Ajker Patrika

পাকিস্তানে পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শিরিন মাজারি গ্রেপ্তার

পাকিস্তানে পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শিরিন মাজারি গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শিরিন মাজারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে ইসলামাবাদ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে। 

শিরিন মাজারির মেয়ে ও আইনজীবী ইমান হাজির মাজারি টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাদা পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি সাবেক মানবাধিকার বিষয়কমন্ত্রী শিরিন মাজারিকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে ঢুকছেন। 

পরে অন্য এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা শিরিন মাজারিকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বাসভবন থেকে নিয়ে যাচ্ছেন। গাড়িতে তোলার সময় শিরিন মাজারি বিজয় চিহ্ন দেখান এবং ‘গণতন্ত্রের জয়’ হবে বলেন। একই সঙ্গে তিনি ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা করেন। 

ভিডিওটি পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে শিরিন মাজারির মেয়ে টুইটার পোস্টে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী প্রায় ৫০ জন পুলিশ তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করেছে। 

এদিকে পিটিআই তাদের টুইটারের অফিশিয়াল পেজে জানিয়েছে, পিটিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজারিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিল। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। 

শিরিন মাজারিএর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি, বুধবার দলের মহাসচিব আসাদ উমর, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী, দলের অন্যতম নেতা জামশেদ ইকবাল চিমা, ফালাকনাজ চিত্রালি, মুসাররাত জামশেদ চিমা ও মালেকা বোখারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত মঙ্গলবার (৯ মে) পৃথক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান। হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জারসের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় এনএবি। এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একটি বিশেষ আদালত। পরদিন বুধবার তাঁকে ওই আদালতে নেওয়া হয়। 

পরে পিটিআই তাদের চেয়ারম্যানের মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করেন এবং তাঁকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর খুঁড়ে’ মরদেহ চাপা দিচ্ছে আরএসএফ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
দারফুর অঞ্চলের এল–ফাশেরে আরএসএফ বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এএফপি
দারফুর অঞ্চলের এল–ফাশেরে আরএসএফ বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক বলেছেন, সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শহর আল-ফাশেরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গণকবর খুঁড়ছে। গত মাসে আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সেখানে গণহত্যা ও গণ–উচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। মূলত গণহত্যার প্রমাণ লোপাট করতে তারা এসব গণকবর খুঁড়ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইয়েলের স্কুল অব পাবলিক হেলথের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক ন্যাথানিয়েল রেমন্ড মঙ্গলবার আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আরএসএফ শহরজুড়ে গণকবর খনন শুরু করেছে এবং মরদেহ সংগ্রহ করছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা গণহত্যার চিহ্ন মুছে ফেলছে।’

গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশেরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর আগে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) শহরটি থেকে সরে যায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

জাতিসংঘের হিসাবে, আরএসএফ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আল-ফাশের ও আশপাশের এলাকা থেকে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সেখানে ‘তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ড’, যৌন সহিংসতা ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে।

ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরএসএফ শহরটি দখলের পর থেকে ‘গণহত্যার প্রমাণ’ মিলেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে রক্তের দাগ ও দেহ টেনে নেওয়ার চিহ্নও দেখা গেছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে সতর্ক করেছেন, শহরটিতে হাজার হাজার মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে।

সুদানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জ্যাকুলিন উইলমা পারলেভলিয়েট বলেন, ‘বর্তমান অস্থিতিশীলতা শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফলে আটকে পড়া মানুষদের কাছে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’

সুদানি সাংবাদিক আবদাল্লাহ হুসেইন আল-জাজিরাকে বলেন, আরএসএফ পুরোপুরি দখল নেওয়ার আগেই আল-ফাশের শহরটি ১৮ মাস ধরে তাদের অবরোধে ছিল। তিনি বলেন, ‘কোনো ত্রাণ শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। কোনো হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র চালু ছিল না। এখন অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে গেছে, যারা শহরে রয়ে গেছে তাদের জন্য।’

বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে আরএসএফ ও তাদের সমর্থকেরা আল-ফাশেরের হত্যাযজ্ঞের দায় অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। আরএসএফের নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো—যিনি হেমেদতি নামেও পরিচিত—ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কিন্তু ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের রেমন্ড বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই তদন্ত করতে চায়, তাহলে শহর থেকে সরে যেতে হবে। জাতিসংঘ, রেডক্রস ও মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে, ঘরে ঘরে গিয়ে দেখতে দিতে হবে কে বেঁচে আছে।’

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আরএসএফকে তাদের কৃতকর্মের তদন্ত নিজেদেরই করতে দিতে পারি না।’ রেমন্ড আরও বলেন, জাতিসংঘের তথ্য ও আল-ফাশেরে যেটা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে গত ১০ দিনে সেখানে যত মানুষ মারা গেছে, তা গত দুই বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন ভয়াবহতার কথাই বলছি, এটা কোনো অতিরঞ্জন নয়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ এখনই জরুরি সহায়তা দরকার।’ জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্কের মেয়র ছাড়াও নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে জিতল ডেমোক্র্যাটরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গতকাল রাতের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি, নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনে মিকি শেরিল ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচনে অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল রাতের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি, নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনে মিকি শেরিল ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচনে অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রথম মুসলিম হিসেবে জয়ী হয়েছেন নিজেকে এক সময় ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক’ বলে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি। তাঁকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি। একই দিনে, মার্কিন দুই অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদেও জয়ী হয়েছে বিরোধী দলটির প্রার্থীরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিউ জার্সিতে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস সদস্য মিকি শেরিল জয় পেয়েছেন। সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ব্যবসায়ী জ্যাক সিয়াতারেল্লিকে হারিয়ে তিনি গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হন। শেরিল ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রথমবার কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন, তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। এই নির্বাচনের মূল ইস্যু ছিল রাজ্যের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ।

ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্র্যাট দলের সাবেক কংগ্রেস সদস্য অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার রাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ী হয়ে স্প্যানবার্গার বলেন, তিনি বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করবেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের টার্গেটে থাকা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা দেবেন। তিনি জানান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সহনীয় করা হবে তাঁর প্রথম দিনের অগ্রাধিকার।

বিপরীতে রিপাবলিকান প্রার্থী রাজ্যের বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসোম আর্ল-সিয়ার্স নির্বাচনে নিজের রক্ষণশীল ভোটার ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে প্রচারণা চালান এবং স্প্যানবার্গারের রাজনৈতিক রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সফল হয়নি।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এ নির্বাচনে তার জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।

বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটারেরা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি কেবল ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়—এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তার তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।

এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন মামদানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। ভোট শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই বার্তা সংস্থা এপি তাঁর বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে। বিশ্বের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনে তাঁর জয় ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮৪ লাখের বেশি মানুষের এই শহর অর্থনীতি ও সংস্কৃতির বৈশ্বিক শক্তির কেন্দ্র। সেই শহরের প্রথম মুসলিম, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া নেতা হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মামদানি।

বহুধর্মী ও বহুজাতির এই মহানগরের ভোটাররা মামদানির জয়কে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁর নিবেদিত সমর্থকেরা বলছেন, এটি শুধু ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জয় নয়, এটি জীবনের ব্যয় সামাল দেওয়ার বাস্তব সমস্যায় তাঁর তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট অবস্থানের প্রতিফলন।

এই নির্বাচন ডেমোক্রেটিক পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশক হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো অনেকের কাছে পুরোনো ধনবান দাতানির্ভর রাজনীতির প্রতীক। আর নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মামদানি দলটির জন্য নতুন এক পথের সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।

মঙ্গলবার ভোট দেওয়ার সময় কুমো বলেন, এটি ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরের এক গৃহযুদ্ধ, যা বহুদিন ধরে জ্বলছিল।’ তিনি বলেন, ‘চরমপন্থী বামপন্থীরা, যারা নিজেদের সমাজতন্ত্রী বলে, তারা মাঝারি ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ করছে। তোমরা যেটা এখানে দেখছ, সেটাই সেই সংঘর্ষ।’

তবে ব্রংক্সের মোট হ্যাভেন এলাকার সমাজকর্মী জোশুয়া উইলসন মামদানিকে ভোট দিয়েছেন। তাঁর মতে, কুমো যা বলেছেন, তা আংশিক সত্য। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালে এখন সবার নজর নিউইয়র্কে, নজর যুক্তরাষ্ট্রে। সবকিছু রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে, ঘৃণা আর তিক্ততা বেড়ে গেছে।’ ৩৩ বছর বয়সী উইলসন বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কণ্ঠ আসছে, এটা অনেককে ভয় দেখাচ্ছে। তারা পুরোনো অবস্থা ধরে রাখতে চায়, যেন কিছুই না বদলায়।’

একই এলাকার ৬৮ বছর বয়সী লুসি করদেরো বললেন, ‘আমরা কুমোকে চিনি, তিনি খুব ভালো মানুষ নন। আমি মামদানিকে বেছে নিয়েছি। কারণ, তিনি নতুন, তরতাজা। হয়তো তিনি পরিবর্তন আনতে পারবেন, যা এখন খুব দরকার।’

নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ট্রাম্প কুমোকে সমর্থন দিয়েছিলেন, যাতে রক্ষণশীল ভোটারদের উজ্জীবিত করা যায়। কিন্তু সেটি উল্টো ফল দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কুমোর সাবেক সমর্থকেরাও মামদানির প্রচারণায় আকৃষ্ট হয়েছেন। ৬০ বছর বয়সী বাংলাদেশি ইফতিখার খান বলেন, মামদানি মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় ভোটারদের এক বিশাল ঐক্য গড়ে তুলেছেন। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর এই বিজয় নিউইয়র্কের মুসলিমদের জন্য নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা। কারণ, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর মুসলিমরা এই শহরে বৈষম্যের কঠিন সময় পার করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচন: ভোট গণনা শেষ, ‘জিততে যাচ্ছেন মামদানি’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৮
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি
জোহরান মামদানি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গণনাও শুরু হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচনে অন্তত ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, জোহরান মামদানিই জিতবেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভোট গণনা সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশের আশা করা হচ্ছে। প্রার্থীদের সমর্থকেরা ফলাফলের অপেক্ষায় নানা স্থানে আয়োজন করেছে ওয়াচ পার্টি।

মামদানির নির্বাচনী অনুষ্ঠান হচ্ছে ডাউনটাউন ব্রুকলিনের ঐতিহাসিক কনসার্ট ভেন্যু ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে। অন্যদিকে, কুমো তাঁর নির্বাচনী আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের মিডটাউনের জিগফেল্ড থিয়েটারে। রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়া তাঁর নির্বাচনী পার্টির আয়োজন করেছেন ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের একটি রেস্তোরাঁয়, যেটি মূলত ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন জানিয়েছে, ১৯৮৯ সালের পর এবারই প্রথম ভোটার উপস্থিতি ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আগেই বোর্ড এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

এদিকে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জোহরান মামদানির প্রচারশিবিরের প্রেস সেক্রেটারি ডোরা পেকেক আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আজ যা দেখছি, তা এক বছরের পরিশ্রম আর এক বছরের আন্দোলনের ফল। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই ভালো খবর। প্রাইমারিতেও এটি আমাদের পক্ষে গিয়েছিল, এবারও সেটি আমাদের পক্ষে যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা নতুন মানুষকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করছি।’

অপরদিকে, নির্বাচনে নিয়ে কাজ করা স্বাধীন সংস্থা ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ ইতোমধ্যেই মামদানিকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কেবল এই সংস্থাটিই এমন ঘোষণা দিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছে, ‘ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানাচ্ছে যে, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানিই জিততে যাচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

উট ও সোনা বিক্রি করে সাম্রাজ্য গড়া দাগোলোর নিয়ন্ত্রণে এখন অর্ধেক সুদান

বাদ পড়েছেন বড় অনেক নেতা, চাপে বিএনপি

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মীর মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধ

প্রাথমিকে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের যে ব্যাখ্যা দিল সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত