়, বরং তাদের জাতীয়তা হয়ে উঠছে মূল বিষয়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির উদাহরণ প্রমাণ করে এই কৌশল কতটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদের ওপর কলাম্বিয়ার মতো কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যেসব প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক পরিচয়ে দৃঢ়, তারাই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান নিশানা হচ্ছে।
তবে অর্থনৈতিকভাবে এই পদক্ষেপ ভয়াবহ। ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে এবং প্রায় ৩.৮ লাখ চাকরি সহায়তা দিয়েছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম্পিউটার সায়েন্স ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয়গুলোতে ৭০ শতাংশের বেশি স্নাতক শিক্ষার্থী বিদেশি। এই শিক্ষার্থীদের প্রবেশ সীমিত করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকেই বিপন্ন করবে।
শুধু ভর্তির ক্ষেত্রেই নয়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগও সংকুচিত করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন ওপিটি ও এসটিইএম ওপিটি সুবিধা বাতিলের পরিকল্পনা করছে এবং এইচ-১বি ভিসা নীতিতে এমন পরিবর্তন আনার কথা বলছে, যাতে আন্তর্জাতিক স্নাতকেরা বঞ্চিত হন। এমনকি ‘স্থিতি সময়কাল’ নীতিও বাতিল করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতিতে প্রশাসনিক বাধা সৃষ্টি করার প্রস্তাব এসেছে।
মার্কিন জন্মহার কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে স্থানীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাবে—এমন পূর্বাভাস থাকলেও প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি উল্টো। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি যেখানে উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্য বাড়ায়, সেখানে এই নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রকে এক ধরনের অন্তর্মুখী সমাজে পরিণত করছে।
বলা যায়—ট্রাম্প প্রশাসনের এই কৌশল শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, গোটা মার্কিন শিক্ষাব্যবস্থার উন্মুক্ততা, বৈচিত্র্য ও বিশ্ব নেতৃত্বের ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি তো আছেই, সবচেয়ে বড় ক্ষতি হতে চলেছে জ্ঞান-বিনিময়ের সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের, যা যুক্তরাষ্ট্রকে এত দিন বিশ্বে উচ্চশিক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগির এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ থামাতে আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতে চলমান বর্ষায় ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ হাজার ৬২৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যসভায় এই তথ্য প্রকাশ করেছে। জুলাই মাস শেষ হতেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন সংকট সমাধান নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একটি গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পেয়েছে রাশিয়া।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকেরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী শর্মার এই উদ্যোগ তাঁর বিজেপি সরকারের একটি বৃহত্তর প্রচারণার অংশ। তাঁর সরকার অসমীয়াভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে ‘অবৈধ বিদেশি বা সন্দেহজনক নাগরিক’ আখ্যা দিয়ে বড় আকারের উচ্ছেদ অভিযানও অন্তর্ভুক্ত। এই অভিযানগুলো মূলত বাংলাভাষী মুসলিমদের লক্ষ্য
৩ ঘণ্টা আগে