আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসসিএ পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্যাকেজে লিংক-১৬ ব্যবস্থা, সাংকেতিক সরঞ্জাম, বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণ, প্রশিক্ষণ, এবং সামগ্রিক লজিস্টিক সাহায্য অন্তর্ভুক্ত আছে। চিঠিটিতে বিক্রির কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। কারণ, এর মাধ্যমে পাকিস্তান চলমান সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় এবং ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি অপারেশনের জন্য মার্কিন ও সহযোগী বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’
প্রস্তাবিত এই বিক্রির লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বহরকে আধুনিক করে তোলা এবং সেগুলোর উড্ডয়ন সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি ‘পাকিস্তানের ব্লক-৫২ এবং মিড লাইফ আপগ্রেড এফ-১৬ বহরকে আধুনিক ও সংস্কার করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বজায় রাখবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আধুনিকীকরণ ‘যুদ্ধকালীন অপারেশন, মহড়া, এবং প্রশিক্ষণে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও মার্কিন বিমানবাহিনীর মধ্যে আরও নির্বিঘ্ন সমন্বয় ও আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা দেবে। আর এই সংস্কারের ফলে বিমানগুলির আয়ু ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে, এবং উড্ডয়ন সুরক্ষার গুরুতর উদ্বেগগুলিও দূর হবে।’
চিঠিতে পাকিস্তানের এই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তুতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটি ‘তাদের সামরিক বাহিনীকে টিকিয়ে রাখার অঙ্গীকার দেখিয়েছে এবং এসব সামগ্রী ও পরিষেবা তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’ আঞ্চলিক উদ্বেগ নিরসন করে সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, ‘এই সরঞ্জাম ও সাহায্যের প্রস্তাবিত বিক্রি অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যের কোনো পরিবর্তন করবে না।’
লকহিড মার্টিন কোম্পানি হবে এই বিক্রির প্রধান ঠিকাদার। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ‘এই প্রস্তাবিত বিক্রির বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত মার্কিন সরকারি বা ঠিকাদার প্রতিনিধি নিয়োগের প্রয়োজন হবে না’ এবং ‘এই বিক্রির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’
এই ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মূল্য ৩৭ লাখ ডলার এবং অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য ৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৯২টি লিংক-১৬ ডেটা লিংক ব্যবস্থা এবং ছয়টি স্ট্যাটিক মার্ক-৮২ ৫০০ পাউন্ড সাধারণ উদ্দেশ্যের বোমার কাঠামো। তবে এই কাঠামোগুলোতে কোনো বিস্ফোরক থাকবে না, কেবল অস্ত্র সংহতিকরণ পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে।
লিংক-১৬ হলো একটি উন্নত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা। এটি সুরক্ষিত, রিয়েল টাইম যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা সহযোগী বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করে এবং মার্কিন ও সহযোগী ন্যাটো বাহিনী এটি ব্যবহার করে। শত্রুপক্ষের আকাশ ও ভূমির ইলেকট্রনিক জ্যামিং থেকেও এই ব্যবস্থা সুরক্ষিত।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এটি যুদ্ধরত সেনাকে নজরদারি, শনাক্তকরণ, বিমান নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ব্যবহারের সমন্বয় এবং সমস্ত পরিষেবা ও সহযোগী বাহিনীর দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত কাজগুলি সরবরাহ করে।’
চুক্তির বাকি সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে এএন/এপিকিউ–১০সি সিম্পল কী লোডার্স এবং এএন/এপিকিউএক্স–১২৬ অ্যাডভান্সড আইডেনটিফিকেশন ফ্রেন্ড অর ফো ব্যবস্থা, যা শত্রু ও সহযোগী বিমান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এতে অপারেশনাল ফ্লাইট প্রোগ্রাম ও বাধ্যতামূলক বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে কেওয়াই–৫৮ এম এবং কেআইভি–৭৮ ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যাপ্লিক অন্তর্ভুক্ত। এগুলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি অনুমোদিত মডিউল যা সামরিক বিমান ও অন্যান্য কৌশলগত ব্যবস্থায় সুরক্ষিত যোগাযোগ ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—অতিরিক্ত সুরক্ষিত যোগাযোগ, নিখুঁত নেভিগেশন ও সাংকেতিক ডিভাইস, জয়েন্ট মিশন প্ল্যানিং সিস্টেমস ও সমর্থন, কমন অ্যামিউনিশনস বিল্ট-ইন-টেস্ট রিপ্রোগ্রামিং ইকুইপমেন্ট এবং এডিইউ–৯৮১ ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাডাপ্টার ইউনিট।
এ ছাড়া, অন্যান্য অস্ত্র সংহতকরণ, পরীক্ষা ও সাপোর্ট সরঞ্জাম, খুচরা ও মেরামত যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার সরবরাহ ও সমর্থন, প্রকাশনা ও প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন, ফুল মোশন সিমুলেটর, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পাকিস্তান মার্কিন সরকার ও ঠিকাদারের প্রকৌশল, প্রযুক্তিগত, এবং লজিস্টিক সহায়তা পরিষেবা, গবেষণা ও জরিপ, এবং লজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সমর্থনের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপাদানও পাবে।
২০২১ সালে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ বহরের আধুনিকীকরণের জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এর জবাব দিতে দেরি করে। ২০২৫-এর মে মাসের বিমান যুদ্ধে ভারতীর বহরের যথেষ্ট ক্ষতি ঘটিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা প্রমাণিত হওয়ায় দেশটি এখন এফ-১৬-এর ওপর কম নির্ভরশীল। এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে, কারণ এটি তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মেয়াদ ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসসিএ পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্যাকেজে লিংক-১৬ ব্যবস্থা, সাংকেতিক সরঞ্জাম, বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণ, প্রশিক্ষণ, এবং সামগ্রিক লজিস্টিক সাহায্য অন্তর্ভুক্ত আছে। চিঠিটিতে বিক্রির কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। কারণ, এর মাধ্যমে পাকিস্তান চলমান সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় এবং ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি অপারেশনের জন্য মার্কিন ও সহযোগী বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’
প্রস্তাবিত এই বিক্রির লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বহরকে আধুনিক করে তোলা এবং সেগুলোর উড্ডয়ন সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি ‘পাকিস্তানের ব্লক-৫২ এবং মিড লাইফ আপগ্রেড এফ-১৬ বহরকে আধুনিক ও সংস্কার করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বজায় রাখবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আধুনিকীকরণ ‘যুদ্ধকালীন অপারেশন, মহড়া, এবং প্রশিক্ষণে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও মার্কিন বিমানবাহিনীর মধ্যে আরও নির্বিঘ্ন সমন্বয় ও আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা দেবে। আর এই সংস্কারের ফলে বিমানগুলির আয়ু ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে, এবং উড্ডয়ন সুরক্ষার গুরুতর উদ্বেগগুলিও দূর হবে।’
চিঠিতে পাকিস্তানের এই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তুতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটি ‘তাদের সামরিক বাহিনীকে টিকিয়ে রাখার অঙ্গীকার দেখিয়েছে এবং এসব সামগ্রী ও পরিষেবা তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’ আঞ্চলিক উদ্বেগ নিরসন করে সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, ‘এই সরঞ্জাম ও সাহায্যের প্রস্তাবিত বিক্রি অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যের কোনো পরিবর্তন করবে না।’
লকহিড মার্টিন কোম্পানি হবে এই বিক্রির প্রধান ঠিকাদার। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ‘এই প্রস্তাবিত বিক্রির বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত মার্কিন সরকারি বা ঠিকাদার প্রতিনিধি নিয়োগের প্রয়োজন হবে না’ এবং ‘এই বিক্রির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’
এই ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মূল্য ৩৭ লাখ ডলার এবং অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য ৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৯২টি লিংক-১৬ ডেটা লিংক ব্যবস্থা এবং ছয়টি স্ট্যাটিক মার্ক-৮২ ৫০০ পাউন্ড সাধারণ উদ্দেশ্যের বোমার কাঠামো। তবে এই কাঠামোগুলোতে কোনো বিস্ফোরক থাকবে না, কেবল অস্ত্র সংহতিকরণ পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে।
লিংক-১৬ হলো একটি উন্নত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা। এটি সুরক্ষিত, রিয়েল টাইম যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা সহযোগী বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করে এবং মার্কিন ও সহযোগী ন্যাটো বাহিনী এটি ব্যবহার করে। শত্রুপক্ষের আকাশ ও ভূমির ইলেকট্রনিক জ্যামিং থেকেও এই ব্যবস্থা সুরক্ষিত।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এটি যুদ্ধরত সেনাকে নজরদারি, শনাক্তকরণ, বিমান নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ব্যবহারের সমন্বয় এবং সমস্ত পরিষেবা ও সহযোগী বাহিনীর দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত কাজগুলি সরবরাহ করে।’
চুক্তির বাকি সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে এএন/এপিকিউ–১০সি সিম্পল কী লোডার্স এবং এএন/এপিকিউএক্স–১২৬ অ্যাডভান্সড আইডেনটিফিকেশন ফ্রেন্ড অর ফো ব্যবস্থা, যা শত্রু ও সহযোগী বিমান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এতে অপারেশনাল ফ্লাইট প্রোগ্রাম ও বাধ্যতামূলক বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে কেওয়াই–৫৮ এম এবং কেআইভি–৭৮ ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যাপ্লিক অন্তর্ভুক্ত। এগুলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি অনুমোদিত মডিউল যা সামরিক বিমান ও অন্যান্য কৌশলগত ব্যবস্থায় সুরক্ষিত যোগাযোগ ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—অতিরিক্ত সুরক্ষিত যোগাযোগ, নিখুঁত নেভিগেশন ও সাংকেতিক ডিভাইস, জয়েন্ট মিশন প্ল্যানিং সিস্টেমস ও সমর্থন, কমন অ্যামিউনিশনস বিল্ট-ইন-টেস্ট রিপ্রোগ্রামিং ইকুইপমেন্ট এবং এডিইউ–৯৮১ ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাডাপ্টার ইউনিট।
এ ছাড়া, অন্যান্য অস্ত্র সংহতকরণ, পরীক্ষা ও সাপোর্ট সরঞ্জাম, খুচরা ও মেরামত যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার সরবরাহ ও সমর্থন, প্রকাশনা ও প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন, ফুল মোশন সিমুলেটর, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পাকিস্তান মার্কিন সরকার ও ঠিকাদারের প্রকৌশল, প্রযুক্তিগত, এবং লজিস্টিক সহায়তা পরিষেবা, গবেষণা ও জরিপ, এবং লজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সমর্থনের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপাদানও পাবে।
২০২১ সালে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ বহরের আধুনিকীকরণের জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এর জবাব দিতে দেরি করে। ২০২৫-এর মে মাসের বিমান যুদ্ধে ভারতীর বহরের যথেষ্ট ক্ষতি ঘটিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা প্রমাণিত হওয়ায় দেশটি এখন এফ-১৬-এর ওপর কম নির্ভরশীল। এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে, কারণ এটি তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মেয়াদ ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসসিএ পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্যাকেজে লিংক-১৬ ব্যবস্থা, সাংকেতিক সরঞ্জাম, বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণ, প্রশিক্ষণ, এবং সামগ্রিক লজিস্টিক সাহায্য অন্তর্ভুক্ত আছে। চিঠিটিতে বিক্রির কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। কারণ, এর মাধ্যমে পাকিস্তান চলমান সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় এবং ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি অপারেশনের জন্য মার্কিন ও সহযোগী বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’
প্রস্তাবিত এই বিক্রির লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বহরকে আধুনিক করে তোলা এবং সেগুলোর উড্ডয়ন সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি ‘পাকিস্তানের ব্লক-৫২ এবং মিড লাইফ আপগ্রেড এফ-১৬ বহরকে আধুনিক ও সংস্কার করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বজায় রাখবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আধুনিকীকরণ ‘যুদ্ধকালীন অপারেশন, মহড়া, এবং প্রশিক্ষণে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও মার্কিন বিমানবাহিনীর মধ্যে আরও নির্বিঘ্ন সমন্বয় ও আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা দেবে। আর এই সংস্কারের ফলে বিমানগুলির আয়ু ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে, এবং উড্ডয়ন সুরক্ষার গুরুতর উদ্বেগগুলিও দূর হবে।’
চিঠিতে পাকিস্তানের এই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তুতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটি ‘তাদের সামরিক বাহিনীকে টিকিয়ে রাখার অঙ্গীকার দেখিয়েছে এবং এসব সামগ্রী ও পরিষেবা তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’ আঞ্চলিক উদ্বেগ নিরসন করে সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, ‘এই সরঞ্জাম ও সাহায্যের প্রস্তাবিত বিক্রি অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যের কোনো পরিবর্তন করবে না।’
লকহিড মার্টিন কোম্পানি হবে এই বিক্রির প্রধান ঠিকাদার। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ‘এই প্রস্তাবিত বিক্রির বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত মার্কিন সরকারি বা ঠিকাদার প্রতিনিধি নিয়োগের প্রয়োজন হবে না’ এবং ‘এই বিক্রির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’
এই ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মূল্য ৩৭ লাখ ডলার এবং অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য ৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৯২টি লিংক-১৬ ডেটা লিংক ব্যবস্থা এবং ছয়টি স্ট্যাটিক মার্ক-৮২ ৫০০ পাউন্ড সাধারণ উদ্দেশ্যের বোমার কাঠামো। তবে এই কাঠামোগুলোতে কোনো বিস্ফোরক থাকবে না, কেবল অস্ত্র সংহতিকরণ পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে।
লিংক-১৬ হলো একটি উন্নত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা। এটি সুরক্ষিত, রিয়েল টাইম যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা সহযোগী বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করে এবং মার্কিন ও সহযোগী ন্যাটো বাহিনী এটি ব্যবহার করে। শত্রুপক্ষের আকাশ ও ভূমির ইলেকট্রনিক জ্যামিং থেকেও এই ব্যবস্থা সুরক্ষিত।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এটি যুদ্ধরত সেনাকে নজরদারি, শনাক্তকরণ, বিমান নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ব্যবহারের সমন্বয় এবং সমস্ত পরিষেবা ও সহযোগী বাহিনীর দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত কাজগুলি সরবরাহ করে।’
চুক্তির বাকি সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে এএন/এপিকিউ–১০সি সিম্পল কী লোডার্স এবং এএন/এপিকিউএক্স–১২৬ অ্যাডভান্সড আইডেনটিফিকেশন ফ্রেন্ড অর ফো ব্যবস্থা, যা শত্রু ও সহযোগী বিমান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এতে অপারেশনাল ফ্লাইট প্রোগ্রাম ও বাধ্যতামূলক বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে কেওয়াই–৫৮ এম এবং কেআইভি–৭৮ ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যাপ্লিক অন্তর্ভুক্ত। এগুলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি অনুমোদিত মডিউল যা সামরিক বিমান ও অন্যান্য কৌশলগত ব্যবস্থায় সুরক্ষিত যোগাযোগ ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—অতিরিক্ত সুরক্ষিত যোগাযোগ, নিখুঁত নেভিগেশন ও সাংকেতিক ডিভাইস, জয়েন্ট মিশন প্ল্যানিং সিস্টেমস ও সমর্থন, কমন অ্যামিউনিশনস বিল্ট-ইন-টেস্ট রিপ্রোগ্রামিং ইকুইপমেন্ট এবং এডিইউ–৯৮১ ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাডাপ্টার ইউনিট।
এ ছাড়া, অন্যান্য অস্ত্র সংহতকরণ, পরীক্ষা ও সাপোর্ট সরঞ্জাম, খুচরা ও মেরামত যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার সরবরাহ ও সমর্থন, প্রকাশনা ও প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন, ফুল মোশন সিমুলেটর, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পাকিস্তান মার্কিন সরকার ও ঠিকাদারের প্রকৌশল, প্রযুক্তিগত, এবং লজিস্টিক সহায়তা পরিষেবা, গবেষণা ও জরিপ, এবং লজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সমর্থনের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপাদানও পাবে।
২০২১ সালে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ বহরের আধুনিকীকরণের জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এর জবাব দিতে দেরি করে। ২০২৫-এর মে মাসের বিমান যুদ্ধে ভারতীর বহরের যথেষ্ট ক্ষতি ঘটিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা প্রমাণিত হওয়ায় দেশটি এখন এফ-১৬-এর ওপর কম নির্ভরশীল। এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে, কারণ এটি তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মেয়াদ ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসসিএ পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য ৬ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্যাকেজে লিংক-১৬ ব্যবস্থা, সাংকেতিক সরঞ্জাম, বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণ, প্রশিক্ষণ, এবং সামগ্রিক লজিস্টিক সাহায্য অন্তর্ভুক্ত আছে। চিঠিটিতে বিক্রির কারণ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। কারণ, এর মাধ্যমে পাকিস্তান চলমান সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টায় এবং ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি অপারেশনের জন্য মার্কিন ও সহযোগী বাহিনীর সঙ্গে আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।’
প্রস্তাবিত এই বিক্রির লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বহরকে আধুনিক করে তোলা এবং সেগুলোর উড্ডয়ন সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা। চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি ‘পাকিস্তানের ব্লক-৫২ এবং মিড লাইফ আপগ্রেড এফ-১৬ বহরকে আধুনিক ও সংস্কার করে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বজায় রাখবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আধুনিকীকরণ ‘যুদ্ধকালীন অপারেশন, মহড়া, এবং প্রশিক্ষণে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও মার্কিন বিমানবাহিনীর মধ্যে আরও নির্বিঘ্ন সমন্বয় ও আন্তঃপরিচালন ক্ষমতা দেবে। আর এই সংস্কারের ফলে বিমানগুলির আয়ু ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে, এবং উড্ডয়ন সুরক্ষার গুরুতর উদ্বেগগুলিও দূর হবে।’
চিঠিতে পাকিস্তানের এই প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তুতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটি ‘তাদের সামরিক বাহিনীকে টিকিয়ে রাখার অঙ্গীকার দেখিয়েছে এবং এসব সামগ্রী ও পরিষেবা তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’ আঞ্চলিক উদ্বেগ নিরসন করে সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, ‘এই সরঞ্জাম ও সাহায্যের প্রস্তাবিত বিক্রি অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যের কোনো পরিবর্তন করবে না।’
লকহিড মার্টিন কোম্পানি হবে এই বিক্রির প্রধান ঠিকাদার। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ‘এই প্রস্তাবিত বিক্রির বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত মার্কিন সরকারি বা ঠিকাদার প্রতিনিধি নিয়োগের প্রয়োজন হবে না’ এবং ‘এই বিক্রির ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’
এই ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের মধ্যে প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মূল্য ৩৭ লাখ ডলার এবং অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য ৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। প্রধান প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ৯২টি লিংক-১৬ ডেটা লিংক ব্যবস্থা এবং ছয়টি স্ট্যাটিক মার্ক-৮২ ৫০০ পাউন্ড সাধারণ উদ্দেশ্যের বোমার কাঠামো। তবে এই কাঠামোগুলোতে কোনো বিস্ফোরক থাকবে না, কেবল অস্ত্র সংহতিকরণ পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে।
লিংক-১৬ হলো একটি উন্নত কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা। এটি সুরক্ষিত, রিয়েল টাইম যোগাযোগ নেটওয়ার্ক যা সহযোগী বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করে এবং মার্কিন ও সহযোগী ন্যাটো বাহিনী এটি ব্যবহার করে। শত্রুপক্ষের আকাশ ও ভূমির ইলেকট্রনিক জ্যামিং থেকেও এই ব্যবস্থা সুরক্ষিত।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘এটি যুদ্ধরত সেনাকে নজরদারি, শনাক্তকরণ, বিমান নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ব্যবহারের সমন্বয় এবং সমস্ত পরিষেবা ও সহযোগী বাহিনীর দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত কাজগুলি সরবরাহ করে।’
চুক্তির বাকি সরঞ্জামগুলোর মধ্যে রয়েছে এএন/এপিকিউ–১০সি সিম্পল কী লোডার্স এবং এএন/এপিকিউএক্স–১২৬ অ্যাডভান্সড আইডেনটিফিকেশন ফ্রেন্ড অর ফো ব্যবস্থা, যা শত্রু ও সহযোগী বিমান শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এতে অপারেশনাল ফ্লাইট প্রোগ্রাম ও বাধ্যতামূলক বিমান চালন বিদ্যার আধুনিকীকরণের জন্য হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে কেওয়াই–৫৮ এম এবং কেআইভি–৭৮ ক্রিপ্টোগ্রাফিক অ্যাপ্লিক অন্তর্ভুক্ত। এগুলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি অনুমোদিত মডিউল যা সামরিক বিমান ও অন্যান্য কৌশলগত ব্যবস্থায় সুরক্ষিত যোগাযোগ ও শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
সরঞ্জামগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে—অতিরিক্ত সুরক্ষিত যোগাযোগ, নিখুঁত নেভিগেশন ও সাংকেতিক ডিভাইস, জয়েন্ট মিশন প্ল্যানিং সিস্টেমস ও সমর্থন, কমন অ্যামিউনিশনস বিল্ট-ইন-টেস্ট রিপ্রোগ্রামিং ইকুইপমেন্ট এবং এডিইউ–৯৮১ ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাডাপ্টার ইউনিট।
এ ছাড়া, অন্যান্য অস্ত্র সংহতকরণ, পরীক্ষা ও সাপোর্ট সরঞ্জাম, খুচরা ও মেরামত যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার সরবরাহ ও সমর্থন, প্রকাশনা ও প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন, ফুল মোশন সিমুলেটর, কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম এই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে। এই প্যাকেজের মাধ্যমে পাকিস্তান মার্কিন সরকার ও ঠিকাদারের প্রকৌশল, প্রযুক্তিগত, এবং লজিস্টিক সহায়তা পরিষেবা, গবেষণা ও জরিপ, এবং লজিস্টিক ও প্রোগ্রাম সমর্থনের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপাদানও পাবে।
২০২১ সালে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে পাকিস্তান তাদের এফ-১৬ বহরের আধুনিকীকরণের জন্য অনুরোধ করেছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন এর জবাব দিতে দেরি করে। ২০২৫-এর মে মাসের বিমান যুদ্ধে ভারতীর বহরের যথেষ্ট ক্ষতি ঘটিয়ে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা প্রমাণিত হওয়ায় দেশটি এখন এফ-১৬-এর ওপর কম নির্ভরশীল। এক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে, কারণ এটি তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের মেয়াদ ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে।’

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩১ মিনিট আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ধনী বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমপক্ষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে এই দ্রুতগতির ভিসা পাবেন বিদেশিরা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।
আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর একদিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করে এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।
এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তারা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’–র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।
আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশিরভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।
তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’
আরব সাগর তীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।
আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর একদিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করে এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।
এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তারা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’–র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।
আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।
মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশিরভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।
তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’
আরব সাগর তীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ধনী বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমপক্ষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে এই দ্রুতগতির ভিসা পাবেন বিদেশিরা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাধীন এই মিশনের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের এমন সব কাজে জড়িয়ে থাকার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আমলে প্রতিবাদ দমনের সময় এবং পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়নের ক্ষেত্রে এই বাহিনী নির্বিচার আটক, যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো কাজ করে গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি সরকারের বিরোধিতা করে বলে মনে করা হয়েছে, তাদেরই নিশানা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্তা ভ্যালিনাস বলেছেন, ‘আমরা যে সব তথ্য প্রমাণ পেয়েছি, তা দেখাচ্ছে যে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড বিরোধীদের বা যাদের বিরোধী বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত দমন-পীড়নের একটা ছকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’
এই রিপোর্টটি এমন এক সময়ে এল—যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন মাদক চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্য—যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘নার্কো-টেরোরিজম বা মাদক সন্ত্রাসবাদ।’
মাদুরারো বক্তব্য, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল ভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড রাজনৈতিক নিপীড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল—এমনটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ তাদের কাছে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ঘটা ‘নক নক’ অপারেশনে সরকারবিরোধী সমালোচকদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেওয়া হয়। এই অভিযানের শিকার হয়েছিলেন গরিব মহল্লার সাধারণ নাগরিকেরাও।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নীতির অধীনে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ দমনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলে রাষ্ট্রপতির ও বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেসের কমান্ডার-ইন-চিফের তত্ত্বাবধানে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। রিপোর্টে ন্যাশনাল গার্ডের আটককেন্দ্রে যৌন সহিংসতা, গ্রেপ্তারের সময় প্রহার এবং নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ভ্যালিনাস বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো—যার মধ্যে রয়েছে আক্রমণ ও ধর্ষণ—যাচাই করেছি, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত নির্যাতনের একটা ছকের অংশ।’

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাধীন এই মিশনের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের এমন সব কাজে জড়িয়ে থাকার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আমলে প্রতিবাদ দমনের সময় এবং পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়নের ক্ষেত্রে এই বাহিনী নির্বিচার আটক, যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো কাজ করে গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি সরকারের বিরোধিতা করে বলে মনে করা হয়েছে, তাদেরই নিশানা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্তা ভ্যালিনাস বলেছেন, ‘আমরা যে সব তথ্য প্রমাণ পেয়েছি, তা দেখাচ্ছে যে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড বিরোধীদের বা যাদের বিরোধী বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত দমন-পীড়নের একটা ছকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’
এই রিপোর্টটি এমন এক সময়ে এল—যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন মাদক চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্য—যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘নার্কো-টেরোরিজম বা মাদক সন্ত্রাসবাদ।’
মাদুরারো বক্তব্য, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল ভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড রাজনৈতিক নিপীড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল—এমনটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ তাদের কাছে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ঘটা ‘নক নক’ অপারেশনে সরকারবিরোধী সমালোচকদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেওয়া হয়। এই অভিযানের শিকার হয়েছিলেন গরিব মহল্লার সাধারণ নাগরিকেরাও।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নীতির অধীনে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ দমনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলে রাষ্ট্রপতির ও বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেসের কমান্ডার-ইন-চিফের তত্ত্বাবধানে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। রিপোর্টে ন্যাশনাল গার্ডের আটককেন্দ্রে যৌন সহিংসতা, গ্রেপ্তারের সময় প্রহার এবং নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ভ্যালিনাস বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো—যার মধ্যে রয়েছে আক্রমণ ও ধর্ষণ—যাচাই করেছি, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত নির্যাতনের একটা ছকের অংশ।’

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩১ মিনিট আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ধনী বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমপক্ষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে এই দ্রুতগতির ভিসা পাবেন বিদেশিরা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছি। একটি বিশাল ট্যাংকার। খুব বড়। সত্যি বলতে গেলে, যা এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় জব্দ।’ ট্যাংকার জব্দ করার ভিডিও প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জাহাজটিকে ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাযুক্ত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার’ বলে আখ্যা দেন।
নিকোলাস মাদুরো সরকার দ্রুত এই পদক্ষেপের নিন্দা করে একে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুগিরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘোষণা করেছিলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই ‘তেল উপনিবেশে’ পরিণত হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আমেরিকায় মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছে এবং বিগত মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে একঘরে করার প্রচেষ্টা আরও তীব্র করেছে। অপর দিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমাণিত তেল মজুতের অধিকারী ভেনেজুয়েলা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পদ চুরি করার চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
এই জব্দের খবরে স্বল্পমেয়াদি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল বুধবার ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়ে যায়। বিশ্লেষকদের সাবধানবাণী, এই পদক্ষেপ জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে আরও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানান, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন–এফবিআই, প্রতিরক্ষা দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর এবং ইউএস কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ট্যাংকারটি জব্দ করেছে। দেশের শীর্ষ সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘বহু বছর ধরে এই তেলের ট্যাংকারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল, কারণ এটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থনকারী একটি অবৈধ তেল শিপিং নেটওয়ার্কে জড়িত ছিল।’
বন্ডির শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিশাল জাহাজের ওপর চক্কর কাটছে এবং সেনারা দড়ি ব্যবহার করে জাহাজের ডেকে নামছে। ক্লিপটিতে ইউনিফর্ম পরা পুরুষদের সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায়। বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসকে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযানে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারগুলো ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি এবং গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।
এই অপারেশনে দুটি হেলিকপ্টার, ১০ কোস্ট গার্ড সদস্য ও ১০ জন মেরিনস, তার সঙ্গে বিশেষ বাহিনী যুক্ত ছিল। সিবিএসকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন এমন আরও পদক্ষেপের কথা ভাবছে।
সাংবাদিকেরা ট্যাংকারের তেলের কী হবে—জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তা রাখব, মনে হয়... আমি ধরে নিচ্ছি, আমরা তেলটা রেখে দেব।’
মেরিটাইম রিস্ক অর্গানাইজেশন সংস্থা ভ্যানগার্ড টেক জাহাজটিকে স্কিপার নামে শনাক্ত করেছে এবং তাদের বিশ্বাস, জাহাজটি দীর্ঘদিন ধরে নিজের অবস্থান ‘স্পুফিং’ বা মিথ্যা অবস্থান প্রচার করে আসছিল। সিবিএসের খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জন্য রাজস্ব তৈরি করা কথিত তেল পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর ২০২২ সালে স্কিপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এইমাত্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছি। একটি বিশাল ট্যাংকার। খুব বড়। সত্যি বলতে গেলে, যা এ যাবৎকালে সবচেয়ে বড় জব্দ।’ ট্যাংকার জব্দ করার ভিডিও প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জাহাজটিকে ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাযুক্ত তেল পরিবহনে ব্যবহৃত একটি অপরিশোধিত তেলের ট্যাংকার’ বলে আখ্যা দেন।
নিকোলাস মাদুরো সরকার দ্রুত এই পদক্ষেপের নিন্দা করে একে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুগিরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘোষণা করেছিলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই ‘তেল উপনিবেশে’ পরিণত হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে আমেরিকায় মাদক পাচারের অভিযোগ এনেছে এবং বিগত মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে একঘরে করার প্রচেষ্টা আরও তীব্র করেছে। অপর দিকে বিশ্বের বৃহত্তম প্রমাণিত তেল মজুতের অধিকারী ভেনেজুয়েলা ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পদ চুরি করার চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ এনেছে।
এই জব্দের খবরে স্বল্পমেয়াদি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গতকাল বুধবার ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম সামান্য বেড়ে যায়। বিশ্লেষকদের সাবধানবাণী, এই পদক্ষেপ জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে আরও বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানান, ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন–এফবিআই, প্রতিরক্ষা দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর এবং ইউএস কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ট্যাংকারটি জব্দ করেছে। দেশের শীর্ষ সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘বহু বছর ধরে এই তেলের ট্যাংকারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল, কারণ এটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সমর্থনকারী একটি অবৈধ তেল শিপিং নেটওয়ার্কে জড়িত ছিল।’
বন্ডির শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিশাল জাহাজের ওপর চক্কর কাটছে এবং সেনারা দড়ি ব্যবহার করে জাহাজের ডেকে নামছে। ক্লিপটিতে ইউনিফর্ম পরা পুরুষদের সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায়। বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসকে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযানে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারগুলো ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, যা বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি এবং গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছিল।
এই অপারেশনে দুটি হেলিকপ্টার, ১০ কোস্ট গার্ড সদস্য ও ১০ জন মেরিনস, তার সঙ্গে বিশেষ বাহিনী যুক্ত ছিল। সিবিএসকে একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন এমন আরও পদক্ষেপের কথা ভাবছে।
সাংবাদিকেরা ট্যাংকারের তেলের কী হবে—জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তা রাখব, মনে হয়... আমি ধরে নিচ্ছি, আমরা তেলটা রেখে দেব।’
মেরিটাইম রিস্ক অর্গানাইজেশন সংস্থা ভ্যানগার্ড টেক জাহাজটিকে স্কিপার নামে শনাক্ত করেছে এবং তাদের বিশ্বাস, জাহাজটি দীর্ঘদিন ধরে নিজের অবস্থান ‘স্পুফিং’ বা মিথ্যা অবস্থান প্রচার করে আসছিল। সিবিএসের খবর অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জন্য রাজস্ব তৈরি করা কথিত তেল পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তর ২০২২ সালে স্কিপারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩১ মিনিট আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
১ ঘণ্টা আগে
অবশেষে ধনী বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমপক্ষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে এই দ্রুতগতির ভিসা পাবেন বিদেশিরা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবশেষে ধনী বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমপক্ষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে এই দ্রুতগতির ভিসা পাবেন বিদেশিরা।
গতকাল বুধবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, এই কার্ডের মাধ্যমে ‘যোগ্য ও যাচাইকৃত’ মানুষের জন্য নাগরিকত্বের সরাসরি পথ তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘খুবই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত! আমাদের মহান আমেরিকান কোম্পানিগুলো অবশেষে তাদের অমূল্য প্রতিভা ধরে রাখতে পারবে।’
চলতি বছরের শুরুতে ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচির সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই ভিসা তাদের দেওয়া হবে যারা প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা দেশটির জন্য ‘উল্লেখযোগ্য উপকার’ বয়ে আনবেন।
একদিকে এইচ-১বি ভিসার ওপর আরও কঠোর নীতিমালা আরোপ করছে ট্রাম্প প্রশাসন, অন্যদিকে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরইমধ্যে এই গোল্ড ভিসার ঘোষণা এলো।
প্রোগ্রামটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গোল্ড কার্ডের মাধ্যমে ‘রেকর্ড সময়’ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য দিতে হবে ১০ লাখ ডলার দিতে হবে, যা ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট উপকারী এর প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।
ওয়েবসাইট আরও জানায়, এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্মী স্পনসর করলে তাদের ২০ লাখ ডলার দিতে হবে সঙ্গে অতিরিক্ত ফিও।
শিগগিরই ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে ‘প্লাটিনাম’ সংস্করণও আসছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা দেবে।
সাইটে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সরকারকে বাড়তি ফিও দিতে হতে পারে। আবেদন পর্যালোচনার আগে সবাইকে ১৫ হাজার ডলারের অফেরতযোগ্য প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে গোল্ড কার্ড কর্মসূচিটি। কিছু ডেমোক্রেটের অভিযোগ, এটি ধনী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেবে, যা অন্যদের প্রতি অন্যায্য।
তখন এই ভিসাকে গ্রিন কার্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, গোল্ড কার্ড বিশেষভাবে ‘উচ্চ-স্তরের’ পেশাজীবীদের লক্ষ্য করে তৈরি। আমরা বিচক্ষণ, উৎপাদনশীল মানুষ চাই।
ট্রাম্প বলেন, ‘যারা ৫০ লাখ ডলার দিতে পারে, তারা চাকরি সৃষ্টি করবে। এটি দারুণ বিক্রি হবে। এটি একপ্রকার সস্তা সুযোগ।’
ট্রাম্প প্রশাসন এখন অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যাপক সম্পদ বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে মার্কিন সরকার। এমনকি আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিষ্পত্তিও স্থগিত করেছে।
পাশাপাশি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকালে অনুমোদিত হাজার হাজার আবেদন পুনর্বিবেচনা করার ঘোষণা দিয়েছে।

অবশেষে ধনী বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমপক্ষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে এই দ্রুতগতির ভিসা পাবেন বিদেশিরা।
গতকাল বুধবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, এই কার্ডের মাধ্যমে ‘যোগ্য ও যাচাইকৃত’ মানুষের জন্য নাগরিকত্বের সরাসরি পথ তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘খুবই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত! আমাদের মহান আমেরিকান কোম্পানিগুলো অবশেষে তাদের অমূল্য প্রতিভা ধরে রাখতে পারবে।’
চলতি বছরের শুরুতে ‘ট্রাম্প গোল্ড কার্ড’-এর ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচির সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই ভিসা তাদের দেওয়া হবে যারা প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা দেশটির জন্য ‘উল্লেখযোগ্য উপকার’ বয়ে আনবেন।
একদিকে এইচ-১বি ভিসার ওপর আরও কঠোর নীতিমালা আরোপ করছে ট্রাম্প প্রশাসন, অন্যদিকে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরইমধ্যে এই গোল্ড ভিসার ঘোষণা এলো।
প্রোগ্রামটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গোল্ড কার্ডের মাধ্যমে ‘রেকর্ড সময়’ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য দিতে হবে ১০ লাখ ডলার দিতে হবে, যা ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট উপকারী এর প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।
ওয়েবসাইট আরও জানায়, এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্মী স্পনসর করলে তাদের ২০ লাখ ডলার দিতে হবে সঙ্গে অতিরিক্ত ফিও।
শিগগিরই ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে ‘প্লাটিনাম’ সংস্করণও আসছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধা দেবে।
সাইটে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সরকারকে বাড়তি ফিও দিতে হতে পারে। আবেদন পর্যালোচনার আগে সবাইকে ১৫ হাজার ডলারের অফেরতযোগ্য প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে গোল্ড কার্ড কর্মসূচিটি। কিছু ডেমোক্রেটের অভিযোগ, এটি ধনী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেবে, যা অন্যদের প্রতি অন্যায্য।
তখন এই ভিসাকে গ্রিন কার্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, গোল্ড কার্ড বিশেষভাবে ‘উচ্চ-স্তরের’ পেশাজীবীদের লক্ষ্য করে তৈরি। আমরা বিচক্ষণ, উৎপাদনশীল মানুষ চাই।
ট্রাম্প বলেন, ‘যারা ৫০ লাখ ডলার দিতে পারে, তারা চাকরি সৃষ্টি করবে। এটি দারুণ বিক্রি হবে। এটি একপ্রকার সস্তা সুযোগ।’
ট্রাম্প প্রশাসন এখন অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যাপক সম্পদ বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে মার্কিন সরকার। এমনকি আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিষ্পত্তিও স্থগিত করেছে।
পাশাপাশি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকালে অনুমোদিত হাজার হাজার আবেদন পুনর্বিবেচনা করার ঘোষণা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৮৬ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা প্যাকেজ কিনেছে পাকিস্তান। গত ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) মার্কিন কংগ্রেসকে এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিং-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
৩১ মিনিট আগে
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত।
১ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে একটি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এটি নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও জোরদার করার স্পষ্ট ইঙ্গিত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে