আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়োথ আরোনাথের এক প্রতিবেদনে। আর, ইরান-চীনের এই যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। যদিও ইরান বা চীনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
ইয়েদিয়োথ আরোনাথের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম দ্য ক্রেডলের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উদ্বেগের মূল কারণ হলো—চীনা সহযোগিতায় নির্মিত ইরানি ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি। এ ছাড়া, ইয়েদিয়োথ আরোনাথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে ইউরোপীয় সংস্থাগুলো সম্প্রতি তেহরান ও বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা পর্যবেক্ষণ করছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইয়েদিয়োথ আরোনাথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা এখনো চীনের উদ্দেশ্য জানি না এবং আমরা তাদের স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্তু বেইজিং নিশ্চিত করেনি যে তারা ইরানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ইচ্ছা রাখে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন ‘এখন বাস্তবে ইরানের সক্ষমতাকে পুনর্গঠনে সহায়তা করছে’। জুলাই মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়েখিয়েল লেইতার সতর্ক করেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সঞ্চয়, পুনঃস্থাপন ও পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় চীনের সমর্থন উদ্বেগজনক।
তিনি ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের জন্য কিছু ট্রাফিক উদ্বেগজনক...এবং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তারা (ইরান) রাসায়নিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবে না।’
লেইতার উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের দায়িত্ব হলো ‘চীন বা অন্যান্য ক্ষতিকারক পক্ষগুলো যাতে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত পুনর্গঠনে সাহায্য করতে না পারে।’ তিনি বলেন, ‘চীনের জনগণের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে চাই না, চীন তাদের সঙ্গে কাজ করুক—যারা আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।’
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কয়েক সপ্তাহ আগে, লন্ডন থেকে প্রকাশিত মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে বলেছিল, চীন ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরান নতুন চীনা সরবরাহের খরচ ইরানের তেলের শিপমেন্ট দিয়ে মেটাচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, যুদ্ধের সময় ইরানকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে না দেওয়া তাদের লক্ষ্য, কিন্তু তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে বিস্তৃত ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাকেন্দ্র এবং প্রযুক্তিকেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তবে মিডিয়ার সেন্সরশিপের কারণে অনেক তথ্য প্রকাশ করা যায়নি।
ইয়েদিয়োথ আরোনাথের প্রতিবেদন এমন সময়ে এল, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নতুন যুদ্ধের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইরানে পুনরায় হামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত ২৭ জুন ঘোষণা করেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে ‘প্রয়োগ পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তেহরান হুমকির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গোয়েন্দা বিশ্লেষণ নিশ্চিত করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের ওপর বাংকার-বাস্টার হামলা, যদিও ক্ষতি করেছে, দেশটির পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ‘ধ্বংস’ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফরেন পলিসির ১১ আগস্ট প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ পুনরায় শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল সম্ভবত ডিসেম্বরের আগে আবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে—হয়তো আগস্টের শেষের দিকে। ইরান সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কা করছে এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম যুদ্ধে, তারা দীর্ঘকাল ধরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে পরবর্তী রাউন্ডে, ইরান সম্ভবত প্রথম থেকেই সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ করবে, যাতে বোঝা যায় যে তাদের ইসরায়েলের সামরিক প্রভাবের অধীনে চেপে রাখা যাবে না।’ বিশ্লেষণে আরও সতর্ক করা হয়, ‘পরবর্তী যুদ্ধ প্রথমটির চেয়ে অনেক বেশি প্রাণঘাতী হবে।’
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়োথ আরোনাথের এক প্রতিবেদনে। আর, ইরান-চীনের এই যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। যদিও ইরান বা চীনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
ইয়েদিয়োথ আরোনাথের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম দ্য ক্রেডলের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উদ্বেগের মূল কারণ হলো—চীনা সহযোগিতায় নির্মিত ইরানি ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি। এ ছাড়া, ইয়েদিয়োথ আরোনাথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে ইউরোপীয় সংস্থাগুলো সম্প্রতি তেহরান ও বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা পর্যবেক্ষণ করছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইয়েদিয়োথ আরোনাথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা এখনো চীনের উদ্দেশ্য জানি না এবং আমরা তাদের স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছি। কিন্তু বেইজিং নিশ্চিত করেনি যে তারা ইরানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ইচ্ছা রাখে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন ‘এখন বাস্তবে ইরানের সক্ষমতাকে পুনর্গঠনে সহায়তা করছে’। জুলাই মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়েখিয়েল লেইতার সতর্ক করেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সঞ্চয়, পুনঃস্থাপন ও পুনর্গঠনের প্রচেষ্টায় চীনের সমর্থন উদ্বেগজনক।
তিনি ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের জন্য কিছু ট্রাফিক উদ্বেগজনক...এবং আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তারা (ইরান) রাসায়নিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবে না।’
লেইতার উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের দায়িত্ব হলো ‘চীন বা অন্যান্য ক্ষতিকারক পক্ষগুলো যাতে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মজুত পুনর্গঠনে সাহায্য করতে না পারে।’ তিনি বলেন, ‘চীনের জনগণের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে চাই না, চীন তাদের সঙ্গে কাজ করুক—যারা আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।’
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের কয়েক সপ্তাহ আগে, লন্ডন থেকে প্রকাশিত মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে বলেছিল, চীন ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরান নতুন চীনা সরবরাহের খরচ ইরানের তেলের শিপমেন্ট দিয়ে মেটাচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, যুদ্ধের সময় ইরানকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে না দেওয়া তাদের লক্ষ্য, কিন্তু তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে বিস্তৃত ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাকেন্দ্র এবং প্রযুক্তিকেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তবে মিডিয়ার সেন্সরশিপের কারণে অনেক তথ্য প্রকাশ করা যায়নি।
ইয়েদিয়োথ আরোনাথের প্রতিবেদন এমন সময়ে এল, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নতুন যুদ্ধের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইরানে পুনরায় হামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত ২৭ জুন ঘোষণা করেন, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে ‘প্রয়োগ পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তেহরান হুমকির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গোয়েন্দা বিশ্লেষণ নিশ্চিত করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের ওপর বাংকার-বাস্টার হামলা, যদিও ক্ষতি করেছে, দেশটির পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ‘ধ্বংস’ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফরেন পলিসির ১১ আগস্ট প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ পুনরায় শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল সম্ভবত ডিসেম্বরের আগে আবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে—হয়তো আগস্টের শেষের দিকে। ইরান সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কা করছে এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম যুদ্ধে, তারা দীর্ঘকাল ধরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে পরবর্তী রাউন্ডে, ইরান সম্ভবত প্রথম থেকেই সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ করবে, যাতে বোঝা যায় যে তাদের ইসরায়েলের সামরিক প্রভাবের অধীনে চেপে রাখা যাবে না।’ বিশ্লেষণে আরও সতর্ক করা হয়, ‘পরবর্তী যুদ্ধ প্রথমটির চেয়ে অনেক বেশি প্রাণঘাতী হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২ হাজার ৫০০-এর বেশি স্থানে তাদের বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে লাখো মানুষ অংশ নেবে। তাদের দাবি, ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী মনোভাব ও কর্তৃত্ববাদী শাসন’ রুখতেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট মনে করেন, তিনিই সর্বেসর্বা।
৬ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকটি কেমন ছিল, তা একটি শব্দ দিয়েই বর্ণনা করা যায়। আর তা হলো ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বা জেলেনস্কির ভাষায় ‘তীক্ষ্ণ’ (pointed)। তিনি নিজেই এক্সে এভাবে লিখেছেন। এই শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ না করলেও বোঝা যায়, জেলেনস্কি আসলে এর মাধ্যমে কী বোঝাতে চেয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তান অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান আবারও তাদের সীমান্তে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দিনের যুদ্ধবিরতিও ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ তালেবান সরকারের।
৯ ঘণ্টা আগেরাজনাথ সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় যা ঘটেছিল, তা ছিল ট্রেলার। পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটি এখন ভারতের ব্রহ্মসের আওতায়।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে ছিল একটি কঠোর বার্তা—ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়া কেবল সীমান্তে প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং প্রয়োজনে আক্রমণাত্মক এবং সুনির্দিষ্টও হতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগে