Ajker Patrika

মাইক্রোসফট কার্যালয়ের কাছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত, ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, ১০: ১২
মাইক্রোসফটের কার্যালয়ের কাছে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ছবি: স্ক্রিনশট
মাইক্রোসফটের কার্যালয়ের কাছে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ছবি: স্ক্রিনশট

ইসরায়েলের উদ্ধারকারী সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডোম দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পরের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। তারা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে তাদের দলগুলোকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নাগরিকদের প্রাথমিক সতর্কবার্তা দেওয়ার পরপরই রকেট হামলা এবং সেগুলোর প্রতিরোধে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেগেভের বেয়েরশেভায় আগুন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলীর ছবি পোস্ট করছেন।

এদিকে ইসরায়েলের বিরশেভায় মাইক্রোসফটের কার্যালয়ের কাছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। এরপর বিরশেভা শহরের একটি স্থানে আগুন ধরে গেলে জরুরি পরিষেবাগুলো সেখানে পৌঁছে যায়।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডোম কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরের একটি রাস্তায় বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বলছে। আগুন লাগার স্থানটি একটি প্রযুক্তি পার্কের কাছাকাছি, যেখানে একটি মাইক্রোসফট কার্যালয়ও রয়েছে।

ইসরায়েল পুলিশ জানিয়েছে, তারা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে খোলা জায়গায় গোলা পড়ার খবর পেয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এতে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিরশেভার একটি বড় হাসপাতাল সোরোকা মেডিকেল সেন্টার ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিরশেভা নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত। সেখানে ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটি রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুখ্যাত হিমলারের নাতি হিসেবে নিজের পরিচয় জেনে স্তম্ভিত জার্মান যাজক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: দ্য টাইমস
ছবি: দ্য টাইমস

জার্মান যাজক হেনরিক লেনকাইট এক চমকপ্রদ সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন। জানতে পেরেছেন—নাজি জার্মানির কুখ্যাত এসএস প্রধান ও হলোকাস্টের জনক হেইনরিখ হিমলারের নাতি তিনি।

৪৯ বছর বয়সী লেনকাইট বর্তমানে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। একদিন ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি উইকিপিডিয়ায় তাঁর শৈশবে দেখা নানি হেডভিগ পটহাস্টের একটি ছবি দেখতে পান। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, হেডভিগ ছিলেন হিমলারের উপপত্নী!

শৈশবে যে নানি চকলেট খাইয়ে আদর করতেন, তিনিই নাকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিমলারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং এই সম্পর্কের ফলেই নিজের মায়ের জন্ম হয়েছিল জানতে পেরে বেশ অবাক হন লেনকাইট। তিনি জানান, তাঁর মা ২০১৯ সালে মারা যান এবং কখনো নানির এই সম্পর্কের কথা বলে যাননি।

লেনকাইট সারা জীবন ভেবে এসেছেন, হেডভিগের স্বামী হান্স স্টেক ছিলেন তাঁর প্রকৃত নানা। কিন্তু একটি ডকুমেন্টারি দেখে কৌতূহলবশত হিমলার সম্পর্কে পড়তে গিয়ে তিনি হঠাৎ আবিষ্কার করেন নিজের মাতৃকুলের এই ভয়ংকর ইতিহাস।

লেনকাইট বলেন, ‘উইকিপিডিয়ায় তাকিয়ে দেখি, আমার নানির মুখ! তখন স্ত্রীর দিকে ফিরে বলেছিলাম—আমি কি সত্যিই তার নাতি?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার পুরো জীবনটাই যেন এক মিথ্যা ছিল। ৪৭ বছর ধরে আমি সত্য না জেনে বেঁচে ছিলাম।’

হেডভিগ পটহাস্ট ও হিমলারের সম্পর্ক নিয়ে ঐতিহাসিক সূত্রে নানা তথ্য পাওয়া যায়। বলা হয়, ১৯৩৮ সালের বড়দিনে তাঁরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। তাঁদের চিঠিতে হিমলার তাঁর প্রেয়সীকে ‘বান্নি’ এবং হেডভিড তাঁকে ‘কিং হেইনরিখ’ বলে ডাকতেন। ১৯৪২ সালে তাঁদের পুত্র হেলগে ও ১৯৪৪ সালে কন্যা নানেট-ডোরোথিয়া (লেনকাইটের মা) জন্ম নেন।

যুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালে হিমলার ব্রিটিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। পরে হেডভিগ ১৯৫৫ সালে হান্স স্টেককে বিয়ে করেন।

জর্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেনকাইট জানান, সত্যটি জানতে তাঁর এক বছর লেগেছে এবং বিষয়টি সন্তানদেরও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে আমার দাদি এমন এক দানবকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন। তবুও আমি বিশ্বাস করি, আমার বাবা-মা কেউই নাৎসি মতবাদে বিশ্বাস করতেন না।’

আরেকটি বিষয় হলো—১৯৯৪ সালে নানির শেষকৃত্যে লোকজনের অনুপস্থিতি দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন লেনকাইট। কিন্তু আজ তিনি বুঝতে পারছেন, সেই নীরবতার পেছনে লুকিয়ে ছিল এক ভয়াবহ অতীত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে ১ হাজারের বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন চুরি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া একটি নাকফুল। ছবি: এপির সৌজন্যে
ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া একটি নাকফুল। ছবি: এপির সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে ১ হাজারের বেশি নিদর্শন চুরি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধাতব গয়না, নেটিভ আমেরিকানদের হাতে তৈরি ঝুড়ি ও সাধারণ কিছু সামগ্রী। এর মধ্যে কিছু ট্রফিও ছিল—যা ‘গোল্ডেন স্টেট’ নামে পরিচিত এই রাজ্যের ইতিহাসের প্রতীক।

ওকল্যান্ড পুলিশ গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ অক্টোবর ভোরের দিকে। ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কিছু দূরে একটি ভবনে এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রাখা ছিল। সেখান থেকেই এগুলো চুরি হয়।

জাদুঘরের পরিচালক লরি ফোগার্টি স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বলেন, এই জিনিসগুলো চোর বাজার, অ্যান্টিক স্টোর বা গয়না বন্ধক রাখা হয় এমন দোকানে পাওয়া যেতে পারে। তাই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চুরি শুধু জাদুঘরের ক্ষতি নয়, এগুলো জনগণের, আমাদের কমিউনিটিরও ক্ষতি। আমরা আশা করছি, আমাদের কমিউনিটি এগুলোকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।’

ফোগার্টি মনে করেন, এটি সুযোগ বুঝে করা একটি অপরাধ। কোনো সুনির্দিষ্ট শিল্পকর্ম চুরির ঘটনা নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, চোরেরা ভবনে ঢোকার একটি উপায় খুঁজে বের করেছে এবং তারা সহজে যা পেয়েছে, তা নিয়েই ভবন থেকে বেরিয়ে গেছে।’

চুরি হওয়া জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রয়াত শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও মেটালস্মিথ (ধাতুশিল্পী) ফ্লোরেন্স রেজনিকফের তৈরি নাকফুল, এক জোড়া খোদাই করা হাতির দাঁত এবং নেটিভ আমেরিকানদের তৈরি ঝুড়ি। ফোগার্টি জানান, চুরির বেশির ভাগ জিনিসই ছিল গত শতাব্দীর গোড়ার দিকের ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন, যেমন; ক্যাম্পেইন পিন ও কিছু ট্রফি।

ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়ার লক্ষ্য হলো—ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্প, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশের তথ্য সংরক্ষণ করা। এর সংগ্রহে ১৮ শতকের শেষ ভাগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্পীদের কাজ, সে সঙ্গে প্রত্নবস্তু, ছবি, প্রাকৃতিক নমুনা ও কিছু রেকর্ডিং রয়েছে। জাদুঘরটি ব্ল্যাক পাওয়ার মুভমেন্ট ও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের আন্দোলন নিয়েও নানা প্রদর্শনী করেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জন রোমেরো লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে বলেন, চুরির ঘটনাটি দুই সপ্তাহ আগে ঘটায় জিনিসগুলো হয়তো ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি মনে করেন, পুরোনো বা অ্যান্টিক জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়, এমন প্ল্যাটফর্মগুলোতে গোয়েন্দারা নজর রাখতে পারেন। তিনি বলেন, এই চোরেরা নগদ টাকা পেতে চাইবে। এই জিনিসগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য কী, সেটা তারা যাচাই করবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব তারা এগুলো বিক্রি করে দেবে।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ওকল্যান্ডের এক ব্যক্তি জাদুঘরের ভেতরে ঢুকে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গোল্ড রাশ’ যুগের (স্বর্ণ আবিষ্কারের সময়) একটি গয়নার বাক্স নিয়ে গিয়েছিল। ফোগার্টি বলেন, সে সময় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় জিনিসটি একটি অ্যান্টিক শপে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আশা করেন, এবারও কমিউনিটি সাহায্য করবে।

ওকল্যান্ড পুলিশ বিভাগ বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে, তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, পুলিশ ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার এই চুরির ঘটনার ঠিক চার দিন পর প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে দিনের আলোতে মূল্যবান কিছু গয়না চুরি হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও গয়নাগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তুরস্কে পাহাড়ের নিচে মিলল ১ হাজার ৬০০ বছরের পুরোনো ওয়াইনের কারখানা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রত্নতাত্ত্বিক খনন সব সময় আমাদের মুগ্ধ করে। মাটির স্তর খুঁড়ে অতীতের গল্প খুঁজে পাওয়া মানেই যেন হারিয়ে যাওয়া সময়ের সঙ্গে কথোপকথন। কখনো মাটির পাত্রের টুকরা, কখনো মুদ্রা, কখনো বা প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষ। প্রতিটি নিদর্শনই নীরবে জানিয়ে দেয়—মানুষ একসময় এখানে ছিল।

সম্প্রতি এমনই এক অভিযানে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা তুরস্কের খাদ্যসংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক চমকপ্রদ নিদর্শন আবিষ্কার করেছেন। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওয়েমাকলি গ্রামসংলগ্ন কাহতাহ দুর্গের কাছে তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন ওয়াইন তৈরির প্রাচীন এক কারখানা।

আনাদোলু এজেন্সি ১৬ অক্টোবর এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ওয়াইন তৈরির কারখানাটির বয়স প্রায় ১ হাজার ৬০০ বছর। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সেখানে আঙুর প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত স্থাপনা, পানি সংরক্ষণের জন্য জলাধার ও শক্তপোক্ত পেষণযন্ত্রও পেয়েছেন।

গবেষকেরা বলছেন, এই স্থাপনাগুলোর নকশা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া রোমান যুগের মদের কারখানাগুলোর সঙ্গে আশ্চর্য রকমভাবে মিলে যায়। সে সময় হাতে বা কাঠের বিম দিয়ে পিষে আঙুরের রস বের করা হতো। পাথরের নালার ভেতর দিয়ে সেই রস গিয়ে পড়ত পাথরের তৈরি বড় পাত্রে। এরপর গাঁজন প্রক্রিয়ার জন্য বড় মাটির কলসিতে আঙুরের রস সংরক্ষণ করা হতো।

খননে পাওয়া স্থাপনার ভিত্তি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, জায়গাটি চতুর্থ শতকের। সে সময় তুরস্কজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল খ্রিষ্টধর্ম।

স্থানীয় জাদুঘরের পরিচালক মেহমেত আলকান জানান, অসম মাপের পাথরে নির্মিত হওয়া সত্ত্বেও স্থাপনাটির ভিত্তি ‘এখনো ভালোভাবে টিকে আছে, যা অবিশ্বাস্য’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়েকে ঐচ্ছিক বিষয় ভাবছে ৩৯ শতাংশ বিবাহযোগ্য ভারতীয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসা, রোমান্স ও অঙ্গীকার—এ তিন বিষয় নিয়ে আধুনিক ধারণাগুলোর ভেতর সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে; যা ভবিষ্যতের সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতার ধরনকে নতুনভাবে গড়ছে।

সম্প্রতি ভারতের ডেটিং অ্যাপ কোয়াককোয়াকের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি তিনজন মিলেনিয়াল প্রজন্মের (১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী) একজন মনে করেন, আগামী দশকে বিয়ে ও সম্পর্কের ধারণা একেবারে বদলে যাবে।

ডেটিং অ্যাপটি ভারতের শহর, উপশহর ও গ্রামীণ এলাকার ২২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ১০ হাজার ৩৪০ জন সক্রিয় ব্যবহারকারীর ওপর এই জরিপ চালায়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আইটি বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কর্মী, বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা, শিক্ষক, প্রশিক্ষক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কনটেন্ট নির্মাতাসহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন।

জরিপের উদ্দেশ্য—ডিজিটাল যুগে মানুষ কীভাবে আবেগ, সংযোগ ও ঘনিষ্ঠতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে, তা বোঝা।

অ্যাপটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রবি মিত্তাল বলেন, সম্পর্ক গড়তে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্রতি পাঁচজনের চারজনই এখন নিজেদের সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন। তাঁদের অগ্রাধিকার বদলে যাচ্ছে। তাঁরা বিয়ে বা অঙ্গীকারের বিরুদ্ধে নন; বরং তাঁরা শুধু নিজের জন্য যেটি সবচেয়ে ভালো, সেটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা চান—সমাজের নির্ধারিত সময়সূচি বা প্রত্যাশা মেনে নয়।

ব্যক্তিগত পছন্দে পরিণত হচ্ছে বিয়ে

যে বিয়ে একসময় ছিল জীবনের বাধ্যতামূলক বা প্রত্যাশিত পরিণতি, সেটিই এখন পরিণত হচ্ছে ব্যক্তিগত পছন্দে।

জরিপ অনুযায়ী, শহর ও উপশহরের ২৮ বছরের বেশি বয়সী ডেটিং অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশের বেশি মনে করে, বিয়ে আর জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক নয়; এটি এখন ঐচ্ছিক।

ভার্চুয়াল ডেটিংয়ের প্রসারই প্রমাণ করে—মানুষ এখন যেকোনো পরিস্থিতিতেই ভালোবাসতে ও সম্পর্ক গড়তে সক্ষম।

শহরের প্রতি চারজন নারী ব্যবহারকারীর মধ্যে দুজন জানান, এটি আসলে পরিবর্তিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং আধুনিক জীবনধারারই প্রতিফলন। এখন আর সম্পর্কের জন্য শারীরিক উপস্থিতি বা আইনি কাগজের প্রয়োজন হয় না।

উদাহরণ হিসেবে অবিনাশের কথা বলা যায়। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি চাকরি করেন। তিনিও এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।

অবিনাশ বলেন, ‘আমার কাছে বিয়ে শেষ লক্ষ্য নয়। আমার প্রোফাইলেই এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমি খুঁজি আসল সংযোগ আর আন্তরিক অঙ্গীকার। কারণ, সবাই যেমন ভাবে, বিয়ে মানেই নিশ্চয়তা, তা কিন্তু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত