
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ৭ অক্টোবর শুরুর পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো মিসরীয় সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকেরা গাজা ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করার পর রোগীদেরকে রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিসরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৫০০ বিদেশি নাগরিককে মিসরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, প্রথম দিন ৮৮ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ এই সংখ্যা ৮১ জন বলে উল্লেখ করেছে।
এদিকে সুযোগ এলেও গাজা না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বিজ্ঞানী মোহাম্মেদ ঘালায়িনি।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর আগে থেকেই পরিবারের সঙ্গে গাজায় অবস্থান করছিলেন ঘালায়িনি। আজ বুধবার বিদেশি পাসপোর্টধারীরা যখন রাফাহ ক্রসিং পার হচ্ছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ঘালায়িনিও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবারের কয়েক সদস্য; যারা জর্ডানের পাসপোর্টধারী। বিদেশি হিসেবে গাজা ছাড়ার সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল।
রাফাহ ক্রসিং থেকে বিবিসি নিউজআওয়ারকে ঘালায়িনি জানান, এখন পর্যন্ত গাজা ছাড়ার সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের যে তালিকা হয়েছে, সেখানে কোনো ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীর নাম দেখেননি তিনি। যদিও এই তালিকায় অস্ট্রিয়া, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের নাম দেখা গেছে।
ঘালায়িনি দাবি করেন, ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হিসেবে সামনের দিনগুলোতে সুযোগ এলেও আপাতত গাজা ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর। কারণ, গাজার ভেতরে কী হচ্ছে, তা বাকি পৃথিবীকে জানাতে চান তিনি।
ঘালায়িনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এটি একটি অস্তিত্বের প্রশ্ন। যুক্তরাজ্যে আমার পরিচিত ও ভালোবাসার মানুষেরা আমাকে পাগল বলে গালি দেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের এই জীবন নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।’

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ৭ অক্টোবর শুরুর পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো মিসরীয় সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকেরা গাজা ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করার পর রোগীদেরকে রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিসরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৫০০ বিদেশি নাগরিককে মিসরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, প্রথম দিন ৮৮ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী ফিলিস্তিনি গাজা ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ এই সংখ্যা ৮১ জন বলে উল্লেখ করেছে।
এদিকে সুযোগ এলেও গাজা না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী বিজ্ঞানী মোহাম্মেদ ঘালায়িনি।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর আগে থেকেই পরিবারের সঙ্গে গাজায় অবস্থান করছিলেন ঘালায়িনি। আজ বুধবার বিদেশি পাসপোর্টধারীরা যখন রাফাহ ক্রসিং পার হচ্ছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ঘালায়িনিও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবারের কয়েক সদস্য; যারা জর্ডানের পাসপোর্টধারী। বিদেশি হিসেবে গাজা ছাড়ার সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল।
রাফাহ ক্রসিং থেকে বিবিসি নিউজআওয়ারকে ঘালায়িনি জানান, এখন পর্যন্ত গাজা ছাড়ার সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের যে তালিকা হয়েছে, সেখানে কোনো ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীর নাম দেখেননি তিনি। যদিও এই তালিকায় অস্ট্রিয়া, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের নাম দেখা গেছে।
ঘালায়িনি দাবি করেন, ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হিসেবে সামনের দিনগুলোতে সুযোগ এলেও আপাতত গাজা ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর। কারণ, গাজার ভেতরে কী হচ্ছে, তা বাকি পৃথিবীকে জানাতে চান তিনি।
ঘালায়িনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এটি একটি অস্তিত্বের প্রশ্ন। যুক্তরাজ্যে আমার পরিচিত ও ভালোবাসার মানুষেরা আমাকে পাগল বলে গালি দেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের এই জীবন নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৪৪ মিনিট আগে
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। এ সময় তিনি অবমাননাকর ভঙ্গিতে বলেন, সৌদিরা যেন ‘মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়েই থাকে।’
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি কানাডার ‘বাজে আচরণ’কে তুলে ধরেছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের এই দুই নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল। তবে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকটি হলে তা হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, ‘আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা আমাদের অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ মিটিয়ে নিতে পারব এবং একসঙ্গে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। আমার মনে হয়, কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনাকে ঘিরে আজ শুক্রবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আগের আলোচনাগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, দুই পক্ষের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব এবং এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের এই দুই নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল। তবে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকটি হলে তা হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, ‘আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা আমাদের অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ মিটিয়ে নিতে পারব এবং একসঙ্গে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। আমার মনে হয়, কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনাকে ঘিরে আজ শুক্রবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আগের আলোচনাগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, দুই পক্ষের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব এবং এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ৭ অক্টোবর শুরুর পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো মিসরীয় সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকেরা গাজা ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করার পর রেগীদেরকে রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিসরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
০১ নভেম্বর ২০২৩
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। এ সময় তিনি অবমাননাকর ভঙ্গিতে বলেন, সৌদিরা যেন ‘মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়েই থাকে।’
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি কানাডার ‘বাজে আচরণ’কে তুলে ধরেছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। এ সময় তিনি অবমাননাকর ভঙ্গিতে বলেন, সৌদিরা যেন ‘মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়েই থাকে।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ‘হালাখা ইন দ্য টেকনোলজিক্যাল এরা’—নামের এক সম্মেলনে স্মতরিচ এই কথা বলেন। এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল জোমেট ইনস্টিটিউট ও মাকোর রিশন নামক একটি সংবাদমাধ্যম।
স্মতরিচ বলেন, ‘যদি সৌদি আরব আমাদের বলে যে, “স্বাভাবিকীকরণের বদলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা”, তবে সেটা হবে না বন্ধুরা। ধন্যবাদ। তোমরা মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়তে থাক। আর আমরা আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে থাকি। আমাদের যেসব মহৎ কাজ করতে জানা আছে তা-ই করব।’
তাঁর এই মন্তব্যের পর ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন, স্মতরিচ অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন, দেশের ক্ষতি করেছেন, এবং বলেন তিনি ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাঁরা স্মতরিচকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর কট্টর জায়নবাদী এই চরম-ডানপন্থী নেতা ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব সম্পর্কে আমার মন্তব্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এর জন্য যে আঘাত লেগেছে তার জন্য আমি দুঃখিত।’ একই সঙ্গে তিনি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি, সৌদি আরব আমাদের ক্ষতি করবে না। আমাদের ঐতিহ্য, ধর্ম ও ইহুদি জাতির ঐতিহাসিক ভূমিতে—জুডিয়া ও সামারিয়ায় (যা বর্তমানে পশ্চিম তীর)—আমাদের অধিকার অস্বীকার করবে না এবং আমাদের সঙ্গে সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।’
এর আগে, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে গত বুধবার একটি প্রাথমিক বিল পাস হয়। এই বিলে পশ্চিম তীরের বসতিগুলোর ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর লিকুদ পার্টি এর বিরোধিতা করলেও ভোটটি পাস হয়।
নেতানিয়াহুর জোটের অনেক সদস্য সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীর দখলদারিত্বকে বৈধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে স্মতরিচ প্রকাশ্যে পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ এলাকা দখলের দাবি জানান। তবে আঞ্চলিক দেশগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে, এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলের মধ্যপ্রাচ্যে একীভূত হওয়ার পথ বন্ধ করে দেবে।
এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সংকট তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প গত মাসে বলেছেন, তিনি পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেবেন না। এ কারণে নেতানিয়াহুর জোটের মিত্ররা প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াশিংটনের নির্দেশ উপেক্ষা করতে বলেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আতিথেয়তা দেবেন। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে থাকবে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি এগিয়ে নেওয়া। তবে স্মতরিচের এমন মন্তব্য ও উল্লিখিত বিল পুরো বিষয়টিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
রিয়াদ বরাবরই বলেছে, ইসরায়েল যদি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুস্পষ্ট ও অপরিবর্তনীয় সময়সীমাসহ পথনকশা ঘোষণা না করে, তবে তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।

ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। এ সময় তিনি অবমাননাকর ভঙ্গিতে বলেন, সৌদিরা যেন ‘মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়েই থাকে।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ‘হালাখা ইন দ্য টেকনোলজিক্যাল এরা’—নামের এক সম্মেলনে স্মতরিচ এই কথা বলেন। এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল জোমেট ইনস্টিটিউট ও মাকোর রিশন নামক একটি সংবাদমাধ্যম।
স্মতরিচ বলেন, ‘যদি সৌদি আরব আমাদের বলে যে, “স্বাভাবিকীকরণের বদলে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা”, তবে সেটা হবে না বন্ধুরা। ধন্যবাদ। তোমরা মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়তে থাক। আর আমরা আমাদের অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে থাকি। আমাদের যেসব মহৎ কাজ করতে জানা আছে তা-ই করব।’
তাঁর এই মন্তব্যের পর ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন, স্মতরিচ অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন, দেশের ক্ষতি করেছেন, এবং বলেন তিনি ইসরায়েলের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাঁরা স্মতরিচকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর কট্টর জায়নবাদী এই চরম-ডানপন্থী নেতা ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব সম্পর্কে আমার মন্তব্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এর জন্য যে আঘাত লেগেছে তার জন্য আমি দুঃখিত।’ একই সঙ্গে তিনি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি, সৌদি আরব আমাদের ক্ষতি করবে না। আমাদের ঐতিহ্য, ধর্ম ও ইহুদি জাতির ঐতিহাসিক ভূমিতে—জুডিয়া ও সামারিয়ায় (যা বর্তমানে পশ্চিম তীর)—আমাদের অধিকার অস্বীকার করবে না এবং আমাদের সঙ্গে সত্যিকারের শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।’
এর আগে, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে গত বুধবার একটি প্রাথমিক বিল পাস হয়। এই বিলে পশ্চিম তীরের বসতিগুলোর ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর লিকুদ পার্টি এর বিরোধিতা করলেও ভোটটি পাস হয়।
নেতানিয়াহুর জোটের অনেক সদস্য সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীর দখলদারিত্বকে বৈধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে স্মতরিচ প্রকাশ্যে পশ্চিম তীরের ৮২ শতাংশ এলাকা দখলের দাবি জানান। তবে আঞ্চলিক দেশগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে, এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলের মধ্যপ্রাচ্যে একীভূত হওয়ার পথ বন্ধ করে দেবে।
এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সংকট তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প গত মাসে বলেছেন, তিনি পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেবেন না। এ কারণে নেতানিয়াহুর জোটের মিত্ররা প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াশিংটনের নির্দেশ উপেক্ষা করতে বলেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আতিথেয়তা দেবেন। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে থাকবে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি এগিয়ে নেওয়া। তবে স্মতরিচের এমন মন্তব্য ও উল্লিখিত বিল পুরো বিষয়টিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
রিয়াদ বরাবরই বলেছে, ইসরায়েল যদি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুস্পষ্ট ও অপরিবর্তনীয় সময়সীমাসহ পথনকশা ঘোষণা না করে, তবে তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ৭ অক্টোবর শুরুর পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো মিসরীয় সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকেরা গাজা ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করার পর রেগীদেরকে রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিসরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
০১ নভেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৪৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি কানাডার ‘বাজে আচরণ’কে তুলে ধরেছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি কানাডার ‘বাজে আচরণ’কে তুলে ধরেছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক আলোচনাকে অবিলম্বে বন্ধ করে দিচ্ছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেন, কানাডা এমন একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানকে শুল্কনীতির সমালোচনা করতে শোনা গেছে।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘তাদের চরম বাজে আচরণের কারণে কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা এখানেই সমাপ্ত।’ বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র সরকার কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো–কানাডা চুক্তি (ইউএসএসসিএ)—এর আওতায় পড়া পণ্যের ক্ষেত্রে ছাড় রাখা হয়েছে। এই চুক্তিটি ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে করেছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, কানাডার অন্টারিও রাজ্যের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি ওই ভিডিওর উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টকে প্রভাবিত করা। আগামী নভেম্বরে আদালত বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের বৈধতা নিয়ে রায় দেবে। এই রায়কে ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও তাঁর অর্থনৈতিক নীতির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আদালত যদি তাঁর বিপক্ষে রায় দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ সংগৃহীত কয়েক বিলিয়ন ডলার ফেরত দিতে হতে পারে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনে রিগ্যানের কণ্ঠ শোনা যায়। যেখানে তিনি ১৯৮৭ সালের এক রেডিও ভাষণে বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছেন। দৃশ্যে দেখা যায় নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পতাকাবাহী ক্রেনসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল। রিগ্যানের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘যখন কেউ বলে ‘বিদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করছি’—তখন সেটা দেশপ্রেমিক কাজ বলে মনে হয়। আর কিছু সময়ের জন্য হয়তো তা কার্যকরও হয়, কিন্তু খুব অল্প সময়ের জন্য। ”
ভিডিও রিগ্যানকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘দীর্ঘমেয়াদে এসব বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা প্রতিটি আমেরিকানকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে—কর্মী ও ভোক্তা উভয়কেই। উচ্চ শুল্কের ফলে বিদেশি দেশগুলো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়, যার পরিণতিতে ভয়াবহ বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়...বাজার সংকুচিত হয়, ব্যবসা ও শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, আর কোটি মানুষ চাকরি হারায়।’
রোনাল্ড রিগ্যান ফাউন্ডেশন এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, অন্টারিও সরকার রিগ্যানের বক্তব্যের ‘নির্বাচিত অংশ’ ব্যবহার করেছে এবং ভিডিও-অডিও সম্পাদনা করে বিজ্ঞাপন বানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্টারিও সরকার রিগ্যানের বক্তব্য ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়নি এবং সম্পাদনার অনুমতিও পায়নি।’ ফাউন্ডেশন আরও জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনটিতে ‘সাবেক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।’ ফাউন্ডেশন আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
অন্টারিও প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী সমতুল্য) ডগ ফোর্ড বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমেরিকান শুল্কের বিরুদ্ধে আমরা কখনোই লড়াই থামাব না।’ কানাডার সবচেয়ে জনবহুল ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য অন্টারিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বিশেষ করে গাড়ি ও ইস্পাত শিল্পে ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ।
ট্রাম্পের আগের শুল্ক হুমকির পর ফোর্ড পাল্টা বলেন, প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটনের বাণিজ্যনীতি ‘আমাদের পিঠে ছুরি মেরে আবার সেটি ঘুরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এখনো ফোর্ড বা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি কোনো মন্তব্য করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপন প্রচারণার মোট ব্যয় ৭ কোটি ৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি কানাডার ‘বাজে আচরণ’কে তুলে ধরেছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক আলোচনাকে অবিলম্বে বন্ধ করে দিচ্ছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেন, কানাডা এমন একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে যেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানকে শুল্কনীতির সমালোচনা করতে শোনা গেছে।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘তাদের চরম বাজে আচরণের কারণে কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা এখানেই সমাপ্ত।’ বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র সরকার কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো–কানাডা চুক্তি (ইউএসএসসিএ)—এর আওতায় পড়া পণ্যের ক্ষেত্রে ছাড় রাখা হয়েছে। এই চুক্তিটি ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে করেছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, কানাডার অন্টারিও রাজ্যের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি ওই ভিডিওর উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টকে প্রভাবিত করা। আগামী নভেম্বরে আদালত বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের বৈধতা নিয়ে রায় দেবে। এই রায়কে ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও তাঁর অর্থনৈতিক নীতির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আদালত যদি তাঁর বিপক্ষে রায় দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ সংগৃহীত কয়েক বিলিয়ন ডলার ফেরত দিতে হতে পারে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক মিনিটের ওই বিজ্ঞাপনে রিগ্যানের কণ্ঠ শোনা যায়। যেখানে তিনি ১৯৮৭ সালের এক রেডিও ভাষণে বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছেন। দৃশ্যে দেখা যায় নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পতাকাবাহী ক্রেনসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল। রিগ্যানের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘যখন কেউ বলে ‘বিদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করছি’—তখন সেটা দেশপ্রেমিক কাজ বলে মনে হয়। আর কিছু সময়ের জন্য হয়তো তা কার্যকরও হয়, কিন্তু খুব অল্প সময়ের জন্য। ”
ভিডিও রিগ্যানকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘দীর্ঘমেয়াদে এসব বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা প্রতিটি আমেরিকানকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে—কর্মী ও ভোক্তা উভয়কেই। উচ্চ শুল্কের ফলে বিদেশি দেশগুলো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয়, যার পরিণতিতে ভয়াবহ বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়...বাজার সংকুচিত হয়, ব্যবসা ও শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, আর কোটি মানুষ চাকরি হারায়।’
রোনাল্ড রিগ্যান ফাউন্ডেশন এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, অন্টারিও সরকার রিগ্যানের বক্তব্যের ‘নির্বাচিত অংশ’ ব্যবহার করেছে এবং ভিডিও-অডিও সম্পাদনা করে বিজ্ঞাপন বানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্টারিও সরকার রিগ্যানের বক্তব্য ব্যবহারের জন্য অনুমতি নেয়নি এবং সম্পাদনার অনুমতিও পায়নি।’ ফাউন্ডেশন আরও জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনটিতে ‘সাবেক প্রেসিডেন্টের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।’ ফাউন্ডেশন আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
অন্টারিও প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী সমতুল্য) ডগ ফোর্ড বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমেরিকান শুল্কের বিরুদ্ধে আমরা কখনোই লড়াই থামাব না।’ কানাডার সবচেয়ে জনবহুল ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য অন্টারিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বিশেষ করে গাড়ি ও ইস্পাত শিল্পে ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ।
ট্রাম্পের আগের শুল্ক হুমকির পর ফোর্ড পাল্টা বলেন, প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটনের বাণিজ্যনীতি ‘আমাদের পিঠে ছুরি মেরে আবার সেটি ঘুরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর এখনো ফোর্ড বা কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি কোনো মন্তব্য করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপন প্রচারণার মোট ব্যয় ৭ কোটি ৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ৭ অক্টোবর শুরুর পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো মিসরীয় সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকেরা গাজা ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করার পর রেগীদেরকে রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিসরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
০১ নভেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৪৪ মিনিট আগে
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। এ সময় তিনি অবমাননাকর ভঙ্গিতে বলেন, সৌদিরা যেন ‘মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়েই থাকে।’
২ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
এর আগে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মার্কিন হুমকি অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন, ‘এই ভূমিকে কেউ ছুঁতে পারবে না।’ ফলে, এই আশঙ্কা দানা বাঁধছে যে, ভেনেজুয়েলা কি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রণক্ষেত্র হতে যাচ্ছে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে চলমান অভিযানে এবার দেশটির স্থলভাগে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ সাগরে সীমিত থাকা হামলাকে এবার স্থলভাগে বিস্তৃত করতে চলেছেন ট্রাম্প— এই বিষয়টিরই স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই বক্তব্যকে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দেন কংগ্রেসকে আসন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে কিছু না বললেও তিনি ইঙ্গিত দেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক তথাকথিত মাদকচক্রের স্থলভাগের অবকাঠামোতেও আঘাত হানতে নির্দেশ দিতে পারেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ এরপর হেগসেথের দিকে ফিরে তিনি যোগ করেন, ‘পিট, তুমি কংগ্রেসে যাও, তাদের এটা জানাও। তারা কী করবে? বলবে—আমরা চাই না যে আমাদের দেশে মাদক ঢোকা বন্ধ হোক?’
ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলভাগের মাদকচক্রের জন্য এটা হবে আরও বিপজ্জনক। খুব শিগগিরই আপনারা সেটা দেখবেন। এভাবেই ব্যাপারটা এগোচ্ছে।’
স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার উত্তেজনা আরও বাড়বে। গত সেপ্টেম্বরেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ১৫ হাজার সেনা মোতায়েনের পর আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে অনির্দিষ্টকাল মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নৌ-হামলার প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মাদকচক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটার প্রয়োজন দেখছি না। আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে—ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব, তারা লাশ হবে, একেবারে লাশ।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে দুই দশক যুদ্ধ চালিয়েছে। ইরাকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ আছে—এই অভিযোগে হামলা চালিয়েছিল। এবার ভেনেজুয়েলার তথাকথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে দেশটিতে হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মাদুরোকে প্রশ্ন করেন, মার্কিন ‘মেরিন বাহিনী এসে আপনার সরকার পতন ঘটাবে’–এমন শঙ্কা নিয়ে তাঁর মত কী। জবাবে মাদুরো বলেন, ভেনেজুয়েলার ৯০ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হুমকি প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেনেজুয়েলাবাসী আমাদের আইন মেনে চলি, এই ভূমিকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।’
মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের মাদক পাচারের অভিযোগও নাকচ করেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী কলম্বিয়ার মতো ভেনেজুয়েলায় কোকো চাষ বা কোকেন উৎপাদন নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তারা এখন ধ্বংস করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর কমিউনিস্ট বলে না। সোভিয়েত আমলে সেটাই ছিল অভিযোগ। পরে তারা ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়াকে সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করেছিল। এখন নতুন অদ্ভুত অভিযোগ হলো— মাদক পাচার।’
এ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে প্রায় ছয়টি নৌকায় হামলা চালিয়েছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এসব হামলার পর ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন জল্পনাও বাড়ছে।
কিছুদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকায় আঘাত হানে। এর ফলে, বিমান হামলার ক্ষেত্র ক্যারিবীয় সাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মাদুরো সরকার তাদের কারাগার খালি করে বন্দীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে এবং উত্তরমুখী মাদক চোরাচালানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত মাদকের স্রোত থামাতে এবার দেশটিতে প্রয়োজনে স্থল অভিযান পরিচালনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এরপর ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডই হবে পরবর্তী’ অভিযানের ‘লক্ষ্য'।
এর আগে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মার্কিন হুমকি অগ্রাহ্য করে বলেছিলেন, ‘এই ভূমিকে কেউ ছুঁতে পারবে না।’ ফলে, এই আশঙ্কা দানা বাঁধছে যে, ভেনেজুয়েলা কি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রণক্ষেত্র হতে যাচ্ছে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে চলমান অভিযানে এবার দেশটির স্থলভাগে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ সাগরে সীমিত থাকা হামলাকে এবার স্থলভাগে বিস্তৃত করতে চলেছেন ট্রাম্প— এই বিষয়টিরই স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই বক্তব্যকে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দেন কংগ্রেসকে আসন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে কিছু না বললেও তিনি ইঙ্গিত দেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ভেনেজুয়েলাভিত্তিক তথাকথিত মাদকচক্রের স্থলভাগের অবকাঠামোতেও আঘাত হানতে নির্দেশ দিতে পারেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এবার ভূখণ্ডই হবে পরের লক্ষ্য।’ এরপর হেগসেথের দিকে ফিরে তিনি যোগ করেন, ‘পিট, তুমি কংগ্রেসে যাও, তাদের এটা জানাও। তারা কী করবে? বলবে—আমরা চাই না যে আমাদের দেশে মাদক ঢোকা বন্ধ হোক?’
ট্রাম্প বলেন, ‘স্থলভাগের মাদকচক্রের জন্য এটা হবে আরও বিপজ্জনক। খুব শিগগিরই আপনারা সেটা দেখবেন। এভাবেই ব্যাপারটা এগোচ্ছে।’
স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার উত্তেজনা আরও বাড়বে। গত সেপ্টেম্বরেই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ১৫ হাজার সেনা মোতায়েনের পর আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে অনির্দিষ্টকাল মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নৌ-হামলার প্রতিক্রিয়া।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি মাদকচক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটার প্রয়োজন দেখছি না। আমরা শুধু তাদের মেরে ফেলব যারা আমাদের দেশে মাদক আনছে—ঠিক আছে? আমরা তাদের মেরে ফেলব, তারা লাশ হবে, একেবারে লাশ।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে দুই দশক যুদ্ধ চালিয়েছে। ইরাকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ আছে—এই অভিযোগে হামলা চালিয়েছিল। এবার ভেনেজুয়েলার তথাকথিত মাদকচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে দেশটিতে হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক মাদুরোকে প্রশ্ন করেন, মার্কিন ‘মেরিন বাহিনী এসে আপনার সরকার পতন ঘটাবে’–এমন শঙ্কা নিয়ে তাঁর মত কী। জবাবে মাদুরো বলেন, ভেনেজুয়েলার ৯০ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হুমকি প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেনেজুয়েলাবাসী আমাদের আইন মেনে চলি, এই ভূমিকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।’
মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের মাদক পাচারের অভিযোগও নাকচ করেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিবেশী কলম্বিয়ার মতো ভেনেজুয়েলায় কোকো চাষ বা কোকেন উৎপাদন নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তারা এখন ধ্বংস করতে চাওয়া দেশগুলোকে আর কমিউনিস্ট বলে না। সোভিয়েত আমলে সেটাই ছিল অভিযোগ। পরে তারা ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়াকে সন্ত্রাসী বলে অভিযুক্ত করেছিল। এখন নতুন অদ্ভুত অভিযোগ হলো— মাদক পাচার।’
এ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে প্রায় ছয়টি নৌকায় হামলা চালিয়েছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এসব হামলার পর ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন জল্পনাও বাড়ছে।
কিছুদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকায় আঘাত হানে। এর ফলে, বিমান হামলার ক্ষেত্র ক্যারিবীয় সাগর ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় সিআইএ কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মাদুরো সরকার তাদের কারাগার খালি করে বন্দীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে এবং উত্তরমুখী মাদক চোরাচালানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ৭ অক্টোবর শুরুর পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো মিসরীয় সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকেরা গাজা ছাড়ার সুযোগ পেয়েছেন। গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করার পর রেগীদেরকে রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিসরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
০১ নভেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৪৪ মিনিট আগে
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের কোনো চুক্তি তিনি মেনে নেবেন না। এ সময় তিনি অবমাননাকর ভঙ্গিতে বলেন, সৌদিরা যেন ‘মরুভূমিতে উটের পিঠে চড়েই থাকে।’
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিবেশী কানাডার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি কানাডার ‘বাজে আচরণ’কে তুলে ধরেছেন। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে