আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে প্রার্থনার সময় পুরোনো খ্রিস্টান পাড়ায় অবস্থিত গ্রিক অর্থোডক্স সেন্ট এলিয়াস গির্জায় এ হামলা চালানো হয়। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাকারী আইএস সদস্য ছিলেন। তিনি প্রথমে গির্জায় প্রবেশ করে গুলি চালান এবং পরে নিজের শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরেক বন্দুকধারীও হামলায় অংশ নেন। তবে তিনি আত্মঘাতী হননি, বরং উপস্থিত প্রায় দেড় শতাধিক উপাসকের ওপর গুলি চালান।
গির্জার ভেতরের ভিডিওতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে গির্জার বেঞ্চ ছিটকে পড়েছে, রক্তাক্ত দেহ ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, পরে সাইরেন বাজতে থাকে এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। দমকল ও চিকিৎসাকর্মীরা দ্রুত আহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে।
গত ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়ায় এটিই আইএসের প্রথম বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা। বর্তমানে দেশটি পরিচালনা করছে ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত একটি নতুন সরকার।
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, আসাদ সরকারের পতনের সময় সেনারা যেসব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে রেখে গিয়েছিল, সেগুলোর কিছু অংশ আইএস দখল করে। এতে সংগঠনটি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়।
সরকারি সূত্র জানায়, আইএস দমনে নতুন সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। এক সময় বিদ্রোহী এইচটিএস নিজেও আইএসের বিরুদ্ধে লড়েছে। তারা আইএসকে চরমপন্থী ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্য অস্থিরতা সৃষ্টিকারী বলেই বিবেচনা করত।
আইএস তাদের প্রচারণামাধ্যমে সম্প্রতি সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকের ছবি প্রকাশ করে একে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘জিহাদি আদর্শ থেকে বিচ্যুতি’ হিসেবে প্রচার করে।
নতুন সরকার জানিয়েছে, তারা দেশের সব ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। দামেস্কের খ্রিস্টান পাড়ায় সাধারণত প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনী গাড়ি তল্লাশি করে।
তথ্যমন্ত্রী হামজা আল-মুস্তফা বলেন, ‘এই কাপুরুষোচিত হামলা আমাদের নাগরিকত্বের মূল মূল্যবোধের পরিপন্থী। জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক শান্তির স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দামেস্ক সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, বোমা হামলার পেছনে কারা জড়িত ও কীভাবে নিরাপত্তা ভেদ করে তারা গির্জায় ঢুকতে পারল—তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
যদিও সরকার নামমাত্রভাবে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বাস্তবে অনেক এলাকায় এখনো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি আছে। নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এসব মিলিশিয়াদের একটি জাতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে আনার কাজ শুরু করেছে। যারা এতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের নিরস্ত্র করা হচ্ছে।
সিরিয়ায় আইএস-এর তথাকথিত খিলাফতের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ) মূলত আইএসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের মধ্যে সহযোগিতা শুরু হলেও তা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট বলছে, সিরিয়ায় আইএস-এর পুনরুত্থান রোধ করাই এখন তাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে প্রার্থনার সময় পুরোনো খ্রিস্টান পাড়ায় অবস্থিত গ্রিক অর্থোডক্স সেন্ট এলিয়াস গির্জায় এ হামলা চালানো হয়। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাকারী আইএস সদস্য ছিলেন। তিনি প্রথমে গির্জায় প্রবেশ করে গুলি চালান এবং পরে নিজের শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরেক বন্দুকধারীও হামলায় অংশ নেন। তবে তিনি আত্মঘাতী হননি, বরং উপস্থিত প্রায় দেড় শতাধিক উপাসকের ওপর গুলি চালান।
গির্জার ভেতরের ভিডিওতে দেখা যায়, বিস্ফোরণে গির্জার বেঞ্চ ছিটকে পড়েছে, রক্তাক্ত দেহ ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রথমে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, পরে সাইরেন বাজতে থাকে এবং নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। দমকল ও চিকিৎসাকর্মীরা দ্রুত আহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে।
গত ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়ায় এটিই আইএসের প্রথম বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা। বর্তমানে দেশটি পরিচালনা করছে ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত একটি নতুন সরকার।
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, আসাদ সরকারের পতনের সময় সেনারা যেসব অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলে রেখে গিয়েছিল, সেগুলোর কিছু অংশ আইএস দখল করে। এতে সংগঠনটি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়।
সরকারি সূত্র জানায়, আইএস দমনে নতুন সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। এক সময় বিদ্রোহী এইচটিএস নিজেও আইএসের বিরুদ্ধে লড়েছে। তারা আইএসকে চরমপন্থী ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্য অস্থিরতা সৃষ্টিকারী বলেই বিবেচনা করত।
আইএস তাদের প্রচারণামাধ্যমে সম্প্রতি সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠকের ছবি প্রকাশ করে একে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ও ‘জিহাদি আদর্শ থেকে বিচ্যুতি’ হিসেবে প্রচার করে।
নতুন সরকার জানিয়েছে, তারা দেশের সব ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। দামেস্কের খ্রিস্টান পাড়ায় সাধারণত প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনী গাড়ি তল্লাশি করে।
তথ্যমন্ত্রী হামজা আল-মুস্তফা বলেন, ‘এই কাপুরুষোচিত হামলা আমাদের নাগরিকত্বের মূল মূল্যবোধের পরিপন্থী। জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক শান্তির স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দামেস্ক সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, বোমা হামলার পেছনে কারা জড়িত ও কীভাবে নিরাপত্তা ভেদ করে তারা গির্জায় ঢুকতে পারল—তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
যদিও সরকার নামমাত্রভাবে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বাস্তবে অনেক এলাকায় এখনো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি আছে। নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এসব মিলিশিয়াদের একটি জাতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে আনার কাজ শুরু করেছে। যারা এতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের নিরস্ত্র করা হচ্ছে।
সিরিয়ায় আইএস-এর তথাকথিত খিলাফতের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ) মূলত আইএসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের মধ্যে সহযোগিতা শুরু হলেও তা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট বলছে, সিরিয়ায় আইএস-এর পুনরুত্থান রোধ করাই এখন তাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৪ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৪ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগে