অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেইজিংয়ে এক বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সতর্ক করে বলেছেন, রুশ অস্ত্রশিল্পে প্রয়োজনীয় উপাদান ও সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ না করলে চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এ মন্তব্যের কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে উন্নতি হয়েছে তা ব্যাহত করতে পারে যেকোনো ধরনের ‘ব্যাঘাত’। কেবল সম্পর্কের অবনতিই নয়—প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দ্বন্দ্ব এবং এমনকি সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
চীনে তিন দিনের সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন স্বীকার করেছেন, সি এবং জো বাইডেনের মধ্যে গত নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে একটি শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
তিনি মাদকবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতা, উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ শুরুর সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহগুলোতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি স্পষ্ট করেছেন, রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় চীনা সমর্থন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনে ইন্ধন জোগানো এখনো চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতবিরোধের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়েই আছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন হলো মেশিন সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি, যেমন—মাইক্রো ইলেকট্রনিকস, নাইট্রোসেলুলোজের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ। আর এসব যন্ত্র যুদ্ধাস্ত্র, রকেট প্রপেলান্ট এবং অন্যান্য বেশ কিছু পণ্য দিয়ে মস্কো তার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উন্নত করতে পারে। চীনের সমর্থন না পেলে ইউক্রেনের ওপর আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাবে রাশিয়া।
ওয়াশিংটনের ন্যাটোভুক্ত মিত্ররা এবং জি-৭ অংশীদাররা বিষয়টিকে একইভাবে দেখছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সমর্থন দেওয়া কেবল ইউক্রেনের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না, এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিকে সমর্থন করে বেইজিং ইউরোপের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক অর্জন করতে পারবে না।’
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে চীন যদি এই সমস্যার সমাধান না করে, আমরা করব। আমরা ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি চীনা রপ্তানি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। আগের মতো কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত এবং আমি আজ আমার বৈঠকে তা খুব স্পষ্ট করে বলেছি।’
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর মন্তব্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিষয়ে চীনা নীতির ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আশা করেন যুক্তরাষ্ট্র চীনের উন্নয়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে পারবে।
সি চিন পিং বলেন, ‘এটি (রাশিয়া-ইউক্রেন) একটি মৌলিক সমস্যা যা অবশ্যই সমাধান করা উচিত। এটা অনেকটা শার্টের প্রথম বোতামের মতো যা ঠিকভাবে লাগাতে হয়। সমস্যাটির সমাধানের মাধ্যমে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সত্যিকারের স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।’
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চীন সফরে করলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বেইজিংয়ে এক বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সতর্ক করে বলেছেন, রুশ অস্ত্রশিল্পে প্রয়োজনীয় উপাদান ও সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ না করলে চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এ মন্তব্যের কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে উন্নতি হয়েছে তা ব্যাহত করতে পারে যেকোনো ধরনের ‘ব্যাঘাত’। কেবল সম্পর্কের অবনতিই নয়—প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দ্বন্দ্ব এবং এমনকি সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
চীনে তিন দিনের সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন স্বীকার করেছেন, সি এবং জো বাইডেনের মধ্যে গত নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে একটি শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
তিনি মাদকবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতা, উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ শুরুর সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহগুলোতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি স্পষ্ট করেছেন, রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় চীনা সমর্থন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনে ইন্ধন জোগানো এখনো চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতবিরোধের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়েই আছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন হলো মেশিন সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি, যেমন—মাইক্রো ইলেকট্রনিকস, নাইট্রোসেলুলোজের শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ। আর এসব যন্ত্র যুদ্ধাস্ত্র, রকেট প্রপেলান্ট এবং অন্যান্য বেশ কিছু পণ্য দিয়ে মস্কো তার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উন্নত করতে পারে। চীনের সমর্থন না পেলে ইউক্রেনের ওপর আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাবে রাশিয়া।
ওয়াশিংটনের ন্যাটোভুক্ত মিত্ররা এবং জি-৭ অংশীদাররা বিষয়টিকে একইভাবে দেখছে বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সমর্থন দেওয়া কেবল ইউক্রেনের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না, এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে। স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিকে সমর্থন করে বেইজিং ইউরোপের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক অর্জন করতে পারবে না।’
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি যে চীন যদি এই সমস্যার সমাধান না করে, আমরা করব। আমরা ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি চীনা রপ্তানি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। আগের মতো কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত এবং আমি আজ আমার বৈঠকে তা খুব স্পষ্ট করে বলেছি।’
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর মন্তব্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিষয়ে চীনা নীতির ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আশা করেন যুক্তরাষ্ট্র চীনের উন্নয়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে পারবে।
সি চিন পিং বলেন, ‘এটি (রাশিয়া-ইউক্রেন) একটি মৌলিক সমস্যা যা অবশ্যই সমাধান করা উচিত। এটা অনেকটা শার্টের প্রথম বোতামের মতো যা ঠিকভাবে লাগাতে হয়। সমস্যাটির সমাধানের মাধ্যমে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সত্যিকারের স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।’
এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চীন সফরে করলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আপনি জুয়া খেলছেন।’ এ ছাড়াও তিনি জেলেনস্কিকে ‘কৃতজ্ঞতা’ স্বীকার না করার জন্য তিরস্কার করেছেন। ওভাল অফিসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট
৪৪ মিনিট আগেগুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি হোয়াইট হাউসে তৃতীয় রাষ্ট্রপ্রধানের সফর। তাই আনুষ্ঠানিকতার পর্বও ছিল যথারীতি।
৩ ঘণ্টা আগেতাইওয়ানের বার্ষিক সামরিক মহড়া হান কুয়াংয়ের পরিধি বাড়ানোর খবরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উ কিয়ান বলেন, ‘এটি পরিস্থিতি, জনমত ও শক্তির তুলনায় একটি ভুল হিসাব। এমনভাবে সামনে এগোনো অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমরা ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করছি, ঝাঁটার সাহায্যে জোয়ারের মুখে দাঁড়ানো..
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী, আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। এই সাক্ষাতে একটি খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর হতে পারে। এ অবস্থায় দুই নেতার আলোচনার ফলাফল কী হয় জানতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে...
৩ ঘণ্টা আগে