আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইসরায়েলি কারাগারে ২৩ বছর ধরে বন্দী ৬৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নেতার মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খোলা চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়ার সময় বারঘৌতি ছিলেন নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। দীর্ঘ কারাবাসের পরও তিনি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই রয়ে গেছেন। জনমত জরিপগুলোতে বারবার সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ায়, বারঘৌতিকেই এই অচলাবস্থা কাটানোর একমাত্র আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ এবং বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছেন সাহিত্য, অভিনয়, সংগীত এবং শিল্পজগতের বহু সুপরিচিত মুখ। এই ঘটনা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির সময়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। শিল্পজগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম:
সাহিত্য ও অভিনয়: আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন নোবেলজয়ী ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো, খ্যাতিমান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড, ফিলিপ পুলম্যান, জাডি স্মিথ। অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ইয়ান ম্যাকেলেন, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, টিলডা সুইন্টন, মার্ক রাফালো, জশ ও’কনর এবং উপস্থাপক ও সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার।
সংগীত ও অন্যান্য ক্ষেত্র: সংগীতশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন স্টিং, পল সাইমন, ব্রায়ান ইনো এবং অ্যানি লেনক্স। এ ছাড়া, অভিনেতা ও উপস্থাপক স্টিফেন ফ্রাই, ব্রিটিশ রন্ধনশিল্পী ডেলিয়া স্মিথ, পরিচালক স্যার রিচার্ড আয়ার, শিল্পী আই ওয়েইওয়েই এবং বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনও এই আবেদনে সমর্থন জানিয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বারঘৌতির বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ফিলিস্তিনি-ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও আইনজীবী সেলমা দাব্বাগ বলেন, ‘মারওয়ানের বিচার প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে প্রহসনমূলক বলে বিবেচিত হয়েছিল। বিশ্বের সংসদগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা—ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)—তাদের নিজস্ব মূল্যায়নে এই বিচারকে গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে।’
মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের অব্যাহত অস্বীকৃতির মূল কারণ নিরাপত্তা নয়, বরং তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইসরায়েল ভয় পাচ্ছে যে বারঘৌতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য তৈরি করতে পারবেন এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টায় গতি আনতে সক্ষম হবেন। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দী বিনিময়ের সময়ও ইসরায়েল তাঁকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি।
উদ্বেগের কারণ হলো, ইসরায়েলি সরকার নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমতি পাওয়া যাবে। যদি এই আইন কার্যকর হয়, তাহলে মারওয়ান বারঘৌতিসহ অনেক জনপ্রিয় নেতা ঝুঁকির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বারঘৌতির মুক্তির আন্দোলন এমন সময় জোরালো হয়েছে, যখন জাতিসংঘ গাজায় একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াশিংটনের আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগ মানবাধিকার সংস্থা এই জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বারঘৌতি মুক্তি পেলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাঁকে এই বিভক্তি মোকাবিলা করতে হতে পারে। এর কারণ, প্রস্তাবিত বাহিনী হামাসের অস্ত্র সমর্পণ প্রশ্নে সংঘাতের মুখে পড়তে পারে। গাজা থেকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা।
বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে এই প্রচারকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। অবশ্য ম্যান্ডেলা ২০০২ সালে নিজেই এই তুলনা টেনে বলেছিলেন: ‘বারঘৌতির সঙ্গে যা ঘটছে, তা আমার সঙ্গে ঘটার মতোই।’
ব্রিটিশ সুরকার ব্রায়ান ইনো এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের দেখায়, সাংস্কৃতিক কণ্ঠস্বর রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ঠিক যেমন বিশ্বব্যাপী সংহতি নেলসন ম্যান্ডেলাকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছিল, তেমনি মারওয়ান বারঘৌতিকে মুক্ত করার দিনটিকে দ্রুত এগিয়ে আনার ক্ষমতা আমাদের সবার আছে। তাঁর মুক্তি এই দীর্ঘ সংগ্রামের একটি সন্ধিক্ষণ চিহ্নিত করবে এবং আমাদের সবার জন্য প্রয়োজনীয় আশার সুবাতাস বয়ে আনবে।’
খোলা চিঠির পূর্ণ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করা হয়েছে: ‘আমরা জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জোরালো চাপ না এলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর মুক্তি আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর মার্কিন চাপ আরও কমানোর একটি ইঙ্গিত এখান থেকে আসতে পারে।

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইসরায়েলি কারাগারে ২৩ বছর ধরে বন্দী ৬৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নেতার মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খোলা চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়ার সময় বারঘৌতি ছিলেন নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। দীর্ঘ কারাবাসের পরও তিনি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই রয়ে গেছেন। জনমত জরিপগুলোতে বারবার সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ায়, বারঘৌতিকেই এই অচলাবস্থা কাটানোর একমাত্র আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ এবং বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছেন সাহিত্য, অভিনয়, সংগীত এবং শিল্পজগতের বহু সুপরিচিত মুখ। এই ঘটনা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির সময়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। শিল্পজগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম:
সাহিত্য ও অভিনয়: আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন নোবেলজয়ী ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো, খ্যাতিমান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড, ফিলিপ পুলম্যান, জাডি স্মিথ। অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ইয়ান ম্যাকেলেন, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, টিলডা সুইন্টন, মার্ক রাফালো, জশ ও’কনর এবং উপস্থাপক ও সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার।
সংগীত ও অন্যান্য ক্ষেত্র: সংগীতশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন স্টিং, পল সাইমন, ব্রায়ান ইনো এবং অ্যানি লেনক্স। এ ছাড়া, অভিনেতা ও উপস্থাপক স্টিফেন ফ্রাই, ব্রিটিশ রন্ধনশিল্পী ডেলিয়া স্মিথ, পরিচালক স্যার রিচার্ড আয়ার, শিল্পী আই ওয়েইওয়েই এবং বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনও এই আবেদনে সমর্থন জানিয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বারঘৌতির বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ফিলিস্তিনি-ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও আইনজীবী সেলমা দাব্বাগ বলেন, ‘মারওয়ানের বিচার প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে প্রহসনমূলক বলে বিবেচিত হয়েছিল। বিশ্বের সংসদগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা—ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)—তাদের নিজস্ব মূল্যায়নে এই বিচারকে গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে।’
মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের অব্যাহত অস্বীকৃতির মূল কারণ নিরাপত্তা নয়, বরং তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইসরায়েল ভয় পাচ্ছে যে বারঘৌতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য তৈরি করতে পারবেন এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টায় গতি আনতে সক্ষম হবেন। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দী বিনিময়ের সময়ও ইসরায়েল তাঁকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি।
উদ্বেগের কারণ হলো, ইসরায়েলি সরকার নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমতি পাওয়া যাবে। যদি এই আইন কার্যকর হয়, তাহলে মারওয়ান বারঘৌতিসহ অনেক জনপ্রিয় নেতা ঝুঁকির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বারঘৌতির মুক্তির আন্দোলন এমন সময় জোরালো হয়েছে, যখন জাতিসংঘ গাজায় একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াশিংটনের আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগ মানবাধিকার সংস্থা এই জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বারঘৌতি মুক্তি পেলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাঁকে এই বিভক্তি মোকাবিলা করতে হতে পারে। এর কারণ, প্রস্তাবিত বাহিনী হামাসের অস্ত্র সমর্পণ প্রশ্নে সংঘাতের মুখে পড়তে পারে। গাজা থেকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা।
বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে এই প্রচারকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। অবশ্য ম্যান্ডেলা ২০০২ সালে নিজেই এই তুলনা টেনে বলেছিলেন: ‘বারঘৌতির সঙ্গে যা ঘটছে, তা আমার সঙ্গে ঘটার মতোই।’
ব্রিটিশ সুরকার ব্রায়ান ইনো এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের দেখায়, সাংস্কৃতিক কণ্ঠস্বর রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ঠিক যেমন বিশ্বব্যাপী সংহতি নেলসন ম্যান্ডেলাকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছিল, তেমনি মারওয়ান বারঘৌতিকে মুক্ত করার দিনটিকে দ্রুত এগিয়ে আনার ক্ষমতা আমাদের সবার আছে। তাঁর মুক্তি এই দীর্ঘ সংগ্রামের একটি সন্ধিক্ষণ চিহ্নিত করবে এবং আমাদের সবার জন্য প্রয়োজনীয় আশার সুবাতাস বয়ে আনবে।’
খোলা চিঠির পূর্ণ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করা হয়েছে: ‘আমরা জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জোরালো চাপ না এলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর মুক্তি আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর মার্কিন চাপ আরও কমানোর একটি ইঙ্গিত এখান থেকে আসতে পারে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইসরায়েলি কারাগারে ২৩ বছর ধরে বন্দী ৬৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নেতার মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খোলা চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়ার সময় বারঘৌতি ছিলেন নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। দীর্ঘ কারাবাসের পরও তিনি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই রয়ে গেছেন। জনমত জরিপগুলোতে বারবার সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ায়, বারঘৌতিকেই এই অচলাবস্থা কাটানোর একমাত্র আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ এবং বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছেন সাহিত্য, অভিনয়, সংগীত এবং শিল্পজগতের বহু সুপরিচিত মুখ। এই ঘটনা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির সময়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। শিল্পজগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম:
সাহিত্য ও অভিনয়: আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন নোবেলজয়ী ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো, খ্যাতিমান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড, ফিলিপ পুলম্যান, জাডি স্মিথ। অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ইয়ান ম্যাকেলেন, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, টিলডা সুইন্টন, মার্ক রাফালো, জশ ও’কনর এবং উপস্থাপক ও সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার।
সংগীত ও অন্যান্য ক্ষেত্র: সংগীতশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন স্টিং, পল সাইমন, ব্রায়ান ইনো এবং অ্যানি লেনক্স। এ ছাড়া, অভিনেতা ও উপস্থাপক স্টিফেন ফ্রাই, ব্রিটিশ রন্ধনশিল্পী ডেলিয়া স্মিথ, পরিচালক স্যার রিচার্ড আয়ার, শিল্পী আই ওয়েইওয়েই এবং বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনও এই আবেদনে সমর্থন জানিয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বারঘৌতির বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ফিলিস্তিনি-ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও আইনজীবী সেলমা দাব্বাগ বলেন, ‘মারওয়ানের বিচার প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে প্রহসনমূলক বলে বিবেচিত হয়েছিল। বিশ্বের সংসদগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা—ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)—তাদের নিজস্ব মূল্যায়নে এই বিচারকে গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে।’
মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের অব্যাহত অস্বীকৃতির মূল কারণ নিরাপত্তা নয়, বরং তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইসরায়েল ভয় পাচ্ছে যে বারঘৌতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য তৈরি করতে পারবেন এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টায় গতি আনতে সক্ষম হবেন। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দী বিনিময়ের সময়ও ইসরায়েল তাঁকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি।
উদ্বেগের কারণ হলো, ইসরায়েলি সরকার নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমতি পাওয়া যাবে। যদি এই আইন কার্যকর হয়, তাহলে মারওয়ান বারঘৌতিসহ অনেক জনপ্রিয় নেতা ঝুঁকির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বারঘৌতির মুক্তির আন্দোলন এমন সময় জোরালো হয়েছে, যখন জাতিসংঘ গাজায় একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াশিংটনের আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগ মানবাধিকার সংস্থা এই জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বারঘৌতি মুক্তি পেলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাঁকে এই বিভক্তি মোকাবিলা করতে হতে পারে। এর কারণ, প্রস্তাবিত বাহিনী হামাসের অস্ত্র সমর্পণ প্রশ্নে সংঘাতের মুখে পড়তে পারে। গাজা থেকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা।
বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে এই প্রচারকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। অবশ্য ম্যান্ডেলা ২০০২ সালে নিজেই এই তুলনা টেনে বলেছিলেন: ‘বারঘৌতির সঙ্গে যা ঘটছে, তা আমার সঙ্গে ঘটার মতোই।’
ব্রিটিশ সুরকার ব্রায়ান ইনো এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের দেখায়, সাংস্কৃতিক কণ্ঠস্বর রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ঠিক যেমন বিশ্বব্যাপী সংহতি নেলসন ম্যান্ডেলাকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছিল, তেমনি মারওয়ান বারঘৌতিকে মুক্ত করার দিনটিকে দ্রুত এগিয়ে আনার ক্ষমতা আমাদের সবার আছে। তাঁর মুক্তি এই দীর্ঘ সংগ্রামের একটি সন্ধিক্ষণ চিহ্নিত করবে এবং আমাদের সবার জন্য প্রয়োজনীয় আশার সুবাতাস বয়ে আনবে।’
খোলা চিঠির পূর্ণ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করা হয়েছে: ‘আমরা জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জোরালো চাপ না এলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর মুক্তি আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর মার্কিন চাপ আরও কমানোর একটি ইঙ্গিত এখান থেকে আসতে পারে।

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইসরায়েলি কারাগারে ২৩ বছর ধরে বন্দী ৬৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নেতার মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খোলা চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়ার সময় বারঘৌতি ছিলেন নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। দীর্ঘ কারাবাসের পরও তিনি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই রয়ে গেছেন। জনমত জরিপগুলোতে বারবার সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ায়, বারঘৌতিকেই এই অচলাবস্থা কাটানোর একমাত্র আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ এবং বৈচিত্র্যময় গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছেন সাহিত্য, অভিনয়, সংগীত এবং শিল্পজগতের বহু সুপরিচিত মুখ। এই ঘটনা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির সময়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। শিল্পজগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথিতযশা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম:
সাহিত্য ও অভিনয়: আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন নোবেলজয়ী ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো, খ্যাতিমান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড, ফিলিপ পুলম্যান, জাডি স্মিথ। অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ইয়ান ম্যাকেলেন, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, টিলডা সুইন্টন, মার্ক রাফালো, জশ ও’কনর এবং উপস্থাপক ও সাবেক ফুটবলার গ্যারি লিনেকার।
সংগীত ও অন্যান্য ক্ষেত্র: সংগীতশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন স্টিং, পল সাইমন, ব্রায়ান ইনো এবং অ্যানি লেনক্স। এ ছাড়া, অভিনেতা ও উপস্থাপক স্টিফেন ফ্রাই, ব্রিটিশ রন্ধনশিল্পী ডেলিয়া স্মিথ, পরিচালক স্যার রিচার্ড আয়ার, শিল্পী আই ওয়েইওয়েই এবং বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনও এই আবেদনে সমর্থন জানিয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞরা বারঘৌতির বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন। ফিলিস্তিনি-ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও আইনজীবী সেলমা দাব্বাগ বলেন, ‘মারওয়ানের বিচার প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে প্রহসনমূলক বলে বিবেচিত হয়েছিল। বিশ্বের সংসদগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা—ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)—তাদের নিজস্ব মূল্যায়নে এই বিচারকে গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে।’
মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির বিষয়ে ইসরায়েলের অব্যাহত অস্বীকৃতির মূল কারণ নিরাপত্তা নয়, বরং তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইসরায়েল ভয় পাচ্ছে যে বারঘৌতি মুক্তি পেলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য তৈরি করতে পারবেন এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রচেষ্টায় গতি আনতে সক্ষম হবেন। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দী বিনিময়ের সময়ও ইসরায়েল তাঁকে মুক্তি দিতে রাজি হয়নি।
উদ্বেগের কারণ হলো, ইসরায়েলি সরকার নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমতি পাওয়া যাবে। যদি এই আইন কার্যকর হয়, তাহলে মারওয়ান বারঘৌতিসহ অনেক জনপ্রিয় নেতা ঝুঁকির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বারঘৌতির মুক্তির আন্দোলন এমন সময় জোরালো হয়েছে, যখন জাতিসংঘ গাজায় একটি ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়াশিংটনের আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনিদের বেশির ভাগ মানবাধিকার সংস্থা এই জাতিসংঘ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বারঘৌতি মুক্তি পেলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাঁকে এই বিভক্তি মোকাবিলা করতে হতে পারে। এর কারণ, প্রস্তাবিত বাহিনী হামাসের অস্ত্র সমর্পণ প্রশ্নে সংঘাতের মুখে পড়তে পারে। গাজা থেকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা।
বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে এই প্রচারকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। অবশ্য ম্যান্ডেলা ২০০২ সালে নিজেই এই তুলনা টেনে বলেছিলেন: ‘বারঘৌতির সঙ্গে যা ঘটছে, তা আমার সঙ্গে ঘটার মতোই।’
ব্রিটিশ সুরকার ব্রায়ান ইনো এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের দেখায়, সাংস্কৃতিক কণ্ঠস্বর রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ঠিক যেমন বিশ্বব্যাপী সংহতি নেলসন ম্যান্ডেলাকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছিল, তেমনি মারওয়ান বারঘৌতিকে মুক্ত করার দিনটিকে দ্রুত এগিয়ে আনার ক্ষমতা আমাদের সবার আছে। তাঁর মুক্তি এই দীর্ঘ সংগ্রামের একটি সন্ধিক্ষণ চিহ্নিত করবে এবং আমাদের সবার জন্য প্রয়োজনীয় আশার সুবাতাস বয়ে আনবে।’
খোলা চিঠির পূর্ণ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ করা হয়েছে: ‘আমরা জাতিসংঘ এবং বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মারওয়ান বারঘৌতির মুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জোরালো চাপ না এলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর মুক্তি আটকানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর মার্কিন চাপ আরও কমানোর একটি ইঙ্গিত এখান থেকে আসতে পারে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১২ দিন আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১২ দিন আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১২ দিন আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো আহমেদ আল-আহমেদ এখন ‘নায়ক’ বনে গেছেন। শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতার ঢল নেমেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর জন্য গঠিত তহবিলে অনুদানের পরিমাণ একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (প্রায় ৭ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে।
৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল আহমেদ দুই সন্তানের বাবা। ঘটনার সময় তিনি পার্ক করা একটি গাড়ির আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সুযোগ বুঝে পেছন দিক থেকে এক বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তার রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন।
ধস্তাধস্তির ওই মুহূর্তটিতে দ্বিতীয় এক হামলাকারীর গুলিতে আহমেদ নিজেও আহত হন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানান, আহমেদ দুবার গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গুলি তাঁর হাত ও বাহুতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবিসি নিউজকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার দিক দেখেছি একটি সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে। কিন্তু একই সঙ্গে দেখেছি মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ—আহমেদ আল আহমেদ নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে বিপদের দিকে ছুটে গেছেন এবং মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’
আহমেদের বাবা মোহাম্মদ ফাতেহ আল আহমেদ বলেন, তাঁর ছেলে একজন নায়ক। তিনি আগে পুলিশের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং মানুষের নিরাপত্তা রক্ষার প্রবল মানসিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় মানুষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার বিবেকই তাকে সন্ত্রাসীর ওপর পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য করেছে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স হাসপাতালে গিয়ে আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আহমেদ একজন বাস্তব জীবনের নায়ক।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তাঁর বাম হাত প্লাস্টারে বাঁধা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আহমেদের সাহসিকতার প্রশংসা করে তাঁকে ‘অত্যন্ত সাহসী মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে আহমেদের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো ও তাঁকে সহযোগিতার জন্য ‘গোফান্ডমি’-তে খোলা একটি স্বপ্রণোদিত তহবিলে একদিনেই ১১ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে। এই তহবিলে মার্কিন ধনকুবের বিল অ্যাকম্যান একাই ৯৯ হাজার ৯৯৯ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন।
হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষ ফুল নিয়ে এসে আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, এই সাহস শুধু বন্ডাই বিচের নয়—এটি সমগ্র মানবতার।
রোববার বিকেলে (১৪ ডিসেম্বর) একটি ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন। অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে। এটি প্রায় তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা।

মারওয়ান বারঘৌতিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়ায় গতি আনা এবং ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে ঐক্য স্থাপনে সক্ষম একমাত্র নেতা মনে করা হয়। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একজোট হয়েছেন বিশ্বের দুই শতাধিক অগ্রণী সাংস্কৃতিক, শিল্প ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১২ দিন আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
২ ঘণ্টা আগে