ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধে ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে সশস্ত্র বাহিনীর চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে দেড় শতাধিক সেনা এই বিষয়ে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, কিছুদিন আগে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর ১৩৮ জন সেনা চিঠি লিখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে তাঁরা আর বাহিনীতে থাকবেন না। এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন নারী। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার আরও ১৫ জন সেনা একই ইস্যুতে চিঠি লিখে ইসরায়েলি সমর কর্তাদের হুমকি দিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তাঁরা এরই মধ্যে বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তাঁরা আর ইসরায়েলি বাহিনীর হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না। আবার অনেকে বলেছেন, তাঁরা ধৈর্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন না হলে তারা আর বাহিনীতে থাকবেন না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত, সেনাপ্রধান হেরজি হালেভি এবং সরকারের অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা, সক্রিয় ও রিজার্ভ সৈনিক এবং অফিসাররা ঘোষণা করছি যে আমরা এভাবে চলতে পারব না। গাজার যুদ্ধে আমাদের ভাইবোন ও জিম্মিদের মৃত্যু হচ্ছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘অক্টোবর ৭ তারিখের সেই অভিশপ্ত দিনে আমরা এক ভয়াবহ ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের মুখোমুখি হই, যেখানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং শত শত মানুষকে জিম্মি করা হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত হয়ে যুদ্ধে যোগ দিই—আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য এবং গাজায় আটক জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য। তবে, আজ এটি স্পষ্ট যে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কেবল জিম্মিদের মুক্তিকেই বিলম্বিত করছে না, বরং তাদের জীবনকেও বিপন্ন কর। অনেক জিম্মি ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত হয়েছে, যা সামরিক অভিযানে উদ্ধার হওয়া মানুষের চেয়ে অনেক বেশি।’
চিঠিতে তাঁরা কবে চাকরি ছাড়বেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেনি। তবে তাঁরা সতর্ক করে দিয়েছেন, সে দিন আসন্ন। চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা, যারা কাজে নিবেদিত, এই মর্মে ঘোষণা করছি যে যদি সরকার অবিলম্বে যুদ্ধের দিক পরিবর্তন না করে এবং জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তি এগিয়ে নিতে কাজ না করে, তাহলে আমরা আর কাজ করব না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন, বাকিরাও যাবেন। সেই দিনটি আসন্ন, যখন আমরা ভগ্ন হৃদয়ে দায়িত্ব পালনে আর হাজির হব না। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এখনই একটি চুক্তিতে সই করুন—যাতে জিম্মিদের জীবন রক্ষা করা যায়।’
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধে ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে সশস্ত্র বাহিনীর চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে দেড় শতাধিক সেনা এই বিষয়ে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, কিছুদিন আগে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর ১৩৮ জন সেনা চিঠি লিখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে তাঁরা আর বাহিনীতে থাকবেন না। এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের একজন নারী। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার আরও ১৫ জন সেনা একই ইস্যুতে চিঠি লিখে ইসরায়েলি সমর কর্তাদের হুমকি দিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তাঁরা এরই মধ্যে বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তাঁরা আর ইসরায়েলি বাহিনীর হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না। আবার অনেকে বলেছেন, তাঁরা ধৈর্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন না হলে তারা আর বাহিনীতে থাকবেন না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত, সেনাপ্রধান হেরজি হালেভি এবং সরকারের অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা, সক্রিয় ও রিজার্ভ সৈনিক এবং অফিসাররা ঘোষণা করছি যে আমরা এভাবে চলতে পারব না। গাজার যুদ্ধে আমাদের ভাইবোন ও জিম্মিদের মৃত্যু হচ্ছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘অক্টোবর ৭ তারিখের সেই অভিশপ্ত দিনে আমরা এক ভয়াবহ ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের মুখোমুখি হই, যেখানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং শত শত মানুষকে জিম্মি করা হয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত হয়ে যুদ্ধে যোগ দিই—আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য এবং গাজায় আটক জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য। তবে, আজ এটি স্পষ্ট যে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কেবল জিম্মিদের মুক্তিকেই বিলম্বিত করছে না, বরং তাদের জীবনকেও বিপন্ন কর। অনেক জিম্মি ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত হয়েছে, যা সামরিক অভিযানে উদ্ধার হওয়া মানুষের চেয়ে অনেক বেশি।’
চিঠিতে তাঁরা কবে চাকরি ছাড়বেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেনি। তবে তাঁরা সতর্ক করে দিয়েছেন, সে দিন আসন্ন। চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা, যারা কাজে নিবেদিত, এই মর্মে ঘোষণা করছি যে যদি সরকার অবিলম্বে যুদ্ধের দিক পরিবর্তন না করে এবং জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তি এগিয়ে নিতে কাজ না করে, তাহলে আমরা আর কাজ করব না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন, বাকিরাও যাবেন। সেই দিনটি আসন্ন, যখন আমরা ভগ্ন হৃদয়ে দায়িত্ব পালনে আর হাজির হব না। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এখনই একটি চুক্তিতে সই করুন—যাতে জিম্মিদের জীবন রক্ষা করা যায়।’
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে