Ajker Patrika

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ব্রিটেন-ফ্রান্স-কানাডার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ১২: ৩৯
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় অসহায় দাঁড়িয়ে এক শিশু। ছবি: আনাদোলু
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় অসহায় দাঁড়িয়ে এক শিশু। ছবি: আনাদোলু

গাজায় নতুন করে শুরু করা সামরিক অভিযান বন্ধ না করলে এবং মানবিক সাহায্য পাঠানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্স। এই তিন পশ্চিমা দেশের নেতারা গতকাল সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গত শুক্রবার নতুন করে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। এরপর গতকাল সোমবার নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করেছেন। লাখ লাখ মানুষ খাবারের অভাবে অনাহারে দিন যাপন করছে। অবশ্য, ইসরায়েল গতকাল সামান্য পরিমাণে কিছু ত্রাণসহায়তা গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে, যা যথেষ্ট নয়।

ব্রিটিশ সরকার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েল সরকারের তরফ থেকে বেসামরিক জনগণের প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা অস্বীকার করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি...প্রয়োজনে আমরা সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ আরও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।’

তিন দেশের এই বিবৃতির জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা গত (২০২৩ সালের) ৭ অক্টোবরের গণহত্যার একটি বিশাল পুরস্কার দিচ্ছেন, যা আরও নৃশংসতাকে উসকে দিচ্ছে।’ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইসরায়েল ন্যায়সংগত উপায়ে নিজেকে রক্ষা করবে, যতক্ষণ না চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলি জনপদে হামলা চালানোর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় চিকিৎসা, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীটি জিম্মিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারা বলেছেন, ‘আমরা সব সময় ইসরায়েলের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের রক্ষা করার অধিকারকে সমর্থন করেছি। কিন্তু এই সংকট সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তাঁরা বলেন, নেতানিয়াহু সরকার ‘এই জঘন্য কর্মকাণ্ড’ চালিয়ে গেলে তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না।

এই তিন দেশের নেতারা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা আরও বলেছেন, সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হামাস এই যৌথ বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে একে আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা পুনরুদ্ধারের দিকে ‘এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের স্থল ও বিমান হামলায় গাজা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সেখানকার প্রায় সব বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে। সেদিন হামাস ইসরায়েলে ঢুকে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন বলেই কি জামিন পেলেন না অধ্যাপক আনোয়ারা

হঠাৎ ব্যাংকের ভেতরে সবাই অচেতন

সৌদি আরবে পুরুষের ‘অবাধ্য’ হলে নারীর যে পরিণতি হয়

নাহিদের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জুঁইকে দুদকে তলব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত