Ajker Patrika

যুদ্ধ বাধিয়ে লাগাম টানার চেষ্টায় ট্রাম্প

  • ১২ জুন ইসরায়েলের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু যুদ্ধ, অবশেষে ইতি।
  • ইরান বলছে, পরাজয় মেনে নিয়ে যুদ্ধবিরতি করছে ইসরায়েল।
  • নেতানিয়াহু বলেছেন, অভিযান সফল হওয়ায় যুদ্ধবিরতি।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও ভবন দেখছেন ইসরায়েলের জরুরি বিভাগের কর্মীরা। গতকাল দক্ষিণ ইসরায়েলের বিরশেবা এলাকায়।ছবি: এএফপি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও ভবন দেখছেন ইসরায়েলের জরুরি বিভাগের কর্মীরা। গতকাল দক্ষিণ ইসরায়েলের বিরশেবা এলাকায়।ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শেষ মুহূর্তের এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। এসব হামলা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরপর দুই পক্ষকে রীতিমতো অনুরোধ জানিয়েছেন হামলা না চালাতে।

এদিকে ইরান-ইসরায়েল একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভাঙার অভিযোগ এনেছে। ইরান ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল হামলা চালানো বন্ধ করলেই এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

১২ জুন ইরানে ইসরায়েলের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুদ্ধ। এরপর যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে বদলা নেয় ইরান। তবে এই হামলার পরপরই ট্রাম্প একটি ট্রুথ বার্তায় (নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) ইরানকে এই হামলার জন্য ধন্যবাদ জানান। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইরান জানিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যদিও তখন পর্যন্ত ইরান বা ইসরায়েল—কোনো দেশই ঘোষণা দেয়নি, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত।

ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

নিজের ঘোষণার পর দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় উষ্মা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে চড়ে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক জোট ন্যাটো সম্মেলনের উদ্দেশে যাত্রা করার ঠিক পরেই ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট দিয়ে লেখেন, ‘ইসরায়েল ইরানকে আক্রমণ করবে না। সব যুদ্ধবিমান ঘুরে দাঁড়িয়ে ঘরে ফিরবে এবং আকাশে বন্ধুত্বসূচক ওয়েভ করবে ইরানের দিকে। কেউ আহত হবে না, যুদ্ধবিরতি কার্যকর!

এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ!’

এদিকে সোমবার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে যাবে। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানালেও পরে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া এবং ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ট্রাম্প একপর্যায়ে বলেন, ‘আমি পছন্দ করিনি যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের সরাসরি হামলা চালানো।’ তিনি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ইসরায়েল, বোমা ফেলো না। এটা করলে তা হবে একটি বড় লঙ্ঘন।’

এদিকে ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ইরানে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চান? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদল মানেই বিশৃঙ্খলা, আর আদর্শ পরিস্থিতিতে আমরা অত বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’

হামলায় বড় ক্ষতি

এদিকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। রাজধানী তেহরানে এমন হামলায় সেদিঘ সাবের নামে দেশটির আরেকজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, তেহরানের শহরতলির ফেরদৌসি ও ভালি আসর এলাকার প্রধান সড়কের পাশেই বিজ্ঞানী সাবেরের ওপর হামলা হয়েছে। এ ছাড়া ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বাবলসারে হামলা চালায় আইডিএফ। গণমাধ্যমটির খবরে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩৩ জন। এরপর তেহরান জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬১০ জন নিহত হয়েছে।

এদিকে এসব হামলার জবাবে ইরান হামলা চালালে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ইসরায়েল। বিবিসির খবরে বলা হয়, আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছুক্ষণ আগে আইডিএফ ইরান থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। এ হুমকি প্রতিহত করার জন্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো সক্রিয় রয়েছে।

গতকাল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার আশঙ্কায় ইসরায়েলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাসিন্দাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আশপাশের সুরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, হামলার আশঙ্কায় দেশটির উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় সাইরেন বেজেছে। আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিরসেবা শহরে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে নিহত হয়েছে চারজন।

তবে গতকাল হামলার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, যতক্ষণ ইসরায়েল তা মেনে চলে। তিনি আরও বলেন, ইরান সংলাপের জন্য প্রস্তুত। তেহরান আলোচনার টেবিলে বসেই ইরানি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে।

যুদ্ধবিরতির প্রতিক্রিয়া

এদিকে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সব লক্ষ্য ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে। এ কারণেই মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন তিনি।

যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, সোমবার রাতে নেতানিয়াহু তাঁর মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি সেখানে বলেন, অপারেশন রাইজিং লায়ন প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সব লক্ষ্য পূরণ করেছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেতানিয়াহু এই অভিযানে কোন কোন লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, তার বিস্তারিত জানান।

তবে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একতরফাভাবে পরাজয় মেনে নিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।

এই যুদ্ধবিরতির আগে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। তবে কাতার অবশ্য এই যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কাতারের আমির শেভ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

এদিকে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইরানের প্রতিবেশী লেবানন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বলেন, যুদ্ধবিরতির কারণে তার দেশ যুদ্ধ মধ্যে আটকে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।

যুদ্ধবিরতি স্বস্তি প্রকাশ করেছে মিসর ও জর্ডান। সৌদি আরব বলেছে, তারা ট্রাম্পের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। রাশিয়াও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এ ছাড়া একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির আশা প্রকাশ করেছে মস্কো। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ১১
জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি। ছবি: এএফপি
জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি। ছবি: এএফপি

জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিবলিসির একটি আদালত প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।

শুনানির সময় আদালতে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান গারিবাশভিলি। বিচারক তাঁকে কোনো বিবৃতি দিতে চান কি না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুই না।’

পরে তাঁর আইনজীবী আমিরান গিগুয়াশভিলি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মক্কেল কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি।

প্রসিকিউটর জেনারেল জিওর্গি গভারামিদজের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী উভয় পদে দায়িত্ব পালনের সময় ‘গোপন ও অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে’ যুক্ত ছিলেন গারিবাশভিলি।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আয়’ করেছেন এবং কোম্পানি ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অর্থ পাচার করেছেন।

গতকাল প্রসিকিউটর জেনারেল গভারামিদজে বলেন, মন্ত্রী পদে থাকাকালে গারিবাশভিলি গোপনে এবং আড়ালে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং অবৈধ উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তাঁর আয় ও ব্যয় উভয়ই ঘোষণা করতে বাধ্য ছিলেন।

জর্জিয়ার দণ্ডবিধির ১৯৪ ধারার ৩(জি) উপধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গারিবাশভিলির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এশিয়া সফরে কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের জল্পনা, উত্তর কোরিয়াকে ‘পারমাণবিক শক্তি’ আখ্যা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০৮
প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’

ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।

গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।

দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।

ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।

তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাটডাউনে বন্ধুর উপহারের টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন, দাবি ট্রাম্পের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

শাটডাউনের সময় এক ‘বন্ধু’র দেওয়া টাকায় সেনাবাহিনীর বেতন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তহবিলের ঘাটতি মেটাতে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনকে ওই বন্ধু ১৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর ওই বন্ধু প্রচার বা পরিচয় প্রকাশ হোক চান না। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই অনুদান দিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘একেই বলে দেশপ্রেম।’

গতকাল শুক্রবার বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পেন্টাগন অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক বিভাগ ‘সাধারণ উপহার গ্রহণের ক্ষমতা’ (general gift acceptance authority) অনুযায়ী এক নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দাতার কাছ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, সেনাসদস্যদের বেতন ও সুবিধার পেছনে ব্যয় করার শর্তে এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।

এই অনুদান নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই পেন্টাগনের এই অর্থ রাখা এবং ব্যয় করা আইনত বৈধ কি না।

কর্নেল ল’ স্কুলের তথ্যানুযায়ী, কোনো সংস্থা বা দপ্তর যদি কোনো উৎস থেকে এ ধরনের অনুদান পায়, তবে ‘যত দ্রুত সম্ভব কোনো কর্তন বা দাবি ছাড়া সেই অর্থ কোষাগারে জমা দিতে হবে।’

মার্কিন সংবিধানের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন ক্লজ (Appropriations Clause)-এও বলা আছে, ‘আইন অনুযায়ী বরাদ্দ করা না হলে কোনো অর্থ কোষাগার থেকে তোলা যাবে না।’ অর্থাৎ, পেন্টাগনকে এই ১৩০ মিলিয়ন ডলার কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং অর্থ ব্যবহারের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন বা বরাদ্দ প্রয়োজন হবে।

সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা আইন (Affordable Care Act)-এর জন্য ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে কিনা, এই বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস একটি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ১ অক্টোবর সরকার শাটডাউন হয়ে যায়। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ট্রাম্প চলতি অর্থবছরের অবশিষ্ট তহবিল ব্যবহারের অনুমোদন দিলে সেনাসদস্যরা বেতন পেতে শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্যারিবীয় সাগরে এবার বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি পাঠালেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ১২
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’। ছবি: সংগৃহীত

মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্রমেই জোরদার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরি ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’ ক্যারিবীয় সাগরে মোতায়েন করছে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে চলমান সামরিক যান মোতায়েন শেষ করার কাছাকাছি সময়ে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ডকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে আনা হচ্ছে। সুপারক্যারিয়ারটির সঙ্গে রয়েছে কয়েক ডজন স্টিলথ ফাইটার জেট ও নজরদারি বিমান, সেই সঙ্গে অন্যান্য সহগামী যুদ্ধজাহাজ তো থাকছেই।

ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপকে ক্যারিবীয় সাগরে পাঠানোর ঘটনাটি প্রশাসনের সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর সবচেয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এর আগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা সন্দেহভাজন ছোট মাদকবাহী নৌকায় আঘাত হানা হচ্ছিল, কিন্তু এখন স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এই সুপারক্যারিয়ারে থাকা ডজনখানেক এফ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াবে এবং ভেনেজুয়েলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেবে। বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে মার্কিন বিশেষ আভিযানিক দল বা ড্রোনগুলোর জন্য স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার পথ প্রশস্ত হবে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বর্ধিত নৌ উপস্থিতি অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিহত করার মার্কিন সক্ষমতাকে জোরদার করবে। এসব অপতৎপরতা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন উপস্থিতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।’

এই বর্ধিত মার্কিন সামরিক উপস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। শুক্রবার দিনের শেষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা আর কখনো কোনো যুদ্ধে জড়াবে না, আর এখন তারা একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ৯টি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌকায় হামলা চালানো হয়েছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেন, তাঁর সামরিক অভিযানের পরবর্তী পর্যায় হবে স্থল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা। ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলই হবে পরবর্তী (লক্ষ্য)।’

তবে কোন দেশের কোন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানতে চায়, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। যদিও তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে প্রশাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কংগ্রেসকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মাদক কার্টেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি হামলা চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে, আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব, ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব।’

গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি নৌকায় প্রথম হামলার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরও হামলার কথা জানানো হলেও নিহতের সংখ্যা এবং নৌকাগুলোতে মাদক ছিল—এই দাবি ছাড়া আর কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশাসন হামলার আইনি ন্যায্যতা দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা দাবি করছে, এই নৌকাগুলো চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ জড়িত।

তবে প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেয়নি যে নৌকায় হামলায় নিহত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছিলেন। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, কংগ্রেসের কাছে ব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্প যেহেতু নৌকাগুলোকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখা কার্টেলগুলোর সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তাই সেগুলোতে হামলা বৈধ।

এই সামরিক অভিযানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) জড়িত। ট্রাম্প ১৫ অক্টোবর নিশ্চিত করেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএর তথাকথিত ‘গোপন কার্যক্রমের’ অনুমোদন দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিমান হামলায় ব্যবহৃত গোয়েন্দা তথ্যের একটি বড় অংশ সিআইএ সরবরাহ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

সখীপুরে ইয়াবাসহ শ্রমিক দল নেতা গ্রেপ্তার, দল থেকে বহিষ্কার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত