আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
এক দশক আগে সম্মতি ছাড়াই অভিবাসী ইথিওপীয় নারীদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে। অভিবাসন আটকে যাবে—এমন ভয় দেখিয়ে ইনজেকশনটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিয়েই তাঁদের সেটি গ্রহণে বাধ্য করা হয়। ব্যাপক বিতর্কের মুখে অভিযোগটি তদন্ত শুরু করে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ২০১৩ সালে সব অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাধ্য হয়ে ইসরায়েলের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ইয়োকোভ লিৎজম্যানের নেতৃত্বে তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও আগে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১২ সালে। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, এক দশকে ইসরায়েলে বসবাসরত ইথিওপীয় নারীদের মধ্যে জন্মহার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার ইথিওপীয় নারীকে তিন মাস অন্ত ‘ডিপো-প্রোভেরা’ নামের একটি ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি ক্লিনিকগুলোতে। যেটি মূলত একটি গর্ভনিরোধক ইনজেকশন। দীর্ঘদিন এটি গ্রহণের ফলে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি তৈরি হয় বন্ধ্যত্ব এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের।
২০১২ সালে এ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, ইথিওপিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পগুলোতেই নারীদের এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন দেওয়া শুরু হয়। তবে, এটি আসলে কী ইনজেকশন, এর ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়নি কাউকেই। পরবর্তীতে তাঁরা ইসরায়েলে পৌঁছানোর পরও, চলতে থাকে এই ‘‘চিকিৎসা’। তবে এই নীতির সূচনা কে বা কারা করেছিল সেটি প্রামাণ্যচিত্রে স্পষ্ট করা হয়নি। কারণ ইসরায়েল এবং ইথিওপিয়া—কেউই এর দায় স্বীকার করতে রাজি হয়নি।
প্রামাণ্যচিত্রটির জন্য ইসরায়েলে বসবাসরত ৩৫ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেন সাবা রিউবেন নামের এক নারী। সাবা নিজেও ইথিওপীয় অভিবাসী। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ইসরায়েলে বসবাস করছেন। তিনি জানান, তিনি যখন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তখনো ২৫ জন নারী গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিচ্ছিলেন।
ওই ২৫ জনের একজন রিউবেনকে বলেন, তিনি এত দিন জানতেন তাঁকে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। আরেক নারী রিউবেনকে জানান, যখন ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছান তখন তিনি গর্ভবর্তী ছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর সব গর্ভবর্তী নারীকে জড়ো করে জানানো হয় যে তাঁদের ডিপো প্রোভেরা দেওয়া হবে, কারণ ইসরায়েলে গিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া তাঁদের জন্য ‘খুবই কঠিন’ হবে।
তাঁরা ইনজেকশনটি নিতে রাজি হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘না, আমরা নিতে চাইনি। আমরা বলেছিলাম, আমরা এটা চাই না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হয়। কারণ আমাদের বলা হয়েছিল, যদি ইনজেকশন না নিই, তাহলে ইসরায়েলে অভিবাসন আটকে যাবে এবং ক্যাম্পে আর কোনো স্বাস্থ্যসেবা পাব না।’ রিউবেন জানান, শুধু ওই নারী নন, অসংখ্য নারী এমন ঘটনার শিকার।
ইথিওপীয়দের অভিযোগ—ইসরায়েলের ইথিওপীয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই এমন ঘৃণ্য পদক্ষেপ নেয় ইসরায়েল। তবে, ওই সময় এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ইসরায়েল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডিপো প্রোভেরা ইনজেকশনের ব্যবহার সব সময় নিরুৎসাহিত করে। যদি ইসরায়েলের কোথাও এ ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা আমাদের অবস্থানের পরিপন্থী।’
তবে, রিউবেন বলছেন, তাঁর কাছে ইথিওপিয়ার এক ক্লিনিককে লেখা ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি আছে। ওই চিঠিতে বিপুলসংখ্যক নারীকে ডিপো-প্রোভেরা প্রয়োগের জন্য ওই ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিটি ২০০ সালে লেখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
রিউবেন ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইথিওপীয় নারীরা নাকি স্বেচ্ছায় এই ইনজেকশন নিচ্ছে। তবে, এটা সত্যি নয়। কারণ, ইথিওপিয়ায় বহু সন্তান থাকাকে সম্মানের মনে করা হয়। অনেক সন্তান থাকার অর্থ তিনি খুব ধনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের একটি পরিকল্পিত নীতি। বেছে বেছে নতুন আসা ইথিওপীয় অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কারণ তারা ভালো করে হিব্রু জানে না, কর্তৃপক্ষকে অন্ধভাবে মান্য করে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করছে তারা।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন শুধু ইথিওপীয় নারীদেরই ইসরায়েলে ডিপো-প্রোভেরা দেওয়া হচ্ছে?
জেরুজালেমের হাদাসা মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মুশিরা আবুদিয়া ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি যেসব ইথিওপীয় নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি এমন এক নীতি, যার কথা কেউ স্বীকার করে না। ইসরায়েলে কেউ এই চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না, কিন্তু কেউ না কেউ তো অবশ্যই এটি শুরু করেছে। আর যেহেতু এই নারীরা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতিতে ছিল, ইথিওপিয়ার স্বার্থে তাদের এই চিকিৎসা দেওয়া যুক্তিসংগত নয়।’
গত এক দশকে ইসরায়েলে গেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি ইথিওপীয় নারী। তবে, ইসরায়েলে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এর আগে ১৯৯৬ ইথিওপীয়দের দান করা সব রক্ত ধ্বংস করে ফেলেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অজুহাত দিয়েছিল—এসব রক্তে মরণব্যাধি এইডসের ভাইরাস ‘এইচআইভি’ থাকতে পারে। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল হাজার হাজার ইথিওপীয় অভিবাসী।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিনের নির্দেশে, ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েকটি গোপন অভিযানের মাধ্যমে সুদানের শরণার্থীশিবির থেকে প্রথম ইথিওপীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসে।
এরপর আরও কয়েকটি অভিযান চলে এবং ১৯৯১ সালে ইথিওপিয়া থেকে আকাশপথে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।
শুরু থেকেই ইসরায়েলে ইথিওপীয় ইহুদিদের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ইথিওপীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি এবং তারা বৈষম্যের শিকারও হন। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এই বৈষম্যের পেছনে শুধু গায়ের রংই নয়, ধর্মীয় গোঁড়ামিও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ইহুদি ধর্মীয় নেতারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের বর্ণবাদ জারি রেখেছেন। হাসিদিক, আশকেনাজি এবং সেফারদিক—এই শব্দগুলো ইহুদি পরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
হাসিদিক বলতে বোঝায় পূর্ব ইউরোপ থেকে উদ্ভূত একটি সুনির্দিষ্ট, কট্টর-অর্থোডক্স ইহুদি আন্দোলনের অনুসারী। অন্যদিকে, আশকেনাজি মূলত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের এবং সেফারদিরা স্পেন, পর্তুগাল, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত।
ইসরায়েলের আশকেনাজি ইহুদি রাব্বিরা নিজেদের অভিজাত ও খাঁটি রক্তের ইহুদি বলে দাবি করেন। তাঁরা বাকিদের তাঁদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু বর্ণের ইহুদি বলে মনে করেন। এমনকি বিশেষ করে আরব ও আফ্রিকার ইহুদিদের তাঁরা প্রকৃত ইহুদি বলে মনে করেন না।

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
এক দশক আগে সম্মতি ছাড়াই অভিবাসী ইথিওপীয় নারীদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে। অভিবাসন আটকে যাবে—এমন ভয় দেখিয়ে ইনজেকশনটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিয়েই তাঁদের সেটি গ্রহণে বাধ্য করা হয়। ব্যাপক বিতর্কের মুখে অভিযোগটি তদন্ত শুরু করে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ২০১৩ সালে সব অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাধ্য হয়ে ইসরায়েলের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ইয়োকোভ লিৎজম্যানের নেতৃত্বে তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও আগে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১২ সালে। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, এক দশকে ইসরায়েলে বসবাসরত ইথিওপীয় নারীদের মধ্যে জন্মহার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার ইথিওপীয় নারীকে তিন মাস অন্ত ‘ডিপো-প্রোভেরা’ নামের একটি ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি ক্লিনিকগুলোতে। যেটি মূলত একটি গর্ভনিরোধক ইনজেকশন। দীর্ঘদিন এটি গ্রহণের ফলে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি তৈরি হয় বন্ধ্যত্ব এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের।
২০১২ সালে এ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, ইথিওপিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পগুলোতেই নারীদের এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন দেওয়া শুরু হয়। তবে, এটি আসলে কী ইনজেকশন, এর ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়নি কাউকেই। পরবর্তীতে তাঁরা ইসরায়েলে পৌঁছানোর পরও, চলতে থাকে এই ‘‘চিকিৎসা’। তবে এই নীতির সূচনা কে বা কারা করেছিল সেটি প্রামাণ্যচিত্রে স্পষ্ট করা হয়নি। কারণ ইসরায়েল এবং ইথিওপিয়া—কেউই এর দায় স্বীকার করতে রাজি হয়নি।
প্রামাণ্যচিত্রটির জন্য ইসরায়েলে বসবাসরত ৩৫ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেন সাবা রিউবেন নামের এক নারী। সাবা নিজেও ইথিওপীয় অভিবাসী। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ইসরায়েলে বসবাস করছেন। তিনি জানান, তিনি যখন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তখনো ২৫ জন নারী গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিচ্ছিলেন।
ওই ২৫ জনের একজন রিউবেনকে বলেন, তিনি এত দিন জানতেন তাঁকে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। আরেক নারী রিউবেনকে জানান, যখন ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছান তখন তিনি গর্ভবর্তী ছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর সব গর্ভবর্তী নারীকে জড়ো করে জানানো হয় যে তাঁদের ডিপো প্রোভেরা দেওয়া হবে, কারণ ইসরায়েলে গিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া তাঁদের জন্য ‘খুবই কঠিন’ হবে।
তাঁরা ইনজেকশনটি নিতে রাজি হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘না, আমরা নিতে চাইনি। আমরা বলেছিলাম, আমরা এটা চাই না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হয়। কারণ আমাদের বলা হয়েছিল, যদি ইনজেকশন না নিই, তাহলে ইসরায়েলে অভিবাসন আটকে যাবে এবং ক্যাম্পে আর কোনো স্বাস্থ্যসেবা পাব না।’ রিউবেন জানান, শুধু ওই নারী নন, অসংখ্য নারী এমন ঘটনার শিকার।
ইথিওপীয়দের অভিযোগ—ইসরায়েলের ইথিওপীয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই এমন ঘৃণ্য পদক্ষেপ নেয় ইসরায়েল। তবে, ওই সময় এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ইসরায়েল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডিপো প্রোভেরা ইনজেকশনের ব্যবহার সব সময় নিরুৎসাহিত করে। যদি ইসরায়েলের কোথাও এ ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা আমাদের অবস্থানের পরিপন্থী।’
তবে, রিউবেন বলছেন, তাঁর কাছে ইথিওপিয়ার এক ক্লিনিককে লেখা ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি আছে। ওই চিঠিতে বিপুলসংখ্যক নারীকে ডিপো-প্রোভেরা প্রয়োগের জন্য ওই ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিটি ২০০ সালে লেখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
রিউবেন ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইথিওপীয় নারীরা নাকি স্বেচ্ছায় এই ইনজেকশন নিচ্ছে। তবে, এটা সত্যি নয়। কারণ, ইথিওপিয়ায় বহু সন্তান থাকাকে সম্মানের মনে করা হয়। অনেক সন্তান থাকার অর্থ তিনি খুব ধনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের একটি পরিকল্পিত নীতি। বেছে বেছে নতুন আসা ইথিওপীয় অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কারণ তারা ভালো করে হিব্রু জানে না, কর্তৃপক্ষকে অন্ধভাবে মান্য করে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করছে তারা।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন শুধু ইথিওপীয় নারীদেরই ইসরায়েলে ডিপো-প্রোভেরা দেওয়া হচ্ছে?
জেরুজালেমের হাদাসা মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মুশিরা আবুদিয়া ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি যেসব ইথিওপীয় নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি এমন এক নীতি, যার কথা কেউ স্বীকার করে না। ইসরায়েলে কেউ এই চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না, কিন্তু কেউ না কেউ তো অবশ্যই এটি শুরু করেছে। আর যেহেতু এই নারীরা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতিতে ছিল, ইথিওপিয়ার স্বার্থে তাদের এই চিকিৎসা দেওয়া যুক্তিসংগত নয়।’
গত এক দশকে ইসরায়েলে গেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি ইথিওপীয় নারী। তবে, ইসরায়েলে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এর আগে ১৯৯৬ ইথিওপীয়দের দান করা সব রক্ত ধ্বংস করে ফেলেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অজুহাত দিয়েছিল—এসব রক্তে মরণব্যাধি এইডসের ভাইরাস ‘এইচআইভি’ থাকতে পারে। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল হাজার হাজার ইথিওপীয় অভিবাসী।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিনের নির্দেশে, ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েকটি গোপন অভিযানের মাধ্যমে সুদানের শরণার্থীশিবির থেকে প্রথম ইথিওপীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসে।
এরপর আরও কয়েকটি অভিযান চলে এবং ১৯৯১ সালে ইথিওপিয়া থেকে আকাশপথে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।
শুরু থেকেই ইসরায়েলে ইথিওপীয় ইহুদিদের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ইথিওপীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি এবং তারা বৈষম্যের শিকারও হন। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এই বৈষম্যের পেছনে শুধু গায়ের রংই নয়, ধর্মীয় গোঁড়ামিও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ইহুদি ধর্মীয় নেতারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের বর্ণবাদ জারি রেখেছেন। হাসিদিক, আশকেনাজি এবং সেফারদিক—এই শব্দগুলো ইহুদি পরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
হাসিদিক বলতে বোঝায় পূর্ব ইউরোপ থেকে উদ্ভূত একটি সুনির্দিষ্ট, কট্টর-অর্থোডক্স ইহুদি আন্দোলনের অনুসারী। অন্যদিকে, আশকেনাজি মূলত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের এবং সেফারদিরা স্পেন, পর্তুগাল, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত।
ইসরায়েলের আশকেনাজি ইহুদি রাব্বিরা নিজেদের অভিজাত ও খাঁটি রক্তের ইহুদি বলে দাবি করেন। তাঁরা বাকিদের তাঁদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু বর্ণের ইহুদি বলে মনে করেন। এমনকি বিশেষ করে আরব ও আফ্রিকার ইহুদিদের তাঁরা প্রকৃত ইহুদি বলে মনে করেন না।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।


ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’


ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।


ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।


ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৬ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৬ ঘণ্টা আগে