Ajker Patrika

দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩২, নতুন মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা

দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩২, নতুন মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আজ শনিবারের হামলায় অন্তত ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, গাজার উত্তরাংশে বিধ্বংসী হামলা চালানোর পর এবার দক্ষিণে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। অভিযান শুরুর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে বলে ইসরায়েল বাহিনী।         

এই হামলার ফলে ইসরায়েলের উত্তর গাজা থেকে পালানো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও পালাতে বাধ্য হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে খান ইউনিসের বাসিন্দারাও। খান ইউনিসে ৪ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির বাস। এতে নতুন করে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।   

গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সহকারী মার্ক রেগেভ বলেন, ‘আমরা জনগণকে অন্যত্র সরে যেতে বলছি। আমি জানি, এটা অনেকের কঠিন। তবে আমরা বেসামরিক নাগরিকদের এ যুদ্ধের ভুক্তভোগী হতে দেখতে চাই না।’

গত ৭ অক্টোবর হামাস গোষ্ঠী ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর থেকে হামাসকে নির্মূল করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ১২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এছাড়াও উপত্যকায় ২৪০ জনকে জিম্মি করা রাখা হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।  

তখন থেকেই গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সরু এ উপত্যকার ২৩ লাখ জনগণের দুই–তৃতীয়াংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছে গাজার উত্তরাঞ্চল।   

গতকাল শুক্রবার গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৫ হাজারই শিশু। নিহতের এ সংখ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য বলে দাবি করছে জাতিসংঘ। তবে তথ্য সংগ্রহে জটিলতার কারণে সময়মতো নিহতের সংখ্যা হাল নাগাদ করা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার দিবাগত রাতে খান ইউনিসের জনবসতি পূর্ণ আবাসিক এলাকার দুটি বহুতল ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল বাহিনী। এতে ২৬ জন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়।

ওই এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে দেইর আল–বালাহে এক বাড়িতে বোমা হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয় বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের দাবি হামাস গোষ্ঠী আবাসিক ভবনগুলো ও গাজার ঘন বসতিপূর্ণ জায়গাগুলো নিজেদের অস্ত্র ও অভিযান লুকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করে। তবে হামাস গোষ্ঠী এ দাবি অস্বীকার করে আসছে।   

এর আগে খান ইউনিসের বাসিন্দাদের কাছে লিফলেট দিয়ে ইসরায়েল আসন্ন সামরিক অভিযানের উল্লেখ করে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

রেগেভ বলেন, ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ থেকে হামাস যোদ্ধাদের বের করতে হলে ইসরায়েলি বাহিনীকে শহরের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের নিকটবর্তী পশ্চিমের অনুন্নত অঞ্চলগুলোতে এ ধরনের কোনো ‘বিশাল অবকাঠামো’ নেই। 

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা পশ্চিমে সরে গেলে তাদের আর অন্য কোথাও যেতে হবে না। ‘আমরা তাদের এমন এক এলাকায় যেতে বলছি যেখানে তাঁবু ও একটি মাঠপর্যায়ের হাসপাতাল থাকবে বলে আশা করছি।’  

রেগেভ বলেন, পশ্চিমাঞ্চলগুলো মিসরের রাফাহ সীমান্তের কাছে হওয়ায় মানবিক সহায়তাগুলো দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

বীর্যে বিরল অ্যালার্জি, নারীর বন্ধ্যাত্ব নিয়ে চিকিৎসকদের নতুন সতর্কতা

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত