যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এসব সরঞ্জামের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, বুলডোজার এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম। ইসরায়েল অতীতে ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে এসব অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বুলডোজার ব্যবহার করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের কাছে ২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারের বোমার খোল ও ওয়ারহেড, ৬৭৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের অন্যান্য বোমার খোল ও নির্দেশনা কিট এবং ২৯৫ মিলিয়ন ডলারের বুলডোজার ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা আরও জানিয়েছে, রুবিও জরুরি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েলকে এই সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ করা প্রয়োজন। এ কারণে কংগ্রেসের অনুমোদনের যে সাধারণত প্রয়োজন হয়, তা শিথিল করা হয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরায়েলকে একটি শক্তিশালী ও প্রস্তুত আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন এমন এক সময়ে দেওয়া হলো, যার মাত্র মাসখানেকেরও কম সময় আগে, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। এই অভিযানের ফলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী সংকীর্ণ ভূখণ্ড গাজা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অধিকাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়। তবে গত মাসে কার্যকর হওয়া এক যুদ্ধবিরতির ফলে সংঘাত বন্ধ হয় এবং হামাসের হাতে আটক কয়েকজনকে মুক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়।
গাজার বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৩ সালে ইসরায়েলে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের শক্তিশালী বোমার চালান পাঠানো বন্ধ করে দেন। তবে তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন এবং নতুন বিক্রির মধ্যে ওই একই ওজনের বোমাও অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলছে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও তীব্র করবে এবং বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কিছু সদস্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এই অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করছে।
মোট কথা, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র বিক্রি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এসব সরঞ্জামের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, বুলডোজার এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম। ইসরায়েল অতীতে ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে এসব অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বুলডোজার ব্যবহার করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের কাছে ২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারের বোমার খোল ও ওয়ারহেড, ৬৭৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের অন্যান্য বোমার খোল ও নির্দেশনা কিট এবং ২৯৫ মিলিয়ন ডলারের বুলডোজার ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা আরও জানিয়েছে, রুবিও জরুরি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েলকে এই সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ করা প্রয়োজন। এ কারণে কংগ্রেসের অনুমোদনের যে সাধারণত প্রয়োজন হয়, তা শিথিল করা হয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরায়েলকে একটি শক্তিশালী ও প্রস্তুত আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন এমন এক সময়ে দেওয়া হলো, যার মাত্র মাসখানেকেরও কম সময় আগে, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। এই অভিযানের ফলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী সংকীর্ণ ভূখণ্ড গাজা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অধিকাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়। তবে গত মাসে কার্যকর হওয়া এক যুদ্ধবিরতির ফলে সংঘাত বন্ধ হয় এবং হামাসের হাতে আটক কয়েকজনকে মুক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়।
গাজার বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৩ সালে ইসরায়েলে ২ হাজার পাউন্ড ওজনের শক্তিশালী বোমার চালান পাঠানো বন্ধ করে দেন। তবে তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন এবং নতুন বিক্রির মধ্যে ওই একই ওজনের বোমাও অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলছে, এটি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও তীব্র করবে এবং বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কিছু সদস্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশও এই অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করছে।
মোট কথা, যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র বিক্রি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
অবৈধ অভিবাসী আটকে দেশজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়া। গত বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ২২ হাজার অবৈধ অভিবাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম নিউ স্ট্রেট টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আটক অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ১৬৫ জ
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ত রাস্তায় গত ক’দিন ধরে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। ব্যস্ততম ম্যানহাটনের পথে পথে একটি বুনো টার্কি আপন মনে হাঁটছে, উড়ছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাদে ছাদে। এটি একটি নামও পেয়ে গেছে—অ্যাস্টোরিয়া। শহরের মানুষ অ্যাস্টোরিয়ার এমন সাহসিক অভিযানে এখন রীতিমতো অভিভূত।
৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের করাচিতে সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র ইসলামপন্থীরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার করাচির একটি মোবাইল মার্কেটের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে উগ্রপন্থীরা এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয় ঘেরাও করে।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালার নিচে পৃথিবীর ভূত্বক যে ধীরে ধীরে খসে পড়ছে বা খোসা ছাড়াচ্ছে, তার বিরল ও শক্তিশালী প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ৪০ বছরের ভূমিকম্পের রেকর্ড ঘাঁটতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আনেন ভূকম্পবিদ ডেবোরাহ কিলব।
৯ ঘণ্টা আগে