আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলের টানা প্রায় দুই বছরের আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিশু। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় মঙ্গলবার এ তথ্য দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়া এ সংখ্যাকে “মানবসভ্যতার জন্য ভয়াবহ কলঙ্ক” বলছেন বিশ্লেষকেরা।
শিশু হত্যার এই রক্তাক্ত অধ্যায় সামনে এল এমন এক সময়ে, যখন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিএ সতর্ক করেছে, গাজার ভেতরে শিশুদের জন্য আর কোথাও কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার সর্বত্র এখন মৃত্যুর হুমকি। যুদ্ধের শুরু থেকেই জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু এসব স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রই ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ‘ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের পতাকার নিচে নিরাপত্তা খুঁজেছিল। কিন্তু সেই আশ্রয়ই হয়ে উঠেছে মৃত্যুর জায়গা। শিশুদের জন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই। এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।’
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, শুধু গত পাঁচ মাসেই গড়ে ৫৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু করে।
আল জাজিরা সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রচার করেছে, যেখানে দেখা যায় ১২ বছরের আমনা আল-মুফতি পরিবারের জন্য পানি আনতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত হয়েছে। ভিডিওতে আমনার শেষ মুহূর্ত আর তাঁর বাবার অসহায় কান্না তুলে ধরে গাজার শিশুদের ভয়াবহ বাস্তবতা।
জাতিসংঘের সতর্কবার্তার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় আবারও অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন ছিল খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত সংস্থা জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। শুধু মে মাসের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের হামলায় প্রায় দুই হাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল জানিয়েছে, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত তাঁবুতে হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়। একই দিন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে আরেকটি তাঁবুতে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে আরও চারজন প্রাণ হারায়।
গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে জাতিসংঘ বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তা উপেক্ষা করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, শিশুদের এভাবে হত্যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও তুলেছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে বড় শক্তিগুলোর রাজনৈতিক সমর্থন পেয়ে ইসরায়েল এখনো নির্বিঘ্নে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই একের পর এক প্রাণহানি ঘটছে। শুরুতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও দ্রুতই সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর হামলা ভয়াবহ রূপ নেয়। টানা বোমাবর্ষণ, অবরোধ, খাদ্য ও চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ায় গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গাজার প্রায় প্রতিটি পরিবারই এখন মৃত্যু, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতির শিকার। প্রায় ১৯ হাজার শিশুর হত্যাকাণ্ড এই যুদ্ধকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
গাজায় ইসরায়েলের টানা প্রায় দুই বছরের আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিশু। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় মঙ্গলবার এ তথ্য দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়া এ সংখ্যাকে “মানবসভ্যতার জন্য ভয়াবহ কলঙ্ক” বলছেন বিশ্লেষকেরা।
শিশু হত্যার এই রক্তাক্ত অধ্যায় সামনে এল এমন এক সময়ে, যখন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিএ সতর্ক করেছে, গাজার ভেতরে শিশুদের জন্য আর কোথাও কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার সর্বত্র এখন মৃত্যুর হুমকি। যুদ্ধের শুরু থেকেই জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু এসব স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রই ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ‘ফিলিস্তিনিরা জাতিসংঘের পতাকার নিচে নিরাপত্তা খুঁজেছিল। কিন্তু সেই আশ্রয়ই হয়ে উঠেছে মৃত্যুর জায়গা। শিশুদের জন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় নেই। এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।’
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, শুধু গত পাঁচ মাসেই গড়ে ৫৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু করে।
আল জাজিরা সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রচার করেছে, যেখানে দেখা যায় ১২ বছরের আমনা আল-মুফতি পরিবারের জন্য পানি আনতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত হয়েছে। ভিডিওতে আমনার শেষ মুহূর্ত আর তাঁর বাবার অসহায় কান্না তুলে ধরে গাজার শিশুদের ভয়াবহ বাস্তবতা।
জাতিসংঘের সতর্কবার্তার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় আবারও অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন ছিল খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত সংস্থা জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। শুধু মে মাসের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ধরনের হামলায় প্রায় দুই হাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল জানিয়েছে, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত তাঁবুতে হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়। একই দিন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে আরেকটি তাঁবুতে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে আরও চারজন প্রাণ হারায়।
গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে জাতিসংঘ বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ইসরায়েল তা উপেক্ষা করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, শিশুদের এভাবে হত্যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও তুলেছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে বড় শক্তিগুলোর রাজনৈতিক সমর্থন পেয়ে ইসরায়েল এখনো নির্বিঘ্নে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই একের পর এক প্রাণহানি ঘটছে। শুরুতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও দ্রুতই সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর হামলা ভয়াবহ রূপ নেয়। টানা বোমাবর্ষণ, অবরোধ, খাদ্য ও চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ায় গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, গাজার প্রায় প্রতিটি পরিবারই এখন মৃত্যু, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতির শিকার। প্রায় ১৯ হাজার শিশুর হত্যাকাণ্ড এই যুদ্ধকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বড় অভিযানের প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি সেনারা ইতিমধ্যেই গাজা সিটির জাইতুন এবং জাবালিয়া এলাকায় কাজ করছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চিফ অব স্টাফ এই অভিযানের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অভিযানটি ঠিক কবে শুরু হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
২ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার জলাবদ্ধতার কারণে, মাঝ রাস্তায় থেমে যায় একটি মনোরেল। বৃষ্টির কারণে ট্রেনটিতে অতিরিক্ত ভিড় ছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, প্রায় ৬০০ যাত্রী নিয়ে থেমে গিয়েছিল সেটি।
৩ ঘণ্টা আগেপুলিশ জানিয়েছে, সূর্যাংশু নামের ওই যুবককে দুই বছর ধরে চিনতেন হামলার শিকার শিক্ষিকা। তাঁর প্রতি সূর্যাংশুর দুর্বলতা ছিল বলেও জানা গেছে। কিন্তু তাতে কখনোই সায় দেননি তিনি। গত বছর নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপের জন্য স্কুল থেকে ওই ছাত্রকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আবারও স্কুলে
৪ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম চোরাচালানের দায়ে এক চীনা নাগরিককে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। ওই চীনা নাগরিকের নাম শেনঘুয়া ওয়েন (৪২)।
৪ ঘণ্টা আগে